সাকা মুজাহিদ এর ফাঁসির পরবর্তী ফেইসবুক প্রতিক্রিয়া

আমরা বাংলাদেশীরা ফেইসবুকে অনেক প্রতিক্রিয়া দেখাই  কিন্তু সেটা কয়েক দিন পরই আবার ভুলে যাই।

 

বাতাস পবিত্র হওয়া

এক ব্লগার লিখেছেন “আজকের বাতাসটা বিগত দিনগুলোর চাইতে একটু বেশী নির্মল লাগে…

অভিনন্দন বাংলা ব্লগের সেই সকল যোদ্ধাদের… যারা খাইয়া না খাইয়া যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে অটল ছিল…

আগামী প্রজন্মের কাছে নিজের অবস্থান আরেকটু পরিষ্কার করতে পারলাম…”

 

আরেকজন লিখেছেন

কাল দেশে ফিরবো, আগের চেয়ে অনেক পরিষ্কার নিজ দেশের মাটিতে ফিরবো – ভাবতেই ভালো লাগছে। অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ হল গতরাতে…

GOOD MORNING BANGLADESH!

‪#‎জয়_বাংলা‬
‪#‎keep_clean_banglar_mati‬

 

“ত্রিশ লাখ মানুষ হত্যা, ৬ লক্ষাধিক নারীকে অকল্পনীয় শারীরিক নির্যাতন করেছে পাকিস্তানী আর্মি ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস এরা। এদের মধ্যে ৪ জনকে ৪৪ বছর পর ফাঁসি দেওয়া গেল। দীর্ঘ ও সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে। ভয়াবহ নৃশংস আচরণের বিপরীতে প্রচণ্ড মানবিক বিচার। ত্রিশ লাখ শহিদের মাঝে অনেককে জবাই করে হত্যা করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত নৃশংসতা আর কোন জাতি দেখে নাই।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার খুব সরলীকরণ করলে আমার কাছে এর স্বরূপ জামাত-শিবিরমুক্ত একটি বাংলাদেশ। রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীমুক্ত একটি বাংলাদেশ।

শেখের বেটিকে আরেকবার লৌহ মানবী বলতে হবে। আন্তর্জাতিক হুমকি ধামকি তাকেই সামলাতে হয়, সবটা আমজনতা পর্যন্ত পৌছায় না। এ বড় কঠিন কর্ম। ধারণার অতীত।

জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।”

 

“কাল থেকে যারা বাংলাদেশে জন্মাবে তাদের নিশ্চয়ই মনে মনে অন্যরকম খুশি থাকবে যে তারা সাকামুক্ত বাংলাদেশে জন্মেছে।”

জোক করা

“সাকা চৌধুরী বড়ই রসিক মানুষ ছিলেন । সর্বশেষ তার “প্রাণ ভিক্ষা” নিয়েও জাতির ভালোই মশকরা করে গেলেন । ভাবটা এমন জানি, মাফ না চাইলেই সে নির্দোষ প্রমান হয়ে যায় !!

যাই হোক, ছোট বেলায় একটা কৌতুক শুনেছিলমা; তাই শেয়ার করি এই রসিক রাজাকারের জন্য,

এক লোক বাজার থেকে কিছু একটা চুরি করেছে । বিচারে শাস্তি সাবস্ত হলো যে, বাজারে সবার সামনে তাকে ১০টা জুতার বাড়ি মারা হবে । যথারীতি তা কর্যকরও করা হলো ।

বাড়ি ফিরে সে তার বউরে বলছে, বুঝলা বউ, আজকে বাজারে চুরি করতে গিয়া ধরা খাইছিলাম । ১০টা জুতার বাড়ি দিয়ে ছেড়ে দিছো । কিন্তু কোন শালার বেটার সাধ্য হয় নাই আমারে আপমান করে !!!”

গানের কথা শেয়ার করা 

 

“”বার বার ঘুঘু এসে খেয়ে যেতে দেবো নাকো আর ধান
বাংলার দুশমন তোষামোদী-চাটুকার সাবধান সাবধান সাবধান
এই দিন
সৃষ্টির উল্লাসে হবে রঙিন
আর মানি না মানি না কোনও সংশয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়”

 

“রাজাকারের বিচার চেয়ে লেখা গান বেশি নাই। ফকির লাল মিয়া একটা গেয়েছিলেন। শেয়ার দিয়েছিলাম ৪ বছর আগে এই দিনে। সবগুলো রাজাকারের বিচার হয়তো হবে না। তবে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে এদের শীর্ষস্থানীয়রা বিচার এড়াতে পারেনি এটা অন্তত আমরা বলতে পারবো ভবিষ‍্যত প্রজন্মকে। জয় বাংলা।”

ক্ষমা চাওয়া বিষয়ক

 

“ক্ষমা চাইতে গেলে দোষ স্বীকার করতেই হবে। অন্তত ব্যাকরণ তাই বলে। দেখা গেল রাষ্ট্রপতি হঠাৎ দয়া পরবশ হয়ে ক্ষমা করেই দিলেন, সেই ক্ষেত্রে এই দোষ স্বীকারের ঘটনাটা দেখা যাবে জামাত বিএনপি সমর্থকরা নজরেই আনবে না। উল্টা শুকুর করা শুরু করবে জান বাঁচাইতে মিথ‌্যা বলা হালাল ইত্যাদি। ক্ষমা করলে সব মিলিয়ে কোন লাভ নাই মহামান্য রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা করি তিনি নিশ্চয়ই বুদ্ধিজীবি হত্যার আসামীকে ক্ষমা করবেন না। যেমন করেন নাই বঙ্গবন্ধু হত্যার আসামীকে।”

সেজান মাহমুদ, গীতিকার, স্বাস্থ্য বিষয়ক এক্সপার্ট লিখেছেন

“এই স্ট্যাটাসটি লিখেছিলাম ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের পক্ষে বলেছিলাম। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীরা কখনো স্বীকার করে নি তারা ভুল করেছিল; পৃথিবীর ইতিহাসে এমন গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেও দম্ভভরে জামায়াত বাংলাদেশের গদিতে বসেছে। এর জন্যে দায়ী ছিল দেশের দুই প্রধান দল। আজকে সাকা এবং মুজাহিদের মতো উচ্চ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধী একাত্তরের সমস্ত অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষা চেয়েছে। এটা ঐতিহাসিক বিজয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো এইসব যুদ্ধাপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তাই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট সমস্ত আইন এবং নৈতিকতার দিক থেকে। এই বিচার সম্পন্ন করে পৃথিবীর বুকে আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টি করা হোক। এভাবে যেন সব দেশের মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়, আমেরিকা, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্সসহ বড় বড় দেশেরও।”

পাপমুক্তি নিয়ে

“অাদিপাপের দায়মুক্তি, নতুন দায় গ্রহণের পালা। মানবতা ফিরে অাসুক সবার জীবনে। একটি প্রতীক্ষিত বিচার অারো ন্যায়ের প্রতীক্ষা বাড়ায়।”

 

“বাংলাদেশ দায়মুক্ত হইতে দেরী আছে। নিজামী বাকি, একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পাকাপাকি অধিষ্টান জরুরী। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধী সংগঠনহিসেবে জামাতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা এবং বিচার..”

 

পাপমুক্তি বিষয়ে ভিন্ন আলোচনা 

“মার্কসের উপরে ক্রিশ্চিয়ান থিওলজির যে প্রভাব, তা আমারে সম্ভবত মুঈন উদ্দিন স্যারই বলছিলেন একদিন। যেহেতু ইহুদি, ফলত ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে সেই সময়ে অস্পৃশ্য ছিলেন মার্কস, বন্ধু এঙ্গেলস, যিনি পারিবারিকভাবে প্রটেস্টেন্ট খ্রীষ্টান ছিলেন, মার্কসরে বুদ্ধি, পরামর্শ ও প্রতিপত্তি দিয়ে প্রমোট করতেছিলেন।

তো অাদিপাপের দায়মুক্তি নিয়ে আমাদের বামপন্থি তরুণদের ভাবনা দেইখা, সেই পুরনো কথা নিয়ে ভাবছি। ক্রিশ্চিয়ান থিওলজির বাইরে, এরা কোন ঘটনা, রাজনীতি, সংগ্রাম, অপরাধ ও বিচারব্যবস্থা কল্পনা করতে পারে না। কেন পারে না?”

 

আবেগি স্ট্যাটাসঃ

 

ওয়ারিশ আজাদ নাফি লিখেছেন 

 

“ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ শহীদদুল্লাহ কায়সার কে মুজাহিদের আলবদর সদস্যরা ধরে নিয়ে যাওয়ার আগে স্ত্রী পান্না কায়সারকে শহিদুল্লাহ কায়সার মৃদু হেসে বলেছিলেন ” ভালো থেকো। ”
.
মেয়ে শমী কায়সার তখন মায়ের কোলে শুয়ে ফিডারে দুধ খাচ্ছে। আসেনি ফিরে শহীদুল্লাহ কায়সার্। মুজাহিদের বদর বাহিনি কেড়ে নিয়েছিল শহীদুল্লাহ কায়সারের প্রাণ
.
আগুনের পাখি সেলিনা পারভীন কে আলবদরেরা ধরে নিয়ে যাওয়ার আগে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে সেলিনা পারভীন বলেছিলেন ” ভাত খেয়ে নিও সুমন। আমি যাব আর আসব। ”
রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে সেলিনা পারভীনের লাশ পাওয়া গিয়েছিল। পায়ের সাদা মুজা দেখে তার লাশ সনাক্ত করা হয়
.
রুমী ,বদি, আজাদ ,আলতাফ মাহমুদ ,হাফিজদের টর্চার সেলে আটকে রেখে নিজামী মুজাহিদেরা পায়ের নখ উপড়ে ফেলেছিল চিমটা দিয়ে। টর্চারের প্রচন্ডতায় ইলেক্ট্রিক সকেটে আঙ্গুল ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বদি। আসেনি ফিরে আমাদের ক্র্যাক ছেলেরা
.
দিস ইজ দা টেল অফ আওয়ার বার্থ
আজকে তাই সেই বদর কমান্ডার মুজাহিদের প্রাণ ভিক্ষায় আমার দিলে একটুও মানবতা বোধ জাইগা উঠেনা। আমার প্রতিশোধের তীব্রতা ৪৪ বছরের মানবতার ফিল্টারে ঢাকা পইড়া যায়না।
.
আমি দেখি আজাদের মা রে। ছেলে মৃত্যুর আগে ভাত পায়নি বলে মরণের আগ পর্যন্ত ভাত না খেয়ে থাকেন যে মা
.
আমি দেখি শহীদ আলতাফ মাহমুদের মেয়ে কে। বাবার খুনীকে যে মেয়ে স্বাধীন দেশে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়াইয়া চলতে দেখার কষ্টের দিন পার করতে হয়েছে
.
আমি দেখি রুমির মা জাহানারা ইমাম কে। ছেলেকে দেশের জন্য কোরবান করে দিয়েছিলেন যে মা
.
আমি দেখি সেলিনা পারভিনের সাদা মোজা পড়া বেয়নেটে ক্ষতবিক্ষত লাশ, ফিজিক্যাল কলেজে পাওয়া এক বস্তা চোখ ,হারিয়ে যাওয়া শহীদুল্লাহ কায়সার কে।
.
আজকের রাত আজাদের মায়ের
আজকের রাত আম্মা জাহানারা ইমামের
আজকের রাত আগুনের পাখি সেলিনা পারভীনের
আজকের রাত জিনিয়াস শহীদুল্লাহ কায়সারের
আজকের রাত ঋণ শোধের
কড়ায় গন্ডায় ,পাই টু পাই ,ব্লাড ফর ব্লাড ,ডেথ ফর ডেথ

 

“সুরকার আলতাফ মাহমুদের সাথে আমার না বলা একটা রক্তের সম্পর্ক আছে। মানুষ হিসেবে আমরা সবাই অভিমানী, আমরা অভিমান পুষে রাখি….. যুগের পর যুগ।

কিন্তু আজ শুভ সময়ে মন খারাপ করবো না আসলেই। ভালো যে আমাদের থাকতেই হবে।”

“জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন মনে করছি না আর, আমার বাবাকে মেরে কোথায় ফেলেছিলি। শুভ সময়ে মন খারাপ করতে নেই। আমরা সবাই ভালো থাকবো, আমাদের ভালো থাকতেই হবে। জয় বাংলা।”

শেখ হাসিনার সমর্থনে অনেক অনেক স্ট্যাটাস এসেছে 

“সজাগ থাকার সময় এখন। কি পরিমান ঝড় ঝাপটাকে উড়িয়ে দিয়ে হাসু বুবু যে ইতিহাস তৈরী করলেন, বুঝতে পারলেও জানা নেই। সেই পরিমান নয়, তার চেয়েও অধিক শক্তিশালী বন্ধনের জালের আবরনে বুবুকে জড়িয়ে রাখবার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই। নিজেদের বুক পেতে দেওয়ার সময় এখন। ঝাড়ে বংশে শত্রুকে উপড়ে ফেলার সময় এখন। সজাগ থাকার সময় এখন।”

“সর্বশেষ জীবনের লক্ষ্য: শেখ হাসিনার সাথে একটি সেলফি তোলা।”

“একেকটা রাজাকারের ফাঁসি কার্যকর হয়, আর আমি খালি শেখ হাসিনার কথা ভাবি। কতো হাহাকার ছোট্ট মানুষটার বুকে। বাবা, মা, ভাই, আত্মীয় স্বজন সবাইকে হারানোর হাহাকার। আমরা চিৎকার করতে পারি, আনন্দ করতে পারি। বাপ-মা-ভাই-বোনের কাধে মাথা রেখে হাউমাউ করে কাদতে পারি। হাসু আপা পারে?

হাসু আপা, আমরা আপনার ভাই হবো, আপনার বোন হবো। আপনি একা নন, কখনওই ছিলেন না। যখন যখন আপনার জানের উপর হামলা হয়েছে, আপনার ভাইয়েরা জান দিয়ে মানব ব্যারিকেড দিয়ে আপনার জন্য জীবন দিয়েছে। আপনি একা নন হাসু আপা, আমরা স্বাধীনতাকামী প্রতিটা মানুষ আপনার আত্মার আত্মীয়।

আপনার হায়াত কামনা করি আল্লাহ পাকের দরবারে। বেঁচে থাকুক শেখের বেটি, বেঁচে থাকুক আমাদের আশার বাতি।”

“ধন্যবাদ শেখ হাসিনা। ধন্যবাদ স্বপ্ন দেখতে ভুলতে বসা একজন মানুষকে প্রতিনিয়ত নতুন করে স্বপ্ন দেখার সাহস দেবার জন্য। ধন্যবাদ…”

ইস্যু বিষয়ে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন কেউ কেউ 

জিয়া হাসান লিখেছেন 

গত দিনে জ্বালানি মন্ত্রী বলেছেন, আর কোন বাসা বাড়ীতে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে না- প্রতিক্রিয়া শুন্য।

তার আগে কিছু দিন আগে, সংসদে ঘোষণা হয়েছিল, ২০২৩ সাল নাগাদ সব গ্যাস ফুরিয়ে যাবে। মাত্র ৮ বছর বাকি। আমাদের এখনও বিদ্যুতের তৈরির মূল নিরভরতা গ্যাসে উপরে। এক এক কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র করতে ৫ বছর লেগে যাচ্ছে – এবং বিগত কয়েক বছরে মেজর কোন নতুন কয়লা ভিত্তিক কেন্দ্র হয়নি যা আমাদের আগামির সঙ্কট সামাল দিবে। এর পরে এই রাষ্ট্র কিভাবে চলবে ? আপনাদের বাসায় কিভাবে বিদ্যুত আসবে? শিল্প উদপাদন কিভাবে হবে ? কোন ডিবেট ? নাই।

বণিক বার্তায় তিন চার দিন আগে ইনভেস্টিগেটিভ একটা রিপোর্ট ছিল, রেল লাইন তৈরিতেও বাংলাদেশ প্রতি কিমি পৃথিবীতে সব চেয়ে বেশি দামে বানাচ্ছে। গত পাচ বছরে এক বিশাল -২১০০০ কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার রেলওয়ের পেছনে কিন্তু, প্রতি পদে দুর্নীতি হয়েছে। “পাঁচ অর্থবছরে ২১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও রেলপথ যুক্ত হয়নি এক কিলোমিটারও। যদিও এ সময়ের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ডাবল লাইন করার অংশ হিসেবে টঙ্গী থেকে ভৈরববাজার ও লাকসাম থেকে চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা ছিল।কিন্তু প্রকল্প দুটির কাজ বিলম্বিত হয়েছে। আবার পাবনা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণও শেষ হয়নি। এর পরও আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।”

এই গুলো নিয়ে কোন আলোচনা নাই, আমরা আছি সাকাচৌধুরী ক্ষমা চেয়েছে কিনা। উভয় পক্ষে দাবী। চেয়েছে চায়নি। এই নিয়ে দাবী, পালটা দাবী। এই নিয়ে আরও পাঁচ বছর চালাবেন।
একটা একটা রায় আনবেন, বাংলাদেশের মানুষের কাজ ভাবনা এক মাসের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা উপান চাতর করতে থাকবো।

আমি আবার বলবো। শেষ করেন। গিভ মী ব্যাক মাই ইস্যুস যা ম্যাটার করে। কিভাবে আমি ২০২৩ সালে গ্যাস শেষ হলে, বিদ্যুত পাবো ? বলেন আমার ২১০০০ কোটি টাকা কই গেলো ? আমার ছেলে, ছেলের বউ কি দিয়ে রান্না করবে। যদি আমদানি করা গ্যাস দিয়ে তাকে চলতে হয়, সেইটার জন্যে এল এন জি টারমিনাল কই ?

দাট ম্যাটার টু মি।

যারা যারা, আমাকে নিয়ে ত্যানা পেচাচ্ছেন। কোন ভণ্ড পীর হয়েছি, বিচারপন্থীদের সাথে এঙ্গেজ হয়েছি আর কোন বিচার প্রক্রিয়ার সিলেক্টিভ বিচারের সমালোচনা করে রাজাকার হয়েছি- আমি গুরুত্তপুরন কেউ না যে আমাকে নিয়ে আপনার এতো সময় দিতে হবে, আর যদি দিয়েই থাকেন তবে জেনে রাখেন, আমি অনেক পুরান ছুপা ছাগু।

গিভ আ শিট।

শেষ করেন।

গিভ মি ব্যাক মাই ইস্যুজ দাট ম্যাটার টু মি।

পত্রিকাগুলোর কাভারেজ নিয়ে 

হাসিব মাহমুদ লিখেছেন

“বিডিনিউজ, পেহলি রোশনি, ভোরের কাগজ, যুগান্তর, কালের কণ্ঠ, সংবাদ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ২৪, সমকাল – এর মধ‍্যে শুধুমাত্র মতির পেপার সাকা-মুজাকে নিয়ে লিখতে চন্দ্রবিন্দু (তাঁর, তাঁদের) ব‍্যবহার করেছে। মতির লজ্জা কবে হবে? এই পত্রিকার ভাতে টান দিয়ে সরকার ঠিক কাজ করেছে এইটা আবার বললাম।”

 

ইতিহাস বিষয়ে 

 

“হাই স্কুলের বইতে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের কৃতকাজ এবং বিচার নিয়ে চাপ্টার যোগ করা উচিত, তা নাহলে হয়তো কখনো ক্ষমতার পালাবদলের পর হায়েনার চেয়েও হিংস্র এসব মনুষ্যসন্তানকে গ্লরিফাই করা হবে।”

 

অতীতের কমেন্ট নিয়ে 

মুজাহিদ দেখলে তো? বিষয়টা কল্পনাপ্রসূত ছিল না। এই দেশে যুদ্ধাপরাধী ছিল। আছে। আর তোমার মতো একে একে শাস্তির মুখোমুখি হবে। বুঝলে তো এবার?

সাকা চৌধুরী, বাস্তবতা বড় কঠিন। ইতিহাস কাউকে ছাড়ে না। পাপ কাউকে ছাড়ে না। দেখলে তো?

শুভ সকাল…”

 

বিদেশী শক্তির হাত নিয়ে 

“দেশে দুই দুইটা শুয়োরের বাচ্চার ফাসিঁ হইতে চলেছে, অতচ শান্তির মা আম্রিকা ফোন দিলনা!”

“কাদের মোল্লার ফাঁসির সপ্তাহের কথাটি ভীষণ করে মনে পড়ছে। ২ বছর আগের সেই সময় সবার যে আশংকা ছিল সেটি হল প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এরকম একটি ফাঁসি কার্যকর করার সামর্থ্য আদৌ আমাদের আছে কিনা। এখন কেন যেন বুকের ভেতর সেই শংকাটি নেই। কিছু টেনশন আছে তবে সেটি মূলত: নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে, কিন্তু সামর্থ্য নিয়ে না। সেই পর্যায় আমরা পার করে এসেছি।”

সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে

সাকার নামটা বা ইঙ্গিতটিও ভয়ে লেখা হয় নি হতের স্মৃতিস্তম্ভে। দায়শোধের দিন আজ, ন্যায়বিচারের রাত এই পশুর। সাথে বুদ্ধিজীবী হত্যার পুরোধা আরেক নরঘাতকেরও। এদের প্রাণদণ্ডের সাথে তাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও সর্বতোভাবে পানিতে ও ভাতে মারার ব্যবস্থা করা হোক। নইলে তাদের বিষদাঁত বহমান থাকবে।

জয় বাংলা, বিজয় বাংলা!”

 

টুইটারেও অনেক এক্টিভিটি ছিল 

 

BBC News changes news title on Bangladesh war crime trial silently after tweet protest. ‪#‎Bangladesh‬ ”

 

সাকার মেয়ের স্ট্যাটাস নিয়ে একজন 

“আল্লাহ যদি আমাদের বাচিয়ে রাখে, এই বিচার আমরা পুনরায় করবো। হাসিনার মন চাইছে খুন করুক। বাবা চলে যাবে আমরা ভাই বোন জীবিত আছি। হাসিনা যদি ৪০ বছর পর তার বাবার হত্যার বিচার করতে পারে, আমরা পারবো না কেন?” – সাকাকন্যা ফারজিন কাদের চৌধুরী

– এরপরেও তোমরা যারা সাকাকন্যা ফাকাচৌ এর দোকান বিটারসুইটে গিয়ে চেকইন মারাও, তোমাদের বেজন্মা বলতে দ্বিধা হয় না।”

জাহানারা ইমাম নিয়ে আরিফ জেবতিক

“”…আন্দোলনের শুরুতে আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম। আমাদের অঙ্গীকার ছিল লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ রাজপথ ছেড়ে যাবো না। মরণব্যাধি ক্যান্সার আমাকে শেষ মরণ কামড় দিয়েছে। আমি আমার অঙ্গীকার রেখেছি। রাজপথ ছেড়ে যাই নি। মৃত্যুর পথে বাধা দেবার ক্ষমতা কারো নেই। তাই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি এবং অঙ্গীকার পালনের কথা আরেকবার আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। আপনারা আপনাদের অঙ্গীকার ও ওয়াদা পূরণ করবেন। আন্দোলনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে থাকবেন। আমি না থাকলেও আপনারা আমার সন্তান-সন্ততিরা – আপনাদের উত্তরসূরিরা সোনার বাংলায় থাকবেন।

এই আন্দোলনকে এখনো অনেক দুস্তর পথ পাড়ি দিতে হবে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ছাত্র ও যুবশক্তি, নারীসমাজসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ এই লড়াইয়ে আছে। তবু আমি জানি জনগণের মতো বিশ্বস্ত আর কেউ নয়। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। তাই গোলাম আযম ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের দায়িত্বভার আমি আপনাদের, বাংলাদেশের জনগণের হাতে অর্পন করলাম। অবশ্যই, জয় আমাদের হবেই। ”

-জাহানারা ইমাম

(আমরাও অঙ্গীকার রেখেছি প্রিয় জননী। বাংলাদেশ তাঁর অঙ্গীকার রেখেছে।)”

আরেকজন লিখেছেন উল্লাস প্রকাশ নিয়ে 

“I honestly don’t understand why we need to celebrate the death sentences being carried out tonight through sleepovers and mishti-mukh. Don’t get me wrong – I am equally relieved to see two marked war criminals finally getting served in a ridiculously complex and partisan justice system. However, our joy reminds me of the satanic joy these same individuals felt every time they raped someone, killed someone or brutally tortured someone in their homes.

I think we can all quietly acknowledge there are families amongst us who can sleep better tonight knowing their mother’s or grandfather’s murderer is no longer walking free on earth and dictating our country. I think we can also quietly acknowledge there are families who are watching someone close to them getting executed. While I am not seeking empathy, no family deserves to bear the burden of one, if they had nothing to do with it or were powerless against it

Let us not become the monsters we despise. Amma, tumi ebar shantite ghumao.

#warcrimes”

 

ফাঁসির রায়ের কপি নিয়ে একটি এলবাম 

 

“ছবি গুলো মুজাহিদের রায়ের ১০৩, ২০২, ২০৮ নাম্বার পৃষ্ঠা থেকে নেয়া। একটু ভালো করে নাম গুলো লক্ষ্য করুণ; সবাইকে চিনতে পারবেন। বিশ্বাস করুণ এই নাম গুলো রুপকথা থেকে উঠে আসা নায়কদের। যেই তরুণ নামগুলো ১৬ কোটি বাঙালিকে অভিন্নতা দিয়েছে দেখুন সেই স্বপ্নের নায়কদের জ্যান্ত হয়ে ওঠা।

চিন্তা করতেই বারবার চোখ ভিজে আসছে…

আজ আমাদের স্বপ্নের নায়ক সুরকার আলতাফ মাহামুদ, ক্রাক প্লাটুনের যোদ্ধা বদি, আজাদ, রুমিদের হত্যার প্রত্যক্ষ বিচারের দিন।

এই আজাদ সেই আজাদ, যেই আজাদ জীবনে শেষ বার ভাত খেতে চেয়েও পারেননি দেখে তার মা আমৃত্যু কোনদিন ভাত খাননি। বিছানায় ঘুমাননি, মাটিতে ঘুমিয়েছেন। শেষবার ছেলেকে বলেছেন- “শক্ত হয়ে থেকো। কিছু বলে দিও না।”

সেই অদম্য সাহসী মা আজ বিচার পাবেন।

এই রুমি সেই রুমি, যেই রুমির আম্মা জাহানারা ইমাম। যেই রুমির মা পুত্র হত্যার বিচার চাইতে এসে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ঘাড়ে নিয়ে মারা যান। আক্ষরিক অর্থে কোটি মানুষের মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তোলেন। হয়ে যান আমাদের সবার মা। আম্মা জাহানারা ইমাম।

অভাগা আমার মা আজ বিচার পাবেন।

এই আলতাফ মাহমুদ সেই আলতাফ মাহমুদ, ২১শে ফেব্রুয়ারির শহীদ দিবসে গাওয়া আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটির সুরকার আলতাফ মাহমুদ। সেই আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ- আমাদের সবার আপন বোন শাওন মাহমুদ।

সেই শাওন মাহমুদ আজ পিতৃ-হত্যার বিচার পাবেন।

আজকের রায়টা বড় বেশি পার্সোনাল…
বড় বেশি ব্যাক্তিগত…

আমার বাবার হত্যার বিচার…
আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার…

আজকের রায়-
রুপকথা থেকে বাস্তবে উঠে আসার রায়…
আজকের রাত-
“একাত্তরের দিনগুলো”-বইয়ের পাতা গুলো জ্যান্ত হয়ে ওঠার রাত…

[এই স্ট্যাটাসগুলো সংগ্রহের মূল কারণ, ভবিষ্যতে আমরা ২১ নভেম্বর এর দিনটার কথা ভাবলে নিজেদের প্রতিক্রিয়াগুলো দেখতে পারব।  সবার পাবলিক স্ট্যাটাস, কেউ কোন স্ট্যাটাস মুছে দিতে চাইলে প্লিজ কমেন্ট করুন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।  ]

অন্য স্বর সম্পর্কে

ননরেজিস্টার্ড সদস্যগণও যেন সরবে লিখতে পারেন সেই জন্য এই একাউন্ট। যোগাযোগ পাতায় কিছু লিখে জমা দিলে সরব এর মডারেটরগণ তা মূল্যায়ন করবেন। মনোনীত হলে এই একাউন্ট দিয়ে ছাপা হবে।
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে চিন্তাভাবনা-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।