*****
রাত ১১ টা……
ছেলেটি অনেকক্ষণ ধরে চুপচাপ বসে আছে । ক্রমাগত নখ দিয়ে হাতের লাইটারটাকে ঘষছে । এতে তার অস্থিরতা প্রকাশ পাচ্ছে । মিসির আলি সাহেব এবার বিরক্ত বোধ করছেন । ঘোলা হয়ে যাওয়া চশমাটা আরেকবার পাঞ্জাবির খুঁট দিয়ে পরিষ্কার করলেন তিনি। তবুও তার দৃষ্টি ঘোলাই থেকে গেল । একটু দুশ্চিন্তা হচ্ছে তার । বোধহয় তার চশমার পাওয়ার আবার বেড়েছে । তার এখন অর্থনৈতিক দৈন্যদশা চলছে । নতুন ডাক্তার দেখিয়ে চশমা নেয়াটা এখন তার জন্য বিলাসিতার পর্যায়ে পরে যাবে ।
ছেলেটি কাশি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নিল । দীর্ঘক্ষণ কথা বলবার প্রস্তুতি । মিসির আলি আবার বিরক্ত হলেন ।
– স্যার , আমি ইমন ।
– একথা আপনি এর আগে আরও দু’বার বলেছেন । দয়া করে যা বলবার জন্য এসেছেন তা বলে ফেলুন ।
– আমি একটা ভয়ংকর সমস্যার মাঝে আছি ।
– কি ধরনের সমস্যা ? শুরু থেকে বললে ভালো হয় ।
– ঘটনার শুরু ১১ বছর আগে । তখন আমি সিক্সে পড়ি । ঢাকার মিরপুরে থাকতাম । ছোটবেলায় খুব ক্রিকেট পাগল ছিলাম । একদিন খেলা শেষে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো । বাসায় ঢুকে আমি নিজের ঘরে চুপচাপ বসে আছি । একটু পর বাবা বাসায় ঢুকলো । আমি বকা খাওয়ার জন্য আপেক্ষা করছি । হঠাৎ একটা অন্ধকার নেমে এলো আমার চারপাশে এবং অন্ধকারটা কেটে যেতেই আমি নিজেকে মা-বাবার ঘরে আবিষ্কার করলাম । দেখতা পেলাম , বাবার কাছে মা আমার নামে নালিশ করছে । বাবার রাগ একটু একটু করে বাড়ছে । আমি তাদের সামনে দাড়িয়ে থাকার পরও তারা কেউ আমাকে দেখতে পেলো না । তারপর হঠাৎ আমি আবার নিজেকে নিজের ঘরে ফিরে পেলাম । কি মনে হতে আমি মা-বাবার ঘরের সামনে গিয়ে কান পাতলাম এবং হুবুহু আমি এতক্ষণ যা দেখেছি তাই শুনতে পেলাম । সেই থেকে শুরু । আপনি কি আমার কথা বিশ্বাস করেছেন , স্যার ?
– জানি না । আপনি এখন আসতে পারেন ।
ইমন শান্ত ভঙ্গিতে উঠে দাঁড়াল । দরজার কাছে গিয়ে মুখ না ফিরিয়ে বলল ,
– মিসির আলি সাহেব , আপনার পাশের ঘরে একটি মেয়ে থাকে । প্রতি রাতে সে লিপস্টিক মেখে বেরিয়ে যায় এবং ভোরে ফিরে আসে । আপনি ব্যাপারটা গোপন করে আছেন কেনো ?
মিসির আলি চশমা খুলে চোখ মেলে তাকালেন । উঠে দাঁড়িয়ে বললেন ,
– চা খাবেন আপনি ?
*****
রাত ১২ টা ৩০…….
হিমু বুঝতে পারছে না ঢাকা শহর আজ এতো তাড়াতাড়ি শান্ত হয়ে গেলো কি করে । ইদানিং তার হাঁটতে ভালো লাগে না । আগের মতন হিমু ভাব ধরে রাখাটাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে । হলুদ পাঞ্জাবি ছেড়েছে বেশ কদিন আগে । এখন রুপার দেয়া গোলাপি পাঞ্জাবি পরে হাঁটছে । রুপা সুন্দর করে পাঞ্জাবির পকেট কেটে সেলাই করে দিয়েছে । রাস্তার সব ল্যাম্পপোস্ট জলছে দেখে হিমু অবাক হল প্রচণ্ড । হঠাৎ একটা গাড়ি এসে তার পেছনে থামল । গাড়িটা থেকে হর্ন দিচ্ছে । হিমু ফিরে তাকাল না । পেছন থেকে পায়ে হাঁটার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ।
– আপনি কি হিমু ?
একটা মেয়ের কণ্ঠস্বর । হিমু এবার পেছনে ফিরে তাকাল । কোঁকড়া চুলের একটা মেয়ে। বাঁ গালে ছোট্ট সুন্দর একটা তিল । ল্যাম্পপোস্টের আলোয় দেখা যাচ্ছে । হিমু তার বিখ্যাত হাসি দিয়ে বলল ,
– জী , আমিই হিমালয় ।
– হিমালয় মানে ?
– হিমালয় মানে এভারেস্ট । মাউন্ট এভারেস্ট ।
– আমাকে ভড়কে দেবার চেষ্টা করবেন না । আপনি কি আসল হিমু ?
– জী , আমিই হিমু ।
– তাহলে গোলাপি পাঞ্জাবি কেন পরেছেন ? হলুদ পাঞ্জাবি কোথায় ?
– ওটা কেটে ছেড়া মশারিতে তালি দিয়েছি । হিমুরা মহামানব হলেও ক্ষুদ্র মশক জাতি এদের ছাড় দেয় না ।
– চেষ্টা করে লাভ হবে না । আমি আপনার কোথায় ভড়কাচ্ছি না , অবাকও হচ্ছি না ।
– না ভড়কানোর জন্য ধন্যবাদ ।
– যাই হোক , আপনি আমার সাথে চলুন । গাড়িতে গিয়ে কথা বলি । আপনাকে আমার খুব প্রয়োজন ।
– চলুন ।
হিমুরা গান গায় না । আজ কি হল কে জানে । হিমু জোর গলায় গান ধরল –
” আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে……
জানিনে জানিনে……
কিছুতে কেন যে মন লাগে না…… ”
এই প্রথম মেয়েটা একটু অবাক হল । হিমু ভালো গান গাইতে পারবে এটা তার ধারনায় ছিল না ।
*****
রাত ১ টা ……
কাঠের চেয়ারে বসতে বসতে মিসির আলি বললেন ,
– ঘরে চিনি না থাকায় চায়ে চিনি দিতে পারি নি ।
– অসুবিধা হচ্ছে না আমার ।
খানিকক্ষণের নিরবতা । মিসির আলি পুরোনো প্রসঙ্গে ফিরে এলেন ,
– তারপর কি হল ?
– এর পর থেকেই নিয়মিত ব্যাপারটা ঘটতে থাকল । আমি যেকোনো জায়গায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারি ।
– আমা।। ধারণা , আপনি যেকোনো জায়গায় যেতে পারেন না । শুধুমাত্র যেসব স্থানে আপনি বাস্তব কোনও একবার হলেও গেছেন বা নিজ চোখে দেখেছেন সেসব স্থানেই আপনার অবসেশনের বিচরণ ।
– আপনি ঠিক ধরেছেন । কিভাবে বুঝতে পারলেন ?
-আমার সদর দরজা দিয়ে ঢোকার সময় পাশের ঘরটা এক পলক দেখা যায় বলেই আপনি ওঘরের ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন ।
– হ্যাঁ । ব্যাপারটা এরকমই । কৌতূহল থেকে আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি ?
– প্রশ্ন করতে হবে না । পাশের ঘরের মেয়েটির নাম রেশমা । একদিন রাতে আমি ওকে চন্দ্রিমা উদ্দানের সামনে অজ্ঞান অবস্থায় পাই। সুস্থ হবার পর থেকে ও এখানেই থাকে । কৃতজ্ঞতা থেকে আমাকে শ্রদ্ধা করে । কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও আমি ওর পেশা বা নেশা যাই হোক সেটা পরিবর্তন করতে পারি নি । সেও চায় না আমার সম্মানহানি হোক । তাই কেউ এলে লুকিয়ে থাকে ।
– বুঝতে পারলাম ব্যাপারটা ।
– আচ্ছা , আপনি তো শুধু পাশের ঘরে রেশমা কে দেখেছেন । তাহলে ওর পেশা সম্বন্ধে বুঝতে পারলেন কি করে ? আমার মনে হয় না আপনি কারো মনের কথা বুঝতে পারেন ।
– আসলে আমি ওই মেয়েটি কে ঘরের মাঝে বসে থাকতে দেখি । ঠোঁটে লাল করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে আর সাজ দেখেও ব্যাপারটা আঁচ করতে পারলাম । তাই ঢিল ছুঁড়েছি । লেগে গেছে ।
– আপনার অবজারভেশন ক্ষমতা ভালো ।
– ধন্যবাদ ।
– আপনার প্রসঙ্গে ফিরে আসি । কি চাচ্ছেন এখন আপনি ?
– আমি এ সমস্যা থেকে মুক্তি চাই ।
– কেন ?
– কারণ প্রথম দিকটাতে আমার নানা জায়গায় চলে যাওয়ার ব্যাপারটা আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম । এখন সেটা আমি সবসময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না । আমার মস্তিষ্ক আমাকে যখন তখন যেখানে সেখানে নিয়ে যাচ্ছে এবং আনেক অপ্রয়োজনীয় ঘটনা দেখাচ্ছে। প্রতিবার এমন একেকটি ভ্রমনের পর আমার মাথায় ভয়ংকর যন্ত্রণা হয় । খুব বেশি ভয়ংকর ।
– বোধহয় বুঝতে পারছি আপনার ব্যাপারটা ।
কথাটা বলার ঠিক পরের মুহূর্তেই মিসির আলি উপলব্ধি করলেন আসলে তিনি ইমনের ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন না ।
*****
রাত ২ টা……
গাড়ির টিস্যু বক্স থেকে টিস্যু নিয়ে মুখ মুছল মেয়েটা । হিমুর দিকে তাকিয়ে বলল ,
– আমি মুনিয়া । ১ মাস হল বাংলাদেশে এসেছি । এর আগে ৪ বছর ক্যামব্রিজে ছিলাম । গ্রাজুয়েশন শেষ করে দেশে ফিরলাম ।
– ওখানে কি বরফ পরে ?
– আপনি কি আমকে ইমপ্রেস করার জন্য অহেতুক প্রশ্ন করছেন ?
জবাবে হিমু কিছুই বলল না । ছোট্ট একটা হাসি দিলো । এ হাসির অর্থ “হ্যাঁ” বা “না” দুটোই হতে পারে ।
মুনিয়া খানিকটা বিরক্ত হল । হ্যান্ডব্যাগ খুলে একটা খাম বের করে বলল ,
– আমাকে একটা মানুষ খুঁজে দিতে পারবেন ?
– মনে হয় পারব ।
হিমুর সরাসরি উত্তর বোধহয় মুনিয়ার পছন্দ হল না ।
– কিভাবে পারবেন ? আপনি কি পীর-ফকির ?
– না , আমি হিমু ।
– যাই হোক , এই ছবিটা দেখুন ।
হিমু ছবিটা দেখল । ৮-৯ বছর বয়সী একটা মেয়ে । হাতে একটা সবুজ রঙের একটা ললিপপ । হিমু বলল ,
– আপনার ছোটবোন ?
– হ্যাঁ , ৮ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল । আনেক খুজেছি আমরা । পাই নি । আমি সহ আব্বু-আম্মু বাইরে চলে যাই বলে পরে খুব একটা চেষ্টাও করা হয় নি । তাই এবার ঢাকায় চলে এলাম । মাজেদা খালা আমার দুঃসম্পর্কের ফুপু হন । উনি আপনার কথা বললেন ।
– খালা কেমন আছে ?
– ভালো । আপনি কি আমাকে কোনও সাহায্য করতে পারবেন ?
– জী পারব , চলুন ।
– কোথায় যাবো ?
– আপনার বোন এর কাছে ।
*****
রাত ৩ টা……
মিসির আলি ইমন কে নিয়ে রাতের খাওয়া খেলেন । সামান্য আয়োজন । করলা ভাজি , মুগ ডাল ভর্তা আর ছোট মাছের ঝোল । ইমন তৃপ্তি নিয়ে খেলো । খাওয়া শেষে ইমন কে নিয়ে মিসির আলি তার পড়ার ঘরে ঢুকলেন । ইমন বলল ,
– আমি কি একটা সিগারেট খেতে পারি ?
– জী , পারেন ।
মিসির আলি সিগারেট ছেড়ে দিয়েছেন । সবাইকে বলছেন , বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারনেই সিগেরেট ছেড়ে দেয়া । কিন্তু মূল কারণটা যে অর্থ তা শুধু তিনিই জানেন । বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ছেড়ে দেবার পর তিনি ভালো বিপদে আছেন । শেলফ থেকে একটা বই নিতে নিতে তিনি বললেন ,
– আপনার সমস্যাটা আমি বুঝতে পারছি । কিন্তু আমার করণীয় কিছু খুঁজে পাচ্ছি না । কারণ এক ব্যাক্তির দু’রকম সত্তা থাকার ব্যাপারটার সাথে আমার পরিচয় আছে । কিন্তু একাধিক স্থানে এক ব্যাক্তির অবস্থানের ব্যাপারটা আমার কাছে পরিষ্কার না ।
ইমন কিছু বলতে চাচ্ছিল । এমন সময় দরজায় কড়া নাড়বার শব্দ হল ।
মিসির আলি ভেতর থেকে সামান্য জোড়ে বলে উঠলেন ,
– কে ?
দরজার ওপাশ থেকে উত্তর এলো ,
– আমি হিমু ।
*****
রাত ৪ টা……
মিসির আলির পড়ার ঘরে ৪ জন মানুষের উপস্থিতি । হিমু বলে উঠলো নিজ থেকে ,
– মুনিয়া , আপনার বোন পাশের ঘরে আছে । আপনি দেখে আসুন ।
মুনিয়া হিমু কে ঠিক বুঝতে পারছে না । মনে দ্বিধা নিয়ে সে পাশের ঘরে গেলো ।
হিমু এবার মিসির আলিকে বলল ,
– কেমন আছেন , মিসির আলি সাহেব ?
– জী , ভালো । আপনি কেমন ?
– আমিও ভালো ।
পাশ থেকে ইমন কেশে উঠে দাঁড়িয়ে বলল ,
– আমি তাহলে আসি ।
হিমু তার দিকে তাকিয়ে বলল ,
– ইমন সাহেব , আপনি আর এই সমস্যাটা নিয়ে চিন্তা করবেন না । এখন থেকে আপনাকে আর মনের অজান্তে কোথাও যেতে হবে না।
ইমন বুঝতে পারল না কি হচ্ছে এখানে । তবে চেষ্টা করেও সে পাশের ঘরে তার মনকে নিয়ে যেতে পারছে না । নিজেকে এঘর থেকে সরিয়ে নেয়াটাই তার কাছে সুবিধাজনক মনে হল ।
ঘরে শুধু দু’জন । হিমু ও মিসির আলি । পাশের ঘর থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে । বোধহয় মুনিয়া তার বোনকে খুঁজে পেয়েছে । হিমু বলে উঠলো ,
– আমি আসি , মিসির আলি সাহেব ।
– কোথায় যাবেন ?
– হাঁটতে বেরোবো ।
– চলুন । আমিও যাবো আপনার সাথে ।
*****
ভোর ৫ টা……
নীরব রাস্তায় গোলাপি ও সাদা পাঞ্জাবি পরা দু’জন মানুষ হেঁটে যাচ্ছে । হিমু হঠাৎ হেসে উঠলো –
– মিসির আলি সাহেব , আপনার লজিক বোধহয় এবার হেরে গেলো ।
– আপনি আমাকে লজিক ব্যাবহারের সুযোগ দেন নি ।
হিমু আবার হেসে উঠলো । মিসির আলি বুঝতে পারলেন না এ হাসি কি বিজয়ের নাকি বিদ্রুপ । তার চিন্তা অন্য কিছু নিয়ে । চশমার গ্লাসটা কি নষ্ট হল নাকি তিনি চোখে কম দেখছেন । চিন্তাটা তার মাথায় ঘুরতে লাগলো ।
মিসির আলির এক ঝাঁক চিন্তা ও হিমুর অট্টহাসি অন্ধকার কোলাহল মুক্ত রাস্তায় প্রতিধ্বনি তুলতে লাগলো ।
*****
কৃতজ্ঞতা – হুমায়ুন আহমেদ এর প্রতি । তার সৃষ্টি দু’টি অসাধারণ চরিত্রের প্রতি ।
:welcome:
ধন্যবাদ…… কিনাদি……
:welcome:
ধন্যবাদ…… শিশিরকণা……
:welcome:
সত্যিই তাই। হুমায়ূন স্যারের সৃষ্টি অনবদ্য দুই চরিত্র!
সবাইকে ধন্যবাদ……
সরবে সুস্বাগতম ভাইয়া।
ভালো লেগেছে এই হুমায়ূন এর প্রতি ট্রিবিউট খানা।
আসলে *দারুণ* লেগেছে!
আমি তোমার মৌলিক লেখাগুলো পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম (মানে নিজের মত করে লেখা আর কি।)
এবারে কিছু সমালোচনাঃ
*বানানটা হুমায়ুন আহমেদ না হুমায়ূন আহমেদ হবে।
*ব্যবহার হবে ব্যাবহার না!
ধন্যবাদ বোহেমিয়ান ভাইয়া……
মৌলিক লেখা (একটা কবিতা ) শিগগিরই দিবো……
সমালোচনা করার জন্য অনেক বেশি ধন্যবাদ……
আর দুটি ভুলই অনিচ্ছাকৃত…… টাইপ করতে গিয়ে ভুল হয়ে গেছে……
পরের বার আরও সাবধান থাকার চেষ্টা করব……
সত্যি কথা বলতে অল্প কিছু জায়গা বাদে পড়তে পড়তে ভুলেই গিয়েছিলাম লিখাটা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের না! ভালো লেগেছে বেশ! আর দু’টা চরিত্রের এক হবার গল্পটাও বেশ লেগেছে!!
তবে আসল কথা……
:welcome:
অপেক্ষায় রইলাম আরো লিখার জন্য! তবে হ্যাঁ, মজা পেলাম আপনার নামটা দেখে! 😛
শৈশব ভাইয়া…… আপনি আমার একটু বেশিই প্রশংসা করে ফেলেছেন……
হুমায়ূন স্যারের কাছাকাছি লেখা অসম্ভব……
আমি শুধু চেষ্টা করেছি হিমু আর মিসির আলি নামের অসাধারণ দুটি চরিত্রকে একই ফ্রেমে বন্দী করতে……
জানি কতটুকু পেরেছি……
আর আমিও আপনার নাম দেখে মজা পেয়েছি……
খুব ভালো লেগেছে।
:welcome:
ধন্যবাদ…… সামিরা……
গল্পটা আরেকটু বড় করলেই পড়তে পড়তে ভুলে যেতাম এটা হুমায়ূন আহমেদের লেখা না। 😳 :clappinghands:
ভালো লেগেছে খুব! 😀
সরবে স্বাগতম! :welcome:
আমি তো হুমায়ূন স্যারের মতন না…… তাই গল্পটাকে আর বড় করতে পারি নি…… এতটুকু লিখতেই যান বেরোয় গেছে……
ভাল লাগলো
:welcome:
ধন্যবাদ……
:welcome:
পুলা, আমার ভাত মারতে আসচিশ দেখি রে !!! ভালৈ তো লেখিশ মাশাল্লাহ 😀 😀
চালায় যা অমিত, আমি তোর আশে পাশেও নাই !!! হা হা হা
এগুলা কি বলেন ভাই…… ? ? ? আমি আপনাকে দেখে লেখা শুরু করলাম…… আপনাকে দেখে সরবে আসলাম…… আর আমি আপনার ভাত মারবো…… অসম্ভব…… কথায় আছে…… ” গুরু বিদ্যা মহা বিদ্যা “……
:welcome:
একটু দেরিই করে ফেললাম পড়তে। দুঃখিত!
পড়েছেন…… এতেই আমি খুশি…… :penguindance:
দুটো চরিত্রকে এক করার দক্ষতা বেশ ভালোভাবেই ফুটে উঠেছে আপনার গল্প থেকে।
ধন্যবাদ । তবে আপনি তো অনেকদিন পর পড়লেন গল্পটা ……
পরীক্ষা ছিল তো তাই অনেক দিন ভার্চুয়াল দুনিয়ার বাইরে ছিলাম….
ভালো থাকুন।