গল্পকথা ১:
রিমি ঠিক করলো আজ সবাইকে চমকে দেবে। যেই ভাবা সেই কাজ। প্ল্যান সফল করতে বিন্দুমাত্র দেরি হলো না। বন্ধুরা সবাই ওর বাসায় এসে চক্ষু একেবারে চড়কগাছ করে ফেললো। এ কি রিমি!
কানের ভারি দুল জোড়ার একটা রিমি ঝুলিয়ে রেখেছে নাকে। সেই ঝোলা দুল আবার ঠোঁটের পাশ দিয়ে গড়িয়ে গিয়ে চিবুক ছুঁয়েছে। এখানেই শেষ নয়। লাল লিপস্টিক দিয়ে সে এঁকেছে ভ্রু। আর টিপটা পরে নিয়েছে দুলবিহীন কানে, শূন্যস্থান পূরণের প্রয়াসেই হয়তো!
বাদবাকি সব ঠিকঠাক। কাজল কাজলের জায়গায়। শড়ি পরিপাটি। কিন্তু শুধুমাত্র ঐ তিনটে ভুলভাল সাজের কারণে ওকে যথেষ্ট উদ্ভট লাগছে দেখতে।
রিমির বন্ধুরা যখন ওকে নিয়ে হাসতেও প্রায় ভুলে গেছে তখন সে যুক্তিখণ্ডন শুরু করলো।
“এত অবাক হবার কী আছে? পুরো বাঙালিয়ানা সাজ সাজতে চেয়েছি, এটা তো দেখেই বুঝতে পেরেছিস। তোদেরই তো কথা- বুঝতে পারলেই হলো, নিখুঁত হবার কী দরকার, তাই না?”
রিমির বন্ধুরা সবাই এবারে একটু লজ্জা পেলো।
ওরা সবাই নিয়মিত ব্লগিং করে। বিভিন্ন সেনসিটিভ ইস্যু নিয়ে সারাদিন যথেষ্ট ব্যস্ত থাকে কলমের ভাষায়। কিন্তু রিমি যখনই ওদের বাংলা বানানের কিছু ছোট ছোট ভুল বুঝিয়ে শুধরে দিতে চায়, তখনই ওরা বেঁকে বসে। নিজেদের ভুল স্বীকার করা তো দূরে থাক, ‘ধুর ছাই’ করেই উড়িয়ে দেয় রিমির কথাকে।
“এত জরুরি একটা বিষয়, তার ভিতর ঐ ছোট জিনিসটাই তোর চোখে পড়লো? জীবনে ভালো কিছু দেখতে শিখলি না তুই! আরে বাবা, মানুষ বুঝতে পারলেই তো হলো। আর এটা বাংলা ভাষা, আমাদের মাতৃভাষা। না বোঝার মত এমন কিছু কঠিনও নয়।”
রিমি ওদের কখনো বোঝাতে পারে না, মায়ের ভাষা বলেই যত্নটা আরও বেশি প্রয়োজন। মাকে আদর না করে পরকে কাছে টানলে যে সেটা নিজেরই অমর্যাদা করা হয়, এটা কিছুতেই বোঝাতে পারে না সে। ওরা সব বড় লেখক, তার ভেতরে ছোট হয়ে এত কিছু সে কেমন করে বোঝাবে?
আমিও রিমির মত খুব বেশি কিছু বোঝাতে চাই না। কিছু বুঝবার মত ঘটনা আদৌ এখানে ঘটে থাকলে নিজেরাই বুঝে যাবেন সবাই, এইটুকু বিশ্বাস আমার আছে!
গল্পকথা ২:
ছেলেবেলায় একটা ছড়া পড়েছিলাম।
“তাঁতির বাড়ি ব্যাঙের বাসা
কোলা ব্যাঙের ছা,
খায়-দায়, গান গায়
তাইরে নাইরে না।”
ব্যাঙের যেখানে বাড়ি, সেখানে আপনারও বাড়ি নয় তো?
তা কী করে হয়?
কারণ ব্যাঙ থাকে জলে আর আপনি ডাঙায়।
তাই ‘বারি’তে ব্যাঙের বাড়ি হলেও ‘বারি’ আপনার বাড়ি নয়, খুব বেশি হলে পিপাসা মেটানোর একটা মাধ্যম হতে পারে মাত্র।
আগের পোস্ট:
পুরাই পাত্থর একটা লিখা রে!! বিশাল ধরণের ভাল লাগছে! 😀
এরপর থেকে আমাদের লিখার ভুল হলে মাইর বসায়ে দিবি! :slap:
আমাকে রিমি সাজতে বলছিস না-কি রে? 😛
মারাত্মক! :clappinghands:
লিখে ‘মারাত্মক’ ট্যাগ পেতে চাই না। মানুষের কাজে লাগলেই খুশি হবো। 🙂
অনেক সুন্দর হয়েছে!! 😀 :love:
সুন্দর হবার জন্য লিখি নি রে ভাই। কাজে লাগাবার জন্য লিখেছি। কিন্তু কেউ উপকৃত হলো কি-না সেটাই বুঝতে পারছি না এখনও!
সবাই খালি সুন্দর সুন্দর করে! 🙁
এই পোস্টটাও ভালো কাজে লাগবে। (আগেরটার মতোই।):clappinghands:
পরের পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম। বানান ভুল করতে ভালো লাগে না……
কাজে লাগলেই ভালো। 🙂
পরের পোস্টের দায়িত্ব সামিরার। আমি বেঁচে গেছি! 😛
সুন্দর হয় নাই 😛
“সুন্দর হবার জন্য লিখি নি রে ভাই। কাজে লাগাবার জন্য লিখেছি। ”
তবে কাজের পোস্ট । :dhisya:
হুম, সেটা হলেই ভালো।
ছবিটা আরো বিপজ্জনক হইছে!! 8) :happy:
কোন ছবি? বিপজ্জনক! 😯
উভয়ই! 😀
এটাকে কি প্রশংসা হিসেবে ধরবো না-কি পচানি হিসেবে? :thinking: