প্রথমে কিছু কথা। যাকে কিনা ভূমিকা বলা হয়……. বাংলাভাষায় মোটামোটি যতগুলো ব্লগ আছে সব কয়টি ব্লগে মনে হয় ঘুরে ঘুরে দেখেছি। আর ব্লগ পড়ার একটা বদ অভ্যাদ হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন যেন এটা আমার রুটিন মাফিক একটা কাজ হয়ে গেছে ব্লগ পড়া। প্রথমে লিখি টিটিতে। এর স্যামু যদিও কমিনিউটি ব্লগে লিখতে কেন খুব একটা ভাল লাগে না। ব্লগগুলো পরিবশে এখন যেন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। ইদানিং বেশি কিছু ব্লগের গালাগালিই বেশি করা হয়। আর একটা ব্যাপার দেখা যায় যেটা হয় আস্তিক -নাস্তিক, নিয়ে তর্ক বির্তক ব্লগের এই ঝগড়া দেখতে ভাল লাগে না। আমার মত নিরহ টাইপের ব্লগারের এই ধরনে ব্লগুলো কেন যেন ভাল লাগে না। তাই একটা সময় কমিনিউটি ব্লগে লেখার ছেড়ে দিলাম বলতে গেল। নিজের ব্যাক্তিগত ব্লগেই লিখতাম। সরব ব্লগটা দেখে ভাল লাগল। বেশি কিছু লেখা পড়ে দেখলাম ভাল লাগল………..পরিবেশটা ব্লগে ভাল লাগল । তাই লেখা শুরু করলাম………আশার করি সরব যেন অন্য ব্লগদের পরিবেশ নষ্ট না হয়। এই কামনাই করি। অনেক বক বক করলাম এবার আসলে লিখায় আসি।
এলোমেলো ভাবনা- এক
অক্টোবর 20, 2011
আমি কেমন করে বলব যে আমি এমনটি চাই নাই। সত্যি করে বলছি…………
আমি জানি কেউ সেটা বিশ্বাস করবে না। কিছুদিন ধরে নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নিচ্ছি । কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে যেন সব পাকিয়ে যাচ্ছে । আমার কি দোষ ।?? এই্ ধরনের প্রশ্ন করা ঠিক না। আমরা যা করি তাই ফল আমরা পাই। তাই বলতে হচ্ছে আমি এমন কর্ম করেছি যার ফল পাচ্ছি। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু মাঝে মাঝে বোধগর্ম হয় না। আসলে কি করছি? সত্যি কি এটা করা দরকার ছিল খুব।
বারান্দায় কিছুক্ষন একা একা দাড়িয়ে যখন ভাবছিলাম তখণ মনে হচ্ছিল ……….
মাঝে মাঝে মন খারাপ হয়ে যায় এখন হয়ত তাই হয়েছে। একটু পর সব ঠিক হয়ে যাবে। এটা স্বাভাবিক। মন খারাপ হয়েছে এটা ভেবে আমাদের আবার মন খারাপ হয়ে যায়। এর জন্য ডবল মন খারাপ হয়। এটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে বিবেকের তারনায় ভুগি………….আসলে কি আমাদের বিবেকটা সঠিকভাবে কাজ করে। মাঝে মাঝে অর্থহীন মনে হয়। খুব এলোমেলো কথা বলছি আজ তাই না। মাঝে মাঝে এলোমেলো কথা বলতে মন্দ লাগে না। সব সময় যে গুছিয়ে লিখতে হবে এমন কি কোন কথা আছে। আজ একটা কারনে আমি খুব খুশি। আমার প্রিয় ব্যাক্তির র্টি-শাট কিনেছি। আজিজ সুপার মার্কেটে গিয়েছিল এক বন্ধু কিছু কেনাকাটা করবে। আমি সাথে গেলাম। আমার কিনার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু জবস এর ছবি যুক্তি টি-শাটটি দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না।আমার প্রিয় ব্যাক্তি বলে কথা। বন্থুর কাছে থেকে ধার করে কিনে ফেললাম………
প্রতিদিন আমাদের জীবনে কত ঘটনা ঘটে তা যদি লিপিবদ্ধ করে রাখতে পারতাম অনেক মজা হত…………..
ওহ আর একটা কথা
আমার এক বন্ধু আজ আমাকে একটা ডায়েরী দিয়ে বলল ওর জীবনি নিয়ে যেন আমি লিখি বিশেষ করে ওর লাভ কাহীনি।(মূল উদেশ্য হল আমাকে দিয়ে ওর লাভ স্টোরিটা লিখানো ) । ওর কাহীনি একটু একটু জানি। না করতে পারলাম না।বেচার খুবই ডিপ্রশনের মধ্যে আছে।বেচারার গার্ল ফেন্ডের সাথে ওর কোন যোগাযোগ নাই। ব্রাকআপ হয়ে গেছে…………….মাঝে মাঝে রাতে আমাকে ফোন করে বলে ওর মন খারাপ খুব…………..
ব্যাপারগুলো আমার কাছে খুব তুচ্ছ মনে হয়। একদিন আমার কাছে এসে ও বলল সেই মেয়েকে ছাড়া ওর বাচতে অনেক কষ্ট হবে। আরও কত রোমান্টিক কথা।সব কিছু মনে নেই আমার।এত রোমান্টিক কথা মনে থাকেই বা কেমন করে।:P
আমি মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। আর ওকে বললাম আমার এখনকার প্রশ্নগুলোর উওর দাও। সত্যি করে দিবা।
আমার প্রশ্ন, তোমার বয়স কত?
বন্ধুটি, “২০”
আমার প্রশ্ন, “মেয়েটির সাথে তোমার পরিচয় কতদিনের”
বন্ধুটি,”৫ বছর”
আমার প্রশ্ন,”২০-৫=?”
বন্ধুটির উওর , “১৫”
আমার বললাম,”যে ১৫ বছর তোমার মা –বাবা পরিবার তোমাকে লালন পালন করেছে । এত ভালবাসা দিয়েছে তাদের ভালবাসা কি মূল্য নেই। বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষনের জন্য মার ভালবাসা ভুল যাও। এটা ভাব না যে তোমার জন্য তোমার মা কত টেনশান করছে। একটার পর একটা সিগেরেট খেয়ে যাচ্ছ। আবার ব্যানসন……….৭ টাকা দাম………….??? কতটাকা আয় কর তুমি??? আর একটা মেয়ে জন্য বুক ভাসিয়ে কান্না করছে। রেজাল্ট খারাপ করছ……?? পরপর দুই বছর…বাকি কথাটুকু বলে আর তোমাকে লজ্জ্বা দিব না।
বন্ধুটির উওর ,”আচ্ছা তোমার এমন হয় নি”
আমার উওর “হবে না কেন?? অবশ্যই হবে কারন আমিও তোমার মত বয়ষ পার করছি। আর মানুষে ইমোশন থাকবেই ।এটা স্বাভাবিক। তাই নয় কি আর আমি অতি মানব ও না।“
হঠাৎ আমি থেমে গেলাম । কাকে কি বলছি। ওকে বলে কি লাভ। এখন তো মাতাল অবস্তায় আছে। একটা আগে কি যেন খেয়ে এসেছে। আমাকে ফোন দিল ওর খুব মনখারাপ আমি যেন দেখা করি। ভাবলাম ব্যাচার মন খারাপ একটু দেখা করে আসি। যখন মনে হল আমার কথার কোন দাম ওর কাছে নাই তাই আর কিছু বললাম না। ওর কথা শুনলাম এবং একটু একটু হু হা করলাম। আমার সামনে ও ৪ টা ব্যানশন সিগারেট খাইলঅ ৭*৪=২৮ টাকা আমার একদিন বাস ভাড়ার টাকা। ছেলেগুলো এমন করে টাকা নষ্ট করে দেখলে বড়ই কষ্ট হয় কিন্তু কিছু্ই বলি না। এবার বলে তো ভীষন বিপদে পরে গেছিলাম। একজন রেগে বলে বসল” আমার বাপের টাকায় খাই তোর কি??”
এরপর থেকে আর কিছুই বলি না।“ খা বাবা বেশি করে খা। তোর বাপের টাকাই তো তুই খাবি না কে খাবে”
এদের সাথে আমি খুব একটা দেখা হয় না। মাঝে মাঝে হঠাৎ দেখা হয়ে যায়। আর হঠাৎ হঠাৎ কাউর পিসি নষ্ট হলে আমার ডাক পড়ে। এছাড়া কোন খবরই নাই।
এগুলো নিয়ে নানা কহীনি দেখছি যেগুলো নাটকেও হার মানায়। সময় করে লিখব মনে হয়………
মন খারাপের কথা দিয়ে শুরু করছিলাম। একটু ভাল কিছু দিয়ে শেষ করি।
একটা ব্যাপার আমি লক্ষ্য করলাম নিয়মিত নামাজ পড়লে এই ডিপ্রেশন ভাব থাকে না। আজ আমি আছর, মাগরিব কোন নামাজই পড়ি না। তাই মনে মধ্যে কোন পবিএ ভাব নাই। বলে আমার মনে হচ্ছে । আর এর জন্য অশান্তি মনে হচ্ছে। আর একটা ব্যাপার হচ্ছে একদিন সকাল এ্যালাম দিয়ে রাখলাম যে সকালে ঘুম থেকে মসজিদে গিয়ে ফযর নামাজ পড়ব। ঠিকই উঠে মসজিদে গিয়ে ফযর নামাজ পড়লাম । কিন্তু এর পরদিন ঠিক সেই সময় ফযর নামাজের সময় ঘুম থেকে উঠে গেলাম। কিন্তু কোন এ্যালাম ছাড়া। এই ব্যাপারটা এখন ঘটছে প্রতিদিন সকালে। এ্যালাম ছাড়া একই সময় কেমন করে ঘুম ভেঙ্গে যায়। ব্যাপারটা খুবই কাকতালীয় মনে হচ্ছে। আমি তো আগে সকাল ৮টার আগে ঘুম থেকেউঠতে পারতাম না। আর এখন সকালে সকালে উঠে যাই। একেই বলে আল্লাহ রহমত। যার এই লেখাটা পরবেন প্লিজ আমাকে যানাবেন ব্যাপার আপনাদের ক্ষেেএ কখনো হয়েছে কি না?? হলে অবশ্যই জানাবেন।
আমাদের স্কুলে একজন স্যার ছিল গনিতের । স্যারের নামটা অণেক বড় ছিল তাই সবাই দও বাবু বলে ডাকাত। স্যার একদিন ক্লাসে এসে বলে “আমি হিন্দু হয়ে নামাজ পড়ি। এটা তোর জানাস…..”
আমারা স্বভাব মত অবাক হয়ে গেলাম। স্যার বললেন তোরা মুসলামরা নামাজ পড়ছ পূন্যে জন্য আমি আমি পড়ি আমার আত্তার তৃপ্তির জন্য। নামাজ পড়লে আর কিছু না হউক আত্তার তৃপ্তি আমি পাই। “
অনেকদিন পর স্যারের কথাটা যেন হারে হারে বুঝতে পারছি । আসলে নামাজ পড়লে আর কিছু না হউক আত্তার একটা চরম তৃপ্তি পাওয়া যায়। নিজের মধ্যে ভাল খারাপের একটা প্রকারভেদে তৈরী করতে পারে। নিজের ব্যাক্তিগত প্রত্যক্ষ ভাবে দেখিছি বলে বলছি।
সবাই ভাল থাকুন এই কামনা করি। মনটা খুব ভাল হয়েগেল লেখা শেষ করার পর। সত্যি ব্লগিং ব্যাপারটা খারাপ না। মন ভাল করার ওযুধ ও বটে…….
লেখাটি প্রথমে প্রকাশিত আমার ব্যাক্তিগত ব্লগে তুসিনের জল-জোছনায়
:welcome:
“মাঝে মাঝে মন খারাপ হয়ে যায় এখন হয়ত তাই হয়েছে। একটু পর সব ঠিক হয়ে যাবে। এটা স্বাভাবিক। মন খারাপ হয়েছে এটা ভেবে আমাদের আবার মন খারাপ হয়ে যায়। এর জন্য ডবল মন খারাপ হয়।”>> ভীষণ মজা লাগল কথাটা পড়ে!
নামাজ পড়লে আসলেও একটা শান্তি আসে মনে। একেবারে ঠিক।
আর একটা কথা।
সময় করে এই লেখাটা একবার পড়বেন প্লিজ। পড়লেই আমার না-বলা কথাটা আশা করছি বুঝে নিতে পারবেন। 🙂
http://shorob.com/2011/08/14/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F/
ধন্যবাদ আপনাকে………
:welcome:
ধন্যবাদ আপনাকে………http://shorob.com/wp-includes/images/smilies/icon_love.gif
:welcome:
সরবে স্বাগত জানাই। আমি নিজেও ‘নষ্ট পরিবেশের’ জন্য অন্যান্য ব্লগে সময় কম দেই। সামু’তে লেখা তো ছেড়েই দিয়েছি বলা যায়। সরবই এখন পরিবার 🙂
বানানের দিকে একটু নজর দিলে আরো ভালো ভালো লেখা পাবো আশা করি 🙂 :yahooo:
সরব যেন সবার মনের মত জায়গা হতে পারে- সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে আমাদের সবারই!
সরবে স্বাগতম। :welcome:
আর বানানের দিকে *প্লিজ* খেয়াল করুন
কাহিনী
তাড়না
গার্ল ফ্রেন্ড
পবিত্র
দারুণ রকমের চোখে লাগে।
আমরা যদি আমাদের সেরা লেখা, যত্ন নিয়ে লেখাগুলো সরবে দেই- তাহলেই তো সরব একটা চমৎকার জায়গা হয়ে উঠবে তাই না?
ভালো একটা পরিবেশ চাইলে দায়িত্ব পালন করতে হয় সবাইকেই।
আপনাকে ধন্যবাদ বানান ভুল ধরে দেওয়ার জন্য। পরবতীতে চেষ্টা করব বানান যেন ভুল না হয়……. :love: ..
ভাল থাকুন…………
একদম মনের কথাটা বলেছেন, ভাইয়া 🙂 :clappinghands:
সরবে স্বাগতম।
:welcome:
আমাদের সবাইকেই ভূমিকা পালন করতে হবে কাঙ্খিত পরিবেশ বজায় রাখার জন্য…. 😀
ধন্যবাদ আপনাকে………ভাল থাকুন….
:welcome:
নিয়মিত পাবার আশায় 🙂
ধন্যবাদ আপনাকে……. :love:
:welcome:
নিয়মিত হতে দেখলে ভালো লাগবে। সরব অবশ্যই একদম ব্যতিক্রমধর্মী একটা ব্লগ। আমার মনে হয় বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারে এমন ব্লগ আর নাই। অসাধারণ প্রাণোচ্ছ্বল একগাদা ব্লগার এখানে — সুন্দর শব্দ আর সুন্দর মনের পরশে পরিবেশটাই অন্যরকম সুন্দর। আমি চুপচাপ পড়ি শুধু… ভালো লাগে!
:welcome: