হে তরুণ, আগেই জেনেছ তুমি যদি নিজেকে বদলাতে চাও, মানে উন্নত করতে চাও, তাহলে তোমাকে শুরু করতে হবে নিজের চিন্তা চেতনা বদলানো দিয়ে, চিন্তা চেতনাকে উন্নত করার মাধ্যমে। আর চিন্তা চেতনা উন্নত করার একমাত্র না হলেও প্রধান উপায় পড়াশোনা করা, বই পড়া। তোমার স্মার্ট ফোন হতে পারে এই পড়া শোনার সবচেয়ে সহজ উপায়। কি না পড়তে পার তুমি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে !!!!!!!!!!!!
পরিবর্তন আনতে হলে আমাদের প্রথম যে জিনিসটা জানতে হবে তা হল কি ধরনের পরিবর্তন আনা উচিত আর কি ধরনের পরিবর্তন আমাদের প্রতিরোধ করা উচিত; কোনটা ঠিক আর কোনটা ঠিক না সেটা জানা। কারণ পরিবর্তন মানেই উন্নতি না, ভাল কিছু না যা আমার মূলত চাই। আর এর জন্য আমাদের ধর্মের কাছেই যেতে হবে; এই জ্ঞানটা আমাদের ধর্ম থেকেই নিতে হবে। যদি এর জন্য নিজের উপর নির্ভর কর তাহলে পথ হারাবে অনভিজ্ঞতার কারণে, জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে। অন্য কোন মানুষের উপর নির্ভর করলেও একই ফল। কারণ, প্রতিটি মানুষ একটাই জীবন যাপন করে। আবার প্রতিটি মানুষই আলাদা, প্রত্যেকের ফিঙ্গার প্রিন্ট আলাদা। তাই একজনের এক জীবনের অভিজ্ঞতা অন্যের জীবনে কাজে লাগে না সব ব্যাপারে। কোন মানুষ তাই মানুষের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চলার জন্য গাইড লাইন দিতে পারে না, দেওয়ার অধিকার রাখে না তার অভিজ্ঞতা আর জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে। একমাত্র মূর্খই মানুষের জীবনের জন্য গাইড লাইন দেওয়ার দাবী করতে পারে, যদিও এধরনের লোকদের আমরা অনেক সময় মহাজ্ঞানী বলে ভুল করি।
যাই হোক, তুমি ধর্মানুরাগী বা বিরাগী যাই হউ না কেন, ধর্মীয় বই গুলি তোমাকে পড়তেই হবে কোন ধরনের পরিবর্তনের জন্য তুমি তোমার সময় ও মেধার বিনিয়োগ করবে। সামান্য জ্ঞান নিয়ে ধর্মানুরাগী হয়ে কোন লাভ নেই। কুরান, হাদিস, কুরানের তাফসির আর “রাইটলি গাইডেড” চার খলিফার বাণী যখন তোমার হাতের মুঠোর মধ্যে আনতে পার এসব অ্যাপলিকেশন ডাউন লোড করে, তখন তুমি ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে, মানে ধারণার উপর ভর করে ধর্মানুরাগী থাকতে পার না, থাকা উচিত না। কোকাকোলা খেলে গুরুপাক খাদ্য হজমে হেল্প হয় ধারণা করে যেমন হাজার হাজার লোক তা খায়, জানার বোঝার চেষ্টা করে না কোকাকোলা, পেপসি সেভেন আপে খাদ্য হজমে সাহায্য হয় এমন কোন উপাদান আছে কিনা, সে রকম ধারণার উপর ভর করে তুমি ধর্মানুরাগী হতে পার না। নিজের চোখে দেখে, নিজের মুখে পড়ে, নিজের কানে শুনে তুমি যদি ধর্মানুরাগী হও, তবেই না তুমি খাটি এবং যথার্থ ধর্মানুরাগী। না হলে অন্ধ ধর্ম ভীরু, অন্ধের হাতি দেখার মত তুমি ধর্মকে দেখ, দেখছ, দেখবে। কুরান, হাদিস, কুরানের তাফসির আর “রাইটলি গাইডেড” চার খলিফার বাণী যত পড়বে তত তুমি বদলাবে। তোমার প্রভাবে চার পাশের অনেকেই বদলে যাবে। নিজেকে আর চারপাশের মানুষকে বদলানো অনেক সহজ হবে। তুমি যদি ইসলাম ধর্মের অনুসারী না হও, তোমার ধর্ম গ্রন্থ গুলিও হয়ত পাওয়া যায়, সেই গুলি তোমাকে পড়তে হবে। আর যদি ধর্ম বিদ্বেষীও হয়ে থাক, তাও তুমি হতে পার না ধর্ম সম্পর্কে ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে, ধর্ম সম্পর্কে শুধু অন্যের সমালোচনা পড়ে, ধর্মীয় গ্রন্থ গুলি না পড়ে। কুরান ইংরেজি অনুবাদ সহ তোমার হাতের মঠয়, সবগুলি হাদিস গ্রন্থ আর কুরানের তফসিরও। অন্য ধর্মের গ্রন্থ গুলিও নিশ্চয় পাওয়া যায়। নিজের চোখে দেখে, নিজের মুখে পড়ে, নিজের কানে শুনে তারপরই না তোমার ধর্ম বিদ্বেষী হওয়া উচিত যদি না তুমি এর মধ্যে উপকারী কিছু না পাও। এর অন্যথা হলে তুমি অজ্ঞ, অন্ধ ধর্ম বিদ্বেষী।
কি ধরনের পরিবর্তন তুমি আনতে চাও, তা ঠিক করার পর কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় পরিবর্তন আনার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা। আর পরিবর্তন আনারা জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যে দক্ষতাটা দরকার তা হচ্ছে, কমিউনিকেশন স্কিল। ভাল কমিউনিকেশন স্কিল মানে কিন্তু গুছিয়ে কথা আর সুন্দর করে কথা বলা বোঝায় না। এই দুইটা দরকার কিন্তু এই দুইটা কমিউনিকেশনের মুল না, ভিত্তি না। কমিউনিকেশনের মুল কথা হচ্ছে “ অন্যকে বোঝা আর নিজেকে বোঝানো।“ আগে অন্যকে বোঝতে হবে, পরে নিজেকে বোঝাতে হবে। শুধু পরিবর্তনের জন্য না, সব কিছুর জন্যই এই দক্ষতাটা আমাদের দরকার; পারিবারিক জীবনে সফলতার জন্য, সামাজিক জীবনে সফলতার জন্য, প্রফেশনাল জীবনে সফলতার জন্য। পারিবারিক জীবনে যদি অশান্তি হয় সে পরিবারের একে অন্যকে না বোঝার জন্য। সামাজিক জীবনেও তাই।প্রফেশনাল জীবনেও আমরা ব্যর্থ হই বা আশানুরূপ সফল হতে পারি না যদি না আমরা আমাদের উপরের(বস), ডানের বামের (একই লেভেলের কলিগ) আর নিচের (অধস্তন) কলিগদের বোঝতে পারি, বোঝাতে পারি। তাছাড়া দিনে রাতে আমরা যতক্ষণ জেগে থাকি, তার বেশীর ভাগ সময় কিন্তু আমরা কারো না কারো সাথে কমিউনিকেশনই করি, বাসায় বউ বাচ্চা, মা বাবা ভাই বোন আত্নীয় সজন বা কাজের লোকদের সাথে, অফিসে কলিগদের সাথে, পথে ঘাটে সহযাত্রীদের সাথে। তাই কমিউনিকেশন স্কিল অর্জন করার জন্য আমাদের সবচেয়ে বেশী সময় দিতে হবে। আর অন্যকে বোঝার জন্য আমাদের কে যে দক্ষতাটা অর্জন করতে হবে তা হল অন্যের জুতায় নিজের পা রাখার। এই কথাটার মানে হচ্ছে কেউ যখন কিছু বলছে বা করছে তখন আমাদের ভাবতে হবে তার মত জ্ঞান, অর্থ বা অবস্থা হলে বা সীমিত ইনফরমেশন থাকলে একই রকম ঘটনায় আমি কি বলতাম, করতাম বা ভাবতাম। এই দক্ষতাটা অর্জন করতে পারলে আমাদের কমিউনিকেশনের প্রথম ধাপ “অন্যকে বোঝা”র কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। আমরা আমাদের স্মার্ট ফোনের মার্কেট থেকে কমিউনিকেশনের উপর ফ্রি এপ্লিকেশন ডাউন লোড করে, সাধ্য থাকলে তা কিনে, তা হাতের মঠয় আনতে পারি এবং সময় মত কাজে লাগাতে পারি। যেমন এন্ড্রয়েড মার্কেটে আমরা কমিউনিকেশন স্কিলস নামে যে ফ্রি এপ্লিকেশনটা আছে তা ডাউইনলড করে তা থেকে কমিউনিকেশন স্কিল সম্পর্কে বেসিক জ্ঞান খুব সহজেই পেতে পারি। ডেল কার্নেগীর বিখ্যাত “How to win friends and influence people” বইটার একটা সংক্ষিপ্ত ভার্সন ও আমরা ফ্রি পেতে পারি, যা আমাদের অনেক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে এই বইটা কমিউনিকেশনের দ্বিতীয় ধাপ “ নিজেকে বোঝানোর দক্ষতা অর্জনে অনেক কাজে লাগে।
পরিবর্তন আনা এবং তা নিয়ন্ত্রণ করা লিডার বা নেতার অন্যতম কাজ। (যে লিডার/নেতা সময়ের সাথে প্রয়োজনীয় এবং প্রাসঙ্গিক পরিবর্তন আনতে পারে না, তারা হারিয়ে যায়, তাদের প্রভাব কমে যায়।) তাই আমরা যখন পরিবর্তন আনার কাজে নামছি, তখন আমরা নিজের কাঁধে নেতৃত্বই তোলে নিচ্ছি। তাই আমাদের কে লিডারশীপ সম্পর্কেও পড়তে হবে, লিডারশীপ বুঝতে হবে। লিডারের কি কি গুন আর দক্ষতা থাকতে হয় তা আমাদের জানতে হবে।লিডাররা যেহেতু মানুষ, আর মানুষেরই নেতৃত্ব দেয়, তাই লিডারশীপের জন্য প্রয়োজনীয় গুন আর দক্ষতা গুলি মানবীয়ই; অতি মানবীয় বা অমানবীয় কিছু না। আমাদের সবার মধ্যেই এই সব গুন আর দক্ষতা গুলি আছে, কোনটা বেশী আর কোনটা কম। যেমন মানুষকে ভালবাসা লিডারের একটা বড় গুন, যে যত বেশী মানুষকে ভালবাসে সে তত বড় নেতা। আমরা সবাই কম বেশী মানুষকে ভালবাসি এবং ইচ্ছা আর চেষ্টা করলে মানুষের প্রতি ভালবাসা বাড়াতে পারি। অন্য দিকে,কমিউনিকেশন স্কিল, যা লিডারশীপ এর জন্য অন্যতম প্রধান দক্ষতা, আমাদের সবারই আছে , আমরা সবাই হয় খারাপ, না হয় ভাল বা খুব ভাল কমিউনিকেট করতে পারি। কমিউনিকেশন স্কিল নিয়ে পড়া শোনা করে আমাদের খারাপ বা ভাল স্কিলকে খুব ভাল করতে পারি। একই ভাবে লিডারশীপ এর জন্য দরকারি অন্য গুন আর দক্ষতা গুলি আমরা চেষ্টা করলে অর্জন করতে পারি। তাই আগে আমাদের জানতে হবে, বোঝতে হবে লিডারশীপ কি, এর জন্য কি কি গুন বা দক্ষতা থাকতে হয়। যখন আমরা এসব জানব তখন পাশাপাশি এটাও জানা হয়ে যাবে আমার কোথায় দুর্বলতা আর কোথায় সবলতা। পড়াশোনার মাধ্যমে এইসব প্রয়োজনীয় গুণ আর দক্ষতা অর্জন করতে পারি। আমরা আমাদের স্মার্ট ফোনে লিডারশীপ নিয়ে অনেক কিছুই পড়তে পারি যেমন পারি “ 101 common sense rules for leaders”. আমরা অনেক লিডারের উক্তি ডাউন লোড করেও অনেক কিছু শিখতে পারি যেমন চার্চিল, মার্টিন লুথার কিং, গান্ধী, জিন্নাহ, ইকবাল, নেলসন মেন্ডেলা, মেলকম এক্স হ অনেকের।( আর ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী, ফজলুল হক , মুজিব জিয়ার উক্তি নিয়ে আমরা এরকম এপ্লিকেশন তৈরি করতে পারি) Harvard Business Review এর ডেইলি টিপস থেকে আমরা লিডারশীপ, কমিউনিকেশন স্কিল, ম্যানেজম্যান্টের অনেক কিছুই শিখতে পারি যা আমাদের ব্যক্তি, পারিবারিক আর প্রফেশনাল জীবনে কাজে লাগবে। স্মার্ট ফোনে ফ্রি পাওয়া এই টিপস গুলি যদি না পড়ি আর কাজে না লাগাই তাহলে তা হবে বিরাট এক সুযোগ হাত ছাড়া করা। ইউটিউবে লিডারশীপের লেকচার শুনেও আমরা লিডারশীপ সম্পর্কে অনেক কিছুই শিখতে পারি, এমন কি চাইলে লিডারশীপ এক্সপার্টও বনে যেতে পার।
পরিবর্তন আনতে হলে আমাদের আরেকটা দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তা হচ্ছে ফিডব্যাক দেওয়ার দক্ষতা আর উদারতা।(এটাও লিডারের জন্য অন্যতম দক্ষতা। তবে এটার গুরুত্বের কারণে আলাদা ভাবে উল্লেখ করা হল। মানুষের ভালটা জাগিয়ে তোলতে আর দুর্বলতা দূর করতে আমাদের এটা দরকার।) সৃষ্টি কর্তা এই পৃথিবীতে প্রেরিত প্রতিটি মানুষের একেক জনকে একেক বিষয়ে এভাব এভারেজ(above average) অবদান রাখার যোগ্যতা দিয়েছেন, এমনকি অন্ধ বা বধিরকেও। তাই যদি কারো কোন পটেনশিয়াল বা পেশান আমাদের নজরে আসে, তাকে তা জানাতে কার্পণ্য করা যাবে না। তাকে তা জানাতে হবে যদি সে নিজে না , কারণ খুব কম মানুষই তার পটেনশিয়াল(কোন কাজে ভাল করার যোগ্যতা সৃষ্টিকর্তা তাকে দিয়েছেন) আর পেশান(কোন কাজের প্রতি ভাল লাগা, ভালবাসা দিয়েছেন) তা জানে না। জানলেও আবার জানাতে হবে, রিএনফোর্স করতে হবে এতে তার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে। আর একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ সমাজে অবদান রাখতে পারে, অনেক পরিবর্তনই আনতে পারে অনেক সহজে। আসলে নজরে আসার জন্য অপেক্ষা না করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, আল্লাহ কাকে কোন বিষয়ে পটেনশিয়াল বা পেশান দিয়েছেন এবং তাকে সেই বিষয়ে অবগত করা, এক্সেল করতে সহযোগিতা করা। মা বাবা হিসাবে সন্তানের পটেনশিয়াল বা পেশান এর দিকে তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ করাটা বেশী জরুরী। এটা করতে পারলে আমাদের সন্তানদের সফলতা অনেক সহজ হবে এবং মা বাবার ভোগান্তি কমবে। মনে রাখতে হবে আল্লাহ সবাইকে মেধাবী করেন নাই শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য। সমাজে ,দেশে সব ক্ষেত্রেই, সব পেশায় মেধাবী লোক দরকার। আপনার সন্তান মেধাবী হলেই তাকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানানোর স্বপ্ন দেখবেন না। নিজে তীক্ষ্ণ নজরে পর্যবেক্ষণ করে, বন্ধু আর শিক্ষকদের প্রশ্ন করে বের করে নিন আপনার সন্তানের পটেনশিয়াল আর পেশান কি।যদি বের করতে পারেন তবে আপনার সন্তান কে মানুষ করা, জীবনে সফল করা বলতে আপনি যা বোঝেন তা সহজ হয়ে যাবে। (আজকের তরুণ আগামী দিনের মা বাবা ,তাই এক কথা গুলি এখানে বলা)
সহজ হবে এই কারণে যে বাচ্চারা যে খাবার খেতে পছন্দ করে তা খাওয়ানোর জন্য আমাদের কোন বাড়তি চেষ্টা বা নজর দারী করতে হয় না। তেমনি আমরা আমাদের সন্তানদের যদি তাদের পেশান আর পটেনশিয়াল এর বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়তে দেই, তাহলে আমাদের তদারকির প্রয়োজনীয়তা যেমন অনেক কমে যাবে তেমনি তাদের সাফল্যের হার অনেক বেড়ে ( পেশান আর পটেনশিয়াল এর বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানানোর নিজের স্বপ্ন, সাধ সন্তানের উপর চাপিয়ে কত মা বাবা যে নিজের অজান্তে সন্তানের ক্ষতি করেন আমাদের দেশে!!!!!!!!! ) এক জন মানুষের কাছ থেকে মানুষ, সমাজ আর মানবতার জন্য সর্বোচ্চ সেবা বের করতে হলে তার পেশান আর পটেনশিয়াল কে অবশ্যই খোজে বের করতে হবে। আল্লাহ কাউকে পেশান দিয়েছেন এক বিষয়ে আর পটেনশিয়াল দিয়েছেন অন্য বিষয়ে, এমনটা কখনোই নয় ।কারণ এটা নেচারাল জাস্টিসের বিপরীত। কাউকে ভাল লাগা, ভালবাসা দিলেন একটা বিষয়ের প্রতি আর সেই বিষয়ে ভাল কিছু করার গুণাবলী আর দক্ষতা দিলেন না, বা দক্ষতা অর্জন করার সামর্থ্য দিলেন না, এটা সৃষ্টিকর্তার নিয়মের বাইরে। তাই আমরা যদি প্রত্যেকটা মানুষের পটেনশিয়াল আর পেশান আইডেন্টফাই করে তাকে সেই কাজে লাগাতে পারি তবে দেশ বদল আর উন্নতি যাই বলি তা খুব সহজ হয়ে যাবে । ভাল লাগা , ভাল বাসার কারণেই সে সে কাজ মন প্রাণ ঢেলে দিয়ে করবে। তখন কাজ গুলির মানও অনেক উন্নত হবে।
শুধু পজিটিভ ফিডব্যাক দিলেই হবে না। নেগেটিভ ফিডব্যাক দেওয়ার মত সবচেয়ে কঠিন কাজটা আমাদের শিখতে হবে। কারোর মধ্যে কোন দোষ বা দুর্বলতা দেখলে সেটাও তাকে জানাতে হবে। এটা অন্যতম কঠিন কাজ, কারণ এই পৃথিবীতে কেউ নিজের দোষ বা সমালোচনা শুনতে ভালবাসে না। যার কারণে ঠিক ভাবে নেগেটিভ ফিডব্যাক দিতে না পারলে হিতে বিপরীত হতে পারে, সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নেগেটিভ ফিডব্যাক অনেকটা পরামর্শের আকারে দিতে হবে যেমন, তুমি যদি তোমার এই বদ অভ্যাস দূর কর বা এই ব্যাপারটা একটু ইম্প্রুভ কর, হটাৎ রেগে যাওয়াটা একটু নিয়ন্ত্রণ করতে পার বা রেগে গেলে বড় ছোট না মানার বদ অভ্যাসটা দূর করতে পার, তাহলে জীবনে অনেক উন্নতি করতে পারবে।
আর যে কাজটা করতে হবে পরিবর্তনের জন্য, ক্রমাগত উন্নতির জন্য নিজেকে ইন্সপাইয়ার্ড রাখতে হবে, মোটিভেটেড রাখতে হবে। এটা গোসল করার মত প্রতিদিনই করতে হবে। কারণ ইন্সপিরেশন আর মোটিভেশন বেশী ক্ষণ থাকে না জিগ জাগলার যেমন বলেছেন,”
“People often say that motivation doesn’t last. Well, neither does bathing – that’s why we recommend it daily.” – Zig Ziglar
এর একটা উপায় ইন্সপিরেশনাল আর মটিভেশনাল কোটস(উক্তি,উদ্ধৃতি) প্রতিদিন এক নজর দেখা।আমরা যদি আমাদের স্মার্ট ফোনে ডাউন লোড করে নেই , তাহলে প্রতিদিন সকালে বা যে কোন সময় আমরা একনজর দেখে নিতে পারি অথবা যখন খুব হতাশ, বিষণ্ণ অনুভব করি তখনো নজর ভুলিয়ে নিলে অনেক সময় সহজেই আশা, সাহস , শক্তি পারি। আর কোটেশন বা উক্তি,উদ্ধৃতিগুলি কে বলা হয় পার্ল অব উইজডম(pearl of wisdom). কারণ এগুলি হচ্ছে, জ্ঞানী ব্যক্তিদের জীবনের অভিজ্ঞতার নির্যাস, যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বা কার্যকর মেসেজ ধারণ করে। অনেক সময় দেখা যায় আমরা হয়ত একটা পুরা বই পড়ে এরকম একটা দুইটা মেসেজই পাই। আবার অনেক সময় হয়ত বা একটা বই পড়া শেষ করেও আমরা সেই বইয়ের মেসেজটা ধরতে পারি না। তাই
তাই কোটস(উক্তি,উদ্ধৃতি) পড়া বই পড়ার একটা সংক্ষিপ্ত রূপ বলা যায়, যা খুব কার্যকর।
স্মার্ট ফোন আমাদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোটাও সহজ করে দিয়েছে। আমরা যদি একটা অভ্যাস গরে তোলতে পারি, আগামীকাল কি কি করব আর কখন করব তার একটা তালিকা আজকেই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোনের ক্যালেন্ডারে লিখে ফেলতে পারি, তাহলে আগামীকাল আমাদের প্রোডাক্টিভিটি ২০-৫০% বেড়ে যেতে পারে।
স্মার্ট ফোন এরকম অনেক কিছুই আমাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী করে দিয়েছে, সহজ করে দিয়েছে। এটা কে স্মার্টলি ব্যবহার করে দিন দিন স্মার্ট হবে কিনা, না ডিজুসলি ব্যবহার করে ডিজুস হবে, সেটা নির্ভর করছে তোমার উপর।
যাই হোক, পড়ার কোন বিকল্প নাই। কিন্তু আমাদের সময় যেহেতু কম, তাই আমাদের পড়াশোনা টার্গেটেড করতে হবে, দক্ষতা অর্জনের জন্য পড়তে হবে। আমাদের হাতের মোবাইলটাকে এই কাজে লাগাতে হবে। কথা বলা, ফেসবুক, গান আর গেমের পাশাপাশি পড়াশোনার জন্যও এটাকে ব্যবহার করতে হবে। পড়ার সময় কোথায় ? রাস্তায়, রাস্তায় যখন যানজটে আটকা পরে থাকবে তখন একটু পড়লেই হবে। ফেসবুক, গেম আর গান শোনা হয়ে যখন আর কিছু করার নাই, বোরড তখনই না হয় দেখে নাও, গান শোনার ব্যাপারে হাদিসে কি বলা আছে(ধর্ম ভীরু আর বিদ্বেষী যাই হও না কেন), একজনর দেখে নাও, এক মিনিটে পড়ে নাও Harvard Business review এ আজকে কি টিপস, কোন বিষয়ে টিপস দিয়েছে। এরকম একটু একটু পড়াশোনা করলেই হবে , তবে তা করতে হবে নিয়মিত, প্রতিদিন। এতেই দেখবে বছর শেষে অনেক পড়া হয়েছে, অনেক জানা হয়েছে। তিলে তিলে অনেক বদলে গেছ, অনেককেই বদলে দিয়েছে, সাথে দেশটাকেও।
আপনার লেখার অনেক ব্যাপারেই সহমত প্রকাশ করছি ভাইয়া
লেখাটা আরেকটু ছোট আর ছবি জুড়ে দিলে আর ভাল হত 🙂
বেশ গঠনমূলক পোস্ট
অসহমত কোন কোন ব্যাপারে? কেন? পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
এই পোস্টটা তরুণদের জন্য দারুণ উপকারি।
মাঝে মাঝে ছবি যুক্ত করে, ছোট ছোট প্যারা করে দিলে পড়তে সহজ হবে। পয়েন্ট করে দিলে মনে থাকার সুবিধা হবে
তাই যদি হবে ত ফেসবুকে শেয়ার এত কম কেন?
লেখার বিষয়টা খুব ভাল লেগেছে। পড়তেও!
তবে একটু বড় লেখা, ব্লগ পোস্ট আরেকটু ছোট হলে ভাল হয়। বেশি বড় হলে পর্বে ভাগ করে দেওয়া যায়। আর অন্যরা যেমন বললো, সাথে অল্প ছবি থাকলে আর পয়েন্ট করা থাকলে পড়তে আরো ভাল লাগবে। 🙂
এত সাজানো গুছানোর সময় কোথায় পাই আপু!!!!!!!!!!!!!!!!!
আজকাল অ্যান্ড্রয়ডের জনপ্রিয়তা যেভাবে বাড়ছে তাতে কয়দিন পর হয়ত সবার হাতে হাতে স্মার্ট ফোন দেখা যাবে।
পোস্ট ভালো লেগেছে। তবে আরেকটু ছোট হলে ভালো হত 🙂
প্রয়োজনীয় পোস্ট।
এরকম লেখা আরো চাই।
আর যে বানানগুলো ভুল করলে সহজেই চোখে পড়ে সেসব বানানের ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখবেন।
শুভকামনা।
বানান তো অভ্র স্পেল চেকার এ চেক করে দিলাম। তারপরও ভুল?
🙁
কেমনে সংশোধন করব ?