মাঠের মাঝে রঙ্গমঞ্চ-
সবুজ পোষাকে বীরপুত্রের দল,
দুরুদুরু বুকে অনিশ্চিত দর্শক,
আসবে তো বিজয়?
কতদিনের অপেক্ষার পর-
আজ বীরপুত্রকে চোখে দেখা,
কত ঘুমন্ত বা রাতজাগা প্রহর শেষে,
মুখোমুখি দু’জন।
আসবে তো বিজয়?
কীর্তিমানের হাসিমুখ আর-
উল্লাসের অপেক্ষায়,
কাটতে না চাওয়া সময়ের
হাতে হাত রেখে বসে থাকা।
আসবে তো বিজয়?
অবশেষে এসেছে বিজয় –
বীরপুরুষের দল জিতেছে আবার,
আনন্দে দর্শকের চোখ বন্ধ হয়ে আসে,
কী আনন্দ! কী খুশি!
তীব্র বেগে নাড়তে থাকা,
সবুজ পতাকার দিকে চেয়ে
তার চোখ ঘোলা হয়ে যায়-
কী এক মুগ্ধতায়-
বুকের সবটুকু বাতাস খরচ করে,
চিৎকার দেয় গলা চিরে-
পাকিস্তান! পাকিস্তান!!
সময়ের উলটো পিঠ থেকে
ভেসে আসে আরেক চিৎকার।
অনেক অনেক কাল আগের কথা,
ভুলে যেতে হয় যত আগের কথা,
তত আগের-
‘গন্ডগোল’ এর প্রতি রাতে
বেঁচে থাকার আকুতিতে-
হানাদার ক্যাম্পের নোংরা ঘরে
কোন এক মায়ের
সবটুকু শক্তি এক করে ডাকা-
‘বাঁচাও, বাঁচাও’ চিৎকার।
যে চিৎকার শুধু নোংরা কীটের কানে পৌছে-
নির্মম হয়ে ঝাঁপিয়ে পরে তারা,
ছিঁড়েখুঁড়ে খায় সেই মা-কে
বারবার-
তার পরেও আবার।
সেসব কথা মনে রাখতে নেই।
অনেক অনেক কাল আগের কথা,
ভুলে যেতে হয় যত আগের কথা,
তত আগের-
আজকাল চাঁদ-তারা পতাকা উড়াতে হয়
‘পাকিস্তান’ বলে চিৎকার দিতে হয়।
শুধু ভুলে যেতে হয়
হানাদারের বেয়নেট-বুট-শরীরের আঘাতে
মরে যাওয়া সেই বীরাঙ্গনার কথা।
ভালো লেগেছে।
ভুলে যাওয়া চলবে না।
ধন্যবাদ। :happy:
ভুলে যেতে চাই না।
অসাধারণ … ভুলে যেতে হয় … না চাইলেও ভুলে যেতে হয় ওই চাঁদ-তারা পতাকা আর উল্লাস দেখে !! 🙁
ভাইয়া, একটা ছোট্ট ভুল, ‘পাকিস্থান’ এর বদলে বোধহয় ‘পাকিস্তান’ হবে !!
ধন্যবাদ! :happy:
হ্যাঁ, ভাইয়া। বানানটা আমার ভুল হয়েছিল। 🙁
‘গন্ডগোল’ এর প্রতি রাতে
বেঁচে থাকার আকুতিতে-
হানাদার ক্যাম্পের নোংরা ঘরে
কোন এক মায়ের
সবটুকু শক্তি এক করে ডাকা-
‘বাঁচাও, বাঁচাও’ চিৎকার। 🙁
দারুন হইছে দাদা! :dhisya:
ধন্যবাদ, আপু :happy:
“হানাদার ক্যাম্পের নোংরা ঘরে
কোন এক মায়ের
সবটুকু শক্তি এক করে ডাকা-
‘বাঁচাও, বাঁচাও’ চিৎকার।
যে চিৎকার শুধু নোংরা কীটের কানে পৌছে-
নির্মম হয়ে ঝাঁপিয়ে পরে তারা,
ছিঁড়েখুঁড়ে খায় সেই মা-কে
বারবার-
তার পরেও আবার।”
এরকম নির্মম নিষ্ঠুর ঘটনা গুলোর কথা কেউ যাতে কক্ষনো ভুলে না যায়।
বর্তমান সময়ের বাস্তবতাকে তুলে ধরে লিখা অসাধারণ একটি কবিতা। অনেক ভালো লাগল। :clappinghands:
অনেকেই ভুলে যায়। কিন্তু, কাউকে ভুলতে দিতে চাই না। এমন ঘটনা ভুলে যাওয়া উচিত না।
ধন্যবাদ :happy:
🙁 অবাক হই শুধু।
আমিও অবাক হই 🙁
সেসব কথা মনে রাখতে নেই।
অনেক অনেক কাল আগের কথা,
ভুলে যেতে হয় যত আগের কথা,
তত আগের-
আজকাল চাঁদ-তারা পতাকা উড়াতে হয়
‘পাকিস্তান’ বলে চিৎকার দিতে হয়।
শুধু ভুলে যেতে হয়
হানাদারের বেয়নেট-বুট-শরীরের আঘাতে
মরে যাওয়া সেই বীরাঙ্গনার কথা।
ভাইয়া এইসব কি লিখেন? পাকিস্তান বলে চিৎকার না করলে কি হয় নাকি? হোক না ৭১ এ শুধুমাত্র এই পতাকাটার জন্যই সব লড়াই, ৭১ ভুলে যান, সামনে আগান। (কথা গুলো মনের না, রাগের, যারা এইটা ভুলে যায় যে শুধু মাত্র একটি স্বাধীন পতাকার জন্য মুক্তিসেনাদের এই আত্মদান, তাদের আর কি বলব! তারা তো দেশ বা পতাকার মর্যাদাই বোঝে না
লেখাটির জন্য স্যালুট :babymonkey:
স্বপ্ন দেখি, কোনো একদিন এদেশের সবাই একাত্তরের কথা বুঝবে………
ধন্যবাদ 😀
কি বলবো?
কিছুই বলার নাই 🙁
:dhisya: আইজকাল “পাক সার জামিন বাদ” না গাইলে রাতে আমার ঘুমই হয়না !!!!
হা হা!!! :dhisya:
অনেক অনেক কাল আগের কথা,
ভুলে যেতে হয় যত আগের কথা,
তত আগের-
‘গন্ডগোল’ এর প্রতি রাতে
বেঁচে থাকার আকুতিতে-
হানাদার ক্যাম্পের নোংরা ঘরে
কোন এক মায়ের
সবটুকু শক্তি এক করে ডাকা-
‘বাঁচাও, বাঁচাও’ চিৎকার।
যে চিৎকার শুধু নোংরা কীটের কানে পৌছে-
নির্মম হয়ে ঝাঁপিয়ে পরে তারা,
ছিঁড়েখুঁড়ে খায় সেই মা-কে
বারবার-
তার পরেও আবার।
চমৎকার হইছে তো !
ধন্যবাদ :happy:
কেঁপে উঠলাম বারবার…
🙁
আমি বারবার ঘৃণায় কেঁপে উঠি।