“…যদি কোনদিন ঘুম ভেঙ্গে দেখি সেই আকাশ আর নেই, মাথার ওপর থেকে হারিয়ে গেছে সেই সুনীল সাগর…কি হবে আমার?…”
পাহাড়ের কোল বেয়ে সূর্যটা দিচ্ছে উঁকি। পুবের মৃদু হাওয়া, কোকিলের কুহুতান, মাথার ওপর বিশাল আকাশ। আকাশটা ঠিকঠাক আছেই তাহলে। জীবনটাকে খুব ভালবাসতে ইচ্ছে হল কি? জীবনটা সত্যি অনেক সুন্দর! সত্যিই কি তাই?
কে জানত মৃত্যুর আগে শেষ সূর্যোদয় এতটা সুখের হতে পারে!
কোন অস্তিত্বের মৃত্যু কি এতটাই সহজ?
সবাই বলে, জীবন একটাই। কিন্তু একটা জীবনে মানুষ কতবার জন্মে? যতবার স্বপ্ন দেখে, ততবার নতুন করে একটা মানুষের জন্ম হয়, জন্ম হয় এক অস্তিত্বের। আর সেই অস্তিত্বের মৃত্যু মেনে নেয়া খুব কঠিন।
একটা স্বপ্নের জন্ম হয় কিভাবে? নিশ্চয় একদিনে নয়।
অস্তিত্বের জন্ম হয় তারও পরে।
অথচ স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলেও অস্তিত্ব বেঁচে থাকে। অস্তিত্বের মৃত্যু এত সহজ নয়।
কিন্তু অস্তিত্বের মৃত্যুর পর তাকে নতুন করে জাগিয়ে তোলা সম্ভব নয়। সেটা করতে হলে নতুন করে এক অস্তিত্বের জন্ম দিতে হবে।
“…কেন জানি আজকাল মনে হয় ঐ আকাশকে আঁকড়ে ধরে রাখি। চোখের আড়াল করতেই যদি সে হারিয়ে যায়!”
স্বপ্নেরা সত্যিই হারিয়ে যায়। একটু চোখের আড়াল হলেই। সাথে মাথার উপর সেই বিশাল আকাশটাও।
এত যে ভাল লাগার এই জীবন,
এত যে সাধনার এই জীবন,
এত যে তিলে তিলে, স্বপ্নে স্বপ্নে…
ঠিকই তো ঘুম ভাঙবে।
কি পেয়েছো তুমি? কি চেয়েছিলে তুমি?
হিসেবটা তোমার বড়ই গড়মিল…
(অ্যাশেজ)