আমি একাত্তর নিয়ে কিছু বলতে আসি নি, আমি আসি নি কে স্বাধীনতার ঘোষক সেই তর্কের সাক্ষ্য প্রমাণ দিতে, আমি আসি নি রাজাকার যুদ্ধপরাধীদের বিচার হোক সেই দাবী নিয়ে…
আমি এসেছি শুধু তোমার বিবেককে প্রশ্ন করতে, শুধু জিজ্ঞেস করতে, জানো কী হয়েছিলো একাত্তরে? বিশ্বাস কর? তখন কিন্তু ফটোশপ নামে কোন আবিষ্কার ছিলো না, যা দিয়ে ছবিকে যা খুশি তাই করে ফেলা যাবে, তখন কিন্তু কোন মিথ্যা ছিলো না ছবিতে, তার শুধু একবার নিজেকে প্রশ্ন করো, আমি কী বিশ্বাস করি, আমার দেশের জন্য, আমার জন্য, আমার এই বাংলা লিখার ক্ষমতার জন্য, বাংলাদেশী হবার জন্য, কতো মানুষ কেঁদেছিলো, কতজনকে তারা কাঁদিয়েছিলো? বিচারটা তোমার হাতেই দিলাম……
আমি বাক্যহারা…
শুধু এইটুকু বলতে পারি, এই শেষ ছবিটার দিকে আমি ২ সেকেন্ডের বেশি তাকিয়ে থাকতে পারি না, এই চোখের ভাষায় কি লেখা আছে পড়তে পারি নি হয়তো, কিন্তু এটুকু জানি, সেই প্রশ্নের উত্তর আমরা এখনো দেবার ক্ষমতা হয়তো অর্জন করি নি…
দয়া করে কেউ বিজয়ের মাস, অথবা খেলার ইস্যুতে এই পোস্ট দিয়েছি মনে করবেন না, অনেকদিন ধরেই ছবিগুলো খুঁজে ফিরছিলাম একত্র করার জন্য……
বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারি না ছবিগুলোর দিকে। ভীষণ কষ্টে মনটা ভেঙে যেতে চায়……… 🙁
কোনদিন তাদের ঋণ শোধ করতে পারবো কী না জানি না……
আমি একটা ঘোরের মধ্যে থেকে এই ছবিগুলো এক করেছি, আর কিছুই আমি বলতে পারি না, শুধু এটুকু বলতে পারি, তোদের কথাগুলো পরে শুধুই চোখে পানি এসেছে…
ছবিগুলো সরাসরি হৃদয় ও চিন্তার গভীরে গিয়ে আঘাত করে। যারা এর জন্যে দায়ী তারাও তো একসময় মানুষ হয়েই জন্ম নিয়েছিল, ভাবতেই কেমন অদ্ভুত শিহরণ অনুভূত হয়।
এতোগুলো স্বপ্ন ও প্রানের মর্যাদা যে আমরা আজও সঠিক ভাবে দিতে পারছিনা তার জন্যে নিজেকে ধিক্কার জানাই। :wallbash:
তবে ছবিগুলো একজনের মাঝে অন্যরকম একটি শক্তির উন্মাদনা সৃষ্টি করে, যে শক্তির আমাদের অনেক প্রয়োজন।
আমি শুধু চাই, আমাদের মতো আরো যারা আছে, এই ছবিগুলো দেখে নিজেকে প্রশ্ন করুক, আর কিছু না…
স্তব্ধ হয়ে গেলাম। অনেকগুলোই দেখাছিলো, তবুও। 🙁
আমি বলে বোঝাতে পারবো না, গতকাল এই ছবিগুলো হঠাৎ করে খুঁজে পাবার পর কেমন একটা মাথা পাগল করা অনুভূতি কাজ করছিলো……
মনে হচ্ছিলো কিছু একটা না করলে মারা যাবো…
বলার ভাষা নেই!
তবুও আমরা বসে থাকব?
এত কষ্টের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা পেলাম, তার মূল্য রক্ষা করব না?
আমি জানিনা তোদের এই ছবিগুলো দেখে কি মনে হয়, কিন্তু আমার ভিতর একটা ভীষণ রকম ঘৃণা আসে, আর বলতে পারবো না, আমরা সবাই কবে জাগবো জানিনা, তবে বুকের ভিতরের একটা বোধ কখনো মুছতে দেই না……
মুক্তিযুদ্ধের ছবিগুলো দেখলেই মনের মধ্যে এক ধরনের শিহরণ হয়।
কিছু কিছু শিহরণ খুব কষ্টের আর কিছু কিছু অনেক গর্বের….কিন্তু এখানে ১২ নাম্বার ছবি ব্যাতিত সব ছবিই কষ্টের।
আমি কারো কষ্ট অথবা কারো কোন অনুভূতিতে আঘাত করতে চাইনি, শুধু চেয়েছি মানুষ নিজেকে প্রশ্ন করুক, আর কিছু না…
ছবি গুলো দেখলে ইচ্ছে করে হয় রাজাকার গুলিকে সব মেরে ফেলি নাহয় নিজে মরে যাই……… এই মানুষ গুলো কিসের জন্য মরে গেলো ? এমনি এমনি ? যারা বন্দুকের সামনে সিংহের মতো বুক উচিয়ে দাঁড়িয়ে গুলি খেয়েছে, সেই তাদের বংশধর হয়ে আমি, আমরা রাজাকারদের কিছু বলতে ভয় পাই ! ছিঃ থু দেই আমাদেরকে !
শেষ ছবিটা আমাকে প্রচন্ড নাড়া দিয়েছিলো। এত্তো কষ্ট পেয়েছিলাম ছবিটা দেখে, পরে আঁকার চেষ্টা করেছিলাম। অনেকটা এরকম হয়েছে।
http://i.imgur.com/zSgA5.jpg
তাদের জন্য আমার সবটুকু ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা। আর, দরকার পরলে জীবন। জয় বাংলা !
এই বোধটা বেঁচে থাকুক, সব কিছু মুছে যাক, শুধু আমাদের এই বোধটাই আমাদের জাগাবে, একদিন, অবশ্যই…
১৪ নম্বর ছবিটি রিমুভ করে দিন। ১৬ ডিসেম্বর কিছু পাকিস্তানী সোলজার সিভিলিয়ান পোষাকে চোরাগোপ্তা হামলায় বিজয়ের আনন্দে মত্ত বাঙালীদের মারতে শুরু করে। মেজর হায়দার তার ইউনিটকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। মুক্তিযোদ্ধারা সেদিন প্রায় ১৭ জনের মতো পাকি স্নাইপার এবং কিলারকে খুজে বের করে হত্যা করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে মারা হয় এই দুজনকে।
করে দিলাম ভাইয়া, ধন্যবাদ তথ্যটা দেবার জন্য…
কী বলব…….. ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
সত্যিই আমরা এক অকৃতজ্ঞ জাতি। এতগুলো প্রাণের দামে পাওয়া আমাদের স্বাধীনতাকে নিয়ে আমরা স্বেচ্ছাচারিতায় ব্যস্ত।
সময়টা কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি ভাইয়া, নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজের দায়িত্বটা পালন করাই কিন্তু অনেক……
কষ্ট..
খুব বেশি কষ্ট ভাইয়া, আর কিছু বলতে পারি না…
মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে যাওয়ার দিনের স্মৃতিটা মনে পড়ে গেলো।
ছবি নিয়ে কমেন্ট করার ভাষা নেই।
যদি পারেন সোহরাওয়ার্দীর মাঝে মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে যেই যাদুঘরটা খুলেছে সেটা দেখবেন, দম বন্ধ করা কিছু মুহুর্তের মাঝে ডুবে যাবেন বলে আমার বিশ্বাস…
ভাষাহীন, নির্বাক!
আক্ষরিক অর্থেই…
নিষ্ঠুর নিষ্ঠুর!
আর কি-ই বা বলার আছে, বলুন…
🙁
writer,
shobar shesher chobita 71 er na, oita 70 er ghurni jhorer chobi
আপনার কথার ভিত্তি কি আমি জানি না, কোন রেফারেন্স দিলে উপকৃত হতাম,
আমার রেফারেন্সটা এখানে দিলাম……
http://theredlist.fr/wiki-2-16-601-795-view-war-reporting-photojournalism-profile-mccullin-don.html
শুভশশ্রু দিয়ে যেই পাশবিক, কালো অতীতকে লুকিয়ে রাখতে চায় গোলাম আযম, নিজামী, সাঈদী, কাদের মোল্লা, মুজাহিদ, সাকা’রা- এই ছবিগুলো যেন সেই নৃশংসতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়…