এটা আমার লেখালেখির প্রথমদিকের একটা লেখা। কে যেন এটা পড়ে বলেছিল, এহ! ইঁচড়ে পাকা হয়েছেন। আকাশ-বাতাস-পাখ-পাখালী থাকতে উনি মেয়েছেলে নিয়ে কবিতা লিখেছেন। :nono: তার মন্তব্য শুনে তখন ইঁচড়ে পাকামো করেছি বলেই মনে হয়েছিল। 8) 😛
নারী; মানুষ রূপে তুমি,
অস্তিত্ব বহনকারী এ মানব সভ্যতার,
অর্জন করেছ সেই দুর্লভ ক্ষমতা।
সৌন্দর্যের উপমা তুমি, তুমিই সৌন্দর্যের দেবী,
আপন প্রজ্ঞায় উজ্জ্বল, উজ্জ্বল আপন মহিমায়,
খেয়ালী তুমি, উদার তুমি, তুমি চির রহস্যময়,
চোখের চাহনীতেই করতে পারো সারা বিশ্ব জয়।
মাতৃরূপে তুমি,
কর প্রাণের প্রথম সঞ্চার আপন গর্ভে,
ভ্রুণ হতে প্রস্ফুটিত কর তরতাজা প্রাণ।
জননী তুমি, তুমিই যেন জন্মভূমি,
আপন তুমি, পূজনীয় তুমি, তুমি রক্ষক এ পৃথিবীর,
প্রতিপালক তুমি, মমতাময়ী তুমি, তুমি চির বীর,
মাতৃরূপে সফল তুমি, চির উন্নত মম শির।
প্রেমিকা রূপে তুমি,
সমস্ত কল্পনা প্রেমিকের হৃদয়জুড়ে,
প্রেমিকের সকল সাধের সাধনা।
প্রেরণাদায়ী তুমি, তুমিই ছলনাময়ী,
আপন গুণে গুণবতী, সৌন্দর্যে অদ্বিতীয়া,
অভিমানী তুমি, অনুরাগী তুমি, তুমি চির মায়াময়,
চোখের পানে চেয়ে তোমার সব প্রেমিকই বিভোর হয়।
স্ত্রীরূপে তুমি,
চিরসঙ্গী আমৃত্যু,
আপন করে নাও আপন আলোয় সকলকে।
ঘরকণ্যা তুমি, তুমিই প্রেয়সী,
কর্মে দক্ষ, চালিকাশক্তি আপন সংসারের,
আনন্দের আধার তুমি, কর্মের উদ্দীপনা,
কুশলী তুমি, কৌশলী তুমি, তুমিই তো সব কামনা।
বাহ! বাহ! বাহ! :happy:
“আপন প্রজ্ঞায় উজ্জ্বল” বটে! 8)
নারীর ব্যবচ্ছেদ তো ভালোই করা হয়েছে।
বেশ বেশ! 😛