বুয়েট কর্তৃপক্ষ: কী সিদ্ধান্ত আপনাদের? + সর্বশেষ আপডেট

[সর্বশেষ পরিস্থিতি:

৪ই জানুয়ারী, ২০১২: অভিযুক্ত দুজন ছাত্র শাস্তি পাওয়ায় তিন দিন পর গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস ছিল শান্ত। স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমও চলেছে।
তবে আতঙ্কে রয়েছেন আন্দোলনের সামনের সারির শিক্ষার্থীরা। তাঁদের আশঙ্কা, শাস্তি পাওয়া দুজন ছাত্রলীগের কর্মী হওয়ায় তাঁদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করতে পারে।

৩রা জানুয়ারী, ২০১২:

ঈসান হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়েছে আজকে। তবে ড্রেসিং ও চেকআপ এর জন্য ওকে হাসপাতালে নিয়মিত আসতে হবে।

২ জানুয়ারি, ২০১২: 

রাত  ৯টা :সুজিত এবং  মিঠুনকে বুয়েট থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বুয়েটে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে বাঁধভাঙা উল্লাস। শান্তিপূর্ণভাবে এবং  ধৈর্য্য ধরে তারা তিনদিন অনড় অবস্থানে থেকে  ন্যায্য দাবি এবং ন্যায় বিচার আদায় করে নিয়েছে। 

ছবি: বহিষ্কারের নোটিশ

সন্ধ্যা ৭টা: পুলিশের পাহারায় স্যারদের এখনো মিটিং চলছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধীর আগ্রহে ন্যায়বিচারের অপেক্ষা করছে।

বিকাল ৪:৫০: ক্যাফেটেরিয়ায় কিছুক্ষণ আগে এটিএন, সময় টিভি ও একুশে টিভির সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রেস কনফারেন্স হয়েছে।

বিকাল ৩:৫০: ৩টার মিটিং এখনো শুরু হয় নি, কারণ রেজিস্ট্রার বিল্ডিং-এর সামনে প্রচুর মানুষ থাকায় স্যারেরা সেখানে যেতে ইতস্তত করছেন। তাই এই মাত্র সবাইকে ক্যাফেটেরিয়ায় চলে যেতে বলা হয়েছে, স্যারেরা পুলিশ প্রহরায় বিল্ডিং-এ প্রবেশ করবেন তাই। সব ছাত্র-ছাত্রী ক্যাফেটেরিয়া জড়ো হয়েছে। 

বিকাল ৩টা: বিপুল পরিমাণ বুয়েটিয়ান রেজিস্ট্রার বিল্ডিং-এর সামনে জড়ো হয়েছে ৩টার মিটিং-এর অপেক্ষায়।

দুপুর ১টা: সকাল থেকে কোন পুলিশ না থাকলেও এই মুহূর্তে বুয়েটের গেটে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছে।

সকাল ১১টা: সকাল ৯টার মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা করা হয় নি। রেজিস্ট্রার স্যার জানিয়েছেন, রিপোর্ট হাতে এসে পৌঁছলে বিকাল ৩টার মিটিঙে তা নিয়ে আলোচনা হবে।

ছাত্র-ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধরে রেখেছে এখনো।

সকাল ১০টা: দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মিছিল হচ্ছে বুয়েট প্রাঙ্গণে। শান্তিপূর্ণ এই মিছিলে উপস্থিত আছে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী।


১ জানুয়ারি, ২০১২:

রাত ১০টা: DAERS Office-এ তদন্ত কমিটি সাক্ষ্য গ্রহন করছে। নিচে দাঁড়িয়ে সাক্ষীদের অভিবাদন ও অনুপ্রেরণা দিচ্ছে সকল বুয়েটিয়ানরা।

আসামী পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণের সময় সকলের বুয়েটিয়ানের শান্তিপূর্ণ অবস্থান।

রাত ৭টা: আন্দোলনকারী ছাত্ররা  বুয়েটের সকল শিক্ষার্থীকে সকালে বুয়েটে এসে তাদের সাথে যোগদানের জন্য অনুরোধ করেছে। প্রসঙ্গত, আগামীকাল বুয়েটের সকল রুটের বাস নির্ধারিত সময়ে বুয়েটে আসবে।

বুয়েটের ভিসি স্যারের সাথে সবার বৈঠক হয়েছে।

ঈশানের হাতে অপারেশন হয়েছে আজ দুপুরে।বর্তমানে সে কেবিনে অবজারভেশনে আছে।

বিকেল ৫টা: সন্ধ্যা ৬টায়  বুয়েটের “বোর্ড অফ রেসিডেন্স এন্ড ডিসিপ্লিনারী কমিটির”মিটিং বসতে যাচ্ছে। বুয়েটের সকল গ্রাজুয়েটরা এই আন্দোলনে তাদের একাত্বতা প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ও ব্যাচের গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টরা বিকেলে বুয়েটে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া বর্তমান ব্যাচের ছাত্ররা  গতকালের মত আজ রাতেও ক্যাম্পাসে  অবস্থান করবে বলে জানিয়েছে।

দুপুর ২টা: তদন্ত কমিটি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে রিপোর্ট দিবে বলে জানিয়েছে। এবং, বুয়েট কর্তৃপক্ষ বিকেল ৩টায় মিটিং-এ তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী শাস্তির সিদ্ধান্ত নিবে। ছাত্ররা ঘোষণা দিয়েছে তারা যতক্ষণ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ঘোষণা না পাবে, ততক্ষণ ক্যাম্পাসেই অবস্থান করবে।

দুপুর ১২টা: সকাল থেকেই বুয়েটের গেটের বাইরে অবস্থান করছে ১০টি গাড়ি ও দুইটি বাস ভর্তি পুলিশ। প্রায় ২০০ পুলিশকে উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আছে ছাত্ররা।

প্রশাসন ৪৮ ঘন্টা সময় চেয়ে নিয়েছে তদন্তের জন্য। যদিও কালক্ষেপণের নামে চেয়ে নেয়া হয়েছে এই সময়, তবুও নিজেদের দাবিতে অনড় ছাত্ররা সময় দিয়ে ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছে]

আজ ৩১শে ডিসেম্বর সকালে বুয়েটের ’০৬ ব্যাচের একজন ছাত্রকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের কিছু ছাত্র!

ঘটনার সূত্রপাত:

বুয়েটের শেষ সেমিস্টারে থাকা ’০৬ ব্যাচের শেষ সপ্তাহ উপলক্ষে চলছিল র‍্যাগ সপ্তাহ। এর অংশ হিসেবে ২৮শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় র‍্যাগ কনসার্ট। সব সময়ের মত এবারও র‍্যাগ কনসার্ট চলছিল বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে। ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে শুধুমাত্র প্রবেশাধিকার ছিল ’০৬ ব্যাচের। তবে অন্যান্য ব্যাচের স্টুডেন্টরা ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণের বাইরে থেকে ঠিকই উপভোগ করতে পারবে কনসার্ট। এর এক পর্যায়ে ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে প্রবেশের চেষ্টা করে সুজিত(’০৮ ব্যাচ, MME), দ্বীপ(’০৯ ব্যাচ, ME), মিঠুন(’০৮ ব্যাচ, ME)।  যারা বুয়েটের ছাত্রলীগের সাথে জড়িত। যদিও জুনিয়র ব্যাচের সবাই চত্বরের বাইরে থেকে কনসার্ট উপভোগ করছিল, এরা ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে বাঁধা দেয় ঈশান(’০৬ ব্যাচ, CSE)। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা মীমাংসা করে ’০৬ এর নাহিয়ান, যে র‍্যাগ অনুষ্ঠানের আয়োজকদের একজন। অবশেষে কথা কাটাকাটি হলেও চলে যায় ওই তিনজন।

পরবর্তী ঘটনা:

ওইদিন রাতেই নজরুল হলে গিয়ে নাহিয়ানকে খুঁজে বের করে লাথি দেয় তারা।

অবশেষে আজ সকালে নজরুল হলে আবারো ’০৬ ব্যাচের ছাত্রদের খুঁজতে যায় সুজিত, দ্বীপ, মিঠুন। তবে কাউকেই খুঁজে না পেলেও সামনে পেয়ে যায় ঈশানকে। হকিস্টিক দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হাত এবং পা থেঁতলে দেয়া হয় ঈশানের। বাম হাতের জয়েন্টও খুলে যায় তার।

ঈশান এখন স্কয়ার হসপিটালের ইমার্জেন্সি ইউনিটে আছে। আজকে দুপুরে অপারেশন করার কথা।

আহত ঈশান

ঈশানের ভাঙা হাতের এক্স-রে

অপরাধী তিনজন

ছাত্রদের দাবি:

বুয়েটের ছাত্রদের দাবি এখন একটাই: জড়িত তিনজনকে বুয়েট থেকে আজীবন বহিষ্কার।

আন্দোলনকারী বুয়েটের ছাত্রছাত্রীগণ

কর্তৃপক্ষের অবস্থান:

সকাল বেলা এ ঘটনা ঘটলেও এবং বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রচণ্ড দাবির মুখেও বুয়েট কর্তৃপক্ষ অনড় তাদের অবস্থানে। তারা অপরাধী ছাত্রদের শাস্তি দিচ্ছে না, তারা ছাত্রলীগের সাথে জড়িত বলে।

ফ্ল্যাশব্যাক:

গত বছর বুয়েট ’০৫ ব্যাচের গৌতম নামের একজন ছাত্রকে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত কিছু ছাত্র পেটালেও কর্তৃপক্ষ কোন শাস্তি দেয়নি তাদের।

আমাদের কথা:

বুয়েট বহু বছর ধরে তাদের ঐতিহ্য বজায় রেখেছে রাজনীতির বিষ-কে তার অভ্যন্তরে প্রবেশ না করতে দিয়ে। কিন্তু, গত কয়েক বছর ধরে ছাত্রলীগের প্রচণ্ড আগ্রাসী মনোভাবের কারণে এমন ঘটনা ঘটতে দেখছি বারবার। বুয়েট কর্তৃপক্ষও নীরবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তাদের কোন অপরাধী ছাত্রকে শাস্তি না দিয়ে। এমনভাবে চলতে থাকলে, বুয়েট নির্মমভাবে ধ্বংস হবে রাজনীতির বিষে। আমরা সেই বুয়েট চাই না, যেখানে পড়তে পাঠাতে বাবা-মা ভয় পাবে তার ছেলে-মেয়ের জীবনের। আমরা সেই বুয়েট চাই না, যেখানে ক্ষমতার মিথ্যে দম্ভে অন্যদের জীবন নিয়ে খেলবে  কিছু ছাত্র নামের কলঙ্ক। আমরা দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়কে মরতে দেখতে চাই না।

বুয়েট কর্তৃপক্ষ, এখন আপনাদের সিদ্ধান্ত। আপনারা কি চুপ করেই বসে থাকবেন? নাকি আমরা সদা শ্রদ্ধা করতে পারবো, এমন কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন?

সিদ্ধান্ত আপনাদের………

সংবাদ মাধ্যমের প্রহসন:

মাছরাঙ্গা টিভিতে গতকাল রাতে শিরোনাম “সন্ধ্যায় বুয়েটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ, আহত ১”

কেউ কখনো ঈশানকে কোন ধরনের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকতে দেখে নি।

আজকের প্রথম আলোতে খবর: “বুয়েটে ছাত্রলীগের হামলায় পা ভেঙে গিয়েছে এক ছাত্রের।”

একটা পত্রিকা যদি হাত না পা ভেঙেছে এই খবরই নিশ্চিত করতে না পারে, তাদের খবর নিয়ে কিছু বলার নেই।

কিছু টিভি চ্যানেলে বলা হচ্ছে, বুয়েটের ছাত্ররা আন্দোলন পরিহার করেছে।

কিন্তু, বাস্তবতা এর উল্টো। আন্দোলন আরো দৃঢ় হয়েছে।

বুয়েটের অফিসিয়াল নোটিশ:

মাত্র ছয় মাসের বহিষ্কার আদেশ দিয়ে পার পেতে চাচ্ছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, ছাত্রদের দাবি আজীবন বহিষ্কার।

আহত ঈশানের সাক্ষাৎকার:

ঈশানের বক্তব্য


 

 

[এই বিষয়ে নিয়মিত আপডেট জানতে এই ফেসবুক পেইজটিতে চোখ রাখুন।]

অন্য স্বর সম্পর্কে

ননরেজিস্টার্ড সদস্যগণও যেন সরবে লিখতে পারেন সেই জন্য এই একাউন্ট। যোগাযোগ পাতায় কিছু লিখে জমা দিলে সরব এর মডারেটরগণ তা মূল্যায়ন করবেন। মনোনীত হলে এই একাউন্ট দিয়ে ছাপা হবে।
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে ইতিবাচক-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

13 Responses to বুয়েট কর্তৃপক্ষ: কী সিদ্ধান্ত আপনাদের? + সর্বশেষ আপডেট

  1. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    তীব্র ঘৃণা এই ধ্বংসাত্বক রাজনীতি ও দলপ্রিয় শিক্ষকদের প্রতি…………

  2. কৃষ্ণচূড়া বলেছেনঃ

    এই ছোট ভাইয়াটাকে চিনি। এরকম বিনয়ী মানুষ এখনকার যুগে কম দেখেছি।।

    গত রাত থেকেই কেমন যেন একটা গুমোট কান্নায় ভেঙে পড়ছি বারবার। অসম্ভব রাগ, ক্ষোভ…নির্বাক আমি…

  3. কৃষ্ণচূড়া বলেছেনঃ

    মিডিয়ার ভূমিকায় বিস্মিত

  4. শামসীর বলেছেনঃ

    এক্সরে ছবিটা দেখে সত্যি সত্যি আমার গা কাঁপছে…………

  5. ফারহান দাউদ বলেছেনঃ

    যেটা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে, সেটা হলো, এই বুয়েটেই ছাত্রদল আর ছাত্রলীগের বড় ভাইদের সামনে তাদের নিয়ে হাসাহাসি করেছি, প্রশ্ন করেছি, তারাও ফেরেশতা ছিল না, কিন্তু তারা মানুষ ছিল, হেসে আমাদের প্রশ্রয় দিয়ে গেছে।আর সেই বুয়েটে এখন শিক্ষক নামের কিছু কুলাঙ্গারের প্রশ্রয় পেয়ে জুনিয়র ছেলেরা পিটিয়ে সিনিয়রদের হাত-পা ভেঙে দেয়। যেদিন থেকে বুয়েটে ঢুকেছি, সেদিন থেকে সবার সাথে গলা উঁচু করে তর্ক করেছি, বুয়েটের ছেলে-মেয়েরা নোংরা রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয় না, এখানকার শিক্ষকরা নোংরা স্বার্থে কাজ করেন না, মুকি-টগর বাহিনীকে এখানকার নিরীহ ছেলেমেয়েরাই ক্যাম্পাসছাড়া করেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিষ আসলে শেষ হয়নি, শুধু চেহারা বদলেছে, মুকি-টগরের বদলে এখন সুজিত-দ্বীপ রা আরো ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়ে হাজির হয়েছে, ভিসি নজরুল, প্রো-ভিসি হাবিবুর, শিক্ষকনেতা মুনাজ আহমেদ আগের চামচা শিক্ষকদের চেয়েও অনেক বেশি নির্লজ্জ। এখন সময় হয়েছে এর একটা সমাধানের, যদিও ভয় হচ্ছে এর মূল্য কত বেশি হবে, কারণ আমরা সবাই জানি আমাদের সরকার কাদের চায়, কাদেরকে তারা ক্ষমতায় আর উঁচু পদে দেখতে চায়। সবকিছুই নষ্টদের অধিকারে যাচ্ছে, আমরা কি করবো?

  6. ফারহান দাউদ বলেছেনঃ

    আরেকটা প্রশ্ন জাগলো, আমাদের সম্মানিত শিক্ষকরা কি করছেন? কয়দিন আগেই তারা নিজেদের অবসরের সময়সীমা বাড়ানোর দাবীতে ধর্মঘট করেছিলেন, নীতিগত কারণে সাধারণ ছাত্ররাও তাতে সমর্থন দিয়েছিল। এখন ছাত্রদের এই সংকটের সময়ে তারা কি ছাত্রদের পাশে আছেন, নাকি বরাবরের মতই চোখে গরুর মত ঠুলি এঁটে ঘরে বউয়ের আঁচলের নিচে বসে আছেন?

    • শামসীর বলেছেনঃ

      আমার একটা জিনিস আজো মাথায় ঢুকেনা শিক্ষক সমাজ সবসময় কুত্তার বাচ্চাদের পক্ষ কেন নেন !!!! দলীয় গু চাটা কি পুরা মনুষ্যত্ব জিনিষটাই বিকিয়ে দেয় !!!! কয়েকটা কুত্তার বাচ্চা কে ঠিকমত শাস্তি দিতে পারলে ভার্সিটিগুলোতে মারামারি শূন্যের কোঠায় চলে আসত !!!!
      আর ভিসি প্রোভিসি প্রক্টর এরা অধিকাংসশ সময় মাগীর দালালের চেয়েও খারাপ চরিত্র ধারন করেন ।

  7. ইতস্তত বিপ্লবী বলেছেনঃ

    কিছুদিন পর পরই এধরনের ঘটনা ঘটে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবে পুনরাবৃত্তি প্রশ্রয় পায়। নিরীহ ছাত্র খুন পর্যন্ত হয়েছে, সুষ্ঠু বিচার হয়নি। আর মানা যায় না। বিশ্বের সর্বত্র মানুষজন অল্প সময়ের ব্যবধানে নিজেদের বিপ্লবী বানাতে পারলে বিপ্লবী জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জা হওয়া উচিৎ আমাদের, এত বছর ধরে এই পিশাচগুলোকে রাজত্ব করতে দেওয়া হয়েছে!
    সর্বোচ্চ উপযুক্ত শাস্তি চাই, রাস্তার কুকুরের মত আচরণ করে এমন প্রাণীদের আগে মানুষ করে তারপর অন্য শিক্ষা অর্জনে পাঠানো উচিৎ, এর আগে নয় !!

  8. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    বুয়েটের প্রোভিসি তো বুয়েট ছাত্রদের কাছে সার্টিফিকেট বিক্রি করে ভালোভাবেই চেয়ারের ভোগ-দখল করছেন। শিক্ষক-প্রো-ভিসি, ভিসি, প্রোক্টর এনারা কোথায় একটা শক্ত ব্যবস্থা নেবেন তা-না, উল্টো বুয়েটে রাজনীতির গালিচা পেতে সেখানে ক্ষমতাবানদের পথ পরিষ্কার করছেন।

    মাঝখান থেকে ভুক্তভোগী হচ্ছে ঈশানের মত কিছু নিরীহ ছাত্র!

    মিডিয়ার কথা আর কী বলবো। নিজে তো মাঠে থেকে সামনাসামনি মিডিয়া-পুলিশের মিথ্যা প্রহসন কম দেখলাম না। ধিক এইসব টাকা দিয়ে কেনা দালালদের।

  9. নিশম বলেছেনঃ

    বুয়েটের ভাই-বোনদেরকে আমার সর্বোচ্চ সম্মান আর স্যালুট!!! ভয় একটাই, এই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা না আবার মামাবাহিনীর রোষানলে পরে যায় !!!! আর, প্রো-ভিসি নাকি সার্টিফিকেটের ভয় দেখাইসে শুনলাম !!!! আল্লাহ পাকের কাছে একটাই দোয়া, ঈশান ভাই এর সুস্থ্যতা আর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই অহিংস আন্দোলনের সফলতা। হে আল্লাহ, তুমি এদের সফলকাম করো!

  10. জনৈক বলেছেনঃ

    একটা ভয়ের বিষয় হলো… এরা উচ্চ আদালতে আপীল করে খালাস পেয়ে না যায়।। দেখা গেলো, ছয়মাস বা একবছর পর সবাই ‘ভুলে গেলে’ এরা আবার আগের অবস্থায় আসীন হয়ে আবার যা-তা করা শুরু করবে!

    তাই এই পোস্টটার একটা ফলো-আপ রাখা দরকার অন্তত ১৮ মাস পর্যন্ত!

  11. নীল রঙ পরী বলেছেনঃ

    বুয়েটিয়ান আপু এবং ভাইয়ারা… আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন… আপনারা প্রমাণ করে দিয়েছেন কেমন করে শুধুমাত্র একজোট হলেই সবকিছু হাতের মুঠোয় এনে ফেলা সম্ভব।

    তবু এখনো, ঈষান ভাইয়ার জন্য কষ্ট হচ্ছে… এমন ঘটনাগুলো যে কবে বন্ধ হবে… ভয় হয় মাঝে মাঝে, ভীষণ ভয় হয়।

    মেডিকেলে বুয়েটের এইরকম ঘটনার থেকেও নোংরা রাজনীতি হয়… বারে বারে দেখে এসেছি… এখন ব্যাপারটা এমনই গা হওয়া হয়ে গিয়েছে, কিছু বলতেও পারিনা। কিন্তু এই ঘটনার পর মনে হচ্ছে, প্রথম থেকেই কিছু বলা উচিৎ ছিল… তাহলে এই ঘৃণ্য ঘটনাগুলো আর ঘটার সুযোগই পেত না…

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।