সত্যি যদি পাগল হতাম

তুই আমাকে পাগল ডাকিস-
ছাগল ডাকিস শখ করে,
যখন তখন কান মলে দিস;
ইচ্ছে হলেই খপ করে।

আমি ডাকি নামটি ধরেই-
তবুও তুই দিসনা সাড়া।
নজর পেতে কাঁধ ছুঁতে যাই-
তুই রেগে লাল- “হতচ্ছাড়া…

আমি কি তোর গোলাম নাকি?
ডাকলে সাড়া দিতেই হবে?
ময়লা হাতে ফের ছুঁলে তোর
আঙ্গুল গুলো চুলোয় যাবে।”

আবার তুইই প্রায় সকালে,
পাখিও যখন ঘুমায় ডালে,
বলিস স্বপ্নে কি দেখেছিস,
কারা আমাকে খাইয়েছে বিষ,
কিংবা জ্যান্ত ফেলেছে পুতে,
গেলেছে ভুঁড়ি পেয়েই জুতে!

আমি কিন্তু বুঝতে পারি,
আমাকে তোর ভালোই লাগে।
তিরষ্কারে যতই পোড়াস-
তোর চোখে ঠিকই আদর জাগে।

পাগল ডাকিস, ছাগল ডাকিস
কত কিছুই ডাকবি আজ;
চলছে ফাগুন, সেই সুবাদে-
ঢং তামাশায় মলিন লাজ।

সত্যি যদি পাগল হতাম,
তখন ঠিকই তাড়িয়ে দিতি;
কিংবা ছাগল হলে জানি,
গলায় ছুড়ি চালিয়ে দিতি।

রুহশান আহমেদ সম্পর্কে

ছোটবেলা থেকেই টুকটাক লিখতাম, পত্রিকায় পাঠাতাম। ছাপা হতোনা, ভাবতাম দেশে এত লেখক কেন! তারা না থাকলে হয়তো আমার লেখা ছাপাত। যেদিন ব্লগের সাথে প্রথম পরিচয় হয়, আমি যেন আকাশের চাঁদ না, আস্ত একটা গ্যালাক্সী পেয়ে গেলাম। সেই গ্যালাক্সীতেই অবিরত বিচরন, বিট বাইটের প্রহেলিকায় একটু একটু অস্তিত্ব রেখে যাওয়া... পাথর কুঁচি, পাতা বাহার, রঙ্গনে- ভীড় জমালো শৈশবেরা-  রৌদ্রহীন এই বিষন্নতার প্রাঙ্গনে।
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে বিবিধ-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।