আমাদের দেশে চলতে ফিরতে ইভটিজিং এর শিকার হয় নি এমন মেয়ের সংখ্যা মনে হয় হাতে গোনা যাবে।বেশিরভাগ সময়ই মেয়েরা সেটা উপেক্ষা করে যায়, কিন্তু আমার সেটাও করতে হত না। কারণ আমি সাধারণত ব্যাপারটা টেরই পেতাম না!
হঠাৎ দেখতাম আমার বন্ধুটি রেগে বলছে, “দেখলি ছেলেটা কি বলল!”
আমি আকাশ থেকে পড়ে বলতাম, “কিছু বলসে নাকি?!”
কিন্তু সেদিন ব্যাপারটা টের না পাওয়ার মত ছিল না।হুড ফেলে রাখা রিকশাটি ফুটপাথ ঘেঁষে সিগনালে দাঁড়িয়ে ছিল,আমি তাতে একা।হঠাৎ পাশেই ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ছেলে গান গাওয়া শুরু করল।
বুঝতে পারা মাত্রই আমার প্রথম চিন্তা ছিল,হুডটা উঠিয়ে দেয়া উচিত,কিন্তু লজ্জায়-অপমানে আমি একদম জমে গেলাম। ঠায় বসে থেকে শুধু মনে হচ্ছিল,যদি আমি কোনভাবে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারতাম!
কিন্তু সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার ছিল, ছেলেটা অসাধারণ সুন্দর গান গায়!!
একদিকে আমি সিগনাল না ছাড়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশকে অভিশাপ দিচ্ছি,অন্যদিকে ভাবছি, “আহা কি সুন্দর গানের গলা!ভাই আপনি রাস্তায় মেয়েদের টিজ না করে ক্লোজ আপ ওয়ানে গেলেই পারেন!”
সেদিন আমি অনুধাবন করতে পারলাম,ইভটিজিং এর অনেক কুফলের মধ্যে একটি হল,ইভটিজিং-এ ব্যস্ত থাকায় দেশ কিছু প্রতিভাবান শিল্পী থেকে বঞ্চিত হয়!
কিংবা হয়ত এতটাও বঞ্চিত হয় না,ছেলের প্রথম সিঙ্গেল “রাস্তার মোড়ে,রিকশায় চড়ে,মেয়ে দেখলেই মন আঁকুপাঁকু করে” টাইপ কিছু একটা হতে পারত! 😛
ইয়ে মানে, সেই ইভটিজার এই লেখা পড়লে মনে হয় আরও উৎসাহের সাথে গান গাইতে থাকবে 😛 :haturi: :wallbash:
:welcome:
ধন্যবাদ!! 🙂
লেখাটা চালিয়ে যাস…অনেক শুভকামনা… :happy:
ইনশাল্লাহ! 😀
তোমার কাছ থেকে নিয়মিত লেখা চাই :happy:
:welcome:
চেষ্টা থাকবে লেখার! ধন্যবাদ!!
😀