আজ উত্তর গোলার্ধে বছরের ক্ষুদ্রতম দিন।
সেই সাথে দীর্ঘতম রাত।
কোথাও হতে পারে উৎসব কিংবা উদযাপন।
আজ চাঁদের কত তারিখ? জানি না।
পূর্নিমা কতদূর?
শীতার্ত দিনগুলো যেন শেষ হবার নয়।চারিদিক কুয়াশায় ঘেরা।
মানুষজন সব রাতঘুমে।টালির ছাদে বাতাসের প্রবল ঝাপটা টের পাই ঘরের ভেতরে বসে।
ছিটকিনিটা আস্তে খুলে আমি বের হই চুপচাপ।
কল্পনায়। গল্প সাথে নিয়ে। যাই বাতাস দেখে আসি।
পাতাঝরা গাছগুলো ঘুমিয়ে আছে চুপচাপ।
মিহি কুয়াশা ঝরে ঝরে পড়ছে।গাল আর নাক ভিজে যায়।হিম কাঁপুনি ঠান্ডা টের পাই।
তীব্র বাতাস মনে হয় উড়িয়ে নিয়ে যাবে।
আধো ঘুমন্ত শহরে হাঁটতে খুব ভালো লাগে।
আচ্ছা, রাজহাঁস কখনো ঘুমায় না?
ইউনিতে রাত বারোটাতেও দেখি ছোট্ট লেকটায় সাঁতরে বেড়াচ্ছে সতেরোটা রাজহাঁস।ওদের ঘুম পায় না?
কিংবা ইঁদুর?ওদের ঘুম আসে না?দিন নেই, রাত নেই দেখি খাবার খুঁজেই যাচ্ছে ক্লান্তিহীন…
একটা কালো বিড়াল রাস্তার এক পাশ দিয়ে ধীর পায়ে হাঁটছে। ওর ঘুম পায় না?
রাস্তার ল্যাম্পপোস্টগুলোকে কুয়াশা জড়িয়ে রেখেছে যত্ন করে। সেই কুয়াশা চাদর ভেদ করে হলুদ আলো ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিক।পার্ক করে রাখা গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে আছে নিস্তব্দ হয়ে, বাড়িগুলোও নিশ্চুপ।
আমি হাঁটতেই থাকি।
কোথাও গভীর পড়াশোনায় মগ্ন কেউ।
কেউ এই রাতেও হয়তো শুয়ে আছে নির্ঘুম।
কেউ হয়তো……জানি না। আমার জানার আর ভাবনার পরিধি সীমিত। এই বিশাল পৃথিবীতে ভিন্নতার তালিকা আমার ভাবনায় রূপ পায় না।
হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার শেষ মাথায় চলে আসি প্রায়।
সুপারমার্কেটের বাইরের সাইনবোর্ডে আলো জলে।ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নানা রকম বিজ্ঞাপন।
আসুন!দাম মিলিয়ে দেখুন!
কখনো কি সত্যি মেলাতে পেরেছি এই জীবনে কিসের দামে কি কিনে চলেছি?
কিংবা, মেলানোর চেষ্টা করেছি কি অন্তত?
ভালো লাগলো, পড়তে পড়তে মনে হল যেন নিজেও হেটে আসলাম।
🙂
মাঝে মাঝে রাতে সোডিয়ামের আলোতে একা একা হাটি। সেই হাঁটার কথা মনে করিও দিলো কবিতাটা।
কোন কবিতা?
বাই দ্য ওয়ে, আমি তো এই পোস্টে কোন কবিতা লিখি নাই…
আমার কাছে মনে হলো কবিতা 🙂 লাইনগুলোর মধ্যে ছ্ন্দ আছে 🙂 তাই ………
🙂
স্বল্প পরিসরে সুন্দর লেখা। পড়ে ভাল লেগেছে। লেখার মধ্যে মোটামুটি সব শহুরে এলিমেন্ট আনতে পেরেছেন। রাতের শহরটা সত্যি অনেক সুন্দর!
🙁
চারপাশে যা ছিলো, সেগুলোই লিখছিলাম… সবসময় যা দেখি, সেগুলোই।
জীবনের দামে কি কিনি সেটাই প্রশ্ন শুধু……
অনেক অনেক ভালো লাগ্ল পড়ে…
অনেক কাছের কারো কথা মনে হল….
onek dhonnobaad…onekdin por blog e dhuke montobbo peye valo laglo….. 🙂