ছেলেটা

হলুদ দুপুর।
ছেলেটা করিডোর ধরে এগিয়ে যেতে থাকে।
হঠাৎ করে সে ছুটতে শুরু করে।
করিডোরটা হঠাৎ করেই পরিণত হয় একটা পরিত্যক্ত রানওয়েতে পরিণত হয়।
চারপাশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ভাঙ্গা প্লেন-হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ।
তার মাঝে দিয়েও ও ছুটতে থাকে।
দূরে একটা ইউক্যালিপ্টাসের চূড়া দেখা যাচ্ছে, তার পাশে ড্যাফোডিলের একটি চারা।
ছেলেটা ছুটছে তো ছুটছেই!
রানওয়ে হঠাৎ করেই এবার সমুদ্রতটে রূপান্তরিত হয়।
সাগর থেকে ধেয়ে আসা ঢেউগুলো প্রচণ্ড গর্জন করে হামলে পড়তে থাকে।
কামনার স্বরে আকাশ সমুদ্রকে ডেকে ওঠে চিৎকার করে।
ছেলেটা তখনও ছুটছে।
সমুদ্রের বুক থেকে তখন হিমালয় পর্বত জেগে উঠছে!
মাটির বুক কাঁপতে থাকে ভয়ঙ্করভাবে।
তার মধ্য দিয়েও ছেলেটা ছুটছে।
হঠাৎ ছেলেটা সমুদ্রতটের বালির মাঝে এক মুঠো তারা দেখতে পায়।
সে থমকে দাঁড়ায়।
মন্ত্রমুগ্ধের মত সে সামনে এগিয়ে যায়।
হাত বাড়িয়ে তারাটাকে ছুঁতে যায় সে।
কিন্তু…
তারাটাকে ছোঁবার সাথে সাথেই ছেলেটার গায়ে আগুন লেগে যায়!
মুহূর্তের মাঝে তার পুরো দেহটা পুড়ে ছাই হয়ে বাতাসে ভেসে যায় বহুদূরে…
সমুদ্রের বুক চিরে ততক্ষণে হিমালয়ের সচূড় উত্থান, বালির বুকে পড়ে থাকে এক মুঠো তারা…

অনুজ সম্পর্কে

সাদা কাগজে কালো কালিতে লিখতে গেলে হয়ত লিখতে হবে - প্রথমত আমি রক্ত মাংসে গড়া এক মানুষ, দ্বিতীয়ত চিরন্তন সত্য, মৃত্যুর সাথে করি বসবাস... https://www.facebook.com/CoercedAnuj
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে হাবিজাবি-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , , , , , , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

2 Responses to ছেলেটা

  1. শারমিন বলেছেনঃ

    🙁 🙁 🙁

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।