ডিসেম্বর ২০১৪ এর কথা। আব্বু প্রবাস থেকে আসার সময় আমার আবদারের পেন ট্যাবলেটটা নিয়েই আসলো! পেনসিলে ছবি আঁকার অভ্যাস বহুদিনের, সরবেও কার্টুন এঁকেছি বেশ কয়েকটি, সবই কাগজ-পেনসিলে। ডিজিটাল টুলে আঁকার অভিজ্ঞতা পুরোপুরি নতুন! দুই দিন গুঁতাগুঁতির মাথায় কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য এলো, এঁকে ফেললাম প্রীণন খালামনিকে।
তখন চলছিল পরীক্ষা মৌসুম। বলাই বাহুল্য, পরীক্ষার সময় পরীক্ষা ছাড়া আর সবকিছু ভালো লাগে! :penguindance: পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিন রাত বসে রইলাম পেন ট্যাবলেট নিয়ে। চার দিন পর ভাবলাম রঙিন ছবি আঁকার একটা চেষ্টা দেয়া যায়! ডিপার্টমেন্টের লিজেন্ডারি সিনিয়র ইলা আপুকে গিনিপিগ বানালাম রঙিন পোরট্রেইটে আমার প্রথম এক্সপেরিমেন্টে 😀
প্রিয় বন্ধু লাজ বলেই ফেলল, রাইয়্যান, ডু মি ওয়ান। সো আই ডিড হিম ওয়ান, ২৪ ডিসেম্বর! এবার মনোযোগ দিলাম ডিটেইলসে।
মাঝে বিশাল বিরতি! ক্লাস ল্যাব পরীক্ষা মিলে যাচ্ছেতাই অবস্থা। তবে বিভিন্ন টেকনিক শেখা ও প্র্যাকটিস চলছিল। ১২ এপ্রিল কন্ট্রোল সিস্টেমস ল্যাবে বসে আড্ডা মারছিলাম, সব কাজ করছিল বন্ধু আকাশ। বেচারা এতটা একমনে কাজ করে যাচ্ছিল, আমি যে আরেক বন্ধুর স্মার্টফোনে ওকে এঁকে ফেলেছি টেরও পায়নি! 😀
এই আঁকা দিয়ে হঠাৎ মনে পড়লো, আরে! আমার ট্যাবটায় তো ধুলো জমে যাচ্ছে! একটু আঁকাআঁকি করাটা আসে! মিডটার্মের ব্রেকে, ক্লাস খোলার ঠিক আগের দিন আঁকলাম বনজঙ্গল 😛
এবার কী আঁকা যায়? ভাবলাম, একটু রিস্ক নিয়ে হলেও মারমেইড আঁকাটা আসে! অলওয়েজ হ্যাড আ থিং ফর মারমেইডস! :love:
মাঝে আরেকটি পোর্ট্রেইট এঁকেছিলাম, সেটি অনুমতি ছাড়া পোস্ট করা ঠিক হবে না। আর সর্বশেষ আঁকলাম আমাদের পছন্দের একজন শিক্ষক ডালিম স্যারকে, স্যার পিএইচডি করতে যাবার আগে বুয়েটে শেষ ক্লাসটা নিয়েছেন আমাদের সাথেই।
:huzur: :huzur:
:thinking:
ওয়াও!! গ্রেট!!
:huzur: :huzur: :huzur:
ধন্যবাদ! 😀
ভাই সোজা বাংলায় বললে অসাধারণ 😯
অসংখ্য ধন্যবাদ! 😀 😀 😀 😀 😀
কী সুন্দর! :huzur:
আমি অইরকম জঙ্গল আঁকতে চাই :crying:
ছবিগুলোর মধ্যে জঙ্গল আঁকাটাই সবচেয়ে সহজ ছিল 😛
আর মারমেইড ছিল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং 😛
বোঝাই যাচ্ছে 🙂
😀 বাহ, সুন্দর এঁকেছ তো। :huzur:
ধন্যবাদ! 😀 😀 😀 😀 😀