-কেমন আছো নাদের আলী?
-তুমি কে?
-প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন কেন?
তাকাও আমার দিকে
ঠিক চিনে যাবে।
– তুমি দুঃস্বপ্ন,
তোমার অস্তিত্ব নেই বাস্তবে।
-আমি স্বপ্ন-দুঃস্বপ্ন কিছুই না;
আমি হলাম বাইশ বছর পরের তুমি।
-বাইশ বছর পর আমি মেয়ে হবো নাকি?
বাজে বকছ কেন তুমি?
-বলব সবই,
তারপর বললে না-তো, কেমন আছো?
-ভালো আছি, খুব ভালো।
-কী করে ভালো থাকো নাদের আলী-
সঙ্গমদণ্ডের এমন বর্বরতম প্রয়োগ ঘটিয়ে?
কী করে ভালো থাকো? কী করে?
কী করে পারলে মেয়ের বয়েসি ঐ কিশোরীকে…?
কী করে ভালো থাকো? কী করে?
-ও’সব করেই ভালো থাকি আমি!
এখন যাও তুমি।
২২ঘণ্টা পরের সময় নিয়ে আমি ভাবি না
আর বাইশ বছর?
হা-হা-হা…
-বিয়ে করেছ,
একটা মেয়েও আছে তোমার!
কী করে দু’চোখে এমন দৃষ্টির প্রভেদ গড়ে ভালো থাকো?
কী করে?
-ছাড়ো ওসব সস্তা বুলি,
অঢেল টাকা আমার
যা ভালোলাগবে করবো আমি।
-তুমি আস্তে-আস্তে মেয়ে হয়ে যাবে নাদের!
-কীভাবে?
(বিস্ময় আর খানিকটা শঙ্কা গলাতে)
-প্রকৃতি তার নির্মম খেলাটা খেলবে তোমার সাথেই।
তুমি বুঝবে না ও’সব-
বিজ্ঞান শেখনি যে।
-তারপর?
(ভয় জমতে থাকে নাদের আলীর মনে)
-সঙ্গমদণ্ডের জঘন্য প্রয়োগটি ঘটবে তোমার সাথেও।
তুমি ধর্ষিত হবে সকাল-দুপুর কিংবা মধ্যরাতে,
তোমার নিকটত্বদের হাতে,
যারা আজ অর্থের বিনিময়ে মনুষ্য-পুতুলের জোগান দেয়।
তুমি ধর্ষিত হবে তিনশ পঁয়ষট্টি দিন-ই।
ঘা হবে জরায়ুতে, রক্তে রঞ্জিত হবে যোনিপথ।
তবু তুমি মরবে না।
প্রকৃতির গিনিপিগ হয়ে সহস্রগুণ শাস্তিতে দগ্ধ হবে বাকি-জীবন।
-কি বলছো তুমি?
-বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি?
আমায় স্পর্শ করে দেখ- টের পাবে।
নাকি উদোম হয়ে দেখাবো তোমায়?
নাকি শঙ্কা আছে- লোভ সামলাতে না পেরে
তোমার ভবিষ্যতকে হয়তো নিজেই ধর্ষণ করতে ইচ্ছে করবে!
-চুপ করো তুমি,
চুপ করো।
আর শুনতে চাই না আমি।
(আর্তনাদে ভেঙে পড়ে নাদের আলী)
-নাদের আলী?
-বলো?
-এখনও সময় অনেক পরে আছে।
তোমার অঢেল টাকাগুলোকে কাজে লাগাও ভিন্ন পথে।
গিয়ে দেখে আসো হাসপাতালে শুয়ে থাকা সেই মেয়েটাকে
মাথায় হাত রাখো, ক্ষমা চাও?
হয়তো ক্ষমা করবে না সে, ক্ষমার যোগ্যতা তুমি হারিয়েছো অনেক আগে।
হয়তো শাস্তি হবে তোমার
তাতে কি যায়-আসে
অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হয়-
তবে তুমি হয়তো মুক্তি পাবে নির্মমতম সেই শাস্তিটি থেকে।
-আমি তাই করবো।
(ঘুম ভেঙে যায় নাদের আলীর। অসুস্থ মেয়েটিকে দেখতে যায় সকালে। কপালে হাত রাখে; ক্ষমা চায়। মেয়েটি নাদেরকে ক্ষমা করে। কিন্তু সে মারা যায় তার কিছুদিন পর। নাদের তার বাকি জীবনে আর কখনো কোন অপরাধ করে নি। তার সমস্ত অর্থ ব্যয় করেছিল ধর্ষিতা মেয়েদের চিকিৎসার্থে, তাদের পরবর্তী জীবনকে স্বাভাবিক করতে। নাদের আলীর মনের মেটামরফোসিস হয়েছিল সে রাতে…)
-
আর্কাইভ
- এপ্রিল 2018
- নভেম্বর 2017
- অক্টোবর 2017
- সেপ্টেম্বর 2017
- মার্চ 2017
- ফেব্রুয়ারী 2017
- জানুয়ারী 2017
- নভেম্বর 2016
- অক্টোবর 2016
- সেপ্টেম্বর 2016
- আগস্ট 2016
- জুলাই 2016
- জুন 2016
- মে 2016
- এপ্রিল 2016
- মার্চ 2016
- ফেব্রুয়ারী 2016
- জানুয়ারী 2016
- ডিসেম্বর 2015
- নভেম্বর 2015
- অক্টোবর 2015
- সেপ্টেম্বর 2015
- আগস্ট 2015
- জুলাই 2015
- জুন 2015
- মে 2015
- এপ্রিল 2015
- মার্চ 2015
- ফেব্রুয়ারী 2015
- জানুয়ারী 2015
- ডিসেম্বর 2014
- নভেম্বর 2014
- অক্টোবর 2014
- সেপ্টেম্বর 2014
- আগস্ট 2014
- জুলাই 2014
- জুন 2014
- মে 2014
- এপ্রিল 2014
- মার্চ 2014
- ফেব্রুয়ারী 2014
- জানুয়ারী 2014
- ডিসেম্বর 2013
- নভেম্বর 2013
- অক্টোবর 2013
- সেপ্টেম্বর 2013
- আগস্ট 2013
- জুলাই 2013
- জুন 2013
- মে 2013
- এপ্রিল 2013
- মার্চ 2013
- ফেব্রুয়ারী 2013
- জানুয়ারী 2013
- ডিসেম্বর 2012
- নভেম্বর 2012
- অক্টোবর 2012
- সেপ্টেম্বর 2012
- আগস্ট 2012
- জুলাই 2012
- জুন 2012
- মে 2012
- এপ্রিল 2012
- মার্চ 2012
- ফেব্রুয়ারী 2012
- জানুয়ারী 2012
- ডিসেম্বর 2011
- নভেম্বর 2011
- অক্টোবর 2011
- সেপ্টেম্বর 2011
- আগস্ট 2011
- জুলাই 2011
-
সদর দরজা
পড়লাম, হজম হইতে টাইম লাগবে।
তোমার লেখারও দেখি বিশাল মেটামরফোসিস হয়ে গেছে… নাকি কোন এক্সপেরিমেন্ট। !
এক্সপেরিমেন্ট বলাই সমীচীন। এ ধরণের কবিতা আগে কখনো লিখি নাই, পূর্ণেন্দু পাত্রী কয়েকটা কবিতা পড়লাম। কনভারসেশনাল পয়েমের ছাপ কি আসছে আবীর?
শেষের লাইনগুলো পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো। কবিতার মধ্যে গল্প 🙂 চমৎকার লাগলো।
তুসিন ভাইয়া, কি আর দেব তুমায় উপহার;
বাংলায় লও ভালোবাসা, হিন্দিতে পেয়ার! :love: 😛