বাবার হাত থেকে স্কুল ব্যাগটা নিয়ে কাঁধে ঝুলালো বালক। সামনে সুবিশাল মাঠ, ছোট্ট বালকের চোখে তা যেন আরও প্রশস্ততা পেয়েছে। চোখ ফিরিয়ে লোহার বিশাল কল্যাপসিবল গেটটার দিকে পা বাড়াল সে।
আজ বালকের স্কুলের প্রথম দিন। যেদিন ভর্তি পরীক্ষা দিতে প্রথম এ স্কুলে আসে সে, এক নিমিষেই পছন্দ করে নিয়েছিল জায়গাটাকে। ‘মাঠ আবার কখনও এত্তো বড় হয়!’ বিস্ময়ের চেয়ে আনন্দই বেশি ছিল বালকের ভাবনায়। বিশাল মাঠ, চারপাশে সবুজের সারি, ফুল বাগান, মাঠের এক কোণে ছোট্ট পুকুর- এ যেন স্বপ্নভূমি! আজ সেই স্বপ্নভূমিতে পদচারণার সূচনা হতে যাচ্ছে!
সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠে নিজের ক্লাসরুমের খোঁজে পা বাড়াল বালক। চারদিকে ক্লাসরুম, সব একই রকম দেখতে। নার্ভাসনেস ভয়ের সঞ্চার করছে মনে। অবশেষে নিজের ক্লাসরুম খুঁজে পেল সে। একটা সিটে বসে চারপাশে তাকাতেই আবার নার্ভাসনেস আঁকড়ে ধরল তাকে- কত ছেলে, সবাই অচেনা! বেশির ভাগই তার চেয়ে বয়স আর উচ্চতায় অনেক বড়- তাই স্বভাবতই ছোট লাগছে তাকে। তাই বালক কারো সাথে কথা বলতেও সাহস পাচ্ছে না!
এমন সময় শ্বেতশুভ্র শ্মশ্রুমণ্ডিত, পাঞ্জাবি পরিহিত একজন বৃদ্ধ মানুষ ক্লাসে ঢুকলেন। বালক বুঝতে পারল, ইনিই তাদের ক্লাস টিচার- কেননা শিক্ষকের জন্য নির্ধারিত আসনে বসে তিনি ততক্ষণে রোল কল শুরু করে দিয়েছেন। ভর্তি অনুযায়ী বালকের রোল নম্বর ছিল ৩০, তাই ‘রোল থার্টি’ ডাক আসতেই বালক দাঁড়িয়ে রেসপন্স করল। বালক বসতে যাবে, এমন সময় ডাক আসলো, ‘এই ছেলে, সামনে আয়।’
বালক সামনে গিয়ে দাঁড়ানো মাত্রই প্রশ্নবাণ ছুটে এলো, ‘‘কী রে, কোন্ সাহসে এই লম্বুগুলার সাথে ভর্তি হইসিশ, এট্টুকু পিচ্চি! সবাইরে তো তোর চাচা লাগে!! এদের সাথে তুই পারবি ক্যামনে? যা, বাসায় যা- তুই এইখানে পড়তে পারবি না!’’
বালকের চোখে ততক্ষণে বান ডেকেছে! এত শখ করে এই স্কুলে ভর্তি হল, আর এখন কিনা সে এইখানে পড়তেই পারবে না!! বালক কাঁদতে কাঁদতেই মায়ের কাছে ছুট!
বাকি কথা সংক্ষিপ্ত করা যাক। শ্রেণীশিক্ষক মহাশয়ের এই ‘মস্করা’ সামলানো হয়ত সেদিন বালকের মায়ের কাছে দুঃসাধ্য ব্যপার ছিল, এ নিয়ে জলও গড়িয়েছিল অনেকদূর- কিন্তু সেদিনের এই ‘ঠাট্টা’ই বালকের পৃথিবী বদলে দেয়!
*
দশ বছর পরের কথা। বালক বেশ বড়সড় হয়ে গেছে এর মধ্যে, দৈর্ঘ্য আর প্রস্থ দুই দিক দিয়েই! সামনে এস,এস,সি পরীক্ষা। তাই পড়াশুনা চলছে পুরোদমে। এমনই সময় এক দিন বাসায় ফোন এলো বালকের খুব প্রিয় শিক্ষক কামরুল স্যারের কাছ থেকে। স্যার যা জানালেন, তার সারসংক্ষেপ এই- স্কুল প্রতি বছরই বিদায়ী ব্যাচের একজন ছাত্রকে তার দশ বছরের কার্যকলাপের উপর মূল্যায়ন করে ‘শ্রেষ্ঠ ছাত্র’ হিসেবে ভূষিত করে। এই বছর এই পুরস্কারের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়েছে! বালকের খুশি হওয়ার কথা, কিন্তু বালক বিমূঢ়, হতভম্ব!
ঘোরের মধ্যেই স্কুলে ছোটা, প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে একটি নয়- দুটি পুরস্কার নেওয়া, পরীক্ষার আগে শেষবারের মতন সব স্যারের আশীর্বাদ গ্রহণ- তখনও সব কিছুই লাগছিলো ঘোরের মতন। যখন স্কুল থেকে ফেরার পালা, তখন স্কুল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ভীষণ একা লাগছিল বালকের। অথচ আজকের এই সম্মান বালকের কাছে অনেক আনন্দের, অনুপ্রেরণার- টেস্ট পরীক্ষায় ২৭ নম্বর ব্যবধানে প্রথম স্থান অধিকারও এতো আনন্দ দিতে পারেনি তাকে। কিন্তু তবুও আজ বালক একাকীত্ব অনুভব করছে ভীষণ, কী যেন হারিয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে!
স্কুল গেটের প্রবেশ পথে আর গমন পথে লেখা ছিল দুটি শাশ্বত বাণী, ‘শেখার জন্য এসো’ আর ‘সেবার জন্য বেরিয়ে যাও’। গমন পথের দিকে তাকিয়েই আনমনে বালক বুঝতে পারল মন খারাপের কারণ। তারও যে যাবার বেলা ঘনিয়ে এসেছে!
হ্যাঁ, এই হতভাগ্য বালকটা আমি। স্কুল জীবন আমার কাছে এত বেশি প্রিয় আর ঘটনাবহুল ছিল যে, স্কুলের স্মৃতি আর অভিজ্ঞতার কথা বলতে শুরু করলে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ক্ষণ- অণুক্ষণ পর্যন্ত স্মৃতির দেয়ালে নাড়া দেবে! অথচ সেই প্রিয় স্কুল ছেড়ে আমাকে চলে যেতে হয়েছে মাত্র দশ বছর পর!
‘মাত্র’? হ্যাঁ, দশ বছরকে আমি ‘মাত্র’ই বলব, কেননা গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল প্রাঙ্গণে যে একবার ছাত্র হিসেবে পদার্পণ করেছে- স্কুলের মোহ আর ভালবাসা তাকে এমনভাবে জড়িয়ে রাখে যে দীর্ঘ সময়ও তুচ্ছ মনে হয়! আমার নিজের কথাই বলি- এখনো, বুয়েটে ক্লাস করতে গিয়েও মাঝে মাঝেই মনে পড়ে আমার প্রিয় স্কুলটার কথা, প্রিয় আর শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের কথা। মাঝেমাঝেই মনে হয়, এখনও কামরুল স্যার, আহসানউল্লাহ স্যার, কাইয়ূম স্যার, বদরুজ্জামান স্যার, শাহজাহান সিরাজ স্যার, শাহাদাত স্যার কিংবা পার্থ স্যারের ক্লাসেই পড়ে থাকলে মন্দ হতো না!
স্কুলজীবনের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে না ভুলবার মতন অজস্র স্মৃতি। স্যারদের কথাই বলি আগে- আমার জীবনতরীর নোঙ্গর গন্তব্যে ভেড়াতে সবচেয়ে ত্যাগ স্বীকার করেছেন যাঁরা। আমি ভীষণ সৌভাগ্যবান যে, ক্ষণস্থায়ী স্কুলজীবনে আমি সান্নিধ্যে আসতে পেরেছি বেশ কয়েকজন শিক্ষকরূপী মহামানবের, যাঁরা গড়ে দিয়েছেন পড়াশুনার ভিত্তি; শিখিয়েছেন মূল্যবোধ, সততা আর মানবীয় গুণ। কয়েকজনের কথা বিশেষভাবে না বললেই নয়।
আমি নিজেকে ধন্য মনে করি, কারণ আমি কামরুল স্যার, কাইয়ূম স্যার, আহসানউল্লাহ স্যার, বদরুজ্জামান স্যার কিংবা পার্থ স্যারের মতন মানুষদের ছাত্র ছিলাম। স্ব স্ব ক্ষেত্রে তাঁরা অসামান্য। গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি’র বাংলা বিষয়ের দুই নক্ষত্র রাজ্জাকুল হায়দার স্যার আর গোকুল চন্দ্র দাশ স্যারের সান্নিধ্য পেয়েছি আমি, আর শেষদিকে পেয়েছি কাইয়ূম স্যারের অনুপ্রেরণা। ইংরেজিতে আতাহার স্যার, জি এম স্যাররা যে ভিত গড়ে দিয়েছিলেন- তার পরিপূর্ণতা পেয়েছি কামরুল স্যারের কাছ থেকে। স্যারের মতন মানুষ হয় না- উনি শুধু আমার ভীষণ প্রিয় একজন শিক্ষকই নন, অসম্ভব প্রিয় একজন মানুষ। গণিতে বদরুজ্জামান স্যার, এমারত স্যার, শাহজাহান সিরাজ স্যার ছিলেন অনন্য। বায়োলজি যে কতটা আকর্ষণীয় হতে পারে- আহসানউল্লাহ স্যার হাতে কলমে দেখিয়েছেন তা। হয়ত তাঁর সান্নিধ্য থাকাতেই বায়োলজি আমার অন্যতম প্রিয় একটা সাবজেক্ট। পদার্থবিজ্ঞানের শাহাদাত স্যার কিংবা সমাজবিজ্ঞানের পার্থ সারথী স্যারের কথা আর নতুন করে কী বলব? দশ বছর স্কুল জীবনের বড় একটা সময় কাটিয়েছি মর্নিঙে- তাই মর্নিঙের স্যারদের কথাই বেশি আসছে মনে। কিন্তু দিবা শাখার স্যাররাও যে কোন প্রয়োজনে পাশে ছিলেন। মাশিকুর স্যার, আলতাফ স্যার, শহীদ স্যার, নজরুল স্যার সহ অন্যান্য শিক্ষকদের কথাও ভুলবার নয়।
বোধ হয় আমিই প্রথম এবং একমাত্র ল্যাবরেটরিয়ান, যার সৌভাগ্য (নাকি দুর্ভাগ্য?) হয়েছে কমবেশি সবকয়টা সেকশনেই পড়ার! তাই পরিচিত মুখ ছিল অনেক- সময়গুলোও ছিল ঘটনাবহুল। স্কুলে প্রথম পুরস্কার পাওয়ার কথাই বলি। ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকি করতাম, অনেকটা শখের বশেই। স্কুলে আসার পর প্রথম যখন প্রতিযোগিতায় নাম লেখালাম, তা ছিল অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। পরের বছরের কথা। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিষয় ছিল মুক্তিযুদ্ধ। যখন পুরস্কার ঘোষণার পালা, একবার মনে হল- ‘ছবিটা ভালই এঁকেছি, হয়ত কিছু একটা পেয়েও যেতে পারি!’ তৃতীয় আর দ্বিতীয় পুরস্কার দিয়ে দেওয়ার পর মনে হল, ‘ধুর! এতো ভালো ভালো আঁকিয়ে ডিঙিয়ে কি আর আমি প্রথম পুরস্কার পাবো?’ না-বোধক চিন্তায় মন খারাপ করে রওনা দিলাম স্কুল গেটের দিকে। অনেক দূর চলে গেছি, হঠাৎ মাইকে শুনলাম, আমার নাম ডাকছে! সেবার পুরস্কার নিতে যেতে আমাকে রীতিমতন দৌড় প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল!
সেদিন যে আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠেছিল- তাই আমাকে পথ দেখিয়েছে পরবর্তী পুরো সময়। এমনও বছর গেছে এরপর- যেবার আটটা পুরস্কার পাওয়ার পর বোনাস হিসেবে আরেকটা ‘চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কার পেয়েছি!
ঘটনাবহুল স্কুলজীবনের বেশিরভাগটাই কৃতিত্বের। সব বলতে গেলে নিজেকে জাহির করা হয়ে যাবে- তাই সে দিকে যাচ্ছি না। শুধু রোমন্থন করছি আমার সেরা স্মৃতিগুলো। পঞ্চম শ্রেণীতে বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার পরই ভালো একটা অনুভূতি ছিল। তাই হয়ত একটা প্রতীক্ষা ছিল ভালো কোন খবর শোনার। এমন বেশ কয়েকদিন গেছে- যখন স্কুলে যাওয়ার আগে ‘আজ নিশ্চয়ই বৃত্তির রেজাল্ট দেবে’ চিন্তা করে সারাটা পথ গাড়িতে প্রার্থনা করেই কাটিয়েছি!
এক দিনের কথা। স্কুলে এসে ক্লাস করছি। হঠাৎই প্রধান শিক্ষকের রুমে ডাক পড়লো! আমি ছোটকালে বেশ বোকা-সোকা ছিলাম, আমার মনে তখন ভয় ধরলো, ‘কী এমন অপরাধ করে ফেললাম যে হেডস্যার ডাক দেবেন!’ ভয় ভয় অনুভূতি নিয়েই ঢুকলাম স্যারের রুমে। স্যার কাছে ডাকলেন। হঠাৎ করেই মিষ্টিও খাইয়ে দিলেন! বললেন, ‘তোরা স্কুলের সুনাম ধরে রেখেছিস!’ আনন্দ অনুভব করলাম সামান্য, যদিও এখনও জানিনা- কী করেছি! পরে জানা গেলো, সেবার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সারা বাংলাদেশের মেধা তালিকায় সেরা তিন জনের মধ্যে দুইজনই গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরির। তার একজন আমি!
তখন থেকে আজ পর্যন্ত পড়াশুনা করতে আমার সরকারি বেতন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না! অষ্টম শ্রেণীতে একটা মূল্যায়ন পরীক্ষা হত আমাদের সময়, বৃত্তি পরীক্ষার আগ দিয়ে। সেই পরীক্ষায় বোর্ডে প্রথম হওয়ার পরও এই ধরনের আনন্দের কিছু স্মৃতি রয়েছে। ওহ, বলতে ভুলে গেছি, সেদিনের সেই হেডস্যারের নাম ছিল র.উ.জাহিদ, আমার অন্যতম প্রিয় প্রধান শিক্ষক। ওঁনার বিদায়বেলায় বিশ লাইনের একটা ‘বিদায়মূলক কবিতা’ লিখে শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি- এই ভেবে আজও ভালো লাগে।
স্কুলকে ঘিরে আমার মজার স্মৃতিও রয়েছে প্রচুর। এখনও মনে আছে, নবম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীতে ওঠার সময় কম্বাইন্ড রেজাল্টে থার্ড হয়ে গেসলাম- তাই আব্বু রাগ করে আমার রেজাল্ট কার্ড ছত্রিশ টুকরা করে ফেলেছিলো! পরে টেস্ট পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সেদিনের ‘ক্ষতি’ পূরণ করা লেগেছিল!
অনেক দিনের ইচ্ছে, স্কুল জীবনের ক্ষণ-অনুক্ষণের স্মৃতি নিয়ে কয়েক লাইন লিখব। গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের ৫০ বছর পূর্তি, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর উদযাপিত হতে যাচ্ছে রাজকীয়ভাবেই- এর চাইতে বড় প্ল্যাটফর্ম আর কী হতে পারে? তাই ঝোঁকের বশে লিখে ফেললাম কিছু কথা। যদিও আফসোস রয়ে যাচ্ছে, অনেক কিছুই বাদ রয়ে গেছে।
তবে আজ গর্ব নিয়ে একটা কথা বলতে পারি- আমি চলে যাইনি, হারিয়ে যাবোও না কখনো স্কুল থেকে। স্কুলের দুইতলা দালানের কোন একটা ক্লাসরুমের কোন না কোন ইটের ফাঁকে লেখা থাকবে আমার কথা- আমি যে ল্যাবরেটরিয়ান! ল্যাবরেটরিই যে আমার পরিচয়, আমার অস্তিত্ব!
ভাল লাগল……সবলীল লেখা। লেখাটা পড়ে নস্টালজি হয়ে গিয়েছিলাম……
ধন্যবাদ 🙂
বাহ্! :clappinghands:
ইয়াং চ্যাম্প! :happy:
আর আমি জীবনে কোনদিন ফার্স্ট হই নাই কোথাও, জানো? 😛
আপু, প্রায় সব স্কুলেই ফার্স্ট পজিশন নিয়ে পারশিয়ালিটি চলে 😳 আমিও তাই খুব বেশি বার ‘রোল নাম্বার ওয়ান’ হতে পারিনি…
যদিও এইটা নিয়ে আফসোস নেই একটুও- ‘দুই’ আমার প্রিয় সংখ্যা 😀 :yahooo:
ধন্যবাদ 🙂
উঁহু, আমাদের স্কুলে পারশিয়ালিটি ছিল না, কলেজেও না। তারপরেও…:P
ব্যপার না মোটেও :yahooo:
নিজের স্কুল জীবনের স্মৃতি মনে পড়ে গেল!
কত গান, হাসি, কান্না, দুষ্টুমি। 🙁
আপনাকে মনে হচ্ছে, স্কুলের নাম উজ্জ্বল করা সোনার টুকরো ছেলে। আশীর্বাদ নিতে হবে ভাবছি!
গোকুল চন্দ্র স্যারের নোটে লেখা সেই উত্তপ্ত বাণীর কথা মনে পড়ে গেল! আবারো শিউরে উঠেছি এতোদিন পরেও! 🙁
স্কুলজীবন সবার কাছেই স্মৃতিময়- তাই ফিরে দেখা কিছুটা কষ্টেরও 😳
ধন্যবাদ 🙂
গোকুল স্যারের চেয়েও দাঁতভাঙ্গা শব্দভরা ছিল কাইয়ূম স্যারের নোট :happy: আজও ভুলতে পারি না! 😯
আরে, তুমি তো সেইরকম গুণী ছেলে। যেমন রেজাল্ট, তেমন আঁকাআকি………আর পড়ালেখার কথা তো বললামই না। :dhisya:
তোমার লেখা পড়ে আবার মনে হল, স্কুল জীবনের আসলে তুলনা হয় না……
সাবলীল একটা লেখা…… 🙂
অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া 🙂
স্কুলজীবন তো একটাই- আসলেই অতুলনীয় 😳
ভাইয়া তোমার ছবিগুলা কেন যেন আসে নি!
চমৎকার লেখনী তোমার! নিয়মিত না লিখলে মাইর!! 8)
ভাইয়া, আমি তো ছবি দেখতে পারছি! 😳
নিয়মিত থাকার চেষ্টা করব, ভাইয়া 😀 আমি বড্ড আইলস্যা 😀 :yahooo:
আহারে স্কুল জীবন! কেন জানি খুব ইচ্ছে করছে তোমার লিখাটা পড়ার পর, আমার স্কুলটা নিয়ে লিখি একবার! কত্তো অসাধারণ সব মানুষ আর বন্ধুরা, টিফিন টাইমে দুষ্টামি, দৌড় দিয়ে অ্যাসেম্বলিতে যেয়ে জায়গা রাখা……
দারুণ লিখা! অসাধারণ! অদ্ভুত! :fire:
অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া 🙂
আমারো খুব ইচ্ছে করছে, আপনার স্কুল নিয়ে লেখাটা পড়ার 🙂 অপেক্ষায় রইলাম 🙂
অপেক্ষায়ই থাক রে! আমার অবস্থা ঐ ডাই টু লিভ এর মতো হবে! 😛
তবুও অপেক্ষা করতে দোষ কী! 😛
ভাইরে তুমি তো দেখি স্কুল জীবনের কথা মনে করায়া দিলা, আহারে কি ছিলনা সেই দিনগুলিতে…. 🙁
নিয়মিত লিখবা, তোমার লিখার হাত বেশ পাকা বুঝা যাচ্ছে…. :happy:
আসলেই, ভাইয়া- স্কুলজীবনের কথা মনে পড়লেই কষ্ট লাগে, ফিরে যেতে ইচ্ছে হয় 😳
আমি বেশি পরিমাণে আইলস্যা, ভাইয়া :yahooo: লেখার চেষ্টা করব 😀
আপনার লেখা পড়ে আমার স্কুলজীবনের কথা মনে পড়ে গেছে 🙁
আমি অবশ্য আপনার মতো এতো সেলিব্রিটি টাইপের স্টুডেন্ট ছিলাম না। অখ্যাত স্কুলের অখ্যাত ছাত্র ছিলাম। তবুও আমার কাছে আমার স্কুল জীবন সোনায় মোড়ানো থাকবে সারাজীবন।
স্কুলজীবন সবার কাছেই সোনায় মোড়ানো থাকে, ভাইয়া 🙂
আমিও সেলিব্রেটি ছিলাম না 😀
লেখাটা পড়ে পুরা নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। দারুন লাগলো।মহসিন স্যারের ক্লাস বোধ হয় তোমরা পাও নাই। উনি তো রীতিমত লিজেন্ড।
আর তুমি তো দেখি পুরা কোপা স্টুডেন্ট! সব কিছুতেই দুর্দান্ত। আমি ডে শিফটে ছিলাম। পড়ালেখার চেয়ে দুষ্টুমিই করসি বেশি। আর সব ইভেন্টে অংশ নিয়া বাছাইপর্বেই বাদ পড়ে যাইতাম 😳
এখনো মাঝেমধ্যে স্কুলের মাঠে যেয়ে খেলি।স্কুল লাইফটা যদি আবার ফিরে পেতে পারতাম!! 🙁
অবশেষে একজন ল্যাবরেটরিয়ান ভাইয়া পেলাম! :yahooo: :penguindance:
ধন্যবাদ, ভাই 🙂 আপনি কোন্ ব্যাচের?
মহসিন স্যারকে চিনতাম ভালো করেই- যদিও উনার ক্লাস পাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি 😳 ক্লাস থ্রি তেই ডে শিফট ছেড়েছি… তবে সরবে’র বন্ধু রাইয়্যানের কাছ থেকে উনার অনেক প্রশংসা শুনেছি 🙂
আর স্কুলে গিয়ে খেলতে অনেক ইচ্ছে করে- ভার্সিটিতেই ক্রিকেট খেলি বেশির ভাগ বিকেলে, তাই যাওয়া হয়ে ওঠে না 😳
আমি ০৫ ব্যাচের। ল্যাবরেটরিয়ান ফুটবল টুর্নামেন্টের ২ বারের চ্যাম্পিয়ন আর এবারের রানার্স আপ।
(চামের উপর দিয়া ভাবটা নিয়া নিলাম 😛 )
ব্যপার না 😛
আমি ০৮ এর…
ফার্স্ট পজিশন আমার ভাগ্যে কখনই জুটে নাই, আমি সেকেন্ড প্লেস লয়াই আনন্দিত ছিলাম 😛 :guiter: :guiter:
আনন্দিত আমিও- ‘বিয়াপক’ আনন্দিত :yahooo:
দুই তো আমার প্রিয় সংখ্যা :penguindance:
অনেক কিছুই বাদ রয়ে গেছে!!! 80 আর কিছু কইলাম না। 😳
লেখাটা সহজ ভাষায় সরল কিছু ভাবের প্রকাশ। :claping hands:
অনেক ধন্যবাদ :yahooo: