দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলো-৪

 

একটা ছবি হাজার শব্দের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কিছু ছবি মানুষের ইতিহাস বদলায়, কিছু ছবি  মানুষকে স্বপ্ন দেখায় আর কিছু ছবি মানুষকে করে বাকরুদ্ধ।

এমনই কিছু ছবি নিয়ে আবারো ‘দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলো’:

War Underfoot

ফটোগ্রাফার: ক্যারোলিন কোল

লাইবেরিয়ার যুদ্ধের ছবি এটি। মনরোভিয়া শহরের পথে পড়ে থাকা হাজার হাজার বুলেটের খোল। সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধের ধংসযজ্ঞ টের পাওয়া যায় যে ছবিতে।

After the Storm

ফটোগ্রাফার: প্যাট্রিক ফেরেল

২০০৮ সালে হাইতি-তে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় ‘হান্না’। ঝড়ের পর একটুকরো গায়ের কাপড়ও বাঁচাতে পারেনি যে ছেলেটি, হাতের কাছে একটি ট্রলি পেয়ে সেটিকেই নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নতুন দিনের শুরুতে।

World Trade Center 9/11

ফটোগ্রাফার: স্টিভ লুডিয়াম

১১ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ তে টুইন টাওয়ারে দ্বিতীয় বিমানটি আঘাত হানার পরমূহুর্তের দৃশ্য এটি। আগুন, ধোঁয়া, টুকরো টুকরো ধ্বংসাবশেষ যেন মানুষের মনের ভয়ের এক প্রতিচ্ছবি।

Bhopal Gas Tragedy 1984

ফটোগ্রাফার: পাবলো বার্থোলোমিউ

১৯৮৪ সালে ভারতের ভূপাল-এ ‘ইউনিয়ন কার্বাইড ইন্ডিয়া লিমিটেড’ তাদের প্ল্যান্টে নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা না রাখায় সংঘঠিত হয় পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দূর্ঘটনা। মিথাইল আইসোসায়ানাইড এবং অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশে। মারা যায় ১৫০০০ মানুষ এবং শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আরো সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ! বিষক্রিয়ার মারা যাওয়া একটি শিশুর মৃতদেহ যা কাঁপিয়ে দেয় মানুষের হৃদয়।

Photo 51(First photo of DNA)

ফটোগ্রাফার: রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন

১৯৫২ সালে তোলা ছবিটি একটি এক্স-রে ডিফ্রাকশন-এর ছবি। এই ছবিতে প্রথম দেখতে পাওয়া যায় জীবদেহের গঠন একক DNA. DNA-এর গঠন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় এ ছবি থেকে।

Raising a flag over the Reichstag

ফটোগ্রাফার: ইয়েভগেনি খালদেই

২রা মে, ১৯৪৫-এ বার্লিন যুদ্ধের সময় তৎকালীন জার্মান পার্লামেন্ট ভবনের উপর সোভিয়েত সেনারা নিজেদের পতাকা উড়ানোর ছবি। ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জার্মান নৃশংসতা শেষ হবার, জার্মানদের পরাজয়ের চিহ্ন হয়ে আছে ছবিটি।

Hindenburg disaster

৬ই মে, ১৯৩৭-এ জার্মান প্যাসেঞ্জার এয়ারশিপ ‘এল জেড হিনডেনবার্গ’ , নিউ জার্সিতে বিধ্বস্ত হয়। ৩৫ জন যাত্রী মারা যায় এ বিস্ফোরণে।

Hand of God

১৯৮৬ ফুটবল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ২২শে জুন মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা এবং ইংল্যান্ড। ওই ম্যাচের ৫১ মিনিটে হাত দিয়ে একটি গোল দেন ম্যারাডোনা। রেফারির চোখ এড়িয়ে যাওয়া গোলটিকেই বলা হয় ‘হ্যান্ড অফ গড’। ম্যাচটি ২-১ গোলে হারে ইংল্যান্ড এবং ওই বছর বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনা। ইংল্যান্ডে ব্যপকভাবে সমালোচিত হন ম্যারাডোনা।   

Tragedy of Omayra Sanchez

ফটোগ্রাফার: ফ্র্যাঙ্ক ফুরিয়ার

১৯৮৫ সালে কলম্বিয়ায় ‘নেভাডো দেল রুইজ’ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুপাতের ফলে আশেপাশের এলাকা ঢেকে যায় কাদায়। ২৫০০০ মানুষ মারা যায় এ  অগ্ন্যুপাতে। কাদায় চাপা পড়া ওমায়রা সানচেজ ৩ দিন ধরে আটকা পড়ে থাকে। অতিরিক্ত উত্তাপ এবং গ্যাংগ্রিনে অবশেষে মারা যায় ছেলেটি। কলম্বিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দূর্যোগের ভয়াবহতা বারবার মনে করিয়ে দেয় ছবিটি।

 

আগের পর্ব:

 

দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলো

দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলো-২

দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলো-৩: স্বাধীনতা

 

 

 

স্বপ্ন বিলাস সম্পর্কে

বাস্তবে মানুষ হবার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জীবনের নানা পথ ঘুরে ইদানীং মনে হচ্ছে গোলকধাঁধায় হারিয়েছি আমি। পথ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি আর দেখে যাই চারপাশ। ক্লান্ত হয়ে হারাই যখন স্বপ্নে, তখন আমার পৃথিবীর আমার মতো......ছন্নছাড়া, বাঁধনহারা। আর তাই, স্বপ্ন দেখি..........স্বপ্নে বাস করি.....
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে বিবিধ-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

18 Responses to দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলো-৪

  1. ভয়ংকর, দম বন্ধ করা ভয়ংকর…… :huzur: :huzur:

  2. অবন্তিকা বলেছেনঃ

    :clappinghands:

  3. রাইয়্যান বলেছেনঃ

    ভূপাল ট্র্যাজেডির ছবিটা দেখে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো 🙁

  4. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    বেশিরভাগই ভয়াবহ সব ছবি!

    DNA’র ছবিটা মারাত্মক! 😀

    অসাধারণ সিরিজ একটা! 😀

  5. মুবিন বলেছেনঃ

    ছবিগুলো শুধু দুনিয়া কাঁপানো নয়। ছবি মানবিকতাকে জাগিয়ে তোলে। যুদ্ধবিরোধী চেতনাকে জাগিয়ে তোলে। জানিয়ে দিয়ে যায় মানব সভ্যতার ভয়ংকর সব মোড়গুলোর কথা।
    চলতে থাকুক “দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলো” সিরিজ।
    শুভকামনা।

  6. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    এই সিরিজটা যে আমার কী পছন্দের!

    প্রত্যেকটা ছবিই অসাধারণ!

  7. জনৈক বলেছেনঃ

    অসাধারণ সিরিজ।

  8. কৃষ্ণচূড়া বলেছেনঃ

    বেশ বেশ :clappinghands:
    অসাধারণ সংগ্রহ

  9. সামিরা বলেছেনঃ

    হায় হায়! এই পোস্টে এখনো কমেন্ট করি নাই আমি!
    দারুণ সিরিজ, কিন্তু বেশিরভাগ ছবিই ভয়ানক হইছে এই পোস্টের।
    শেয়ার করছি। 🙂

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।