হ্যাপি নিউ ইয়ার

ফুসফুসে সীমিত নিঃশ্বাস, ট্রিগারে দক্ষ আঙ্গুল আর স্কোপে সতর্ক ডান চোখ রেখে অনন্ত অপেক্ষার পর টার্গেটের দেখা পাওয়া গেল। পিডিএর স্ক্রীনে ভাসছে বাতাসের বেগ, দিক, ঘনত্ব এমনকি পৃথিবীর ঘূর্নন সহ নানান তথ্য। সংখ্যাগুলো সমীকরনে বসিয়ে অভিজ্ঞতার সূচকে যাচাই করে নিয়ে সে প্রস্তুত শট নেবার জন্যে…দৃঢ়ভাবে ধরে আছে ড্রাগুনভ স্নাইপার, এই রাশিয়ান বিউটির অহংকারী ঝাকুনির স্বাদ নেবার জন্য তার পুরো দেহ উন্মুখ। শোঁ শোঁ শব্দে তার রেডিও জ্যান্ত হয়ে উঠল, ‘টেক দ্য শট’ এই কথাটিই সে শুনতে চায়। এই কথাটিই পারে স্থির হয়ে যাওয়া সময়ের পিঠে চাবুক বসাতে। এই কথাটিই পারে একই রেফারেন্স ফ্রেমে কিছু রাসায়নিকের তীব্র বিক্রিয়া ঘটাতে, একটি পদার্থের দ্রুততম ভ্রমন ঘটাতে এবং একটি জীবের বিপাক বন্ধ করতে । ‘টেক দ্য শট’ এই কথাটি যেন নিয়তির কলম থেকে ছিটকে আসা কয়েক ফোটা কালি, যা যোদ্ধার আত্নায় আদিম-অকৃত্রিম জীবনের নকশা একে দিয়ে যায়। কিন্ত, এটা সে কি শুনছে…’ ডু নট এনগেজ!!.আই রিপিট ডু নট এনগেজ!..’

দুর্ধর্ষ গুপ্তঘাতক রূপক আহসান বিকাল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকার মাটিতে ল্যান্ড করল। গোপন একটি মিশনে সে বহুদিন পর দেশে ফিরেছে। একসময় দেশের হয়ে ক্যারিরার শুরু করলেও এখন সে আন্তর্জাতিক ফ্রীল্যান্সার। স্পাইদের আলো-আধারীর জগতে তার কোডনেম ‘ব্ল্যাক মিস্ট’। নকল নাম ঠিকানা যুক্ত আসল পাসপোর্ট ভিসা দিয়ে ইমিগ্রেশনের ঝামেলা শেষ করে বেরিয়ে সোজা হেডকোয়ার্টারে রওনা দিল। বহুদিন পর নিজ দেশের বাতাসে শ্বাস নিতে পেরে কিছুটা আবেগের তাড়না অনুভব করল। কিন্তু, সময় যে খুব অল্প। পুরনো বসের জরুরী তলব, ছদ্মবেশে ভ্রমন, মিথ্যা পাসপোর্ট,এমনকি ফেরার টিকিটও তৈরি। নির্দেশ অনুযায়ী নিজের প্রিয় ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট গুলোও ফেলে এসেছে। রূপক বুঝল, নিশ্চয়ই তার বস জামশেদ চৌধুরী চাননা যে এই সময়টাতে তার এখানে উপস্থিতির কোন প্রমান থাকুক।

হেডকোয়ার্টারের সামনে ট্যাক্সি থেকে নামার পরই দুজন লোক বেরিয়ে এসে ইশারা করল। রূপক তাদের অনুসরন করে প্রধান দরজা দিয়ে না গিয়ে বেসমেন্টে চলে গেল এবং কার্গো লিফটে চড়ে জামশেদ চৌধুরীর অফিসে হাজির হল। তিনি এবং আরো কয়েকজন জটিল কিছু ম্যাপ আর গ্রাফ নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলেন। এই লোকটাকে সে বেশ শ্রদ্ধা করে। তাই নিজে থেকেই মুখটা হাসি হাসি করে হাত বাড়িয়ে দিল,
কেমন আছেন স্যার? অনেকদিন পর…
জামশেদ ধমকে উঠলেন, কাট দ্য চিজ…আগে কাজের কথা শোন
ইয়েস স্যার
ড্রাগলর্ড মুম্বাসা এখন দেশে, তাকে শেষ করে দিতে হবে। সিমপল এইম এন্ড শ্যুট মিশন।
যত সহজে বলছেন তাই যদি হত, তাহলে তো কোন রুকিকে দিয়েই কাজটা করাতে পারেন।
হ্যা, কিন্তু মুম্বাসার ইনফ্লুয়েন্স সম্পর্কে তোমার তো ধারনা আছে। আমি চাই কাজটা যতটা সম্ভব নিট এন্ড ক্লিন হোক, সেই সাথে গোপনীয়তারও ব্যাপার আছে। তাছাড়া, এটা একটা সাডেন স্ট্রাইক। পুরো প্ল্যান তৈরি থাকলেও যেকোন মুহুর্তে যেকোন ধরনের ঝামেলা তৈরি হতে পারে। সেই কারনেই তোমার অভিজ্ঞ মাথাটাও ফিল্ডে দরকার।
বুঝতে পেরেছি, আমি তৈরি এইবার আমাকে ব্রিফ করা হোক।

মুম্বাসা তার এখানকার কো-অর্ডিনেটরের বাগান বাড়িতে আজ রাত কাটাবে। কতদিন ধরে এখানে আছে তা জানা যায়নি। তবে, ওটা দেখতে বাগান বাড়ি হলেও আসলে একটা দূর্গ। নানান রকম ডিজিটাল চোখ, লেজারে বাড়িটা ঘেরা। সেই সাথে আছে যায়গায় যায়গার সশস্ত্র টহল। সেখানে ব্রীচ করা অসম্ভব নয়, কিন্তু তখন ধুন্দুমার লেগে যাবে। তাই, তোমার পজিশন হবে সাতশ মিটার দূরের একটি ৫ তলা বাড়ির ছাদে।
স্নাইপিং?
এক্সাক্টলি, স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে বুঝা যাচ্ছে এখান থেকেই সবচেয়ে ভালো লাইন অব সাইট পাওয়া যাবে।
স্যাটেলাইট ইমেজ! কেন রেকি করা হয়নি?
তোমাকে আগেই বলেছি প্ল্যানে অনেক ফ্ল আছে, সেসব নিয়ে এখন কথা বলার সময় নেই।
ওকে গো অন…
টেকনিক্যাল ডিটেইলস, গ্যাজেটস এন্ড গিয়ার্স ইমরান তোমাকে বুঝিয়ে দিবে। তোমাকে শুধু বলে রাখি, দিস মিশন ডাজ নট এক্সিস্ট! এন্ড সাকসেস ইজ দ্য অনলি এসকেপ প্ল্যান।

এর পরের এক ঘন্টা সে বিস্তারিত বুঝে নিল, অন্যান্য টেকনিশিয়ানদের সাথে স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলাপ আলোচনা করে খুটিনাটি সব কিছু জেনে নিলো। তার পর খেয়ে নিয়ে দিলো ঘুম। জেট ল্যাগের কারনে ঘুম হল মরার মত। ১০ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে নিয়ে সে বেরিয়ে পড়ে খালি হাতেই। তার জিনিসপত্র সব আগেই পৌছে গেছে।

গাড়ি, মোটরসাইকেল, লেগুনা, লোকাল বাস বেশ কয়েকটি বাহন পরিবর্তন করে নানা পথ ঘুরে সে পৌছালো। এটা বাড়তি সতর্কতা, যদি কোন ফেঁউ থাকে তার পেছনে- তাকে ফাঁকি দেওয়ার ফন্দি। এলাকাটা মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে। তাই বাড়ি গুলো একটু ফাকা ফাকা এবং বেশিরভাগই নতুন। যে বিল্ডিঙ্গটা তার ভ্যান্টেজ পয়েন্ট, সেটা এখনো আন্ডার কন্সট্রাকশন। আর এর আশে পাশের জমিগুলোও খালি। সিড়িটা খুজে বের করে ছাদে চলে আসে। এক কোনায় ইটের স্তুপের ভেতর থেকে সে বাক্সটা বের করে আনলো। সেটা খুলে যন্ত্রগুলোতে হাত রাখতেই তার ভেতরটা যেন আরো সজাগ হয়ে উঠে। হাতড়ে হাতড়ে প্রথমেই সে কমিউনিকেশন ডিভাইসটা চালু করল। পিডিএ অন করে জিপিএস দিয়ে নিজের পজিশন সেট করে হাত লাগালো স্নাইপার রাইফেলটা অ্যাসেম্বল করতে। এর মধ্যে হেডকোয়ার্টারের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ হল এনক্রিপটেড ফ্রিকোয়েন্সিতে। এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা নেই। সবকিছু ঠিকঠাক করে ছাদের কিনারে, যেদিকে টার্গেটের আস্তানা- সেখানে গিয়ে সে পজিশন নিলো।

মুম্বাসার বাড়িটার পাশে আরো কয়েকটি বাড়ি আছে। তবে তার বাড়িটা আপাত দৃষ্টিতে বিশেষ কিছু নয় চারপাশের উচু দেয়ালটা ছাড়া। ৪ তলা বাড়িটার কয়েকটা জানালায় বাতি জ্বলছে। বাড়ির প্রধান দরজার দুইপাশে আলো থাকলেও সামনের খোলা জায়গাটা অন্ধকার। স্কোপের নাইট ভিশন মোড অন করে দেখতে পেলো নানান জায়গায় ইনফ্রারেড এর ছড়াছড়ি। ওগুলো হয় সিসিক্যামেরা নয়তো মোশন সেন্সর। অথচ খালি চোখে কি নিরীহই না লাগছিলো জায়গাটাকে। হেডকোয়ার্টারের সাথে যোগাযোগ করে জানিয়ে দিলো, এভরিথিং ইজ সেট। কি মনে করে বাক্সটা আরেকবার খুলতেই তার মনটা খুশি হয়ে গেলো। কারন দুটো উত্তেজক পানীয়ের ক্যান সে খুজে পেলো। যাক, অপেক্ষার সময়টা মন্দ কাটবেনা।

ফুসফুসে সীমিত নিঃশ্বাস, ট্রিগারে দক্ষ আঙ্গুল আর স্কোপে সতর্ক ডান চোখ রেখে অনন্ত অপেক্ষার পর টার্গেটের দেখা পাওয়া গেল। পিডিএর স্ক্রীনে ভাসছে বাতাসের বেগ, দিক, ঘনত্ব এমনকি পৃথিবীর ঘূর্নন সহ নানান তথ্য। সংখ্যাগুলো সমীকরনে বসিয়ে অভিজ্ঞতার সূচকে যাচাই করে নিয়ে সে প্রস্তুত শট নেবার জন্যে…দৃঢ়ভাবে ধরে আছে ড্রাগুনভ স্নাইপার, এই রাশিয়ান বিউটির অহংকারী ঝাকুনির স্বাদ নেবার জন্য তার পুরো দেহ উন্মুখ। শোঁ শোঁ শব্দে তার রেডিও জ্যান্ত হয়ে উঠল, ‘টেক দ্য শট’ এই কথাটিই সে শুনতে চায়। এই কথাটিই পারে স্থির হয়ে যাওয়া সময়ের পিঠে চাবুক বসাতে। এই কথাটিই পারে একই রেফারেন্স ফ্রেমে কিছু রাসায়নিকের তীব্র বিক্রিয়া ঘটাতে, একটি পদার্থের দ্রুততম ভ্রমন ঘটাতে এবং একটি জীবের বিপাক বন্ধ করতে । ‘টেক দ্য শট’ এই কথাটি যেন নিয়তির কলম থেকে ছিটকে আসা কয়েক ফোটা কালি, যা যোদ্ধার আত্নায় আদিম-অকৃতিম জীবনের নকশা একে দিয়ে যায়। কিন্ত, এটা সে কি শুনছে…’ডু নট এনগেজ!!.আই রিপিট ডু নট এনগেজ!..দিয়ার ইজ এনাদার স্নাইপার! তুমি শুট করলেই তোমার অবস্থান জেনে যাবে’

এইবার রূপক কিছুটা ভড়কে গেলো। সে জানে একজন স্নাইপারের চোখ কতটা সতর্ক। দিনের বেলা সামান্য নড়াচড়া, কিংবা রাতের বেলা একটু আলোর ঝলকানিই পারে আরেক স্নাইপারের কাছে নিজেকে সিটিং ডাক হিসেবে তুলে ধরতে। কিন্তু তার ভাগ্য এক দিক দিয়ে ভালো যে সে এলিভেটেড পজিশনে আছে। তার পরেও, কে জানে যে অপর প্রান্তের স্নাইপার হয়তো তার দিকেই চেয়ে আছে। যদিও অন্ধকার, যদিও রূপক তেমন নড়াচড়াও করেনি, তার প্রতিদ্বন্দ্বির কাছে হয়তো থার্মাল ইমেজিং রয়েছে। সে রেডিওতে যোগাযোগ করলঃ ‘হোয়াট ডু ইউ সাজেস্ট?’ উত্তর আসলোঃ ‘ইটস ইয়োর কল, আমরা শুধু তোমাকে সতর্ক করেছি এবং সেই সাথে টাকার অংকটা আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি’। মুম্বাসা বেলকনিতে দাড়িয়ে, তার হাতের সিগারেটটা প্রায় শেষের দিকে। এর পরে সে ঘরে চলে গেলে হয়তো আর পাওয়া যাবেনা। আবার বাড়িটার কোথাও আরেক স্নাইপার লুকিয়ে আছে। হয়তো কোন অন্ধকার জানালায়, কিংবা উচু রেলিং দেয়া ছাদে ক্যামোফ্লেজে। এই মুহুর্তে রূপক গুলি ছুড়লে তার মাজল ফ্লাশ দেখে ওই স্নাইপার বুঝে ফেলবে সে কোথায় আছে। তারপর, তার ছোড়া বুলেট থেকে বাঁচলেও সে ৫ তলা থেকে নামতে নামতে ওরা এসে পড়তে পারে। কি করবে সে এখন? কি করবে?

পেরিফেরাল ভিশন বলে একটা ব্যাপার আছে। যে জিনিসটা সচেতন ভাবে দেখছি তার আশেপাশের যেসব জিনিস রয়েছে, যেসবের প্রতি আমাদের স্পষ্ট মনযোগ নেই সেগুলো আমাদের অবচেতন মনকে প্রভাবিত করতে পারে। দাবার ছকের সুচতুর চালটি অনেক সময় পেরিফেরাল ভিশন থেকেই বেরিয়ে আসে। এখানেও তাই হতে যাচ্ছে। রুপক তার চোখের কোনা দিয়ে পিডিএর স্ক্রিনের একপাশের মসৃন ধাতব অংশে একটা প্রতিফলিত আলোর নড়াচড়া দেখে। সাথে সাথেই মগজে নিউরোট্রান্সমিটারের একটা ঝড় বয়ে গেলো, সে বুঝতে পারলো কি করতে হবে। যদিও চান্স ফিফটি ফিফটি, কিন্তু… না কোন কিন্তু না। এই বাজিটা তার ধরতেই হবে। পিডিএর সেলফ ডেস্ট্রাক্ট বাটন টা পুশ করে ছাদের আরেক প্রান্তে ছুড়ে দিয়ে মনে মনে গোনা শুরু করল, এক…দুই…স্কোপের ক্রসেরায় মুম্বাসার বুকে…আড়াই…সেফটি লক খোলা…তিন…বুম! তার সাইলেন্সার লাগানো ড্রাগুনভ ভোতা একটা আওয়াজ করে কেপে উঠলো, ছাদের অপর প্রান্তে পিডিএটা ফটাশ করে ফুটে গেলো, আর আকাশটাকে একটা আতশবাজি আলোকিত করে ফেললো…যেটার ছায়া সে পিডিএর গায়ে দেখেছিলো। রুপক গড়িয়ে তার অবস্থান থেকে সরে পড়তে পড়তেই অপর প্রান্তের ছাদে মাজল ফ্লাশ দেখলো, মুম্বাসার স্নাইপার শুট করেছে এবং যে পাশে পিডিএটা ফেটেছে সেখানে একটা ধাতব শব্দ হলো। ইয়েস! ফাঁদে পা দিয়েছে, আর যাবে কোথায়, এবার সে গুলি ছুড়লো স্কোপে চোখ না রেখেই! স্নাইপার শেষ। আর মুম্বাসা তো আগেই। বাড়িটাতে হই চই শুরু হয়ে গেছে, সামনের খোলা জায়গায় কয়েকটি ফ্লাশ লাইট জলে উঠার পর সে আরো কিছু সশস্ত্র মানুষ দেখতে পেয়ে রেডিওতে যোগাযোগ করলঃ
“অবজেক্টিভ কমপ্লিট! বেশ কিছু অস্ত্রধারী দেখা যাচ্ছে, শুড আই এনগেজ?”
উত্তর এলঃ “নেগেটিভ, তার দরকার নেই, একটা কোয়াড ড্রোন কিছুক্ষনের মধ্যেই তোমার এসকেপ স্ট্র্যাটেজি পৌছে দেবে…” বলতে বলতেই সে ড্রোনটাকে দেখতে পেলো। প্যাকেজটা ড্রপ করে সেটা চলে গেলো। রুপক কাছে গিয়ে দেখে একটা ফ্লাইং স্যুট, এইবার সে সত্যিই বিস্মিত
“এ ফ্লাইং স্যুট!”
“ইয়েপ, সোজাসুজি উত্তর দিকে হাইওয়ের দিকে চলে আসলেই একটা চলন্ত ট্রাকের ছাদে বীকন দেখতে পাবে, সেটাতে ল্যান্ড করবে এবং এখানে চলে আসবে”
ঝটপট পড়ে নিয়ে লাফিয়ে পড়ল ছাদ থেকে। দুই হাত মেলে দিতেই বাতাস তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো। একই সাথে তিনটা আলোর ঝলকানি প্রতিদ্বন্দ্বী স্নাইপারকে কিছুক্ষনের জন্য বিভ্রান্ত করে দেয়। সেই কয়েকটি মুহুর্তই রুপক কাজে লাগায়। ভাগ্যের সহায় আর উপস্থিত বুদ্ধিতেই এই মিশনটা সফল ভাবে শেষ হলো। তবে, আরো কিছু আতশবাজি এখনো ফুটছে। কারনটা কি? আজ পহেলা জানুয়ারী! আতশবাজিতে আলোকিত আকাশে ফ্লাইং স্যুট পড়ে ভাসছে দুর্ধর্ষ অ্যাসাসিন ব্ল্যাক মিস্ট। এই অদ্ভুত মুহুর্তটা তার ইস্পাত কঠিন হৃদয়ে শিশুর মত আনন্দের জোয়ার নিয়ে এলো। যদিও তার কাছে দিনটা আলাদা কিছু না, কিন্তু একটা সাফল্য তো উদযাপন করাই যায়। তাই নিজেই নিজেকে বললঃ হ্যাপি নিউ ইয়ার!

রুহশান আহমেদ সম্পর্কে

ছোটবেলা থেকেই টুকটাক লিখতাম, পত্রিকায় পাঠাতাম। ছাপা হতোনা, ভাবতাম দেশে এত লেখক কেন! তারা না থাকলে হয়তো আমার লেখা ছাপাত। যেদিন ব্লগের সাথে প্রথম পরিচয় হয়, আমি যেন আকাশের চাঁদ না, আস্ত একটা গ্যালাক্সী পেয়ে গেলাম। সেই গ্যালাক্সীতেই অবিরত বিচরন, বিট বাইটের প্রহেলিকায় একটু একটু অস্তিত্ব রেখে যাওয়া... পাথর কুঁচি, পাতা বাহার, রঙ্গনে- ভীড় জমালো শৈশবেরা-  রৌদ্রহীন এই বিষন্নতার প্রাঙ্গনে।
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে গল্প-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

2 Responses to হ্যাপি নিউ ইয়ার

  1. মুনীরা মারদিয়া বলেছেনঃ

    খুবি ভাল্লাগছে! রুপক আহসানের মিশনগুলো নিয়ে একটা উপন্যাস লিখে ফেললে পারেন! আরো ভাল্লাগবে! :happy:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।