ডায়েরীর পাতা থেকে …. ( এক শেষ না হওয়া ভালোবাসার গল্প )

(গল্প টাইপ কিছু একটা লিখতে চাইছিলাম অনেক দিন ধরে কিন্তু সাহসে কুলচ্ছিল না। কি না কি ছাই পাস লিখব আর ঐটা পড়ে পরে মানুষ আমাকে বকবে। কিন্তু অনেক সাহস করে লেখা শুরু করলাম। শেষ করতে পারলেই হয়।)

রিহান এর মনটা খুব খারাপ। আজ তার কলেজ জীবনের প্রথম দিন কিন্তু তারপর ও তার মন কিছুতেই ভালো নেই। বহু বছর যাবৎ রিহান শুধু এই দিনটার অপেক্ষা করেই আসছে কবে সে কলেজে উঠবে, বাধাঁধরা নিয়ম এর বেড়াজাল পেরিয়ে কবে নীল আকাশে ডানা মেলবে। কিন্তু আজ যখন সত্যিই সে কলেজে উঠে গিয়েছে তখন তার মনে ওই সব কথা আর সামান্য প্রভাবও ফেলছে না। সব কিছুই তার কাছে এখন অর্থহীন মনে হচ্ছে। বন্ধু ছাড়া এ জীবন কি কারও কাছে ভাল লাগে? রিহান যে বন্ধুশুন্য ব্যাপারটা তা না কিন্তু আজ সে তার সবচেয়ে ভাল বন্ধুগুলোকে ছেড়ে সম্পূর্ণ নতুন একটা পরিবেশে নতুন মানুষের মাঝে এসে পড়েছে। এতে অবশ্য রিহান এর কোন দোষ নেই। রিহান এর বাবা’র বদলীর চাকুরী আর এবার তার বদলী হয়েছে ঢাকায়। বলা যায় অনেক তদবির এর পর ছেলেকে ভালো একটা জায়গায় পড়াশুনা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তার বাবাকে প্রায় কান্নাকাটি করে ঢাকায় বদলী হতে হয়েছে। এ নিয়ে রিহান যে খুব সন্তুষ্ট তা কিন্তু না কারণ বদ্ধ জীবন তার একদমই ভালো লাগে না। আর তা যদি হয় ঢাকার মত কোন জায়গা তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। শুরুতে একদমই অখুশি থাকলেও বাবা’র ধমকে রিহান চুপ হয়ে গেছে।

ঢাকার বাসায় রিহানরা উঠেছে মাত্র দিন-দুয়েক হল কিন্তু এর মাঝেও তার মনে হতে লাগলো যেন বহুদিন সে এই বদ্ধ খাঁচায় আটকা পড়ে আছে। বাবা একদিন সাথে নিয়ে বের হয়েছিল। এই একবার ই তারপর আর আকাশ দেখা হয়নি ওর। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে রিহান ভাবে তার বন্ধুগুলোর কথা, যাদের সাথে তার বড় হওয়া, নিত্যনতুন জিনিস শেখা, বাদরামী, আরো কত কী? রিহানের মনে পড়ে যায় সেই দিনগুলোর কথা যখন ওদের যন্ত্রনায় পুরো এলাকাটা অতিষ্ঠ হয়ে থাকত। প্রতিদিন একটা না একটা বাঁদরামি তাদের করতে হতই।তারপর দিন শেষে বাবা-চাচার হাতে পিটুনি খেয়ে পড়তে বসা। এভাবেই দিন কেটে যেত ওর। কিন্তু বাবার বদলীটা দিল সব ওলট পালট করে। ভাবতে ভাবতে চোখ দিয়ে পানি পড়ে রিহানের।

“কি নাম তোমার ?”, পাশেই বসা সুন্দর করে এক ছেলে জিজ্ঞাস করে রিহানকে।
“আমি রিহান, তুমি?”
” আমি অভ্র, কোন স্কুলে ছিলা তুমি?”
” আমি কিশোরগঞ্জের, নবকুমার হাই স্কুলের ছাত্র ”
” ও! আমি আইডিয়াল এ ছিলাম, তা তোমার স্কুলের আর কেউ নেই এখানে? ”
“নাহ”, অনেকটা কষ্ট নিয়েই উত্তরটা দেয় রিহান।” তোমার?”
“হুম, আমার স্কুলের  অনেকেই আছে , কিন্তু বন্ধু বলতে কেউ নেই, আমার আসলে কখন বন্ধু ছিলই না।”
“মানে? এটা কেমন কথা? বন্ধু ছিল না কেন? ” রিহান বিস্মিত।
“আসলে আমি একটু একা থাকতে পছন্দ করি, তোমাকে একা দেখে মনে হল কিছুক্ষণ কথা বলে যাই, তাই আসলাম।আমি বন্ধুত্ব জিনিসটা পছন্দ করি না।” বলেই চলে গেল অভ্র।
অবাক দৃষ্টিতে অভ্রর দিকে তাকিয়ে থাকে রিহান।
( চলবে )

অক্ষর সম্পর্কে

স্বপ্নবাজ মানুষ একজন। আশাবাদ আর নিরাশার দোলাচালে আশাকেই শেষ পর্যন্ত সঙ্গী করতে চাই। আর স্বপ্ন দেখি একদিন দেশের জন্য কিছু করার, স্বপ্ন দেখি ছোট্ট করে হলেও কিছু একটা করার যা একটা প্রজন্মের গতিপথ পরিবর্তন করবে এবং অবশ্যই সেটা যেন হয় ইতিবাচক কোন পরিবর্তন। এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে। গণনা যন্ত্রের উপর পড়াশোনা করছি ঠিকই কিন্তু যন্ত্র শব্দটাই আমার কাছে বিরক্তিকর। ফেসবুক লিঙ্ক- www.facebook.com/akkhar21
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে গল্প, পাগলামি, বিবিধ, সাহিত্য, হাবিজাবি-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

15 Responses to ডায়েরীর পাতা থেকে …. ( এক শেষ না হওয়া ভালোবাসার গল্প )

  1. যারির বলেছেনঃ

    কত পর্ব চলবে জানিনা, কিন্তু শেষ পর্ব আমাকে পরতে দিতেই হবে! :happy:
    যা শুরু করে দিলি তা যেন আর থামতে না দেখি। 8)

  2. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    দ্রুত পরের পর্ব চাই 🙂

  3. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    চমৎকার চলছে তো 😀

    বানান একটু খেয়াল করে!

    তমাকে> তোমাকে
    জিনিষটা >জিনিসটা
    যন্ত্রনা> যন্ত্রণা

    http://shorob.com/?p=618
    এইটা একটু দ্যাখো।

  4. নিস্তব্ধ অমিত বলেছেনঃ

    ভালো লালো…… আরও পর্ব তাড়াতাড়ি…।।

  5. নিলয় বলেছেনঃ

    পরের পর্বে মন্তব্য করি 😛

  6. অনাবিল বলেছেনঃ

    এই পর্ব পড়েছি আগেই, এখন ৩য় পর্বে যাই… 😀

  7. jayita dey বলেছেনঃ

    Ami Sanjoy k valo bashi…..vishon valobashi :brokenheart:

  8. Md Ovey বলেছেনঃ

    অনেক ভালো হয়েছে

  9. Momin বলেছেনঃ

    পরের পর্ব দ্রুত চাই

  10. দিগন্তের শেষ প্রহরী বলেছেনঃ

    চালিয়ে যাও

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।