সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজঃ সিফিলিস

                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                              

 

 

সিফিলিসঃ    Treponema  Palllidum   এর সংক্রমণে এই রোগ হয়।

কারণঃ এটি প্রধানত যৌন রোগ। তবে  জন্মের সময় মা থেকে সন্তান এরও হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির মুখের লালার মাধ্যমে,রক্ত বা সুই ধরনের জিনিস দ্বারাও ছড়ায়।

লক্ষণসমূহঃ ৪ ধাপে ভাগ করা যায়।

   প্রাইমারিঃ যৌন সংস্রবের ৩ থেকে ৯০দিন ( গড়ে ২১ দিন ) এর মধ্যে চামড়ায় ক্ষত সৃষ্টি হয়। যাকে chancre  বলা হয়  ।এটি একটি, দৃঢ়, ব্যথা হীন,চুলকানি বিহীন ক্ষত । তা থেকে পরবর্তীতে macule , papule  এবং শেষে ulcer হয়। এটি  নারী-পুরুষ উভয়ের হতে পারে। সাধারণত ৩ থেকে ৬ সপ্তাহ থাকে। নারীর জরায়ু ,পুরুষের যৌনাঙ্গে এবং হোমো সেক্সুয়াল পুরুষদের পায়ু পথে ও হতে পারে।এমন কি যৌনাঙ্গের বাইরেও হতে পারে।                  মা থেকে সন্তান এর হতে পারে । জ্বর, rash, যকৃত ও প্লীহা বড় হতে পারে।

    সেকেন্ডারিঃ ৪ সেথেকে ১০ সপ্তাহ পরে হাত, পা এর তালু ,বুকে ,পিঠে লালচে- গোলাপি চুলকানি বিহীন  rash  হয়। এর সাথে জ্বর, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা থাকতে পারে। ওজন কমে যেতে পারে, চুল পরে। ৩ থেকে ৬ সপ্তাহে এটি ভাল হয়ে যেতে পারে। ২৫% ক্ষেত্রে এই লক্ষন সমূহ পুনরায় দেখা দিতে পারে ।

 

                  সুপ্তঃ  সুপ্তাবস্থার  প্রথম দিকে  এটি তীব্র সংক্রামক এবং ভয়ের বিষয় যে আক্রান্ত ব্যক্তির কোন লক্ষন থাকে না যা দেখে সাবধান হওয়া যাবে।

টারশীয়ারিঃ প্রাথমিক ভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের  এক তৃতীয়াংশের ৩ থেকে ১৫ বছর পর Gummatous syphilis, Neurosyphilis, Cardiovascular syphilis  হতে পারে।                                                          

জন্মগতঃ জন্মের সময় বা গর্ভে থাকাকালে  হতে পারে ।

সনাক্ত করার উপায়ঃ রক্ত পরীক্ষা , অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে জীবাণু পরীক্ষা। তবে রক্তের মাধ্যমে কোন ধাপ এ আছে তা বোঝা যায় না। রক্ত পরীক্ষার মধ্যে বর্তমানে TREPONEMAL PALLIDUM PARTICLE  AGGLUTINATION (TPHA) Test, FLUORESCENT TREPONEMAL ANTIBODY ABSORPTION Test,(FTA-Abs) Test ,VDRL (VENERAL DISEASE RESEARCH LABORATORY) Test প্রচলিত। তবে শেষের পরীক্ষাটি থেকে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া DIRECT FLUORESCENT ANTIBODY Test, NUCLEIC ACID AMPLIFICATION Test ও করা  হয়।

প্রতিরোধের ঊপায়ঃ এর কোন প্রচলিত VACCINE নেই। তাছাড়া যৌন মিলনে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েও সব সময় এড়ানো যায় না ।

  • অবাধ যৌন মিলন না করে সুস্থ জীবন যাপন করাই প্রতিরোধের উপায়।
  • পুরনো সুই ব্যবহার করা যাবে না।
  • এছাড়া গর্ভধারিণী মা কে  ANTINATAL VISIT এর জন্যে নিয়মিত হাসপাতালে নিতে হবে।                                                                                                                                                                                                

চিকিৎসাঃ অবশ্যই যোগ্য ডাক্তার এর শরণাপন্ন হতে হবে।প্রথমেই চিকিৎসা করলে সম্পূর্ণ ভাল হতে পারে। মনে রাখতে হবে অবহেলা, ভয়ভীতি ও লজ্জা বাড়িয়ে দিতে পারে জীবন সংশয়

এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে সচেতনতা-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

15 Responses to সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজঃ সিফিলিস

  1. সামিরা বলেছেনঃ

    দরকারি পোস্ট। 🙂
    ছবি দেখে ভয় পাইছি।

  2. খুবই প্রয়োজনীয় একটা পোস্ট, এমন বিষয় নিয়ে, যেটা নিয়ে সামনাসামনি কথা বলতে আমরা “আস্বস্তি” বোধ করি……

    ভালো লাগলো…

  3. মুবিন বলেছেনঃ

    এই পোস্টটা আজ Spirochete আইটেম দেয়ার আগে দেখে গেলে তো স্যারকে পুরা উড়ায় দিতাম।
    আফসুস :crying:

  4. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    প্রয়োজনীয় পোস্ট।
    ছবির দিকে তাকাতেও ভয় লাগলো!

  5. অবনী বলেছেনঃ

    আসলে এসব অনেক কাছের মানুষদের সাথেও share করা যায় না । তাই নিজের কিছু জানা থাকা ভাল । এসব ব্যাপারে লজ্জা করাই অনেক বড় বোকামি হয়ে যায় । কারো যদি কিছুমাত্র সাহায্যে আসে তাহলে ভাল লাগবে । 🙂

  6. নিশম বলেছেনঃ

    জ্ঞানী পোস্ট 🙂 কাজে আসবে কিংবা আসতেও পারে, বলা যায় না ! দোয়া কইরো যাতে না আসে 😀 এরকম একটা দরকারি পোস্টের জন্য, এত্তোগুলা ধইন্যাপাতা অবনী আফা!

    • অবনী বলেছেনঃ

      আমাদের আশেপাশের অনেকেই হয়তো এরকম সমস্যায় ভুগছে । শুধু সঠিক diagnosis এবং treatment এর অভাবে মানুষ মারা যায় । আমরা একটু সচেতন হলেই এড়ানো সম্ভব ।

  7. স্বপ্ন বিলাস বলেছেনঃ

    ছবি দেখে সত্যি খুব ভয় পেলাম। আশা করি কখনো কাজে লাগবে না, তবুও কখনো দরকার পড়ে গেলে, এই পোস্টের উপকারীতা অপরিসীম থাকবে………

  8. নীল রঙ পরী বলেছেনঃ

    বান্ধবী… প্রথম পোস্ট খুব পছন্দ হইল…
    তোমারে আরও বেশি বেশি পাওয়া যাইব সরবে এই কামনা করি…
    সরবে স্বাগতম বান্ধবী…

    :welcome:

  9. অবনী বলেছেনঃ

    লাল গালিচা অভ্যর্থনা কই? 8) …..দিলাম ,ভয়ানক গুলোই । যাতে মানুষ সতর্ক থাকে । 😛

    • নীল রঙ পরী বলেছেনঃ

      দুঃখিত বান্ধবী… লাল গালিচা সংবর্ধনা দিতে ভুলিয়া গিয়াছিলাম…
      কালকে কলেজে অবশ্যই লাল কেন খালি… লাল নীল হলুদ সবুজ সব গালিচার সংবর্ধনা দেয়া হবে।

      😀

  10. Jiko ghosh বলেছেনঃ

    এই রোগটা কি চিকিৎসা করলে কি সম্পূর্ণ কি ভালো হয়। piz জানাবেন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।