অভিজিত রায়ের লেখার হাত অসামান্য, তাঁর লেখা পছন্দ না করলেও এইটা বলব আমি।
তাঁর চিন্তাভাবনার সাথে আমার চিন্তার পার্থক্য হাজার মাইল।
বিজ্ঞান, বিজ্ঞানের ইতিহাস, বিজ্ঞানের দর্শন নিয়ে আমার যে পড়াশোনা ছিল/ করছি সেটার উপর নির্ভর করে তাঁর বইগুলার রিভিউ লেখার ইচ্ছে ছিল। মানে বইগুলার বিশাল ফাঁক/বায়াস/ সমস্যাগুলা দেখিয়ে দেখার। আমাদের দেশের লোকজন নাস্তিক বলে গালি দিতে পারে, কিন্তু একটা বই এর গ্রহণযোগ্য রিভিউ লিখতে পারে না। গালাগালির বাইরে কিছু করার প্ল্যান ছিল আর কি। কলমের জবাব কলমে।
অন্য অনেক প্ল্যান এর মতো… এইটাও করা হয়ে ওঠে নি।
আজকের এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার পর সেই কাজ করার ইচ্ছেটা মরে গেলো।
রক্ত মাংসের অভিজিৎ রায়কে মেরে জানোয়াররা তাঁর আইডিয়াগুলাকে অমর করে দিল। নিহত অভিজিৎ এখন অনেক গুণ শক্তিশালী। অনেক গুণ।
Ideas are bulletproof, জানোয়াররা তা জানে না।
ইতিহাস থেকে শেখেও না।
[ Deeply disturbed, deeply, can’t event believe it ]
২০১২ তে একটা লেখা লিখেছিলাম এই সরবেই।
“শেষ কথা, “শুরু”র কথা!
আমাদের সবাইকে সহাবস্থান, সহযোগিতা, কম্প্যাশন, ইতিবাচকতা নিয়ে ভাবা উচিৎ।
যারা ধার্মিক তারা কারেন আর্মস্ট্রং এর চার্টার অব কম্প্যাশন দেখতে পারেন (মূলকথা অন্যদের সাথে ঠিক তেমনই আচরণ করতে, যা আমরা তাদের কাছ থেকে পেতে চাই) আর নাস্তিকরাও এই টেড টকটা16 দেখতে পারেন, মাথায় রাখুন we need to be polite about differences।
বিজ্ঞান বলছে আমরা পুরো ৭ বিলিয়ন মানুষ আসলে কানেক্টেড। (বিজ্ঞান পছন্দ না হইলে নিচেরটা দেখেন!)
ধর্মও বলছে আমরা সবাই আদম হাওয়ার সন্তান! (মানে কানেক্টেড!) (আপনি অবিশ্বাসী হইলে এইটা বাদ দেন :P)
যেহেতু আমরা পৃথিবীর সবাই একে অপরের সাথে কানেক্টেড কেন আমরা নিজেদের মধ্যে ধর্ম/জাতীয়তা/বর্ণ/ …এই সব নিয়ে ক্যাচাল করব? আমরা সবাই মিলে যদি একটি প্লুরালিস্টিক আগামী করতে পারি সেটা একটা চমৎকার সাফল্য হতে পারে।
সবার জীবন মঙ্গলময় হোক।”
এই দুঃসময়ে শুধু গালাগালি না, আসুন প্রশ্ন করি নিজেদের, কীভাবে আমরা নিজেদের জায়গা থেকে কাজ করতে পারি?
একটু হোলেও চেইঞ্জ আনতে পারি।
মানুষের মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে দেখার, একটা অদ্ভুত ক্ষমতা লক্ষ্য করছি মানুষের মাঝে। সভ্যতার পতন কি তবে ঠেকানো যাবে না?