আমার কাব্যের গল্প

মাঝে মাঝেই ঠুশঠাশ করে ছন্দ টন্দ মিলিয়ে না মিলিয়েই কি যেনো লিখে ফেলি ! কার জন্য যেনো লিখি, সে দেখতে পায়না, দেখলেও সম্ভবত মিটিমিটি হাসে! কিছু বলেনা! এই হাসিটা আমার খুবি ভালো লাগে, এর নাম আমি দিয়েছি “বিটিফাই স্মাইল” অথবা “তারকাখচিত হাসি”। তো, ভাবলাম, কিছু লেখা একসাথে জোড়া দিয়ে দেই! কেউ লেখা পড়ে বমি পেলে আমাকে জানাবেন, ওষুধ দিয়ে দেবো, সত্যি ! আর, সুপ্রাচীনকালে যখন অখাদ্য টাইপ কবিতা লিখতাম, তখনকার কেউ কেউ হয়তো জানেন, আমি কোনো বিশেষ ঘটনা ছাড়া কবিতা লিখিনা। তো আমি চেষ্টা করবো, অল্প অল্প করে পটভুমি তুলে ধরবার।

 

১)

পটভুমিঃ কোনো একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে কিছুদিন ধরে একটা ঠান্ডা ভাব জেঁকে বসেছিলো। উষ্ণ নোনতা পানি, সেই ঠান্ডাকে সরিয়ে কুসুম গরম ভালোবাসা স্থাপন করে দিয়ে যায়! তখন এই কবিতাটি লিখা।

 

দূর থেকে ভেসে আসা সঙ্গীত,

কিংবা তোমার কান্নার সুর,

কাঁপিয়ে দেয় সজোরে আমার শক্ত পিষ্টন বক্ষকে,

গেড়ে বসে আমার গলায় যেনো অসুর,

ক্রন্দিত আমি পারিনা ঢোক গিলতে।

আর কেঁদোনা,

বিশ্বাস করো, আমি আসছি এই সন্ধ্যা মিলাতে।

আঁখিপটের এই লবনাক্ত জোয়ার,

আমার প্রেমের বান হয়ে

ভাসিয়ে নিয়ে যাক সকল অবিশ্বাস

আর কদার্য মিথ্যাচার।

ভালোবাসি,

অনেক অনেক বেশী ভালোবাসি।

 

২)

পটভুমিঃ ক’দিন আগে বিশাল চাঁদ উঠেছিলো, জ্যোতস্না নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের ভার্চুয়াল জগতে অজস্র সুন্দর সুন্দর কথাবার্তা পড়লাম, কারও কারও অনুভূতির সাথে পরিচিত হলাম। খুব খালি খালি লাগছিলো। জানিনা, সে সময়টা কবে পাবো! তখন এটা লিখে ফেললাম !

 

পাইনি তোমাকে পাশে,

যখনই উঠেছে প্রকান্ড চাঁদ,

ছাপিয়ে জ্যোছনা আকাশে।

 

আমি চাইনি দেখতে এ জ্যোছনা,

রেখে ডান হাতের তালুটি শুন্য।

আমি হারাতে চাই তোমাতে,

ঐ নয়নে গভীর অরন্য।

 

আমি আজও একা শুয়ে ডান কাত হয়ে,

দৃষ্টি বিছানার মরুভূমি।

আজও শীতে ফাটা ঠোঁট দুটি রুক্ষ,

দাও আধারে ভিজিয়ে চুমি

 

৩)

পটভুমিঃ এ মুহুর্তে মনে পরছেনা। আমার একটা রোগ আছে, বাল্যকালের রোগ। নাম, “ভাল্লাগেনা” রোগ ! এ রোগের একটা বিচিত্র চিকিৎসা দিয়েছিলেন ড. নাজিরুল্লাহ! আম্মাকে বললেন, “ছেলেকে বিয়ে দিয়ে বৌ সহ কক্সবাজারে আপাঠিয়ে দিন! দেখবেন, ভালো না লেগে যাবেটা কই!”। উল্লেখ্য, আমার বয়স তখন ছয়! আফসোস, আমার আম্মা ডাক্তারের কথা অনুযায়ী চিকিৎসা করান নাই, আজও সেই রোগ আমায় কুড়ে কুড়ে খায় ! সেই রোগেরই নমুনা বোধ হয় এটি!

 

তুমি কি দেখোনা,

আমি দেখি একা আকাশে একা একা তারা গুলো?

তুমি ছুয়ে কি দেখোনা

আমি ছুতে পাইনা একা আকাশের দুরের তারাগুলো?

তুমি শুনতে কি পাওনা,

আমার দীর্ঘশ্বাসের প্রতিটি হাহাকার মাখা শব্দ?

তুমি জানতে কি চাওনা

তোমাকে জানতে কতো উষর মরুতে আমি অদ্য?

 

৪)

পটভুমিঃ  নারীচোখ মানেই কাজল দেয়া থাকবে- এটা আমার মনের কথা, কাউকে বলবেন না ! তো, মাশাল্লাহ দিলে, তারও কাজল দেয়া খুব পছন্দের! তো, মাঝে দিয়ে বেশ কিছুদিন দেখা হইনি, তখন তার একটি আক্ষেপ ভরা কথা ছিলো ” কাজল দিলেও কেউ দেখেনা, ছড়ায় গেলেও কেউ মুছে দেয়না”। তখন আমি লিখলাম এই কবিতাটি।

 

ঐ কাজল কালো

আখি দুটি মেলে ধরো।

আমি মুছে দেবো সকল কালো,

ছড়িয়ে এদিক ওদিক যতো।

করবো চুরী কাজল কালোয়

মিশে যাওয়া অশ্রুগুলো।

তুমি আলতো করে,

কাজল কালো চোখ দুটো আজ মেলে ধরো।

 

এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে কবিতা, স্মৃতিচারণ, হাবিজাবি-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

18 Responses to আমার কাব্যের গল্প

  1. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    পুলার তো পিচ্চিকাল থেকেই কুপাকুপি অবস্থা!!

    আমার বেশিরভাগ কবিতা হারায়া গেছে 🙁

  2. কিনাদি বলেছেনঃ

    কবিতা সাধারণত এন্টেনার উপ্রে দিয়া যায়।

  3. অবন্তিকা বলেছেনঃ

    অনেক রোমান্টিক! :love:
    ইশ! আমাকে যদি কেউ এইভাবে বলতো!! 🙁 :wallbash:

    • নিশম বলেছেনঃ

      রোমানেরা কি MCQ পরীক্ষা দিতো যে টিক দেবে ??? রোমান-টিক !!! 😛 😛 হে হে

      বলবে বলবে !! সবুর করো বোন, সবুরে মেওয়া কেওয়া এমন কী চন্দ্রবিন্দুয়েওয়াও ফলবে !!! :love:

  4. নিস্তব্ধ অমিত বলেছেনঃ

    শেষ তা খুব ভালো লাগলো…… ভালো লাগার কারণ পটভূমি……
    তবে প্রতিটা কবিতার চেয়েই পটভূমি অনেক বেশি সুন্দর……

  5. উলস! পুলা তো সিরাম রুমান্টিখ! জন্মায়েই পাশের পিচ্চিকে চোখ টিপ মেরেছিলি নাকি! 😛

  6. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    ওরে এই পোলা দেখি এক্কেরে গন কেইস!

    বানান এত ভুল কেন? তোরে মাইরা মাথা ফাটায়ে দিমু কইলাম!

  7. শামসীর বলেছেনঃ

    আর কেঁদোনা,

    বিশ্বাস করো, আমি আসছি এই সন্ধ্যা মিলাতে।

    ভাল লাগা

  8. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    পুলাডা তো বিশাল টাইপের রুমান্টিক!!! 😛

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।