রিকশাচালক জয়নাল আবেদীন একটি বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানকারী হাসপাতাল এবং একটি স্কুল করেছেন। এই খবর পড়ার পর সরব টিম গিয়েছিলো তাঁর কাছে।
পেছনের কথা
দেখা হলে হয়তো বলতে এসব কী করছো? হয়ত বলবে পাগলামির একটা সীমা তো থাকা দরকার! না হয় বলবে থাকো তোমার যতসব হাবিজাবি নিয়ে! কাজ নেই কর্ম নেই, আস্ত হুদাই। কিছু যদি অন্তত জানত এসব গর্দভগুলো!
যদি বলি এখানে আমাদের স্বপ্নের আলো জ্বলে প্রতিদিন। আমাদের বুকের ভেতর জমে থাকা আশার শব্দগুলো ভাষা খুঁজে পায় এই এখানে। প্রতিদিন আমরা নতুন করে বাঁচতে শিখি। কত পথ চলার গল্প এখানে এসে মহীরুহ হয়ে উঠে। তুমি বললেই আমরা চলে যাবো! তবে ক’জনকে তুমি বলবে স্বপ্ন দেখো না!
যার বুকের ক্ষোভ আগুন হয়ে ছিল বহুদিন, তার এক প্রয়াস একবার দেখে আসাই ছিল শুধু আমাদের ইচ্ছে। জানি আমার ও আমাদের এখন স্বপ্ন দেখে যাওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই, তাই আর’জনের স্বপ্ন দেখে স্বপ্ন জ্বেলে যাবো- এত টুকুই ছিল করার। স্রেফ এতটুকুই।
চারজনে চাঁদা তুলে চলে যাই সেই দূর গাঁয়ে! দূর থেকে নয় একেবারে কাছ থেকে দেখে আসা সেই স্বপ্নের পরিধি। বলতে পারি হলফ করে -তার স্বপ্নকে রঙিন করে আসতে পারবো এমন কিছুই ছিল না আমাদের কাছে। ধার করে পাওয়া একটা হ্যান্ডিক্যাম, তার ওপর তার যা সাউন্ড কোয়ালিটি! ছবির কথা না হয় বাদই দিলাম!
তবু হাল ছাড়ি নি! যেটুকু ছিল সেটুকু নিয়েই জয়নাল চাচার স্বপ্নটাকে দেখাবো, সবাইকে দেখাব। সোশাল নেট ওয়ার্কের কল্যাণে যতদূর যেতে পারি ততদূর তার স্বপ্নের জোরটাকে দেখাব। দেখাবো কীভাবে রিকশার প্যাডেলের ঘূর্ণিতে একটা স্বপ্ন কত দূর যেতে পারার ইচ্ছে রাখে।
শীর্ষ দৈনিকের মত অনেক অর্থ আমাদের জোগাড় করার সামর্থও নেই, সেই চেষ্টাতে যাবার ইচ্ছেও নেই। তাই সেসব বাদ দিয়ে শুধু স্বপ্নটুকুই সাথে এনেছি।
জানি অসামর্থ্যের কাঁটাটা এখন বিঁধে যাচ্ছে। হয়ত জয়নাল চাচা অপেক্ষা করবেন আমাদের তোলা ছবির কী হোলো তা জানতে। হয়তো বা করবেন না।
কিন্তু আমরা অপেক্ষা করবো! জানতে চাইবো- সত্যি স্বপ্ন জ্বেলে যেতে পারছি তো!
আমার প্রদীপের শেষ রাত্রির আলো জ্বলে নিভৃতে…………………
আপডেট:
প্রথম আলো ((http://www.prothom-alo.com/detail/news/198892)) ১৫ লাখ ৪১ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে চাচার স্কুলের জন্য। আমরা আশাবাদী চাচার স্কুলে বাচ্চারা হাসবে, চাচার হাসপাতালে রোগীরা খুঁজে পাবে হারানো হাসি!
জয়নাল চাচা’র চাকা …………… সবার কাছে এইরকম একটা করে মনের চাকা থাকলে, দেশটা অনেকদুরে এগিয়ে যেতো আজ। আমি বিশ্বাস করি, এই বিদ্য ালয় থেকেই বের হবে আরেক হুমায়ূন, জাফর ইকবাল, ইউনুস, আবেজয়নাল চাচা’র দ, আতিউর ……….
জয়নাল চাচা’র হাসপাতাল হোক, বাংলাদেশের উন্নত থেকে উন্নততর হাসপাতালের রোল মডেল। বিধাতা চাইলে, হবেনা কেনো? আমরা আছি সব সময় তার পাশে, যখন প্রয়োজন, তখনই ! আল্লাহ তার মঙ্গল করুক
যার যা কিছু আছে আমরা যদি তাই নিয়ে এগিয়ে যাই অনেক কিছুই করা সম্ভব। এক রিকশাচালক হয়ে তিনি যদি সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারেন, আমরা কেন না?
চলুন দেশের জন্য কিছু হলেও করি।
এই দেশ, আমার,আপনার। কাজ করতে হবে তো আমাদেরই!
প্রতিটি মানুষেরই এমন মনোভাব থাকা উচিত।
ঘুরতে থাকুক স্বপ্নের চাকা এই প্রত্যাশাই করি। কিন্তু, বাস্তবতার বাধা যেন দমিয়ে রাখতে না পারে ভালো কাজগুলো……… :clappinghands:
সবাই-ই যদি ভালো কাজে যার যার সুবিধা মতো সাহায্য করতে পারি- দেশটা কতো সুন্দর হয়!
এই পোস্টের প্রত্যেকটা ব্যাপার আমার অসাধারণ লাগলো। শিরোনাম থেকে শুরু করে বর্ণনা ভিডিও, উদ্যোগের কথা আর নাই বা বলি!
অসাধারণ অসাধারণ… :huzur: :huzur: :huzur:
বাংলাদেশকে যা দেওয়ার সব দিচ্ছে জয়নাল চাচার মত মানুষগুলো, কিন্তু এত প্রতিবন্ধকতা থাকার পরও যেখানে জয়নাল চাচা করে দেখাতে পারেন , সেখানে আমরা কেন না?? বিশ্বাস আছে একদিন আমরা পারবই, একদিন প্রতিটি বাংলাদেশি তাদের না পারতে চাওয়ার অভ্যাসটা সারবে। জয়নাল চাচা :huzur:
সরব পরিবার কেও স্যালুট :huzur:
আমরা বুঝি স্বপ্ন দেখা ভুলে গেছিলাম, জয়নাল চাচা’র মতো মানুষেরা আমাদের সাহস দেয়, নিজ জায়গায় দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করে যাবার নিয়ত নির্ভরতা দেয়…
স্যালুট সরব টিমকে অসাধারণ এই কাজটি করার জন্য, বিশ্বাস করি, একদিন জয়নাল চাচা’র মতো এগিয়ে আসবেন আরো অনেক মানুষ…
:huzur:
:huzur:
সাধ্য নয় ,সাধটাই বড়…অন্ধকারের মাঝে এসব লেজার লাইট দেখেই তো জোছনার স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে!
একটা মানুষের দুইটা চোখে আর তিনটা চাকায় এতো স্বপ্ন, আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে এতো কিছু করা, তবে আমরা এতোগুলো মানুষ কেনো পারবো না! চাচার শেষ কথাটা খুব ভালো লাগছে। অসাধারন একটা পোষ্ট! :clappinghands:
:clappinghands: :huzur:
সত্যিকার অর্থে, সরবে স্বপ্ন দেখতে শিখি যেন প্রতিনিয়ত!
চোখে পানি চলে আসলো।
শ্রদ্ধা জানাই
ভালো লাগল।
স্বপ্ন ………
পথ দেখায়, যদি সত্যিই সেটা “স্বপ্ন” হয়ে থাকে