বৃষ্টি জিনিসটা দুর্দান্ত!
আকাশ থেকে টুপটাপ পানি পড়ছে… কখন থামবে কোন ঠিক নেই
এমন হতে পারে, ১০ মিনিট পরেই শেষ! এমনও হতে পারে ১০ দিন ধরে অবিরাম ঝরছে!
প্রকৃতির যে সব জিনিস আমাদের স্মৃতিকাতর বানিয়ে দেয় বৃষ্টি তাদের শীর্ষে (আমার মতে)
একথা বলার কারণ হলো, বৃষ্টির দিনে পা পিছলে পড়ে গেলেও সেটা অনেকদিন মনে থাকে, কিন্তু একটা রৌদ্রজ্জ্বল দিলে এক বাটি রসমালাই খেলেও ১ দিন পরেই আমি সেটা ভুলে যাই!
সব সময় যে বৃষ্টি ভালো লাগে এমন অবশ্য না!
জরুরী কাজে বাসা থেকে বের হবো, এমন সময় বৃষ্টি আসলে ইচ্ছা করে গিয়ে মুড়ি খাই !
কিন্তু কাজকর্মহীন সন্ধ্যা বেলায় বৃষ্টি বেশ ভালো লাগে, অথবা রাতের বেলা!
“খুব গরমে রাতে ঘুমাতে কষ্ট হচ্ছে” এমন অবস্থায় যখন ভোররাতের দিকে ঝুম বৃষ্টি নামে…….. মধু মধু!
…………………………….
বৃষ্টি নিয়ে অনেক গান ভালো লাগে!
এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে নাতো মন……..♫ ♪
দারুন একটা গান!
শ্রীকান্তের একটা গান আছে,
♪আমার সারাটা দিন…. বৃষ্টি তোমাকে দিলাম…..♫ ♫
এটাও চমৎকার!
সবচেয়ে ভালো লাগে অঞ্জন দত্তের একটা গান
♫ আমি বৃষ্টি দেখেছি…….
……………………………
রবীন্দ্রনাথের একটা গান/কবিতা আছে
♫♪ এমনও দিনে তারে বলা যায়
এমনও ঘন ঘোর বরিষায়
এই গানের একটা ভার্শন আছে শ্রীকান্তের!
তন্ময় হয়ে শোনার মত একটা গান!
আমি কোন ভাবেই ভীনদেশি কোন মেয়ে বিয়ে করবো না, কারণ সে এই গানের মর্মার্থ বুঝতে পারবে না।
………………
কবি জসীমউদদীন এর
“”আজিকে বাহিরে শুধু ক্রন্দন ছল ছল জলধারে,
বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।””
আমার সবচেয়ে প্রিয় কবিতার লাইন!
২০০৪ সালের ৬ অক্টোবর বুধবার সকাল ৬.৪৫ এর দিকে এই দুটো লাইন পড়ে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম!
………………….
একবার জুন মাসে যাই খাগড়াছড়ি। বেড়াতে।
তখন সেখানে তুমুল বৃষ্টি! টানা ৭ দিন ধরে!
চারপাশটা এমনিতেই সবুজ! বৃষ্টি এসে যেন আরো বেশি সবুজ বানিয়ে দিলো!!
অপার্থিব একটা দৃশ্য।
চারপাশে পাহাড় আর পাহাড়, বৃষ্টি আর বৃষ্টি!
যে বাসায় ছিলাম, সেটা ছিলো টিনের চালা বাসা!
ঝমঝম আর টুপটাপ শব্দে সারাদিন কাটতো।
ঐ বাসার পেছনেই ছিলো একটা নদী। পাহাড়ী নদী।
বৃষ্টির কারণে ছিলো তুমুল স্রোত!
দারুন!
………………….
হায় হায়! কি লিখলাম এসব :mathagorom:
বৃষ্টি মানে কথা…
বৃষ্টি কোনো ব্যথা
বৃষ্টি যন্ত্রনা
বৃষ্টি সুখের….
আমারই বলার কথা, শুধু আমার আগেই শুভমিতা বলে গেছেন! তাই আর বলা হলো না, আরো অনেক না বলা কথার মতোই……
বাপরে! কি কমেন্ট!
বৃষ্টি আমার সারাজীবনের বন্ধু,যার সাথে সব অনুভূতি শেয়ার করা যায়
বৃষ্টিতে পাহাড়ে যেতে মন চায়
হুম! পাহাড়ে বৃষ্টি অন্যরকম জিনিস!
খাইছে! ২০০৪ সালের ৬ অক্টোবর বুধবার সকাল ৬.৪৫ এর দিকে এই দুটো লাইন পড়ে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম!
সময় মুখস্ত!!
ভয়াবহ দেখি!
আসলেই তো! বৃষ্টিকে দারুণ ভালোবাসি কিন্তু এভাবে দেখি নাই!! মানে বৃষ্টির মধ্যে যে একটা স্মৃতিকাতরতা আছে সেটা!
হে হে! 😀
বাহিরে অন্তরে ঝড় উঠিয়াছে… মন খারাপের মধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে কয়েকটা বৃষ্টির গানের ট্যাবলেট খেয়ে ঘুম দেই
মনে আছে কবিতাটা মুখস্ত করার সময় ঐ লাইন ২টা পর্যন্ত আসলেই খুশি খুশি লাগতো 🙂 [কারণ ঐ ২ লাইনই ছিল কবিতার শেষ, শেষ করতে পারার আনন্দে আর কি :p ]। যাই হোক, এখন বৃষ্টির সময় মাঝে মাঝে আওড়াতে ভালোই লাগে 🙂
গানের ট্যাবলেট!
খাম খাম!
এখনও যে লাইনটা পড়লে পাগল হয়ে যাই তা হলো জসিম ঊদ্দিনের
‘মন যেন চায় কারে…
ইয়াদ আপ্নারে ইফতার খাওয়াইতে মুন চায়!!!
আমারও ইফতার খাইতে মুঞ্চায়!
চলেন হয়ে যাক একদিন!
রসমালাই খাবার কথা টা দারুন লাগল। আসলেই মনে থাকেনা। কিন্তু সেই কোন দিন কত আগে বৃষ্টিতে ভেজার স্মৃতি সত্যি মনে আছে। 🙂
বৃষ্টিতে আমার সেই পিচ্চিবেলার ছড়া টাই মনে পরে যায় –
:guiter:
আয় বৃষ্টি ঝেপে
ধান দিব মেপে
কচুর পাতা করমচা
যা বৃষ্টি ঝরে যা।।
🙂
🙂
“”আজিকে বাহিরে শুধু ক্রন্দন ছল ছল জলধারে,
বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।””
ইয়াদ তুমি তো দেখি মনের কথাগুলো বলে দিলে রে ভাই …. :beerdrink:
এই লাইন দুটা দেখি সবাইকে ধাক্কা দিলো!
বাহ!
যে কয়টা গান-ছড়ার কোট করা হলো সব কয়টাই অসাধারণ। বিশেষ করে অঞ্জন দত্তের ‘আমি বৃষ্টি দেখেছি’…
আর রবি বাবুর সাথে তো কোন কিছুরই তুলনা হয় না…
“আজিকে বাহিরে শুধু ক্রন্দন ছল ছল জলধারে,
বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।”
সত্যিই মন যে কারে চায়… 😐
ইমোটিকন দেখে ভয় পাইসি!
মাইক্রো ব্লগিং? যে যাই হোক, পড়তে ভাল লাগল। কোট করা গান গুলো বেশ ভাল লাগে। আর বৃষ্টি ভাল লাগে এটা না বললেও চলে!
মাইক্রোব্লগিং না কিন্তু!
যদিও অনেকগুলো পার্ট, কিন্তু থিম একটাই!
এই ধরনের লেখা গুলো লিখতে এখন সবচেয়ে ভালো লাগে!
অনেক সহজে লেখা যায়। অনেকটা নিজের সাথে গল্প করার মত 😀
““আজিকে বাহিরে শুধু ক্রন্দন ছল ছল জলধারে,
বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।”
আমার সবচেয়ে প্রিয় কবিতার লাইন!
২০০৪ সালের ৬ অক্টোবর বুধবার সকাল ৬.৪৫ এর দিকে এই দুটো লাইন পড়ে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম!”
বাহবা! কি ফটোগ্রাফিক মেমোরী! :clappinghands:
”রেড কাউ” খাওয়ার সুফল! :nishana:
তখন সব ছিলো খাঁটি জিনিস!
এখন প্লাস্টিক, মেলামাইন সব দিয়ে দেয় !
শেষ লাইনটা পড়ে ব্যাপক মজা পাইলাম! 😡
আগডুম-বাগডুম যা মনে আসে লিখে ফেলি! 😀
মজা পেলাম পোস্টটা পড়ে, সত্যি হেসে দিয়েছি। 😀