এই ছেলে কি বলছি শুনতে পারছ না?? ওহ শুনবেই বা কি করে তুমি তো তোমার স্মার্ট ফোন নিয়েই ব্যস্ত।এক কাজ কর না কেন তোমার ফোনটাকেই বিয়ে করে ফেল, আমাকে বিয়ে করে আর কী হবে? আমি তো তোমার ফোনের মত স্মার্ট না! বলেই মেয়েটি মন খারাপ খানিকটা অভিমান করে চুপ হয়ে যায়।
……………
-জানিস, সেদিন তোর খালামনিকে দেখে এলাম। ওর শরীরটা বেশি ভালো যাচ্ছে না। তুই তো কতদিন ধরে যাস না, একবার দেখে আয় না তোর খালামনিকে। অনেক খুশি হবে, বারবার তোর কথা বলছিল।
-কি রে বাবু, কি বলছি আমি??
-হুম, মা বল।
-বল মানে আমি এতখন ধরে কি বললাম তাহলে?? থাক শুনা লাগবে না তুই থাক তোর পিসি নিয়ে।
…………….
-আম্মু-আম্মু জানো আজকে স্কুলে কি হয়েছে?
-হু বল। রুবাইতা না আজকে নাবিলার টিফিন খেয়ে ফেলেছে।হি-হি। রুবাইতা তার জন্য কি কান্না, হি-হি। আম্মু কি হল?
-নীরা আমি কাজ করছি সোনা।
………
অ্যাই কণা কি হল- দেখ তো আমাকে এই পাঞ্জাবিতে কেমন মানিয়েছে? কী ব্যাপার করছ তুমি?? হু আরে দ্বারাও আগে তোমার আর আমার একটা সেলফি তুলে নেই। আমাদের ম্যাচিং কালার জোস আসবে।কি ব্যাপার অয়ন এই দিকে আসো অত দূরে দাঁড়ালে হবে?
……………
এরপর ছেলেটি কি করবে আমার তা জানা নেই। হয় তো বা মেয়েটির অভিমান ভাঙাবে অথবা খেয়ালই করবে না মেয়েটা কি বলছে। বাবু হয়তো বা পিসিটা অফ করে মার কথা শুনবে আর তার খালামনিকে দেখতেযাবে। নীরার মা হয়তো তার কাজটা বাকি রেখে নীরার গল্প শুনে কিছুক্ষণ হাসবে ওর সাথে। কণা হয়তো সেলফি তুলার আগেই অয়নকে বলবে পাঞ্জাবিতে তোমাকে দারুণ মানিয়েছে। আমি সব দৃশ্যগুলোতে কেন হয়ত বললাম কারণ বাস্তবে এইরকম নাও হতে পারে আর মরিচা যে পড়েছে আজ আমার মনে যার ফলে ভালবাসার কথাগুলো আর ছুঁয়ে যায় না।
-কী লিখছ?
-জানি না।
-জানো না মানে!
-সত্যি জানি না। আমি তো লিখতে পারি না আগেও পারতাম না তবে এখন একটুও পারি না।
-তাহলে যে লিখছ?
-হু লিখছি কিন্তু কি যে লিখছি বুঝতে তা কি বুঝতে পারছি না পারলে তুমি একটু বলে দিও তো।
-হু
সুন্দর 🙂
ধন্যবাদ 🙂
:love:
ভালো হইছেরে পিচ্চি।
ধন্যবাদ ভাইয়া 😀
😀 দারুন
ধন্যবাদ ভাইয়া 😀 😀
আশেপাশে তাই হচ্ছে । মাঝে মাঝে আমি নিজেও স্মার্ট ডিভাইস নিয়ে এতটাই বিজি থাকি ।
ভালো লেখা 🙂
🙁
ধন্যবাদ 😀
বাহ.. বাহ… :love:
অনেক অনেক ধন্যবাদ :love: :love:
ডিভাইসেই মুক্তি 8)