মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা এমন হত না। হ্যা! জীবনটা হয়ত আসলেই এমন হত না যদি আজ ছেলে হয়ে জন্ম নিতাম।
প্রসংগ বিয়ে! হ্যা, বিয়ে! বিয়ের কথা শুনলেই আমাদের মুখ চকচক করে উঠে না! বরং সবার আগে এই চিন্তা এসে ভর করে , আমি কি পারব? সবকিছু পিছনে ফেলে, সম্পূর্ন নতুন একটা মানুষকে সারাজীবনের জন্য সঙ্গী করে, তার সাথে সম্পূর্ণ নতুন একটা জীবনকে গুছানো- এর জন্য কি আমি প্রস্তুত? নাকি প্রস্তুত আমাকে হতেই হবে, কারন আমার গ্র্যাজুয়েশন শেষ-আমি যদি আরো পড়ি, তাহলে আমার জন্য যোগ্যতর পাত্র পাওয়া যাবে না? অথবা কারন আমার চেহারা খারাপ, বয়সের সাথে সাথে যদি আরো খারাপ হয়ে যায়? অথবা, এইটাই আমার বিয়ে করার বয়স, তাই আমাকে প্রস্তুত না থাকলেও প্রস্তুত হতেই হবে?
আমার এতদিনের যোগ্যতাগুলো কোথায় ধূলিস্যাত হল তাহলে? পড়া শেষ করে নিজের পায়ে দাড়ানোর আগেই যে পায়ে শেকল বাধার অধিকার কি অবধারিত ভাবেই আমার অভিভাবকের ছিল? তাহলে আমাকে এতদুর নিয়ে আসার মানে কি? আমার কি নিজের জীবনের উপর এত টুকু অধিকার নাই, যে আমি একটা নতুন জীবনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি? আমার বন্ধুরাও কি আমাকে এতটুকু বুঝবে না, যে তারা জানবে না আমি কিসের জন্য অপেক্ষা করছি? আমার কি সান্তনাটুকু পাওয়ার আশ্বাসও বন্ধ?
সবই কি এই জন্য যে আমি মেয়ে? আমার নিজের উপর অধিকার নাই?
(আজকেও প্রচন্ড ক্ষোভ থেকে লিখছি। ঘটনা আমার নয় আমার বন্ধুদের। কিন্তু তাদেরকে এই অবস্থায় দেখার মত শক্তি আমি হারিয়ে ফেলছি! কিছু করতে পারছি না, এত বড় ব্যর্থতার অনুভুতি আমাকে স্থির থাকতে দেয় না!)
কাল রাতে এক বিয়ে থেকে আসছিলাম! খুব প্রিয় এক মানুষের! ইন ফ্যাক্ট সেটা নিয়ে একটা লেখা লেখারও প্ল্যান ছিলো। এত্ত টায়ার্ড ছিলাম যে লিখতে পারি নি। সেই আপুর জন্য ঘটনাটি খুবই আনন্দের ছিলো।
তোমার এই পোস্ট পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। সব সময় মেয়েদেরই সব সহ্য করতে হয়-এটা আবার মনে করিয়ে দিলে!
http://www.ibappy.com/2009/11/blog-post_5184.html
এটা পড়ে দেখতে পারো। যদিও শতভাগ প্রাসঙ্গিক না তবুও এই সিস্টেমটা যে কতটা নোংরা সেটা আমার সব সময়ই মনে হয়।
কালকে মনটা ভয়াবহ খারাপ হইসিল ভাইয়া! এখনো রেশ যায় নাই!
এদেশের প্রেক্ষাপটে মেয়েরা যে বিয়ে নামক বস্তুটায় কী পরিমাণ দুর্ভোগ পোহায় তা আর নতুন করে বলার নয়। বিয়েটা মেয়েদের জন্য শুধু সারার জন্যই সারা না সুখের আশায় সিস্টেমের মরীচিকা সেটা যথেষ্ট প্রশ্নবোধক।
বোহেমিয়ানের লেখাটা আগেই পড়া ছিলো।
দুটো লেখাই মন খারাপ করিয়ে দিলো।
অভিভাবক যত আধুনিকই হন না কেন, এই বিষয়টায় কারো প্রাচিন চিন্তা থেকে উত্তরনের উপায় দেখলাম না!
এখনো হাজার মানুষের কাছে বিয়ে জিনিসটাই নাকি জীবনের একমাত্র লক্ষ্য! কিন্তু একটা কথা ঠিক আপু, যেটা আগে লাখে ছিলো সেটা এখন হাজারে এসেছে, আমার বিশ্বাস অনেক কিছু পাল্টেছে, মানুষ এখন পাল্টেছে, পাল্টাচ্ছে, পাল্টাবে…
এখানে কিন্তু মানুষ মানে ছেলে মেয়ে দুজনই! আমারে আবার কেউ দুষ দিও না! :bigyawn:
যার বিয়ে তার লক্ষ্য হওয়ার প্রয়োজনও পড়ে না সব সময়। সে অন্যদের লক্ষ্য হয়ে যায়!
স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন সন্তোষজনকভাবে না হলেও পরিবর্তন আসছে ধীরে ধীরে এবং একদিন আশানুরূপ পরিবর্তন আসবেই….সেই আশায় আমরা না হয় পথ চেয়েই রইলাম , আশায় বুক বাধতে দোষ কি |
আশায় আশায় বসে থেকে হতাশা গ্রাস না করে বসে…
কেউ বুঝবে না আপু! কেউ না! 🙁
:mathagorom:
শিশিরকণা, যে পরিবর্তনের কথা আপনি বলছেন, তা এত ধীরগতির। মনে হয় সম্পূর্ণ পরিবর্তন আসার আগেই সারা পৃথিবী নারীশূণ্য হয়ে যাবে।
এই ব্যাপারেই ভীত
বিয়ের মত এত সুন্দর একটা ব্যাপারকেও আমরা আমাদের দেশে প্রহসন বানিয়ে ফেলেছি। 🙁
সেটাই!
🙁