গত ২ ডিসেম্বর আমার খুব কাছের কাজিন সিলেটের সারি নদীতে ঘুরতে গিয়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে। যেখানেই থাক। অনেক ভালো থাকুক। আমার ভাইটার জন্য সবাই দোয়া করবেন!
কটা বাজে তখন?
রাত ৯টা?
কিচ্ছুক্ষণ পরেই আন্তর্জালের আড্ডায় আমাদের ডুবে যাবার কথা ছিল।
হঠাৎ একটা ফোন আসলো,
কেউ একজন জানালো তোমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তখনো ধরে রেখেছি
হয়তো ফেরার পথে আকাশ দেখে মনে হয়েছে
সারা পৃথিবী একদিকে সরিয়ে
জোছনাভেজা জল দেখবে।
আর জলের ওপর জোছনা দেখার মায়ায়
হয়তো ভুলেই গেছো সবাই তোমার জন্য
কখন থেকে অপেক্ষা করে বসে আছে।
তখন পর্যন্ত আমি ধরে রেখেছি,
রাতে আমাদের কথা হবে,
আমাকে জোছনার গান শোনাবে
কীবোর্ডে সুর তুলে।
কী জানি আবার কী মনে হলো,
শীতের পাতাঝরা গাছের মত
নিজেকে রিক্ত, শূণ্য মনে হতে লাগলো।
একটু একটু করে কেমন একটা ভয়ানক অবিশ্বাস
পাথরের মত বুকে চেপে বসতে লাগলো।
মনের মধ্যে তখন একটাই প্রশ্ন ঘুরছে
কোথায় তুমি!
কোথায়!
মুঠোফোনে তখন তোমাকে পাগলের মত খুঁজে চলেছি
তরঙ্গ বার্তায় তোমাকে লিখে চলেছি একের পর এক চিঠি
তখনো তুমি কই জানি না।
পাগলের মত সারা রাত প্রার্থনা করেছি
কোন এক যোদ্ধার মত,
কিংবা জলের সাথে লড়াই করা কোন এক অকুতোভয় নাবিকের মত
তুমি যেন জয়ী হও।
উচ্ছল তরঙ্গ যেন তোমার কোন ক্ষতি করতে না পারে।
চোখ বন্ধ করে ভেবেছি
জোছনার আলোতে হীরের দ্যুতি ছড়ানো জলে
তুমি ভেসে আছো।
ঠিক যেন কোন কল্পতরু!
যে কাউকে নিরাশ করে না।
যে বহু আরাধনার পাওয়া!
রাতটা কাটলো,
কী ভয়ঙ্কর এক রাত!
অপেক্ষার এক রাত!
ভেবেছিলাম দিনের আলো তোমায় নিয়ে আসবে,
আলোটা বোধ হয় তোমায় ঈর্ষা করতো!
দিনের আলো এলো,
কেউ একজন বললো,
শিশিরের মতন টুপ করে
তুমি হারিয়ে গেছো!
দিনের আলো নিয়ে এলো
দমবন্ধ অন্ধকারের দুঃস্বপ্ন।
দুঃস্বপ্নের ঘোর ভাঙে না!
এখনো প্রতিনিয়ত
চিৎকার করে
আঁধার ভাঙতে চাই।
-তারা নিংড়ানো আলোয়
পৃথিবীতে মাঝে মাঝে কাছের মানুষগুলোর জন্য কেন যে এমন কষ্ট হয়!
কবিতাটা হিসেবে ভালো লেগেছে, কিন্তু মনটাই খারাপ হয়ে গেলো।
কবিতাটা ভালো লেগেছে, কিন্তু, মনটা কেমন যেন খুব খারাপ হয়ে গেলো……
কী ভীষণ কষ্ট ঢেকে দিচ্ছে মনের আকাশটা………
ভালো লেগেছে।
আপনার জন্য শুভকামনা
যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন আপনার কাজিন, না ফেরার দেশে যাবার জন্য সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে, শুধু কেউবা আগে কেউবা পরে……
তবু একটা প্রশ্ন থেকে যায়, কেনই-বা এমন করে, কেন……
🙁