আজ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ২০১১। এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের বিষয় – Together for a better world for all : Including persons with disabilities in development . যার বাংলা করলে দাঁড়ায় “আসুন উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সম্পৃক্ত করে সকলের জন্যে সুন্দর পৃথিবী গড়তে একত্র হই”। আমি নিশ্চিত এবারও প্রতিবারের মতো সভা সেমিনার, অনেক কিছু হবে। যা প্রতিবছরই হয়ে আসছে। দেখা যাক এবারের বিষয়টি বাস্তবে কতটুকু ফলপ্রসূ হয়। আমি এসব নিয়ে কথা বলার জন্যে লিখতে বসিনি। এ বছর আমার খারাপ লাগার কিছু ভিন্ন ভিন্ন ঘটনা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চাই।
ঘটনা ১: এক সকালে ফোন এলো, অপরপ্রান্তে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে এক ভদ্রলোক বলছেন, আমি জেনেছি আপনি প্রতিবন্ধী মানুষদের নিয়ে কাজ করেন। আমার নয় বছরের বাচ্চাটা ভালো করে হাঁটতে পারে না। সবাই হাসাহাসি করে তাকে নিয়ে, তাই সে স্কুলে যেতে চায় না। আপনার সন্ধানে কি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্যে এমন কোন স্কুল আছে যাদের জন্যে আবাসিক ব্যবস্থা আছে। আমি একটু চমকে উঠলাম। নয় বছর বয়সী ছোট্ট শিশুটিকে তারা ঘরের আপদ মনে করছে!! আমি ভদ্রলোককে অনেকক্ষণ ধরে বোঝালাম, ছেলে তার নিজের ভবিষ্যৎ বুঝতে না পারলেও আপনারা তো বুঝতে পারছেন পড়ালেখা না করলে তার ভবিষ্যৎ অন্ধকার! আপনার ছেলেকে একটু সময় দিন। ঠাণ্ডা মাথায় বোঝান। প্রয়োজনে কিছুদিন ছেলের সাথে আপনি অথবা তার মা স্কুলে গিয়ে বসে থাকুন। তার অস্বস্তি কাটিয়ে তুলতে তাকে আপনাদেরই সহযোগিতা করতে হবে। তিনি তার সহধর্মিণীর হাতে ফোন ধরিয়ে দিলেন। ভদ্রমহিলাকেও প্রায় আধঘণ্টা সময় নষ্ট করে বোঝালাম সাধ্য মতোন। মায়ের ভাষ্য- ছেলে খুব-ই দুষ্টু। কারুর কথা শোনে না। নিজের মতো থাকে। স্কুলে যাবার সময় হলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। প্রচুর কাকুতি মিনতি করলেন, একটা আবাসিক হোস্টেলের ব্যবস্থা করে দিতে যেখানে সে পড়বে না হয় কাজ শিখে জীবন নির্বাহ করতে পারবে। আমি তাকে বললাম, আপনার এই ছোট্ট শিশুটিকে কিভাবে আপনি হোস্টেলে দেয়ার কথা ভাবছেন। তিনি ফোন কেটে দিলেন!
ঘটনা ২: সোসাল নেটওয়ার্ক ফেসবুকে একজনের সাথে পরিচয় যার ঊনিশ বছর বয়সী খালাত বোন দুরারোগ্য এক ব্যাধিতে আক্রান্ত। দশম শ্রেণীর পর হাঁটা চলার সমস্যা বেড়ে যাওয়াতে বেচারী সালমা স্কুলে যাওয়ার সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে বলে তার খুবই মন খারাপ থাকে। এর মধ্যে ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত সে। বিবরণ শুনে আমার মনে হলো সে মাসকুলার ডিস্ট্রফিতে ভুগছে। বাবা বন বিভাগের সামান্য চাকুরে। মেয়েকে একটি হুইলচেয়ার দিতে পারেননি বলে সারাদিন বিছানায় কাটে তার। আর্থিক সেই সামর্থ্য নেই দেখাশোনার জন্যে একটি লোক রাখতে পারেন। মধ্যবয়সী মা তাকে নিয়ে হিমশিম খান। মায়ের বয়স হয়েছে তো! হতাশায় জর্জরিত মেয়েটি নিজেকে বাবা মায়ের বোঝা ভেবে বিছানায় শুয়ে দিন রাত কেবল মৃত্যু কামনা করে। আমি ফোন নাম্বার যোগাড় করে কথা বললাম মেয়েটি আর তার মায়ের সাথে। এতো কষ্ট লাগলো, একটা মানুষ দিনের পর দিন কোন কাজ কর্ম ছাড়া বিছানায় কাটাচ্ছে ভাবতেই তো ভয়ংকর লাগে!
ঘটনা ৩: নিম্নমধ্যবিত্ত বাবার সামান্য আয়ের সংসারে শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছোট্ট ইভা। সাধারণ স্কুলে ঠাঁই জোটেনি। আর স্পেশাল স্কুল তার বাসা থেকে অনেক দূরের পথ। বাবা মায়ের সময় নেই তাকে আনা নেওয়া করার। বাসার সামনেই পথ শিশুদের একটা স্কুলে ভর্তি করানো হয় তাকে। কিন্তু যে বয়সে তার অষ্টম শ্রেণীতে থাকার কথা সে বয়সে ইভা এখনো প্রথম শ্রেণীতে। কারণ শিক্ষকগণ ইভার কথা বোঝে না আর ইভা তাদেরটা। সেখানকার এক শিক্ষকের কাছে জানতে পারি ইভার ছবি আঁকার হাত খুব ভালো। আর পড়ালেখার খুব ইচ্ছে। কিন্তু অন্য শিক্ষকেরা তার দিকে মোটেও মনোযোগী নয়। এরি মধ্যে ইভাদের গ্রাম্য এক আত্মীয় ছেলের সাথে মেয়ের বিয়েও ঠিক করে রেখেছেন বাবা। অপেক্ষা শুধু ইভার আঠারো বছর পূর্তির!
ঘটনা ৪: ভদ্র একটি পরিবারের সন্তান হৃদয় শুধু হুইলচেয়ার ব্যবহার করে এই অপরাধে কোন স্কুলে ভর্তির সুযোগ পায়নি। শেষমেশ তার ঠাঁই জুটেছিলো পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্যে গঠিত পুনর্বাসন কেন্দ্র নার্চার সেন্টার ফর দ্যা ডিজেবল্ড এন্ড প্যারালাইজড পরিচালিত দুঃস্থ শিশুদের স্কুলে। পঞ্চম শ্রেণীতে উঠার পর সেখানেও ঘটে বিপত্তি। ছোট্ট স্কুলটিতে জায়গা হচ্ছিলো না বলে হাসপাতালটির তিনতলায় পরিচালিত হয় পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর ক্লাস। কিন্তু তার পরিবার বেঁকে বসেন। রোজ তাকে কোলে করে আনা নেওয়ার জন্যে কারুর সময় নেই। নার্চার আন্তরিক চেষ্টার পরেও তাঁদের কথা না শুনে নিয়ে এলেন নার্চার থেকে। এখন তার দিন কাটছে ঘরে শুয়ে বসে। ইউটিউবে নার্চারের একটি ভিডিও চিত্রের শেষ অংশে মেধাবী এই ছেলের পড়ালেখার আকুতি আমাকে কাঁদিয়েছে। ভাবিয়েছে। এখনো ভাবাচ্ছে।
ডিজেবিলিটি এই সেক্টরে ঢুকে এমন আরো হাজারো ঘটনার সাথে পরিচিত হয়েছি গত দুবছরে। দেখেছি আর ভেবেছি। কোন পথই কি খোলা নেই? দেশে এতো এতো সংস্থা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস অথচ আজও মাত্র চার শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায়। স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও পর্যন্ত আমাদের নিজেদের করা একটি সঠিক পরিসংখ্যান নেই। গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশের আইনে জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালাতে সার্বজনীন প্রবেশগম্যতা বিষয়টি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। (পৃষ্ঠা ৩০০৫ এ সার্বজনীন গম্যতার নকশা এবং ৩০৬১ তে প্রতিবন্ধীদের জন্য সার্বজনীন গম্যতা সম্পর্কিত বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে)। এছাড়াও চট্টগ্রাম ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ (৭ম অধ্যায় এর ৬৪ নম্বর, পৃষ্ঠা ৭১ থেকে ৭৩, পরিশিষ্ট ২, এবং সার্বজনীনগম্যতার ন্যূনতমমান পৃষ্ঠা ৮৪ -৮৭ দ্রষ্টব্য) যাতে পষ্ট উল্লেখ আছে পার্কিং এরিয়া থেকে লিফট অথবা বিল্ডিং পর্যন্ত যেতে একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্যে কোন রকম বাধা থাকতে পারবে না। অর্থাৎ সিঁড়ির পাশাপাশি র্যা ম্প বা ঢালু পথ থাকতে হবে। যা একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীর সহায়ক চলার পথ। তাছাড়া এটি প্রসূতি নারী, বৃদ্ধ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং ক্রাচ ব্যবহারকারী ব্যক্তিও ব্যবহার করতে পারবেন। র্যা ম্প স্থায়ী (সিমেন্ট) অথবা অস্থায়ী (কাঠের) হতে পারে। এর ন্যূনতম মাপ হবে দেড় থেকে দু’ফিট এক ইঞ্চি উচ্চতার জন্যে এবং অন্তত পক্ষে ৩৬ ইঞ্চি চওড়া হতে হবে এবং রেলিং থাকতে হবে। এমনকি লিফট বা র্যাচম্প দেওয়া সম্ভব না হলে তখন ন্যূনতম ৯০০ মি.মি. – ১২০০ মি.মি. আকারের প্ল্যাটফর্ম লিফটিং ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
প্রতিটা ফ্লোরে অন্তত একটি হুইলচেয়ার এক্সেসিবল টয়লেট থাকতে হবে। যেটির ভেতরে অন্তত একটি হুইলচেয়ার ঘোরানোর জায়গা থাকবে। দরোজার মাপ ন্যূনতম ৩০ ইঞ্চি চওড়া হতে হবে। হাই কমোডের দু’পাশেই হ্যান্ড রেলিং (গ্যার্ব বার) থাকতে হবে যার সাহায্যে একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী নিরাপদে নিজেকে স্থানান্তর করতে পারেন। এছাড়াও প্রতিটি কক্ষ, করিডোর, চলাচলের পথ একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীর জন্যে সম্পূর্ণ বাধামুক্ত হতে হবে। এতো গেলো একটি বিল্ডিং এ র্যায়ম্প ও হুইলচেয়ার প্রবেশযোগ্য টয়লেটের কথা।
বিধিমালায় আরো উল্লেখ আছে যে কোন সাধারণের ব্যবহার উপযোগী ইমারত ভবনে- যেমনঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মার্কেট বা বিপনি বিতান, হোটেল, বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সার্বজনীনগম্যতা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন স্টেডিয়ামসহ সমাবেশস্থল অথবা কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে নির্দিষ্টসংখ্যক হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের উপযোগী আসন থাকতে হবে যা প্রবেশপথ হতে সহজেই দৃশ্যমান ও চলাচলে সহায়ক হয়। সার্বজনীন প্রবেশগম্যতার নকশা না মানা হলে তার জন্যে রয়েছে শাস্তির বিধানও। Building Construction Act . 1952 এর section 12 এর sub-secion (1) এর ধারায় সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল অথবা ন্যূনতম ৫০হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন দায়ী ব্যক্তি।
২০০৮ এর ২৯ মে সরকার প্রতিটি ডেভেলপার কোম্পানীকে গেজেট পাঠালেও আমাদের দুর্ভাগ্যই বলতে হবে বিষয়টি কেউ গুরুত্বের সাথে দেখার প্রয়োজন মনে করেননি। অর্থাৎ সর্বোত্রই প্রবেশের সুবিধা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এটি মানছেন না কেউ। প্রতিবন্ধী মানুষরাও যে সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বিষয়টি সাধারণ মানুষ বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকেন। আমাদের দেশে শুধুমাত্র সহায়ক প্রবেশগম্যতাগুলো নেই বলেই এদেশের বেশিরভাগ প্রতিবন্ধী মানুষ এবং বিশেষ করে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীরা চারদেয়ালের মাঝে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষা, বিনোদন সর্বোপরি স্বাভাবিক জীবন যাপনের পরিবেশ থেকে। এসবই একটার সাথে আরেকটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। প্রবেশগম্যতা না পেলে ঘর থেকে বেরুবে কিভাবে। আর সহায়ক যাতায়াত ব্যবস্থা না পেলে ঘর থেকে বেরিয়ে মানুষের বিব্রতকর দৃষ্টির সামনে পড়া অস্বস্তিজনক। তবুও এমন অনেককেও আমি জানি যারা হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী হলেও সিঁড়ির কাছে এসে আটকে যান বলে হামাগুড়ি দিয়ে সিঁড়িটা পেরুনো সহজ মনে করেন শুধুমাত্র শিক্ষার সুযোগ পেতে। একটি সভ্য দেশে বিষয়টা যখন ঘটে বুঝতেই হবে আমরা কতটা পিছিয়ে আছি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির চলাচলে সহায়ক এ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কিন্তু খুব বেশি খরচ হয় না। একটি বিল্ডিং এ অথবা ফুটপাথের পাশে একটি র্যা ম্প সাধারণ মানুষের চলার পথেও বাঁধার সৃষ্টি করে না। কিন্তু মাত্র দু’তিনটি সিঁড়ির ধাপ একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে অসহায় করে ফেলে। প্রতিবন্ধীতা নয়, সামাজিক এবং অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতাই একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির চলার পথের অন্তরায়। আমরা চাই র্যাম্প যুক্ত, বাধা মুক্ত প্রতিবন্ধী তথা ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষদের বাসযোগ্য একটি বাংলাদেশ। চাই স্বাভাবিক শিক্ষার এবং জীবন যাপনের উপযুক্ত পরিবেশ। খুব কঠিন কিছু নয়। প্রয়োজন শুধু একটু উদ্যোগের। বিষয়টি নিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিৎ। এছাড়া সাধারণ মানুষের সামান্য একটু সচেতনতা অন্ধকার কোণ থেকে আমাদের আলোর পথে নিয়ে আসবে বলেই প্রত্যাশা।
তথ্য সহায়তাঃ সালমা মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক, বি-স্ক্যান এবং ইমারত নির্মাণবিধিমালা ওয়েবসাইট
দারুণ লেখা আপু।
“প্রতিবন্ধীতা নয়, সামাজিক এবং অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতাই একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির চলার পথের অন্তরায়। আমরা চাই র্যাম্প যুক্ত, বাধা মুক্ত প্রতিবন্ধী তথা ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষদের বাসযোগ্য একটি বাংলাদেশ”
আমরাও চাই
অবশ্য পাঠ্য একটা লেখা।
ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষদের ভেতরকার সৃষ্টিশীলতা বের করে নিয়ে আসতে হলে, তাদের সুযোগ দিতে হবে।
আমাদের দেশের কত স্টিফেন হকিং হয়তো অবহেলায় পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। 🙁
“আমরা চাই র্যাম্প যুক্ত, বাধা মুক্ত প্রতিবন্ধী তথা ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষদের বাসযোগ্য একটি বাংলাদেশ। চাই স্বাভাবিক শিক্ষার এবং জীবন যাপনের উপযুক্ত পরিবেশ।”
সাধারণ মানুষের সামান্য একটু সচেতনতা অন্ধকার কোণ থেকে আমাদের আলোর পথে নিয়ে আসবে….অসাধারণ লাগলো, মাঝে মাঝে দৃষ্টিকোণ এর সামান্য পরিবর্তন সমাজ কে বদলে দিতে পারে
ঘটনাগুলো শুনে কী ভীষণ মন খারাপ হয়ে গেলো। 🙁
নিশ্চয়ই সামনে সুদিন আসবে, যখন প্রতিবন্ধী বলে কাউকে পিছিয়ে থাকতে হবে না। সে যা ভালো করতে পারে, তা করায় সে পূর্ণ সহযোগীতা পাবে……
i m a handicapped man………………
my facebook ID : [email protected]
my handicapped facebook page :www.FB.com/handicappedsworld