আমার স্যার মাহবুব রেহমান একজন মন্ত্রী। পুরো না, পাতি মন্ত্রী। বাংলাদেশে চেয়ারম্যান হলেই সেই রকম টাকা, ক্ষমতা। আর একজন মন্ত্রী হলে তো কথাই নেই। আমার স্যার এর ও সেই রকম ক্ষমতা এবং টাকা। তার ক্ষমতার বলয় ফুটপাথ থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত। একটা ফোনই যথেষ্ট। কিন্তু এখন এমন একটা সমস্যা হয়েছে যেটা ফোন দিয়ে ঠিক করা যাচ্ছে না। হুমকি ধমকিতেও না।
সমস্যা উনার শরীরে। উনি অসুস্থ। গত ৫ দিন ধরে উনার বাথরুম হচ্ছে না। বড়টা তো নাই-ই ছোটটাও না! এর মধ্যে অনেকগুলা ডাক্তার দেখানো হয়েছে। নর্মাল জনগণ হলে ঘটনা ঘটত, ডাক্তার আসিবার পূর্বেই রোগী মরিয়া গেলো- উনার ক্ষেত্রে আমরা আশা করছিলাম, ডাক্তার আসিবার পূর্বেই রোগী হাগিয়া দিলো!- না! এই ঘটনা ঘটে নাই। খাওয়া দাওয়া বের হবার পথ খুঁজে পাচ্ছে না। আমার স্যার এর পেট ফুলতে শুরু করেছে। এত এত জায়গাজমিরাস্তাঘাটইটবালুসিমেন্ট খেয়েও পেট ফুলল না। আর আজ কিছু খান না তাও এই অবস্থা? কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের কাছে এভাবে হেরে যাবেন? সামান্য হাগার অভাবে আমার স্যার এভাবে পেট ফুলে মারা যাবেন? সনাবরু না কে যেন খাবার অভাবে মারা গেছে আর আমার স্যার…!
আজ সকাল সকাল জিজ্ঞেস করি, “স্যার। আজ কী হলো?”
“নারে আজও না। কমোডে বসে পুরো পচা আলুর সব বস্তাপচা খবর পড়ে ফেললাম। তাও বদহজম হলো না! ”
“স্যার গতকাল ফার্মগেট থেকে যেই ছোলা এনেছি খেয়েছিলেন? এই ছোলা খেলে কষা লোকেরও পাতলা ছুটে!”
“খেয়েছি তো! পাতলা পায়খানা যেন হয় এই জন্য তো কেএফসির খাবারও খেলাম! তাও হল না!”
“বলেন কী স্যার! কেএফসির স্পেশাল আইটেম তেলাপোকার ফ্রাই খেয়েও কিছু হয় নাই?”
স্যার মাথা নাড়েন। তিনি তার বিশাল পেট এ হাত বুলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্যার এর হাত এখন আর পেট এর এভারেস্ট এ পৌছায় না! এতটাই ফুলে গেছে। স্যার এর লুঙ্গির জন্য ইদানিং বেল্ট লাগছে।
আমি এবারে আশাবাদী। স্যার এর জন্য দেশের সেরা চিকিৎসক আনা হলো। এমনিতে ২ মাসের আগে এপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যায় না। তবে স্যার এর জন্য বাসায় আসলেন তিনি। মন্ত্রী বলে কথা!
ডাক্তার সাহেব স্যার এর পেট টিপতে টিপতে জিজ্ঞেস করেন “আপনি এমনিতে কি ভেজাল খান?”
আমি ফোঁস করে উঠি! “কী বলেন ডাক্তার সাহেব? ভেজাল খাবার তো জনগণের জন্য আমাদের স্যার এই সব খাবেন কেন?”
“হুমম। ব্যায়াম করেন? আশেপাশে পার্ক আছে জগিং এর জন্য? ”
এবারও আমিই উত্তর দেই। “একটা পার্ক ছিল। সেটা স্যার জনগণের কথা ভেবে ফ্ল্যাট বানিয়ে উনার আত্মীয়স্বজন দের দিয়েছেন। আত্মীয়রাও তো জনগণের অংশ! ”
“হুমম তাতো বটেই! শেষ কবে বাথরুম হয়েছিলো?”
আমি বললাম “প্রায় ৭ দিন আগে।”
“বলেন কী!”
আমি মনে মনে বললাম, আমার স্যার হাগিয়া প্রমাণ করিবেন, যে তিনি ৭ দিন ধরে হাগেন নাই!
ডাক্তার অনেকক্ষণ টেপাটেপি করলেন। তারপর স্যার জিজ্ঞেস করেন, “কী বুঝলেন ডাক্তার সাহেব?”
ডাক্তার বললেন, “আমার তো একে আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ বিষয় মনে হচ্ছে! আমার কিচ্ছু করার নেই!”
কঠিন সেটায়ার! সাবাস বোহেমিয়ান!! এ ধরনের সাহসী লেখা দরকার ছিল! :dhisya:
আমাদের দেশের মন্ত্রীরা তাদের দায়িত্বের সবকিছু অন্যদের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে এড়িয়ে যান।
((http://www.dw-world.de/dw/article/0,,15545134,00.html)) 😡
এ লেখাটা তাদের মেইলে পোস্ট করে দেয়া দরকার।
মন্ত্রীমশায়ের ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করা গেলে আরো ভাল হয়। :clappinghands:
http://www.dw-world.de/dw/article/0,,15545134,00.html
লিংক আসলনা কেন? 🙁
চমৎকার!! শেষটা দারূণ হয়েছে!
এক্সেলেন্ট!
খুব ভালো লাগছে…… কিন্তু আমাদের মন্ত্রিরা এতটাই নির্লজ্জ যে এশব লেখা পরেও তাদের ” হাগা ” হবে না………
আমি মনে মনে বললাম, আমার স্যার হাগিয়া প্রমাণ করিবেন, যে তিনি ৭ দিন ধরে হাগেন নাই!
ডাক্তার অনেকক্ষণ টেপাটেপি করলেন। তারপর স্যার জিজ্ঞেস করেন, “কী বুঝলেন ডাক্তার সাহেব?”
ডাক্তার বললেন, “আমার তো একে আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ বিষয় মনে হচ্ছে! আমার কিচ্ছু করার নেই!”
– খ্যাক খ্যাক খ্যাক !!! :happy: :happy:
বোহেমদা !!!! সিররাআআআআআম স্যাটায়ার গো !!!!! উনার অভ্যন্তরীন ব্যাপার কিন্তু ” হা ” করলে বিষ্ঠার দুর্গন্ধ আসিতেছে, উনি মনে করি টের পাইতাসেন না !!!
পুরাই সিরাম হইসে 🙄
কঠিন বাঁশ! :slap:
সমস্যা হইল এইগুলা যে বাঁশ সেইটা কেবন আমজনতা বুঝে, তেনারা বুঝেন না!