১৩-১২-২০১১ সন্ধ্যা ৭টা
😐 সন্ধ্যা বেলা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ভাপা পিঠা খাচ্ছি। চোখে পানি চলে আসছে! এখন আর সেই দিন নেই যে চুলার পাশে বসে দাদীর হাতের বানানো গরম ভাপা পিঠা খেতে পারব! হুঁশ করে ধুলা উড়িয়ে একটা গাড়ি চলে গেল পাশ দিয়ে। বাকি পিঠার সাথে কিছু ধুলাও খেতে হলো। দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানো একেই বলে হয়ত।
—-
🙂 কত মানুষের কত শখ না থাকে! তেমনই শুনলাম, একজন তার বাড়িতে অনেক গাছের সাথে তাল গাছ লাগিয়েছে। তার শেষ ইচ্ছে কোন একদিন এক বাবুই পাখি এসে ঐ তাল গাছে বাসা বাঁধবে।
এখন তো গ্রামেও বাবুই পাখি দেখা যায় না। হারিয়ে যেতে যেতে একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তার যে মিষ্টি একটা ইচ্ছে , আমার মন ভালো করে দিয়েছে অনেক। আমি না দেখতে পেলেও আশা করে থাকব একদিন বাবুই পাখি সত্যি বাসা বানাবে।
—-
🙁
বাসার সবাই চিটাগাং যাবে বিয়ে খেতে আর আমি যেতে পারছি না কারন আমার পরীক্ষা আছে । চোখের পানি ছাড়া কান্না, রাগ আর সাথে অদ্ভুত একটা অনুভূতি হচ্ছে যার নাম আমার জানা নেই! দূরে কোথাও বেড়াতে যেতে আমার এত ভালো লাগে! সামনে দিয়ে সেই সুযোগ চলে যাচ্ছে কিন্তু আমি যেতে পারছি না! কেমন লাগে!!!!!!
—-
১৫/১১/২০১১ সকাল ১০:৪৭
নতুন একটা ডিজিটাল(!) ঘড়ি লাগিয়েছি রুমের দেয়ালে। যেখানে টেম্পারেচার দেখা যায়। আমি একটু পর পর সেটা দেখছি আর শীত বেশী কম তুলনা করার চেষ্টা করছি। সেখানে এখন দেখাচ্ছে ১৪° সেলসিয়াস! হায় আল্লাহ! এত শীত! অবশ্য আমার শীত খুব ভালো লাগে।
—–
ঠিক এক বছর আগে আমি একটা ছোট চাকরী পেয়েছিলাম টাঙ্গাইলে। সেখানে থেকেছি ৪ মাস প্রায়। জীবনে এক বার হলেও ট্রেনে চড়ার শখ, বাসে করে দূরের পথে যাওয়া, কচি ধান গাছ থেকে সোনালী হয়ে বেড়ে উঠা, রাস্তার দুপাশের মাঠের পর মাঠ হলুদ সর্ষে ক্ষেত-এর মত অনেক কিছু দেখার ইচ্ছে আমার পূর্ণ হয়েছিল এ সময়।
শীতের ঠান্ডা বাতাসের সাথে দমকা হাওয়ায় গাছের পাতা ঝরে পরার দৃশ্য তো ভুলে যাবার মত না। আমি শুধু থমকে দাড়িয়ে গিয়েছিলাম কয়েক সেকেন্ডের জন্য। নিজেই অবাক যে, কি দেখলাম এটা! এত সুন্দর দৃশ্য দেখার ভাগ্য আমার ছিল!
——–
উপরের ছোট লেখাগুলো আমার নানা সময়ের নানা রকম চিন্তা ভাবনা যা আমাকে নাড়া দেয় খুব এবং তার যেগুলো মনে থাকে সেগুলো ধরে রাখার চেষ্টা।
এরকম এলোমেলো লেখা পড়তে কেন যেন আমার খুব ভালো লাগে ……
আমারো লিখতে ভালো লাগে। এর আগেও এমন একটা লিখেছিলাম সামুতে। এটা আমার দ্বিতীয় লেখা এমন। 🙂 ছোট ছোট ঘটনা আমাদের আশে পাশে সারাদিনই হতে থাকে। একেক ঘটনা একেকরকম, একেক অনুভূতির। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার সব মনে থাকে না। তাই কত কিছু যে হারিয়ে ফেলি 🙂
ছোট ছোট লেখাগুলা দারুণ লাগল।
আমাদের জীবনটাই তো এমন!
কী সুন্দর!
ভাইয়া আপনার জ্যোতি সিরিজ লেখা কি বন্ধ?
আপু আসবে
সময় পাচ্ছি না 🙁
সত্যি কিছু এলোমেলো মুহূর্ত কত সুন্দর হয় মাঝে মাঝে। এরকম কতশত মুহূর্ত ভুলে যাবার তালিকায় রোজ জমে যাচ্ছে, তোমার লেখাটা দেখে তাই মনে হলো। নিজের ভালো লাগার টুকরো সময়গুলোকে নিয়ত ভুলে যাচ্ছি!
তোমার লেখাটা পড়ে কেমন নস্টালজিক হয়ে গেলাম!
অফটপিক-
জানোই বোধহয় সেটা কী। নতুন করে আর কী বলবো? কিছু বানান!
হুম আমার বানান সমস্যা হয় খুব। বলে দিলে বরং খুশি হবো। আমি সব সময় অপেক্ষা করি কেউ আমার বানান ভুল বের করে দিক 😛
আবার চেক করে যে ভুল গুলো চোখে পরেছে ঠিক করে দিয়েছি 🙂
কি দেখলাম এটা >> ‘কী’ হবে এখানে।
বাকিগুলো ঠিক করে ফেলেছো আপু! :happy:
তোমার সাথে আমার একটা মিল আছে। আমারও শীত খুব ভালো লাগে! শুধু একটাই সমস্যা, দিনের বেলাটা কেমন করে যেন চোখের পলকে শেষ হয়ে যায়! 🙁
একদম ঠিক কথা বলেছো তো :O আসলেই দিন টা চোখের পলকে শেষ হয়ে যায়!
এমন লেখা পড়লে কেমন যেন আনমনে হয়ে যাই। প্রত্যেক মানুষের জীবনেই মনে হয় এমন মূহুর্তগুলো ঘুরে ফিরে সামনে এসে দাঁড়ায়। কিছু ভালোলাগা, কিছু পাওয়ার আনন্দ, কিছু না পাওয়ার বেদনা অথবা কিছু পাওয়ার স্বপ্ন। শেষমেশ এসে গল্পগুলো যেন একার থাকে না, সবার সাধারণ গল্প হয়ে যায়, যার মাঝে লুকিয়ে থাকে অসাধারণ সব আবেগ!
পড়তে খুব ভালো লেগেছে!
ভাইয়া সুন্দর বলেছেন তো 🙂 আমার যখন যা মনে আসে লিখে ফেলি 😛 তবে তার মাঝে কিছু কথা হারিয়ে যায়। এটা নিয়ে খারাপ লাগে খুব 🙁
কেমন যেন ছন্নছাড়া লাগে এমন সব লিখাগুলো পড়লে, মনে হয়, আমাদের ভাবনাগুলো কত্ত ছোট্ট ছোট্ট, অথচ কী সুন্দর, কী মায়া মায়া, কতদিন গ্রামের বাড়ী যাই না, কুয়াশা ভেজা মাঠে হিম হিম শিশিরের মাঝে ছুট, কত্তদিন চুলার পাশে বসে গরম গরম ভাপা পিঠা, তীব্র শীতের মাঝে ভয়ংকর ঠাণ্ডা খেজুরের রস, সবকিছুই, কেন জানি আবার খুব মনে পড়ছে, বড়ো হয়ে যাওয়াটা বুঝি একটা অভিশাপ……
চলে যাওয়া দিন গুলো ছবির মত ধরে রাখি মনের মাঝে। সেগুলোই বেঁচে থাকার শক্তি।
একটা গাছ যত বেশি বড় হয়, যত বেশি ডাল-পালা ছড়ায় শিকড়ের টান বুঝি ততটাই প্রবল হয়!
কিন্তু আমি তো এখনও চারাগাছ। তাই নস্টালজিক হওয়ার সময় মনে হয় আসেনি এখনও! 😳
আপু, প্রতিটা চলে যাওয়া দিন মানুষকে নস্টালজিক করে দিতে পারে। তার জন্য অনেক বছর লাগে না। 🙂 তুমিও অবশ্যই তোমার স্কুলের দিন গুলো মিস করতে শুরু করেছো অবশ্যই? 🙂
পিঠা বিষয়ে আমার কলিগের আফসুস সেরকম। উনি প্রায়শই বলেন, আমার ছেলেটা বড় বঞ্চিত….তা মা পিঠা বানানোতে আগ্রহী না। বরং ছেলের জন্য দোকান থেকে দামি বার্গার কিনে আনেন।
সত্যি কথা হলো, পরের প্রজন্ম আর পিঠার স্বাদ চেখে দেখার সুযোগই পাবে না।
:guiter:
খুবই ভাল লাগলো
সুন্দর লেখা
:guiter: