“তুমি দেখে এসো তোমার পূর্বপুরুষের ইতিহাস
তুমি শুনে এসো সেই ছেলেটির কথা
মাত্র ১১ বছর বয়সে গ্রেনেড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল শত্রুশিবিরে
কি-ই বা বয়স হয়েছিল তার?
কতশত করার ছিল
কই বা বুঝত সে?
কিন্তু আমি যে বিশ্বাস করি
তার রক্তে ছিল দেশপ্রেম!
কি বয়স হয়েছিল তোমার বন্ধুর
যে কিনা ১৯ বছর বয়সে
প্রেয়সীকে মিথ্যে বলে ঘর ছেড়ে বের হয়ে গিয়েছিল রাইফেল হাতে
কাঁটাতারের বেড়া পার হতে হতে কি সে কখনো ভাবেনি তার প্রিয়তমার কথা?
হয়ত একটা গোলাপ হাতে নিয়ে বসত তার অপেক্ষায়
গোলাপের কাঁটায় বেরুত রক্ত
কিন্তু তার চেয়ে কি শতগুন তীব্র ছিল না ভালবাসার আবেগ?
অথচ সেই ছেলেটি যখন কাঁটাতারের ফলায় ক্ষতবিক্ষত হয়
তার কষ্টকে তুমি কীসের সাথে তুলনা করবে?
তারা ছিল যুবক, তরুন
ঠিক তোমার মত, রক্ত গরম, টগবগে যৌবন
তারা তোমার মত দেশপ্রেম নিয়ে কথার বাজি ছোটায়নি
তারা শুধুই তাদের দায়িত্ব পালন করেছে–
আর আজ
দেশপ্রেম হয়েছে ফ্যাশনের সামগ্রী।।”
— লিখেছেন মোঃ কামরুল হাসান, EEE’10, BUET
মুক্তিযুদ্ধে আমার বয়সী তরুণেরাই সবচেয়ে উদ্যমী ভূমিকা পালন করেছিল, এই ব্যাপারটি আমাকে খুব নাড়া দেয়। আমি নিজের মাঝেই একটা প্রাণশক্তি অনুভব করি, একটা আগুন অনুভব করি, যেই স্পৃহা সম্ভবত শুধু এই তরুণ বয়সেই থাকে– সন্দেহ নেই একাত্তরের তরুণবাহিনীর উদ্যম ছিল এর থেকে লক্ষ কোটিগুণ তীব্র!
কিন্তু তাঁদের আত্মদান কতটুকু সার্থক? পাকিরা আমাদের সম্পদ নিয়ে নিজেরা মিল-ফ্যাক্টরি বানাচ্ছে বলে আমাদের এত অভিযোগ ছিল, কই গত চল্লিশ বছরে তো বাইরের কেউ আমাদের সম্পদ নিয়ে যায়নি! তাহলে কেন আমাদের উন্নতির গ্রাফ এতটা বেহাল দশায় পড়ে আছে?
বুড়োদের ব্যর্থতার কাহিনী আমি জানতে চাই না। কিন্তু আমার নিজ প্রজন্মের তরুণদের কাছে তো প্রত্যাশা করতেই পারি! কারণ আমি নিজেই এর প্রতিনিধি, আমি নিজেই জানি তারুণ্যের প্রাণশক্তি ঠিক কতটা তীব্র হতে পারে!
বন্ধু কামরুলের আরজি যেন বৃথা না যায়, আমাদের দেশপ্রেম যেন ফ্যাশনের সামগ্রী হয়ে না থাকে, আমাদের দেশপ্রেম যেন ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়ার মাঝেই সীমিত না থাকে।
মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়নি।
তারা তোমার মত দেশপ্রেম নিয়ে কথার বাজি ছোটায়নি
তারা শুধুই তাদের দায়িত্ব পালন করেছে–
আর আজ
দেশপ্রেম হয়েছে ফ্যাশনের সামগ্রী।।
কী মারাত্মক! অসাধারণ ভাইয়া
কামরুল এর সাথে একদিন দেখা করতে চাই! অসাধারণ!
কামরুল আমাদের ক্লাসের পুরোপুরি স্ট্যান্ডআউট একজন মানুষ, জেনুইন আগুন ঝরা তরুণ! এই দেশকে ও অনেক কিছু দিতে পারবে ইনশাল্লাহ!
নিজের মনের কথাগুলো পড়ে ফেললাম…অসাধারণ!!
ধন্যবাদ কামরুলের প্রাপ্য অসাধারণ একটি কবিতার জন্য! 🙂
কবিতাটা অসাধারণ, লেখাটাও। 🙂
সবাই যদি তোমার বন্ধুর মত করে ভাবতো!
আমাদের ভাবতে হবেই!
অসাধারণ ভাইজান , কামরুল ভাইয়া :babymonkey: কবিতাটা অনেক সুন্দর + তোমার লেখাটাও,
আর ” বুড়োদের ব্যর্থতার কাহিনী আমি জানতে চাই না। কিন্তু আমার নিজ প্রজন্মের তরুণদের কাছে তো প্রত্যাশা করতেই পারি! কারণ আমি নিজেই এর প্রতিনিধি, আমি নিজেই জানি তারুণ্যের প্রাণশক্তি ঠিক কতটা তীব্র হতে পারে!” এই কথাটার সাথে পুরোপুরি সহমত :beshikhushi:
ধন্যবাদ!! 🙂
দারুন কবিতা! ভাবার মত…
:clappinghands:
ঠিক 🙂
খুবই সুন্দর! ধন্যবাদ রাইয়ান, শেয়ার করার জন্য
ওয়েল্কু :)))
এই কথাটার উপর আর কোন কথা হয় না……
“আর আজ
দেশপ্রেম হয়েছে ফ্যাশনের সামগ্রী।।”
কামরুলের কাছে এই কথাটা পৌঁছুবে কিনা জানিনা, কিন্তু এমন বোধের উদয়টা বুঝি আমাদের সবারই খুব বেশি দরকার……
দুর্দান্ত!
ধন্যবাদ 🙂
দুর্দান্ত প্রাণশক্তি! সত্যি দুর্দান্ত! :clappinghands:
:yahooo: :yahooo: :yahooo:
কামরুলের জন্য শুভকামনা।
কামরুলের চিন্তাধারা ছড়িয়ে যাক সবার মাঝে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেন শুধু চেতনা হয়েই বেঁচে না থাকে, কাগজে-কলমে প্রমাণস্বরূপ জাগ্রত হয় নিজেদের কাজের মাধ্যমে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেন শুধু চেতনা হয়েই বেঁচে না থাকে, কাগজে-কলমে প্রমাণস্বরূপ জাগ্রত হয় নিজেদের কাজের মাধ্যমে।
পুরোপুরি একমত!! 🙂
পুরো কবিতাটি পড়তে পারেন এখানেঃ https://www.facebook.com/note.php?note_id=10151075968920463