“অবশ্যই একদিনে হবে না। তবে। এই আজকের দিনটা (২০১৬) নিয়ে অামি যখন ভবিষ্যতবাণী করেছিলাম ৩০ বছর আগে, তখন মানূষের তা পূরোপুরি তামাশা মনে হয়েছিল। (১৯৮৬ তে তিনি বলেছিলেন ২০২০ এর অাগেই, মানুষ ইন্টারনেট দিয়ে সারা বিশ্বের লাইব্রেরী আর তথ্যভান্ডারে ঢুকতে পারবে। আরও বলেছিলেন, মানুষ তা কোন তারবিহীন যোগাযোগ মাধ্যমেই করতে সাচ্ছন্দ বোধ করবে।)
আর আজকে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে, মানুষ আসলে মনেই করতে পারেনা যে এমনটা কখনো ছিলই না। এমন কোন সময় কি ছিল, যখন আমরা এসব মোবাইল ডিভাইস ছিল না, বা সোশাল নেটওয়ার্ক ছিল না, যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ বা, এত এত লেখা বই, ডাটা ইত্যাদি দেখতে পারতাম না? এই ব্যপারটা মাত্র কয়েক বছরেই হয়েছে।বিভিন্ন সময়ের মোবাইল ফোন, যেগুলা এখন যাদুঘরে থাকে
তাই, ঐ ব্যপারটা যেদিন ঘটবে, সেদিন তা দ্রূতই সার্বজনীন হয়ে যাবে। তারপর এমন মনে হবে যেন, এগুলা যেন চিরদিনই ছিল।
এই যে এখন আমরা কথ্য ভাষাতেই কম্পিউটারকে প্রশ্ন করতে পারি (এপলের সিরি, গুগলের ওকে গুগল)। প্রযুক্তিটা শুরুর দিকে বেশ ঝামেলার আর ভুলে ভরা ছিল। তাই মানুষ এটা বাদ দিত কাজ করে না বলে। কিন্তু যেই মাত্র এইটা ঠিকঠাক কাজ করা শুরু করল, সেইমাত্র মানুষ স্বাভাবিকভাবে নিল বিষয়টা, যেন নতুন কিছু না, অাগেও দেখেছে।
এভাবে কম্পিউটারের সাথে কথা বলতে বলতে , তা উন্নত হতে হতে, এমন একদিন আসবে, যখন কম্পিউটারকে আর মানুষ থেকে আর আলাদা করে চেনা যাবেনা।
গুগল এখন গবেষণা চালাচ্ছে কম্পিউটারকে মানব অনুভুতি শেখানোর উপর, রে মনে করেন ২০২৯ এর মধ্য তা সম্ভব হবে
শত হাজার বছর আগে আমরা গাছের মগডালের ফলটা পাড়তে পারতাম না। তারপর আমরা একটা ছড়ি বানালাম যা দিয়ে আমরা ঐ ফলটাকে পাড়তে পারি। এই যে আমাদের শারীরিক শক্তির বিস্তার, সেই পথ ধরে আমরা একদিন পিরামিড বানালাম, বড় বড় শহর গড়লাম। এখন আমরা কয়েকটা বাটন টিপে, জগতের তাবৎ জ্ঞান জেনে নিতে পারছি। এভাবে আমাদের ব্যপ্তি বাড়িয়ে চলেছি। এটাই আসলে মানুষের অসাধারণ ক্ষমতা। নিজের বলয় বাড়ানো।”
– রে কুর্যওয়েল (কম্পিউটার আর মানব মগজ একসাথে মিললে তখন কি হবে? )
রে কুর্যওয়েল একজন বিজ্ঞানী। ১৯৮৬-৮৭ সালে তিনি ভবিষ্যতবাণী করেন, ২০০০ সালের মধ্যেই, মেশিন মানুষকে দাবা খেলায় হারাবে (১৯৯৭ এ আইবিএম এর ডিপ ব্লু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারায়)। ২০০০ সালের পর ইন্টারনেটে এত তথ্য জমা হবে য, খুঁজে পেতে স্বয়ক্রিয় সফটওয়্যার লাগবে (২০০৫ গুগলের সার্চ ইঞ্জিন)। ২০১০ এর মধ্যে রাস্তায় চালক ছাড়া গাড়ি চলবে (টেসলা কার ২০০৯)।
২০০৫ এ তিনি দাবী করেন, ২০২৯ সালের মধ্যে মানুষ মগজের সাথে কম্পিউটার জুড়ে দিতে পারবে। ফলে, ভাষা, সাহিত্য, সংগীত, ইত্যাদি যেমন মানুষকে অন্য প্রাণী থেকে আলাদা করেছে, তেমনে আজকের মানুষ বলতে আমরা যা দেখি, তার চেয়ে অনেক খানি এগিয়ে দেবে।এই ঘটনার নাম তিনি দেন সিংগুলারিটি।

অারেকটা প্রিডিকশন : ২০৪৫ – মানুষ অমর হবে