আমায় কেন বাঁচাতে দিলে না?
আমি হয়তো কবি হতাম!
লিখে ফেলতাম শত-সহস্র কবিতা।
আমার বইয়ের পাতায় মুখ লুকিয়ে প্রাণভরে শ্বাস নিতে তুমি।
আমি হয়তো ডাক্তার হতাম!
তীব্র আঁধারে আশার প্রদীপ জ্বেলে দিতাম অসুস্থের মনে
স্টেথোস্কোপ কানে দিয়ে শুনে নিতাম তোমার বুকের সিম্ফোনী।
তুমি বলতে, ‘আমার ডাক্তার ছেলে বাড়ি ফিরলেই একসাথে ভাত খাবো।’
মাগো, আমায় কেন বাঁচতে দিলে না?
আমি হয়তো নভোচারী হতাম!
তুমি বলতে, ‘চাঁদের দেশে গিয়েও মাকে মনে পরবে, খোকা?’
চাঁদের বুকে আমি লিখে দিতাম ‘তোমায় বড্ড ভালোবাসি।
মাগো, আমায় কেন বাঁচতে দিলে না?
আমি হয়তো হতাম বাউন্ডুলেদের একজন!
সারাদিন টো-টো করে ঘুরে বেড়ানোই যাদের প্রধানতম কাজ।
আমি দিনান্তে বাড়ি ফিরে তোমার সব অনুযোগ-অভিযোগ
শুনে যেতাম-মেনে নিতাম মাথা নিচু করে।
আক্ষেপ করে বলতে, ‘নিলাজ ছেল কোথাকার!’
তোমার মাখানো ভাতটা খেয়ে নিতাম পরম তৃপ্তিতে।
মাগো, আমায় কেন বাঁচতে দিলে না?
আমি হয়তো হতাম জগতের অপদার্থতম ছেলেটি
গর্ব করার মতো কিছুই দিতে পারতাম না তোমাকে।
তাতে বা কি যায় আসে?
আমি শুধু তোমার ছেলে হতাম, আর কিছু না।
মাগো, আমায় কেন বাঁচতে দিলে না?
প্রাণের আলো জ্বেলে আবার কেন নিভিয়ে দিলে?
আমি ফিটাস হয়ে আজও তোমায় দেখি ঐ নক্ষত্র থেকে।
অনেক ভালো লিখছেন। ভালো লাগলো 🙂
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
ভালো লিখেছেন ভাইয়া 🙂
‘আমায় কেনো বাঁচতে দিলে না?’ লাইনটা মস্তিষ্কে ঝড় তুলে দিয়েছে।