বিভিন্ন বিশ্ব-বিখ্যাত প্রোগ্রামারদের কথা যখন আমরা শুনি, পড়ি তখন তাঁদের বলতে শুনি, ছোটবেলা/স্কুলবেলা থেকে নাকি তাঁরা প্রোগ্রামিং শুরু করেছেন!
কি মুশকিল! এত বাচ্চা বয়সে তাঁদের এসব শেখালো কারা!
আসলে তাঁরা বেশিরভাগ সময়ে নিজে নিজেই শিখেছেন, বিভিন্ন বই-পত্র পড়ে অথবা অন্য কোন মাধ্যমে।
এখন, আমাদের দেশেও কি এই ধরনের মেধাবী ছাত্র নেই? অবশ্যই আছে , কিন্তু তাঁরা যখন নিজেদের মধ্যে এমন সম্ভাবনা খুঁজে পান, তখন বড্ড দেরী হয়ে যায়। 🙁
অথবা, যাদের মধ্যে ১০০% সম্ভাবনা আছে তাঁরাই কেবল সামনে আসতে পারেন। সুযোগের অভাবে বাকিরা হয়তো নিজের সম্ভাবনা কে উপলব্ধি করতে পারেনই না।
…………………….
খুব সাধারণ একটা উদাহরণ দেই।
ফুটবল খেলায় আপনি যদি জিততে চান তাহলে কিন্তু ১-০ গোলের জয়ই যথেষ্ট। কিন্তু যদি খেলার মধ্য কোন গোল খেয়ে বসেন, তাহলে কিন্তু জয়ের জন্য আপনাকে কমপক্ষে ২ টি গোল করতে হবে! অর্থ্যাৎ ২-১ এ জয়।
পরের কাজটা কি তুলনামূলক কঠিন না??
এবার অন্য আরেকটা উদাহরণ দেই।
ধরুন, আপনি এবং আপনার এক বন্ধু একই সাথে কোন কোম্পানিতে টাইপিস্ট হিসেবে জয়েন করলেন। আপনি টাইপ করতে জানেন না, কিন্তু আপনার বন্ধু জানেন। এখন আপনাদের যদি একই জিনিস টাইপ করতে দেয়া হয়, তাহলে কিন্তু আপনাকে আগে টাইপকরা শিখতে হবে, তারপর কাজ শুরু করতে পারবেন। ততক্ষনে আপনার বন্ধু কিন্তু আপনার থেকে অনেক সামনে এগিয়ে যাবে।
………………………
আমদের দেশের হবু Linus Torvalds, Richard Stallman, Bill Gates, দের জন্য পরিবেশ কেমন জানেন??
“যে সময়ে তাঁদের নতুন কিছু উদ্ভাবন অথবা পুরনো কিছুর উন্নয়ন নিয়ে ভাবা দরকার, সে সময়ে আমরা ঐ বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হচ্ছে মাত্র”
এবার বুঝুন তাহলে কত গোল খেয়ে বসে আছে আমাদের দেশের মেধাবীগুলো!
……..
এখন কি তাহলে সবাইকে ধরে বসে প্রোগ্রামিং শেখানো শুরু হবে?
অবশ্যই না!
যাদের আগ্রহ আছে তারা শিখবে। কারণ, আগ্রহ না থাকলে নতুন কিছু শেখা কষ্টকর।
স্কুলে ৮ম-৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্র চাইলে নিজের শখ হিসেবে “প্রোগ্রামিং” লিখতে পারবে!
কিন্তু সেটা এখন পারছে না, কারণ তার জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতা, দিক-নির্দেশনা এগুলো নেই।
ইন্টারনেট এ অনেক অনেক টিউটোরিয়াল আছে, অনেক রকম বই আছে। কিন্তু সব গুলো কি আর শিশুদের উপযোগী??
আর তাই এই টিউটোরিয়াল লেখার ভাবনা, যা শিশুদের উপযোগী !
প্রোগ্রামিং শিখে করবো কী!!
যে ছেলেটা গণিতে বছরের পর বছর ভালো রেজাল্ট করে আসছে, স্কুল তাকে
সর্বোচ্চ নাম্বার ছাড়া আর কী দিতে পারে?? কিসুই না!
কিন্তু প্রোগ্রামিং তার জন্য খুলে দিতে পারে অবারিত এক দুয়ার।
এমনই এক দুয়ার যার কোন শেষ নেই!
এবার একটু অন্যদিকে নজর দেই।
১০ বছর আগের কারিকুলাম আর এখনকার কারিকুলামের তফাৎ খুবই সামান্য। তার মানে,
২০০০ এ ১৪ বছর বয়স্ক একটা ছেলে আর ২০১০ এ ১৪ বছর বয়স্ক একটা ছেলে অনেকটা একই কারিকুলামে পড়ালেখা করছে!
কিন্তু তাদের দুইজনের মানসিক বিকাশ কি এক !!
অবশ্যই না!!
২০১০ এর ছেলেটার মেধা অনেক উন্নত!
কিন্তু সে তার এই আপাত “বাড়তি মেধাটুকু” কি কাজে লাগানোর সুস্থ উপায় নিজের সামনে পাচ্ছে???
…………………………
এই টিউটোরিয়াল সেই সব বাড়তি মেধার অধিকারীদের জন্য। তারা কোথায় থাকে??
হয়তো আপনার বাসাতেই!!
আপনার ভাই-বোন, সন্তানের মাথাতেই আছে সে “বাড়তি মেধাটুকু”।
সবাই তো আর কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়বে না! তাহলে প্রোগ্রামিং শেখার দরকার কি!
“বাড়তি মেধাটুকু” কাজে লাগানোর সুস্থ একটা উপায়!
………………………
ধরা যাক, এই টিউটোরিয়াল ১০০ জন পড়েছে। কাজে লেগেছে শুধু মাত্র ১ জনের!!
আমি ঐ একজনকেই খুঁজছি!!
“উনারা” তো আর ভুরিভুরি জন্ম নেন না!
………..
তাহলে যাত্রা শুরু হোক…….
আমি এই পোস্টের এক নাম্বার থাকবো!! আগেই কয়া রাখলাম! :penguindance:
হে হে 😀
আমি চুরি টুরি করবো না, তবে একদিন আবার ছোট্টবেলার মতো ঘুড়ি উড়াবো, উড়াবোই!! সব গুলা দাঁত পড়ে গেলেও…… :nishana:
তুই দেখি এক পোস্টের কমেন্ট আরেক পোস্টে করতাছস!!!
হেতির মাতা কারাপ হয়ি গিছুইন ! :balancin:
অসাধারণ সিরিজটা চলুক! 😀
আচ্ছা 🙂
কাইট্টালাইসে! আমি আগের আগের টারম এ ফেল করতে করতে করি নাই!! আমি চি কে পছন্দ করি না!! না না! :nishana:
এখানে অনেক সহজ করে বলা হবে!
ভয় পাওয়ার কিছু নেই :nono:
অবশেষে আমি পাইলাম। ইহাকে পাইলাম। :penguindance:
🙂
অবশেষে আমি পাইলাম। ইহাকে পাইলাম।
এই পোস্টের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। তুমি এত দিন পর দিলা কেন? সব তো ভুলেই খেয়ে ফেলছি আগের গুলো এখন তো আবার শুরু থেকে পড়তে হবে । আমি পিছিয়ে গেলাম :'(
আবার শুরু করে দাও!
আর ভুলে যাওয়া চলবে না!
অপ্রিয় সাবজেক্টের প্রিয় সিরিজ! 😀
😆
আমার প্রিয় সাবজেক্ট ! আউট অফ ডিপার্টমেন্টাল সাবজেক্ট হিসেবে আমি এইটারেই সবথেকে ভালা পাইছি (অবশ্য আমার টিচারটা অনেক ভালো ছিলো, সব অবদান উনার) 😀
ইয়াদ, আমি স্টুডেন্ট লিস্টে আছি। 😐
হুম! প্রোগ্রামিং আসলে অনেক মজার!
কিন্তু ফ্যাকাল্টির উপর নির্ভর করে অনেক কিছু,
কারণ শুরুদিকে টুকটাক সবারই সমস্যা হয়। এসময় ধীরে সুস্থে যাওয়া ভালো