[GigaOM নেটওয়ার্কের ((http://gigaom.com/)) প্রতিষ্ঠাতা ওম মালিক ব্লগিং জীবনের দশ বছর শেষে তার শেখা সেরা কিছু টিপ্স শেয়ার করছেন পাঠকদের সাথে]
১/ ব্লগিং ব্যাপারটা অনেকাংশেই সামাজিক। ব্লগ যে কেবল নিজের লেখা অন্যদের সাথে শেয়ার করার জায়গা, এমন না। এখানে কারো ব্লগে মন্তব্য যেন আর স্রেফ মন্তব্য থাকে না, বরং এটা নতুন সব সম্পর্কের শুরু হতে পারে।
২/ সময়ের সাথে লেখার রসদ যাতে ফুরিয়ে না যায় তার আর সফল ব্লগার হিসেবে টিকে থাকার উপায় হচ্ছে নিজের চিন্তা আর কথার প্রকাশে স্বচ্ছ আর মৌলিক হওয়া।
৩/ ব্লগে কোন বিষয় নিয়ে মত প্রকাশের বেলায় ঠিক হওয়া যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ভুল হওয়া ঠিক ততটাই। কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে কিংবা নিজের ভুল বুঝতে পারলে আমাদের উচিত সেটা স্বীকার করে নেয়া আর যারা ঠিক বলছে তাদের কথাটা গুরুত্ব দিয়ে শোনা।
৪/ নিয়মিত ব্লগার হওয়া দারুণ জরুরি। প্রতিদিন একবার করে হলেও ব্লগে ঢুঁ দিয়ে যাওয়া উচিত।
৫/ আমরা ব্লগে অন্যদের কাছে থেকে যে রকম আচরণ পেতে চাই, অন্যদের ঠিক সেরকম ব্যবহারই উপহার দেয়া উচিত।
৬/ আমাদের যদি কিছু বলার থাকে আর আমরা যদি পাঠকদের সময়কে শ্রদ্ধা করি তাহলে ব্লগে লেখা উচিত। পাঠকদের সময়ের মূল্য দিলে তারাও তাদের দিনের কিছু সময় আমাদের দেবে।
৭/ কোন লেখা শেষ করে সেটা ব্লগে দেয়ার আগে অন্তত ১৫ মিনিট অপেক্ষা করা উচিত। লেখার ভুলচুক নিরপেক্ষভাবে বিচার করার এটা একটা ভালো উপায়।
৮/ ব্লগে আমরা কী লিখছি সেটা মা দেখছেন – এ জিনিসটা মাথায় রাখলে একসাথে দুটো কাজ হয়। লেখার ভাষা সংযত থাকে, সেই সাথে সহজবোধ্যও হয়।
৯/ ব্লগিং-এর উদ্দেশ্য যে কেবল মতামত প্রকাশ করা, এমন নয়। আমরা পৃথিবীকে কীভাবে দেখি সেটা আমাদের মত করে বলা আর অন্যদের তা জানানোর মাধ্যমই হচ্ছে ব্লগ।
১০/ অনেক ব্লগারকে দেখা যায়, সার্চ রেজাল্টে ওপরের সারিতে থাকার জন্য লেখা আর শিরোনাম ঘষামাজা করতে যেয়ে তারা নিজেদের লেখাকে সহজপ্রাপ্য করার সাথে সাথে এর মানও কমিয়ে ফেলেন। অন্যদের কেউ কেউ আবার তীব্র অশ্রদ্ধা কিংবা কঠিন ভাষার ব্যবহারকেই শক্তিশালী লেখনী ভেবে বসেন। কিন্তু শেষমেষ বেশিরভাগই বুঝতে পারেন, লেখায় ব্যঙ্গের সুর থাকা অনেকটা রান্নায় লবণ দেয়ার মতন, অল্পতেই দারুণ কাজ হয়।
মূল লেখার লিঙ্ক ((http://gigaom.com/2011/11/26/10-years-gigaom/))
ব্যবহার করে দেখতে হবে টিপসগুলো, নিঃসন্দেহে কার্যকরী পোস্ট! তবে এই লাইনটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে……
“লেখায় ব্যঙ্গের সুর থাকা অনেকটা রান্নায় লবণ দেয়ার মতন, অল্পতেই দারুণ কাজ হয়।”
:penguindance:
তবে এই লাইনের অনুবাদ নিয়ে আমি নিজেই কনফিউশিত। :S ঠিক হল কি না কে জানে!
দারুণ জরুরি সব কথা বার্তা 😀
শেখার আছে অনেক কিছু 😀
জ্বী হ্যাঁ। 😀
আরে, ভালো সব টিপস তো! ব্যবহার করে দেখতে হবে…… 😀
আমি নিজেই করি না! 🙁
টিপস গুলো কাজে লাগাতে হবে।
দরকারী পোস্টের জন্য ধন্যবাদ 🙂
লেখাই তো দাও না! 🙁 কাজে লাগাও কোথায়?
<blockquoteব্লগে আমরা কী লিখছি সেটা মা দেখছেন – এ জিনিসটা মাথায় রাখলে একসাথে দুটো কাজ হয়। লেখার ভাষা সংযত থাকে, সেই সাথে সহজবোধ্যও হয়।
সবাই যদি মাথায় রাখতাম এটা!