অতিথি পরিচিতি: ১

-এক্সকিউজ মি!আমি কি আপনাকে চিনি?
-স্যরি?
-বলছি আমি কি আপনাকে চিনি?
-আপনি আমাকে চিনেন কিনা তা আপনি নিজেকে প্রশ্ন না করে আমাকে প্রশ্ন করছেন কেন? তাছাড়া আমাকে চেনার কোনো সম্ভাবনা কিংবা প্রয়োজন কোনোটিই আমি দেখছি না। আপনার কোথাও একটা জায়গায় ভুল হচ্ছে।
-আপনার স্বভাব যে কাকের মতন,তা কি আপনি জানেন?
-জানলাম কেবল আপনার কাছ থেকে,সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!
-একি আপনি রাগ করেননি?
-জ্বি না। কারণ আপনি আমাকে চেনেন না,এটা আমি শিওর হলাম এবং কোনো একটি বিচিত্র কারণে আপনি শুরু থেকেই আমায় রাগাতে চাইছেন। হতে পারে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরেছেন যার শর্ত হলো আজকের দুপুরের লাঞ্চ ট্রিট হিসেবে পাওয়ার জন্য একটা অপরিচিতাকে রাগিয়ে তুলতে হবে!
ঠিক বললাম?

রংধনুর চেহারা পুরোপুরি ধূসর হয়ে গেছে ততক্ষণে!সে হা করে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না।

মেয়েটি আবার বলা শুরু করলো মুচকি একটা হাসি ঠোঁটে স্ট্যান্ড বাই করে।
-আপনার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে আপনি একটুপরই বাজিতে হেরে যেতে বসেছেন। কারণ আমার ধারণা আপনার বন্ধুরা আশেপাশে কোথাও দাঁড়িয়েই এই বিনা টিকিটে মঞ্চায়িত নাটক উপভোগ করছেন এবং তারা এতক্ষণে আমার হাসিমুখ দেখে শিওর হয়ে গেছে যে আমি রাগিনি। আপনার জন্য খুবই দুঃখিত। দশ টাকায় দুটো সিঙারা খেয়ে নেবেন,পকেট থেকে নোটটা বের হয়ে আছে। ভালো থাকবেন। আমার ক্লাস আছে। আসি।

মেয়েটি চলে গেছে। কিন্তু কি যেন নিয়ে গেছে সে সঙ্গে করে! রংধনু বুঝে উঠতে পারছিলো না কিছুই। কেমন যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে। মেয়েটি যাওয়ার পেছন পেছনেই বর্ণা,তানি,সুপ্ত,শয়ন,সত্য জবাফুল গাছের পেছন থেকে বেরিয়ে আসলো। সবাই একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছে মেয়েটি কি বললো না বললো সে সম্পর্কে,রংধনু ঘাপটি মেরে আছে তো আছেই,কিচ্ছুটি বলছে না! বর্ণার সেই জগ্দখ্যাত চিমটিতে সে পুরোপুরি সচেতনতার প্রকাশ করলো বিকট চিল্লাফাল্লার মাধ্যমে। কিছুক্ষণ সমানে বর্ণাকে বকলো, এরপর পুরো ঘটনা বর্ণনা করলো।
বর্ণা তো প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাচ্ছিলো না। ভাবছিলো রংধনু গুল মারছে হেরে গেছে বলে। তানির আবার এদিকে ভুতে প্রচুর বিশ্বাস যেন সে প্রত্যেকদিনই ভুতের সাথে ব্রেকফাস্ট করে বাসা থেকে বেরোয়! যাই হোক,সে ভাবছে, মেয়েটার সাথে একটা জ্বীন আছে,সেই জ্বীনই মেয়েটাকে তাদের এই প্ল্যানিংয়ের ব্যাপারে বলেছে!সে আয়াতুল কুরসি পড়ে সবার গায়ে ফু দিতে লাগলো। একটা কোণায় চুপচাপ শুধু সত্য বসে আছে,কিছুই বলছে না। শয়নের বাবা ফোন করেছিলো ঘটনা বিবৃতির মাঝখানেই,সে অনেক আগেই কেটে পড়েছে।
সত্য মেয়েটাকে নিয়ে ভাবছে- অপরিচিতাকে পরিচিতায় পরিণত করতে হবে!
কি এমন আছে মেয়েটার মাঝে যে সে হড়বড় করে এতগুলো কথা হুবহু বলে ফেললো? সত্য ভাবছে মেয়েটার সাথে দ্বিতীয়বার কিভাবে দেখা করা যায়,কোথায় গেলে মেয়েটার খোঁজ পাওয়া যাবে। পরদিন সে কাউকে কিছু না বলেই একই সময়ে টিএসসি যায়,অপেক্ষা করতে করতে চারপাশে খুঁজতে থাকে মেয়েটিকে।
-বাইজান, বিট লবণ দিয়া ফাঁশ টেহার (পাঁচ টাকার) বাদাম দেই?
-দাও।
সত্য বাদাম কিনলো ছেলেটার কাছ থেকে। খোসা ছাড়িয়ে বাদাম খাচ্ছে আঙুলের মাথায় বিট লবণ নিয়ে জিভে লাগিয়ে। প্রায় সোয়া এক ঘন্টা অপেক্ষা করলো সে। মেয়েটির নামগন্ধ নেই। ভাবলো, মেয়েটি হয়তো আজ আসবে না। উঠে পড়লো সে। উদ্দেশ্য জাকিরের দোকানের স্পেশাল গুড় চা খাওয়া,এরপরের গন্তব্য ঝিকাতলা। ক্লাস এইটের একটা ছেলেকে পড়ায় সত্য। তাকে যতই বোঝানো হোক যে কম্পন থেকে শব্দের উৎপত্তি,সে বলবে,” না ভাইয়া,শব্দ আর কম্পনের মাঝামাঝি কোনো একটা ব্যাপার আছে,সেখান থেকে শব্দের উৎপত্তি।
আচ্ছা,মেয়েটা কি সাইকোলজিতে পড়ে? হতেও পারে। এসব ভাবতে ভাবতে সত্য জাকিরের দোকানে চলে এসেছে।
-সালাম ভাইজান। (জাকিরের দন্ত বিস্তৃত হাসি)
-ওয়া আলাইকুমুসসালাম। কি খবর জাকির?
-জে,ভালো। কি দিমু,ভাইজান?
-একটা স্পেশাল গুড় চা দাও।
জাকিরকে চা দিতে বলে সামনে তাকাতেই একটা মেয়েকে দেখলো নিচু হয়ে মাটি থেকে কিছু নিচ্ছে,হয়তো হাত থেকে কিছু পড়ে গিয়েছিলো। একটু ভালো করে তাকাতেই খেয়াল করলো এটা গতকালের সেই মেয়েটা। এদিকেই আসছে,চোখে এক ধরনের হাসি খেলছে,আহামরি রূপসী নয়,তবে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে একটা মায়া পড়ে যায়। সত্যের পাশে এসেই বসেছে,হাতে একটা কাগজের প্যাকেট। সত্যের দিকে তাকিয়ে ভদ্রতার হাসি হাসলো মেয়েটা। সত্য নার্ভাস হয়ে পড়ছে। ভেবে রেখেছিলো মেয়েটার সাথে দেখা হলে কথা বলবে,গতকালের কথাগুলো জিজ্ঞেস করবে,এখন সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। মেয়েটাও গুড় চা দিতে বললো। সত্য ভাবলো,যাক! চা খেতে খেতে আলাপ করাটা সহজ হবে। চা আসুক।
-আপনি অনেকক্ষণ ধরেই ইতস্তত বোধ করছেন আমি পাশে বসার পর থেকে। আমি কি আপনার কোনো অসুবিধা করলাম?
(ঠোঁটে মুচকি হাসি)
-না না!অসুবিধা কেন হবে? অসুবিধা হচ্ছেনা।
-আপনি বোধ হয় কিছু বলতে চাচ্ছেন। বলতে চাইলে বলে ফেলুন।

এর মাঝে জাকির চা দিয়ে গেলো।
– আসলে গতকাল আমার একটা বন্ধু আপনার কাছে গিয়ে নাজেহাল হয়ে এসেছে। তাই আপনার সম্পর্কে কৌতূহল হচ্ছিলো।
-আর এই কারণেই আপনি বিকেল তিনটা থেকে টিএসসিতে এসে বসে আছেন,তাই না?
(ঠোঁটে মুচকি হাসি লেগেই আছে যেন মেয়েটা খুব মজা পাচ্ছে সত্যের অবাক হওয়া চেহারা দেখে।)
-কিভাবে বুঝলেন যে আমি তিনটা থেকে বসে আছি?
-সিম্পল! আপনার আমার প্রতি কৌতূহল আর আমাকে পর্যবেক্ষণের ধরণ এবং অস্থিরতার অপ্রস্তুত চেহারা দেখে বুঝলাম।
-আপনি সাইকোলজিতে পড়েন?
হাসতে হাসতেই মেয়েটা বললো,না না।আমি ফাইন আর্টস নিয়ে পড়ছি।
-তাহলে এভাবে করে সবকিছু কিভাবে বলে ফেলেন?
-বলছি। তার আগে বলুন,আপনি আজ টিউশনিতে যাবেন না?
-টিউশনিতে যাবো কি করে বুঝলেন?
-চা শেষ করার পর থেকে আপনি কয়েকবার ঘড়ি দেখছিলেন।সময় এখন বিকেল পাঁচটা প্রায়,স্টুডেন্ট স্কুল থেকে ফিরেই আপনার কাছে পড়তে বসে। তাছাড়া বুকপকেটে একটা কাগজের অংশ বের হয়ে আছে যেখানে পিথাগোরাসের নাম অর্ধেকের বেশি দেখা যাচ্ছে,যার অর্থ দাঁড়ায় আপনি ক্লাস এইটের কাউকে পড়ান এবং তার থেকে আজ জ্যামিতির উপর পরীক্ষা নেওয়ার কথা।
সত্য অবাক হবে না হবে না করেও অবাক হতে বাধ্য হলো এই মেয়ের কথা বলার ভঙ্গিমা দেখে। মেয়েটার মাঝে কথা বলার সময় এতটাই কনফিডেন্স এসে ভর করে যে তা অন্যজনকে কনফিউজড করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট!
-আজ আর যাবো না যদি আপনার গল্প করার সময় থাকে আমার কৌতূহল মেটানোর জন্য।
-সময় আছে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত।
-আমার তাতেই হবে। আচ্ছা আপনি তো আমাকে চেনেন না। তবুও কথা বলতে রাজি হয়ে গেলেন কেন?
-আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আপনার কৌতূহল মেটাতে মেটাতে আপনি নিজেই পাবেন।
-আপনার নামটা জানা হয়নি।
-অতিথি।সাহসিকা প্রান্তিক অতিথি।আপনার?
-সত্য। বলুন এবার আপনার গতকালের আচরণের ব্যাখ্যা।
-আমি ফাইন আর্টসে অনার্স থার্ড ইয়ারে আছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। একটা অনাথ আশ্রমে বড় হয়েছি,কারণ ছোটোবেলায় বাবা মা দুজনই মারা যান ডাক্তারের চেম্বার থেকে মায়ের আল্ট্রাসনোগ্রাফি করিয়ে ফেরার পথে। মা সাড়ে সাত মাসের প্রেগনেন্ট ছিলেন। সিএনজি এক্সিডেন্টে দুজনই প্রচণ্ড আহত হন। মা হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মারা যান প্রচুর রক্তপাতের কারণে,বাবার স্পটডেড হয়। তখন আমার বয়স পাঁচ বছর। কোনো আত্মীয়স্বজন বাবা মাকে কবর দিতে আসেনি। কারণ বাবা হিন্দু থেকে কনভার্ট হয়ে মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন আর তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করেন। পাড়াপ্রতিবেশীরা মিলেই কবর দিলো আর সবাই সম্মিলিত উদ্যোগে আমাকে একটা আশ্রমে দিয়ে আসলো। তখন থেকেই আমি একাই থাকতাম বেশিরভাগ সময়। পুতুল খেলা কিংবা কানামাছি খেলার চাইতেও আমি অন্য একটা ব্যাপারে আকর্ষণ সবচাইতে বেশি খুঁজে পেলাম। বলতে পারেন তার থেকেই আমার ফাইন আর্টস নিয়ে পড়া। আমার একমাত্র প্রিয় শখ হচ্ছে মানুষ পর্যবেক্ষণ করা। চারপাশে নিত্য নতুন মানুষের অভাব হয় না। প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে মিল যেমন আছে,ভিতরগত দিক থেকে অমিলটা বেশি প্রকট আরো। অনেকেই সেটা ধরতে পারে,বেশিরভাগই পারে না,আবার পারলেও বুঝে উঠার সময়টা পায় না। একটা খেলা যখন আমরা শুরু করি,তখন দেখা যায়,একটা সময় না একটা সময় তা পুরোনো হয়ে যায়,তার নিয়মকানুন একঘেঁয়ে হয়ে যায়। মানুষ দেখার বেলায় এই জিনিসটা হয় না। কোনো নিয়ম ছাড়া অত্যন্ত সুশৃঙ্খল একটি খেলার মত মানুষ দেখাটা। উপাদানেরও অভাব নেই। আপনার সাথে আমি এই কারণেই কথা বলতে রাজি হয়েছি কারণ আপনি আমার কাছে একটি ইন্টারেস্টিং বিষয়! প্রত্যেকটা মানুষই আসলে ইন্টারেস্টিং তাদের আচরণগত দিক থেকে। একটা মানুষ কেন বিরক্তিকর হয়ে উঠছে,সেই ব্যাপারটাও মানুষকে ইন্টারেস্টিং করে তোলে। এসব নিয়ে ভাবতে আমি ভালোবাসি,পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি বলে পর্যবেক্ষণ করতে হয় এমন সাবজেক্ট পাঠ্য হিসেবে বেছে নিয়েছি। আপনার বন্ধু গতকাল কথা বলার সময় প্রথমদিকে খানিকটা ইতস্তত করছিলো। পরমূহুর্তেই ইতস্ততা কেটে গেলেও কনফিডেন্স পাচ্ছিলো না তেমন একটা। বারবার আমার বিপরীত পাশে থাকা জবাফুল গাছের ঝোঁপের দিকে তাকাচ্ছিলো। যেহেতু দুপুর টাইম ছিলো এবং তার কাছে শেষ সম্বল তখন পর্যন্ত দশ টাকা বাস ভাঁড়া ব্যতীত আর কিছু ছিলো না,সেই সম্বলও সে পকেটমারের ভয়ে প্যান্টের পকেটে না রেখে বুক পকেটে রেখেছিলো,এ থেকে সহজেই আন্দাজ করা যায় বাজিটা খাওয়া সংক্রান্ত ছিলো। আর মিথ্যে বলার সময় চোখের দিকে কেউ বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারে না। আপনার বন্ধু প্রথম বাক্যেই সেই শর্ত পূরণ করেছেন। সে থেকেই ধরে নেওয়া যায়,তিনি কোনো স্বার্থের উদ্দেশ্যে মিথ্যে বলে রাগাতে চাইছিলেন।

একটানা কথা বলার পর মেয়েটা একটু থামলো ঠোঁটে ভদ্রতার হাসি খেলিয়ে। তারপর আবার বললো,
আর কিছু জানতে চান?
-আমাকে কি দেখলেন?
-আপনি ফিজিক্সের ছাত্র। চায়ের কাপ দেওয়ার সময় বাঁ হাতের তালুতে চোখ যেতেই কাপটা দিয়ে দেওয়ার পর ডান হাত দিয়ে বাম হাত ঘষছিলেন,সেখানে হাল্কা করে আপেক্ষিকতার সূত্রের নিচে সেগুলোর মান বসানো ছিলো। আপনার মা এখানে থাকেন না। দুপুরে তরকারি রাঁধতে গিয়ে হাত হলুদ করেছেন। আপনার কোলে রাখা ব্যাগটি বলে দিচ্ছে আপনার বাবা অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা।তিনিও এখানে থাকেন না। আপনার বাড়ি রাজশাহীতে। কথায় কিছুটা টিউন আছে ওই অঞ্চলের ভাষার। যদি আমি ভুল না হয়ে থাকি,আমার ধারণা,আপনি এমন একটা সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন,যার ব্যাখ্যা আপনার কাছে নেই। তাই আমার সম্পর্কে কয়েকটা কথা শুনেই আপনার মনে হয়েছে আপনার সমস্যার সমাধান বা ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবো,কারণ আপনি ভেবেছেন আমার কোনো অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা আছে।তাই আপনি খুঁজে খুঁজে আমাকে বের করার চেষ্টা করেছেন।
মিললো সব ঠিকঠাক?
-জ্বি মিলেছে। আপনি ধর্মে বিশ্বাস করেন?
-সব ধর্মেরই এক বাণী,শুধু রং ভিন্ন তাদের। সব ভালোতেই বিশ্বাস আছে। আর খারাপ কিছু দেখলে তাতে ভালোর উৎস খুঁজে ফিরি। আমি বিজ্ঞান এবং রহস্য- দুটোই বিশ্বাস করি। রহস্য ছাড়া বিজ্ঞান হয় না,বিজ্ঞান ছাড়া রহস্য হয়। সৃষ্টকর্তা রহস্য,বিজ্ঞানের ক্ষমতা সৃষ্টকর্তার আগ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।
-আমার সমস্যাটা আমি মেনেও নিতে পারছি না,ফেলেও দিতে পারছি না।
-সাতটা বেজে গেছে। আমায় হলে ফিরতে হবে। আপনার কথা আরেকদিন শুনবো। মেইল অ্যাড্রেস দিচ্ছি,মেইলে কন্টাক্ট করবেন যদি প্রয়োজন মনে করেন। যথাসাধ্য চেষ্টা করবো আপনার প্রয়োজন মেটানোর। তবে আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র,সমস্যার মাঝেই একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে আপনি সমাধানও খুঁজে পাবেন। প্রত্যেকটি প্রশ্ন এক একটি উত্তরের আয়না।

অতিথি চলে যাচ্ছে। সত্য তাকিয়ে আছেতার চলে যাওয়ার দিকে। আর ভাবছে,
প্রত্যেকটি প্রশ্ন এক একটি উত্তরের আয়না। শব্দ আর কম্পনের মাঝে যদি একটা আয়না থাকে,তাহলে শব্দ আর কম্পন- দুটোর মিশ্র প্রতিফলনে যা সৃষ্টি হয়,তার থেকে শব্দের উৎপত্তি হতে পারে!
আচ্ছা,কোন্ ধরনের প্রতিফলনে একই চেহারার দুটো বিম্বের সৃষ্টি হয় আয়নায়?! এই প্রশ্নের উত্তর অতিথি নিশিচয়ই জানে!! মেইলটা মনে মনে গোছাতে গোছাতে সত্য সোডিয়াম বাতির আলোয় হাঁটতে থাকে।

মিষ্টি ডানা সম্পর্কে

অসংজ্ঞায়িত!!
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে গল্প-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

4 Responses to অতিথি পরিচিতি: ১

  1. রুহশান আহমেদ বলেছেনঃ

    তারপর?
    শার্লক হোমসের ফিমেল ভার্সনের স্বাদ পেলাম।

  2. মিষ্টি ডানা বলেছেনঃ

    লিখবো,ধাপে ধাপে। মন্তব্যটি উৎসাহিত করলো। ধন্যবাদ! :happy:

  3. অনুজ বলেছেনঃ

    সত্যরা সোডিয়াম বাতির আলোয় একটু একটু করেই হাঁটতে থাকে, হেমন্ত আকাশ ওদের মেঘের ছায়া দিয়ে যায়… হাজার হোক, অতিথি বলে কথা! 🙂

  4. শারমিন বলেছেনঃ

    অনেক ভালো লেগেছে
    আরও পড়তে চাই 😀

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।