এটা লেখা হয়েছিল ২ সপ্তাহ আগে, আজকে পড়ে মনে হল এই ২ সপ্তাহে আমি অনেক বেশি বড় হয়ে গিয়েছি , তাই অনেক কাটছাট করে আবার সাজালাম ,কি জানি কেমন হয়েছে ……….
শৈত্যপ্রবাহ টা ইদানিং বেশ বেড়েছে”
এটাই ভাবছিল অচিন পাখিটা ,ভাবতে ভাবতে সে যে তেপান্তরের মাঠের কাছাকাছি চলে এসেছে সেটা আর খেলায় করা হয় নি । কেন যেন আজকাল তার মনটা অনেক আলাভোলা হয়ে গিয়েছে শুধুই অন্যমনষ্ক হয়ে পড়ে।কি আর করা, এই বিশাল তেপান্তরের মাঠ টা তো তার পার হতে হবে,সাথে কেউ ও নেই ও যে তার সাথে সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে এই নিশ্চল সময়টা পার করে দেয়। এই হিম কাপুনি থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্য সে চোখ টা বন্ধ করে মাঠের কোনাকোনি উড়তে শুরু করলো , পিছনের স্মৃতি গুলোও তাকে আকড়ে ধরলো …………………..
একসময় চিন্তা করার কেউ ছিল না , তারপর অবশেষে একজন এলো । কিন্তু যেকোন সৃষ্টির ই মনে হয় চাহিদা অসীম সেটা অর্থনীতির ভাষায় ই হোক আর দেনা পাওনার এর কাব্যিক ভংগীতেই হোক ।আর তা তো মানতেই হবে, তাই বহু বছর পর যিনি এসেছিলেন তিনি যখন তার চাহিদার সাথে যোগান এর হিসাব মিলাতে পারলেন না তখন তিনি চলে গেলেন । কেনই গেলেন বা তার জন্য পথ চেয়ে বসে দুঃখী থাকা অচিন পাখির কাছে সেটাও প্রকাশ করে গেলেন না। এবং যথাযথ ভাবেই আবার সেই নিয়তি । হুম নিয়তি , নিয়তি নাকি লেখাই থাকে,সেটা এমন লেখা যা কেউ খণ্ডাতে পারে না। তবে অনেকে মাঝে মাঝে খন্ডায় তা শুনে মনে হয় যেন তা রূপকথার কল্পনাতেই সম্ভব যেখানে লিখা থাকে “অতপর তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল”।
কেউ কেউ আবার সেই নিয়তি নিজেই লিখে নিয়ে আসে । আসলে এই নিয়তি কোথায় লেখা থাকে তা কেউ জানেই না , তাই ধরেই নিলাম কপাল টাই হল নিয়তি লেখার জায়গা। কোন এক লোককাহিনী তে ছিল যে শিশু জন্মের পর তাকে আতুরঘরে থাকা অবস্থাতেই তার নিয়তি বা ভাগ্য নাকি লিখে যেত দেবতারা , কপালের সেই লিখন জানার জন্য রাজা রা দাসীদের আতুরঘরের পথে বসিয়ে রাখতেন যাতে তারা দেবতা দের থেকে ভবিষ্যত রাজপুত্রের ভাগ্যা টা জেনে নিতে পারেন , হয়তো এতেই মঙ্গলছিল নাহলে কি আজ কাঞ্চনবালা কিংবা মধুবালা লেখা হত । হায় আশ্চর্য তোমার সৃষ্টি তার চেয়েও আশ্চর্য তুমি । কে সে কাকে বললাম ।কে জানে ? নিজেই হয়তো জানি না…. ।
ফিরে এলো আবার সেই নিয়তি তে , হিংসা হচ্ছে তাদেরকে যারা সুখে থাকছে এখন। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় তাদের নিয়তি মানে কপাল টাকে একটু ছুয়ে দেখতে । দেখি তো তোমার নিয়তি কে খণ্ডালো। তুমি ? নাকি অন্য কেউ যাকে তুমি নিজেই চিনো না ?
একজন ফেলে চলে গেল আবার আরেকজন আসলো । আবার বসন্ত ফিরে এলো ডালে ডালে পাতায় পাতায় প্রকৃতি মুখরিত হয়ে উঠলো , কিন্তু হঠাৎ একদিন অচিন পাখিটি নিজে আবিষ্কার করলো যে যুগ পাল্টাবার সাথে তার পরিবর্তন টা সে বুঝতে পারেনি আসলে। আসলে যে বসন্ত এসেছে সেটা যতটা না তার মনে তার চেয়ে বেশি সে দেখছে তার ভিতরটা। যার কারণে সে ভেবেছিল তার জীবনে আবার বসন্ত ফিরে এসেছে। তাহলে! হায় হায়, এতোদিন সে কি করলো? মিথ্যে আশা, মিথ্যে প্রলোভন দিয়ে কি নতুন সংঙ্গিনী কে ভুল বোঝলো ? এখন কি সে যদি যে জানতে পারে তার নিজের জীবনে আসলে বসন্ত আসেনি ,তাহলে সে কি তা মেনে নিতে পারবে ? পারবে কি সে ওই নিষ্ঠুর আঘাত সহ্য করতে যেটা সে আগে পেয়েছিল ।
যে মাঘের শীত এসে তার জীবনের রস , শক্তিতে চিরদিনের মাঘের রিক্ততায় নিয়ে গিয়েছে।
হয়তো পারবে না, সে নিজেকে জিজ্ঞেস করে , ওহ! না ভুল বললাম সে তার নিয়তি কে জিজ্ঞেস করে এ কেমন নিয়তি গো ?
নিয়তি বলে এটাই যে নিয়তি বৎস ।এখানেই জীবনের রহ্স্যময়তা । তুমি জীবনের রহস্যময়তা নিয়ে চিন্তা কর ।দেখবে তুমিই তোমাকে মানে তোমার নিয়তি কে চালিয়েছ।
অচিন পাখিটি আবার সংশয়ে পড়ে যায় , হঠাৎ সে আবিষ্কার করে সে এতোক্ষণ একটা খোলা মাঠের মাঝেই ঘুরপাক খাচ্ছিল। হয়ত মাঠের মাঝেই সে ৃষ্টিবিভ্রম করে । আবার সে চেষ্টা করে তার পথ খুজে বাড়ি ফিরতে ,পিছন থেকে তেপান্তরের মাঠের খল খল হাসির শব্দ শুনতে পায় ।
সেমিষ্টার ফাইনাল চলছে এর মাঝেও এটা লেখাটা লিখে ফেললাম ,
ফেবু নোট এর লিঙ্ক
https://www.facebook.com/note.php?saved&¬e_id=264677626922145
“এটাই যে নিয়তি বৎসঃ ।এখানেই জীবনের রহ্স্যময়তা ।”>> অচিন পাখির মত মাঝে মাঝে নিয়তির বেড়াজালে আমাদেরও দৃষ্টিবিভ্রম ঘটে বৈকি!
অফটপিক-
বানান শুদ্ধতা লেখার মার্জিত ভাবকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এই ব্যাপারটা মাথায় রাখলে আপনার আরও চমৎকার হবে, নিঃসন্দেহে!
বেশ কিছু বানান ভুল চোখে পড়লো। উপরের ‘বৎস’ বানানটার কথাই ধরা যাক।
স্পেস নিয়েও কিছু সমস্যা দেখলাম; ‘মন টা, সময় টা, তাদের কে, ভিতর টা’>> এগুলোতে স্পেস হবে না। একটাই শব্দ হবে।
“খন্ডাতে, সংঙ্গীনি, কাপুনি, কোনাকোনি, আকড়ে”>> এই বানানগুলো ভুল আছে।
‘কি, কী’ নিয়েও সমস্যা দেখলাম।
এই লিঙ্কটা পড়ে দেখতে পারেন। আশা করছি কাজে দেবে-
http://shorob.com/2011/12/09/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A7%A8/
‘কি, কী’ সমস্যার সমাধান পাবেন এখানে-
http://shorob.com/2011/08/14/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F/
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া , এই প্রথম এরকম একটা ভালো ফীডব্যাক পেলাম ,সবাই বলে ভালো হয়েছে তবে এই ভুল গুলো কেউ ধরিয়ে দেয় না ………..ঠিক করছি এখন ই ।
এরপর পড়ে দেখে জানাবেন আশা করি ।
“খন্ডাতে, সংঙ্গীনি, কাপুনি, কোনাকোনি, আকড়ে”>> এই বানানগুলো ভুল আছে।
এই ভুল গুলো দয়া করে ধরিয়ে দিলে খুশি হতাম ভাইয়া ।
কি আর কী এর ব্যাপার টা খেয়াল করছি ।
ফিনিক্স কিন্তু আপু 😛
আর ব্যাপারটা হবে মাঝখানে স্পেস হবে না! 😀
খন্ডাতে>> খণ্ডাতে (ট-বর্গীয় বর্ণের সাথে মূর্ধ্য ণ হয়)
সংঙ্গীনি>> সঙ্গিনী (অনুস্বার এর সাথে আবার ঙ+গ হয় না, হ্রস ই আর দীর্ঘ ঈ তেও পরিবর্তন হবে)
কাপুনি>> কাঁপুনি (চন্দ্রবিন্দু বসবে)
কোনাকোনি>> কোণাকুণি (মূর্ধ ণ হবে)
আকড়ে>> আঁকড়ে (চন্দ্রবিন্দু বসবে)
আরেকটা কথা, আমি কিন্তু ভাইয়া না! 😛
আপু ! ও কেমন আছেন 😳
লেখাটি পড়তে ভালোই লাগছিলো, বানান সহ স্পেস জনিত ভুল গুলো না থাকলে রীতিমত উপভোগ্য হোত।
আসলেই তাই এখন মন টা খারাপ লাগছে,এই ব্যাপার গুলোতে আরো খেয়ালি হওয়া উচিত ।
বেশ ভালো লাগলো লিখাটা, প্রথম লিখা কিনা জানিনা, মানে টের পেলাম না!! 😛
অপেক্ষায় রইলাম পরের লিখার! আর ফাইনালের মাঝে এইরকম একটা লিখা দিয়ে দেবার জন্য আরেকটা বিশাল ধন্যবাদ!
এখানে দেখলাম অনেক বার পড়া হয় ,এর পর থেকে পোষ্ট গুলোর এক কপি এখানেও দিতে হবে দেখি ।
আর ফাইনাল সেই শাবির ক্যাচালে আর শুরু হয়নি এখন এক্সাম ২৮ থেকে 🙁
ভালো থাকবেন ,