সকালে প্রতিদিন যত হালকা মন নিয়ে অফিসে যাই, রাতে ততটাই ভারি মন নিয়ে ফিরি।
শুরুর দিকে এইসব বাসে আগুন দেয়া নিয়ে কোন ভয় লাগতো না বাসে উঠলে, আর ভয় যে লাগতো না সেটা নিয়ে খুব গর্বও হতো!
সেদিন আম্মুকে বললাম যে রাতে মেইনরোড দিয়ে রিক্সায় ফেরার সময় সারাক্ষণ মনে হয় যে কখন বোমা ফাটবে, আবার রাস্তা বদলে গলি দিয়ে আসতে থাকলে মনে হয় যে এত নিরিবিলি, কখন ছিনতাইকারী এসে ধরে।
এত প্যানিক নিয়ে পৃথিবীর কয়টা দেশের মানুষ রাস্তায় চলে?
শুধু তো এইসবই না। রাতে ফেরার পথে আরো অনেক কিছুই দেখি, জানি। মন ভারি থেকে ভারিতর হয়।
আলোর উপস্থিতি-অনুপস্থিতির সাথে মানুষের মনস্তত্ত্বের অদ্ভুত সম্পর্ক আছে মনে হয়। তাই তো রাতে মানুষ কেমন অন্যরকম হয়ে যায়…
এই তো সেদিনও আমি অন্যরকম ভাবতাম।
এই তো সেদিনও দিন বদলের গান গাইতাম।
এই তো সেদিনও বিশ্বাস করতাম wind of changeএ, জানতাম সে আসবেই।
এই তো সেদিনও হেসে উড়িয়ে দিতাম যখন কেউ বলতো “এত দেশ দেশ করে কী হবে…”
এর মাঝে আরো কত কী দেখলাম, জানলাম।
দিন বদলের গান যারা গাইতে শেখায়, তারা সবাই বিশ্বাসও করে না এতে নিজে।
একদল হয়তো চায় হতাশ মানুষগুলিকে একটু কর্মমুখর করতে, একটু স্বস্তিতে রাখতে, তা যত অল্প সময়ের জন্যেই হোক।
আরেক দল গানের সুরে সবার মন ভুলিয়ে ব্যস্ত নিজেদের পকেট ভারি করতে। কী অবাক অদ্ভুত! নাকি না?
এই তো সেদিনও গুনগুন গুনগুন “আর নয় নিষ্ফল ক্রন্দন…শুধু নিজের স্বার্থের বন্ধন…খুলে দাও জানালা আসুক…সারা বিশ্বের বেদনার ক্রন্দন…”।
আর এখন কেবল তলিয়ে যাওয়া, “অদ্ভুত আঁধার এক…”এ ডুবে-ভেসে তলিয়ে যাওয়া, “অদ্ভুত উটের পিঠে…” সওয়ার দেশের দিকে হতাশ চোখে তাকিয়ে দেখা। শুধুই তলিয়ে যাওয়া।
আখের গোছায়ে কোন্ দ্যাশেতে যাই…সব দ্যাশ যাইতে মানা রে…সব দ্যাশ যাইতে মানা…
রঙিন নেশায় কোন্ রঙে হারাই…সব রঙ বন্ধু ঘোলা রে…সব রঙ বন্ধু ঘোলা…
পথ ভুলিয়া কোন্ পথে হারাই…সব পথ একরোখা রে…সব পথ একরোখা…
সরল মনে কোন্ মনে পালাই…মন দেয় শুধু ধোঁকা রে…মন দেয় শুধু ধোঁকা…
🙁 🙁 🙁
ভালো লাগে না কিছু……
আমারো মাঝে মাঝে লাগে না…
মন খারাপ করা একটা লেখা 🙁
মন খারাপ ক’রেন না। 🙁
🙁 🙁
🙁