সিনেমায় বেঁচে থাকিঃ পর্ব-০১

অনুপ্রেরণার সিনেমা, অনুপ্রেরিত আমি 

সিনেমা নিয়ে কথা বলা, দেখা, বানানো, ভাবা আর লেখা- প্রতিটা জিনিসই অনেক আলাদা ব্যাপার। যেমন শুধু কথা বলতে চাইলে- সাকিব খান, জলিল, দেবকে আপনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না। কারণ, তারা যেই রকম সমালোচনা অবজ্ঞা করে এক এর পর এক সিনেমা করেই যাচ্ছে, তা বিরাট রকমের ধৈর্য না থাকলে সম্ভব না। আবার দেখার ক্ষেত্রে- আপনি যত আধ্যাত্মিক লেভেলের সিনেমা দেখেন না কেন, একটা সময় হাওয়া বদলের মতন, একটু ভিন্ন রুচির স্বাদ নিতে মাঝে মাঝে গোঁফওয়ালা নায়ক আর লাস্যময়ী নায়িকা নিয়ে নির্মিত তামিল ছবি দেখা দোষের কিছু না। আর সিনেমা বানানোর ব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতা কম, একটা ২৩ মিনিটের স্বল্প দৈর্ঘ্য সিনেমা বানায়ছিলাম, আর কয়েকটা শর্ট ফিল্মে ক্যামেরার পেছনে শর্ট শর্ট ভূমিকা ছিল। সিনেমা নিয়ে ভাবা অনেকটা স্বপ্ন দেখার মতো- যা খুশি ভাবেন, কোন বাধা ধরা নিয়ম নাই এখানে। কিন্তু, লেখা- অনেক বেশি সতর্কতার সাথে করা লাগে। সিনেমা নিয়ে লেখার অভিজ্ঞতা বলতে, আইএমডিবিতে কিছু রিভিউ লিখছিলাম।

সিনেমা থেকে সব চেয়ে বেশি যেই জিনিসটা পেয়েছি, তা হচ্ছে “অনুপ্রেরণা”। সেই অনুপ্রেরনায় ছিল বৈচিত্র্য। কখনো প্রেমের, কখনো জীবনের, কখনো বেঁচের থাকার, কখনো ঘুরে দাড়াবার। তবে আমি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকালাম বলে আমার মধ্যে ইদানিং একটা জিনিস খুব কাজ করছে, তা হল- পড়ালেখার জীবনের হতাশা। বিশেষ করে যারা একটু “একাডেমিক্যালি স্মার্ট” ছাত্র, তারা এই ব্যাপারটা নিয়ে খুবই ঝামেলায় থাকে। কারণ, তারা দুনিয়াকে পাল্টে দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখে যে নিজেদের ক্লাসের তথাকথিত নিয়মই বদলাতে পারছে না। তার সাথে, টিকে থাকার জন্য নিজের অপছন্দের কাজ গুলো করা লাগছে হরহামেশাই। তাই এমন কয়েকটি সিনেমা নিয়ে সামান্য কথা বলে ছেড়ে দিবো, যা আপনারা এক এক করে দেখবেন আর আমার মতোই অনুপ্রাণিত হবেন ঘুরে দাড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে।

 

অক্টোবর স্কাই

2

সত্যি ঘটনার উপর নির্মিত এই ছবির কাহিনি এগিয়ে চলে কয়লা স্রমিকের ছেলের রকেট বানানোর গল্প নিয়ে। স্পুটনিক-১ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রকেট বিজ্ঞানী হতে চায় ছেলে, কিন্তু বাবার ইচ্ছা অন্য রকম। আমাদের বাবারা যেমনটা করে ভাবেন আমাদের জন্য। অনেক বাধা আর প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে এগুতে থাকলেও সাফল্য এক সময় পিছু নেয় তাদের। লিখে প্রকাশ করার মতো ভাষা এই ছবির ব্যাপারে আমার সামর্থ্য নাই। এই সিনেমার পোস্টারের একটি লাইন আপনাকে সকল সময় ভাবাবে। একজন মানুষের স্বপ্ন এবং বিশ্বাস সমগ্র আকাশের অন্ধকার দূর করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

গুড উইল হান্টিং

 

1

আমরা অনেক সময় দুষ্টামি করে বলে থাকি, এমআইটি আমাকে যেতেই হবে। যে করেই হোক। সেটা ছাত্র কিংবা ঝাড়ুদার যে কোন এক উপায়ে। এখানে গল্পটা এমআইটির ঝাড়ুদারকে নিয়ে। যার ছিল গানিতিক সমস্যা সমাধানে অসাধারণ দক্ষতা। গল্প বলে শেষ করে দিলে সিনেমাটা জানা হয়ে যাবে। তাহলে আর দেখে মজা লাগবে না। তাই শুধু শুর করে দিয়ে থেমে গেলাম।

 

দ্যা গ্রেট ডিবেটারস

3

একটা ছোট স্কুল থেকে প্রথম ডিবেটিং টিম গঠনের গল্প দিয়ে শুরু। তাদের শিক্ষকের অনুপ্রেরনায় আর আত্মবিশ্বাসের মধ্য দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী হয় তারা। আনুসাঙ্গিক আরও অনেক ঘটনা একই সাথে ঘটতে থাকে সিনেমার এগিয়ে চলার সাথে সাথে।

 

এই লেখা পড়ার চেয়ে সিনেমা গুলো দেখে ফেলা জরুরী। লিস্টে থাকা আরও আরও সিনেমা এক একে সময় সুজুগ মত এই সিরিজে পোস্ট করার ইচ্ছা পোষণ করছি।

আরিফ আশরাফ সম্পর্কে

Work with plants, Read on Kindle, Watch on Netflix, Listen BBC World Service, Follow Real Madrid and Write on Blog
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে অনুপ্রেরণা, চলচ্চিত্র-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

3 Responses to সিনেমায় বেঁচে থাকিঃ পর্ব-০১

  1. তুসিন বলেছেনঃ

    একটা মুভিও আমার দেখা নেই লিস্ট থেকে। দেখতে হবে। বুকমার্ক করে রাখলাম।
    পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।

    • আরিফ আশরাফ বলেছেনঃ

      আমি আরও লেখার সময় ভাবতেছিলাম যে, এই পোস্ট দেখে অনেকেই বলবে এই সিনেমা তো অনেক আগেই দেখে ফেলসি। দয়া করে শুরু করে দিন।

  2. শারমিন বলেছেনঃ

    মুভিগুলো দেখা হয় নাই
    দেখবো দেখি 🙂
    আর রিভিউগুলো আর একটু বড় করলে মনে হয় বেশি ভালো হত 🙂
    পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম 🙂

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।