ডিটাচমেন্ট অর অ্যটাচমেন্ট?

সমসাময়িককালে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যা দেখা যায়, তা হচ্ছে ভাঙ্গন, মানে ব্রেকাপ। আক্ষরিকর্থে ব্রেক-আপ অনেক ধরণের হতে পারে। কপোত-কপোতীর মধ্যে ব্রেক আপ, বন্ধু-বান্ধবীর মাঝে ব্রেকাপ! হুম, এটাও এক ধরণের ব্রেক-আপ, শক্ত ধরনের ব্রেকাপ; এটাকে ‘বন্ধু-কপোতী’ (যেখানে ছেলেটি মেয়ে বন্ধুটিকে ‘কপোত’ ভাবতে শুরু করে কিংবা ‘কপোত-বান্ধবী’(যেখানে মেয়েটি ছেলে বন্ধুকে ‘কপোত’ ভাবতে শুরু করে) এবং আমার মতে এটা ভয়াবহতম ‘ব্রেক-আপ’ কারণ এক্ষেত্রে একপক্ষ প্রচণ্ড মানসিক কষ্টের শিকার হয় যেটা হয়তো অপর পক্ষ কল্পনাও করতে পারে না অথবা অনুভব করতে পারলেও ‘কিছু করার নেই’ ভেবে উপেক্ষা (Ignore) করে যায়। আমি এই দ্বিতীয় ধরণের ব্রেকাপ নিয়েই কিছু কথা বলব।

 

তনয়-ত্রিনা চমৎকার বন্ধু। দু’জন-ই পরস্পরকে নিজেদের সব কথা শেয়ার করে। একটা সময় ত্রিনার সহজাত বন্ধুত্বকে একটু অন্যরকম ভাবতে শুরু করে তনয়। ত্রিনার জিহ্বা বের করে ভেংচি কাটা একটু যেন কেমন লাগে; হঠাৎ করেই চুল টেনে ধরলে এখন কেন যেন আর আগের মত বিরক্ত লাগে না। হাসলে যেন তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে, ত্রিনার ঝাঁঝালো ধরণের ‘কেয়ার’ গুলোর মধ্যে বিশেষ কিছু, একটু অন্যরকম কিছু খুঁজে পায় তনয়; সবসময় ‘তুই’ বলে ডেকে আসা মেয়েটাকে যেন হঠাৎ করেই ‘তুমি’ বলে ডাকতে ইচ্ছে করে। (তুই-তুমি’র ক্ষমতা অনেক, একে তুচ্ছ ভাবার কারণ নেই। মাত্র একটা অন্ত্যাক্ষরের পরিবর্তন চিন্তায় অমূল পরিবর্তনের কারণ (Cause) হয় অথবা চিন্তার অমূল পরিবর্তনের ফলফল (Effect) বয়ে আনে।

 

এভাবে কেটে যায় দিনগুলো। প্রিয়বন্ধু ত্রিনার জন্মদিন চলে আসে। তনয়ের মনের দহলিজে কড়া নাড়ে সেই সুপ্ত ইচ্ছেটা, উপলক্ষ পেয়ে প্রচণ্ড জোড়ে কড়া নাড়তে থাকে- শরীরের সাথে যুদ্ধ করা কঠিন, কিন্তু মনের সাথে যুদ্ধ, সে আরো কঠিন! ‘ত্রিনা-ও হয়তো আমার মত করে ভাবছে! না বললে বুঝবে কীভাবে!’ ভাবতেই যেন শক্ত অবলম্বন খুঁজে পায় তনয়। হঠাৎ করেই এতদিন জোর করে তাড়িয়ে দেয়া ইচ্ছেটাকে বাস্তবে। প্রপোজ করে বসে হয়তো গোলাপ নয়তো শুন্য হাতে! স্বাভাবিকভাবে প্রোগ্রামড্ করা সফটওয়্যারের মত ত্রিনা বলে যায় অথবা কিছুটা সময় নিয়ে পরে ভেবেচিন্তে বলে,

‘আমার পরম বন্ধু তুমি,

সাক্ষী গগন, সাক্ষী ভূমি,

তবুও হতে চাও আজ হবুস্বামী!

কী লভে করিতেছ মোর বদনামী?’:p (কবিতাটা মাজা করা বলা; পাঠক মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টায়ই মুখ্য উদ্দেশ্য!)

তনয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায় বেলে-দোঁয়াশ মাটির বাঁধের মতন। তনয়দের এই অ্যাকশনের পরিবর্তে ত্রিনাদের রিঅ্যাকশনকে প্যাটার্ন কেমন হয়- চলুন দেখা যাক। -তনয়ের কাছ থেকে হুট করে পাওয়া আনেক্সপেক্টেড প্রস্তাব খুব বিস্মিত হলেও, নিজেকে অস্বাভাবিক দ্রুততায় সামলে নেয় ত্রিনা। এবং কিছুটা সময় নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যায় তনয়কে বোঝাতে, ওর ভুলটা শুধরাতে (কারণ দিনশেষে নিজের গালে নিজে কষে চড় কষলেই এক হাতে তালি বাজানো সম্ভব; অন্যোথায় এক হাতে তালি বাজে না; একপাক্ষিক প্রেমও সফল হয় না।) কিন্তু তনয়ের মন যে অবস্থানে পৌছে গেছে ততক্ষণে, তার থেকে দ্রুত ফিরে আসা অসম্ভব হয়ে পড়ে। মানব মনের সহজাত প্রবৃত্তি-ই হলো, বেসম্ভব রকমের অযৌক্তিক আবদার করলেও অপর পক্ষ থেকে ‘না’ শুনতে ভালো লাগে না তার! এবং সব মানুষের মাঝেই একটা ‘স্টাবর্ন’ সত্ত্বা থাকে যেটাকে যুক্তি দিয়ে মাঝেমাঝে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেই একগুঁয়ে সত্ত্বা-ই তনয়দের রিপিটেডলি বোঝাতে চেষ্টা করে ত্রিনাদের। ঐ একই একগুঁয়ে সত্ত্বার স্বত্বাধিকার কেবল তনয়দের না ত্রিনাদেরও যে আছে! এবং তনয়ের বোঝানোর চেষ্টাগুলো ত্রিনার কাছে একটাসময় বিরক্তিরূপে পৌছায়; একটা ফাইনাল ম্যাসেজ লিখে সবরকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আল্টিমেট রেজাল্ট: ডিটাচমেন্ট, ক্রুর ভাষায় ব্রেক-আপ! (ভাই, ত্রিনারা-ও মানুষ। আর কতো!)

 

-প্রপোজ পাওয়ার পর, ত্রিনা বিস্মিত হয়। সময় চায় তনয়ের কাছে। মেনে নেয় তনয়ের প্রস্তাব! হুম, এই ঘটনটা গল্পের মত। এবং এক্ষেত্রে তনয়রা অল্পকিছু অতিভাগ্যবানদের একজন, সেটা বলাই যায় কেননা এতো-এতো অনিশ্চয়তার ঢেউ উৎরিয়ে নিশ্চয়তার পাড়ে পৌছানো প্রায় অসম্ভব। তাইএ ধরণের রিঅ্যাকশনকে প্যাটার্নও খুব কম দেখা যায়।

উপরের অংশে তনয়ের সাথে ত্রিনার জানে-জিগার টাইপ বন্ধুত্ব ছিলো। কিন্তু হালকা ধরণের বন্ধুত্বেও এমনটা দেখা যায়। ক্ষেত্রবিশেষে বেশি দেখা যায়। এখন হালকা ধরণের বন্ধুত্ব আবার কেমন? দেখা হয়, কথা হয়, ম্যাসেজিং হয় মানে সম্পর্কটা একটা লেভেলে যাওয়া শুরু করতে না করতেই বেচারার ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। আর কি, প্রপোজ করে বসে!

 

-প্রপোজ পাবার পর আকাশ ভেঙে পড়ে মেয়ের মাথায়। এবং সত্যিকার অর্থে হতবিহ্বলতার মাত্রা এতো বেশি-ই থাকে নিজের মাথা ভাঙা আকাশের টুকরা থেকে মাথা বাঁচানোর জন্য দু’হাত উঁচু করতে ভুলে যায়। (দিস ইজ নট সার্কাস্টিক, অনেকের বেলায় এর চাইতে বেশীও হতে পারে বাস্তবে!) এবং এক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়ার মাত্রাটাও বেশি হয়ে যায়। একবারের জন্য যদিও ছেলেটিকে হয়তো আগের মতোই বন্ধু থাকার আহবান জানায়, কিন্তু সেই সময়টাতে ছেলেটার পক্ষে চট করেই ওভাবে ভাবতে পারা অসম্ভব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ছেলেটা যদিও মেয়েটাকে কিছুই আগে বলে না কিন্তু তার মনে যে ঝর্ণার নহর এতদিন বয়েছিল তাকে হঠাৎ করেই থামিয়ে দেয়া যায়-না, দিতে পারে না। মস্তিষ্ক তখন ব্যস্ত থাকে, ‘এমন কিছু কি করা সম্ভব যাতে মেয়েটির মন পরিবর্তন করা যেতে পারে?’ এমন নিশ্চিত-অনিশ্চিত ভাবনার দোলাচলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফলাফল- ডিটাচমেন্ট, ফলাফল- ব্রেকাপ!

আরেকধরণের ব্রেকাপ আছে, মিচুয়্যালি নেগোশিয়েটিং ব্রেকাপ! এ ধরণের ব্রেকাপ দু’পক্ষের ইচ্ছাতেই হয়। পোস্ট লাভিং পিরিয়ডেই মূলত এধরণের ব্রেকাপ হয়ে থাকে। এবং এ’ধরণের ব্রেকাপ নিয়ে আসলে কিছু বলার থাকে না যেহেতু দু’পক্ষের ইচ্ছতেই এটা হয়ে থাকে। ভালো থাকাটাই জরুরী যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটা অন্যের ভালোথাকায় কোনরূপ বাধার সৃষ্টি করে, ভালো থাকার উপায় আপাতো জটিল কিংবা ব্যতিক্রমধর্মী যেমনটি-ই হোক না কেন।

 

বন্ধুত্বের মাঝে ‘ওয়ান সাইডেড লাভ’ চলে আসলে রিঅ্যাক্ট করার আগে আপনি আরেকটু ভেবে কি রিঅ্যাক্ট করতে পারেন? একটু অন্যভাবে কি ভাবতে পারেন? কেমন সেটা? – বলছি।আপনার সেই বন্ধুটির আপনার প্রতি ‘অন্যরকম’ এ দুর্বলতাটি কিন্তু একদিনে তৈরি হয় নি। একদিনে তৈরি হয় না। অবচেতনভাবেই যে আবেগ-অনুভূতির জন্ম আপনি তার মাঝে জন্ম দিয়েছেন তা আজ তাকে নিয়ে এসেছে একটা নদীর ঠিক মাঝখানে। এবং আপনি যদি সাহায্য না করেন তার পক্ষে নদীর কোন একটা তীরে পৌছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়! কেমন হতে পারে, আপনি যদি তাকে সাহায্য না করেন, সেক্ষেত্রগুলোতে?

 

-এমন একটা ধাক্কার পর কিছু মানুষ পারে, সাঁতার কেটে অপরপারে এসে পৌছোতে। আবার নতুন করে সব শুরু করতে। এরা দারুণ শক্ত মনের মানুষ।

-সাঁতার জানে না এমন কেউ-কেউ ও হয়তো অনেক প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে একটা কিনারায় এসে পৌছে, কারো সহায়তায়। অপরপারে পৌছুতে গিয়ে তার জীবনের অনেক-কিছুই এলোমেলো হয়ে যায় এবং এই এলোমেলো জীবন থেকে সুস্থজীবনে ফিরতে কেটে যায় অনেকটা সময়। অনেক তরুণের হঠাৎ করেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার নেপথ্য কারণে এটি-ই! -আরেকটা দল থাকে, এরা সমাজের অভিমানী তরুণের দল। এই অভিমানী তরুণরা নদীর মাঝখানে এসে তীরের কোন কূলকিনারা খুঁজে পায় না! এদের অসাড় মন শরীরকেও করে তোলে অসাড়। এরা তলিয়ে যায় মাঝনদীতে। বাস্তবিকে এরা মুক্তির পথ খোঁজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে, ঘুমের ট্যাবলেটের পুরোটা বোতল খালি করে, ছাদ থেকে লাফ দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য পাখি হয়ে যেতে কিংবা চলন্ত ট্রেনে ঝাঁপ দিতে! একবছরে যত তরুণতরুণী আত্মহত্যা করে তার কারণ হিসেবে উপরোক্ত কারণটির ভূমিকা পরিসংখ্যান দেখলেই আঁতকে উঠতে হয়। আর পরিসংখ্যানের খাতায় নাম উঠে কতগুলো কেইসের? অনেক-কিছুই বাদ পড়ে যায়।

 

লেখাটি এই মুহূর্তে পড়ছেন কোন আপু কিংবা ভাইয়া আপনার সাথে গল্পের ত্রিনার অংশটির সাথে যদি মিল খুঁজে পান, তবে আপনাকেই বলছি- তনয়কে (তনয়ের অবস্থানটি ছেলে কিংবা মেয়ে যে কারো ক্ষেত্রে ঘটতে পারে) নিয়েআরেকবার ভাবুন! তনয়কে আপনি ভালোভাবে চেনেন (যেহেতু আপনার ভালো বন্ধু ছিলো সে) আপনি জানেন/হয়তো জানেন/চেষ্টা করলেই জানতে পারেন- তনয় কোন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত! সে কি ঐ অভিমানী শ্রেণীর তরুণদের মধ্যে পড়ে যে কিনা সমাধানের পথ হিসেবে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথ খুঁজে পায় না? কিংবা মাদকাসক্ত হয়ে নিজের জীবনকে শেষ করে দেয়াকেই একমাত্র সমাধান ভাবে? আপনি চাইলেই উত্তরটা জেনে নিতে পারেন। ধরে নিলাম, তনয়ের এমন আসক্তিতে আপনার চেতনগত কোন প্রভাব ছিল না। তনয় নিজেই সব কল্পনা করে নিয়েছে, এবং তার দায় তার নিজেরই। কিন্তু তারপরও আপনার একটু সহানুভূতিক দৃষ্টি হয়তো তাকে ফিরিয়ে আনতে পারে। আরেকবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন, তাকে আপনার বোন বন্ধু/ভাই/বোন হিসেবে ভাবাতে পারেন কি-না। হয়তো আপনি ব্যর্থ হবেন, কিন্তু যদি সফল হন- তাহলে ঐ মানুষটা বেঁচে যাবে।কজন মানুষের বাঁচানোর কারণ হওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। তাই আরেকবার ভাবুন, আরেকটিবার চেষ্টা করুন। সময়ের গড়ানোর সাথে-সাথে তনয়দের মানসিক অবস্থা হয়, নির্মলেন্দু গুণের ‘তোমার চোখ এতো লাল কেন’ কবিতার কথকের মতন। ‘আমি বলছি না ভালবাসতেই হবে, আমি চাই কেউ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করুক- তোমার চোখ এতো লাল কেন?’ একটু সহানুভূতি- বিচ্ছিন্ন (Detachment) হওয়ার আগে আরেকটিবার সংযুক্ত (Attachment) হওয়ার চেষ্টা করা।

 

অনিমেষ ধ্রুব সম্পর্কে

"You've gotta dance like there's nobody watching, Love like you'll never be hurt, Sing like there's nobody listening, And live like it's heaven on.'' অসম্ভব পছন্দ উইলিয়াম পার্কারের এই কথাগুলো! নিজের মত করেই নিজের পৃথিবীটা কল্পনা করে নিতে ভাল লাগে। ঔদাসিন্য,অলসতা শব্দ দুটি আমার সাথে বনে যায়। গভীর মনোযোগ কিংবা অসম্ভব সিরিয়াস মুড আমার কখনোই আসে না। একা অচেনা রাস্তায় অকারণে হাঁটতে ভালো লাগে, মানুষ দেখতে ভালো লাগে, ভাল লাগে কবিতা লিখতে...তবে স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখি আমার চারপাশে থাকা মানুষগুলোর জন্য কিছু একটা করার, দেশকে কিছু একটা দেয়ার। পারব কি-না জানি না, তবুও স্বপ্ন বুনে চলেছি নিরন্তর... http://www.facebook.com/kamrul.h.hridoy.3
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে ইতিবাচক, চিন্তাভাবনা, সচেতনতা-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

2 Responses to ডিটাচমেন্ট অর অ্যটাচমেন্ট?

  1. রুহশান আহমেদ বলেছেনঃ

    হুম, অনুভূতিপ্রবনের সাথে সহানুভূতিপ্রবন হবারও দরকার এইসব পরিস্থিতিতে।

  2. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    লেখাটা আগেই পড়েছিলাম।
    (ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর। ব্লা ব্লা ব্লা …! )

    তোমার লেখাটা ভালো লাগছে খুব। খুব গুছানো লেখা।

    আচ্ছা এই প্রেম/ সম্পর্কটাই সব কিছু = এত ছোট বয়সেই কেন আমাদের মাথায় ঢুকে যায়? এইটার উৎস কী? কেমনে কী?
    আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের তরুণদের এই ইস্যুতে মুভি দেখে প্রেম শেখা বন্ধ করা যায় কিনা। তাও আবার হিন্দি মুভি! আর কী দেখে শেখে ওরা?

    আরেকটা ব্যাপার যে প্রেম/ ডেটিং/ … এই গুলা তো টাইম পাস ব্যাপার অনেকের কাছে। এইটা টাইম পাস এইভাবেই দরকার? এটা কতটা বায়োলজির কারণে/ কতটা সামাজিক কারণে… চিন্তার দরকার :p

    জানি না কী বললাম আবোল তাবোল!
    আমার মেইন পয়েন্ট ছিল, প্রেম করতেই হবে কেন?
    “প্রেমই = সব” কেন?
    প্রেম = টাইম পাস কেন?
    এই জাতীয় জিনিসগুলাকে প্রশ্ন করা দরকার।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।