(সকল ঘটনা ও চরিত্র লেখকের মস্তিষ্কপ্রসূত। কোন অংশের সাথে কারো জীবনের কোন কিছু মিলে গেলে লেখক দায়ী নন।)
আর কিছুক্ষণ পরই জীবনের সবচেয়ে অদ্ভুত কাজটা করতে যাচ্ছি আমি। সোনারিলের শিশিটা হাতে নিলাম, যেটা গত ১০ বছর ধরে আমার সাথে সবসময় থাকে। ওষুধগুলোর মেয়াদ শেষ হলে বদলানো হয়,নতুন ওষুধ আসে, যদিও আজ পর্যন্ত একটাও খাওয়া হয়নি আমার। আজ সময় এসেছে…আমি ক্ষুধা অনুভব করছি।
কী হয়েছিল ১০ বছর আগে?
ছোটবেলা থেকেই একটু ভাবুক প্রকৃতির ছিলাম, আড্ডা গানের গণ্ডি পেরিয়ে তাই কঠিন ব্যাপারগুলোও আমাকে টানত। নিজের অনুভূতির কোন অপমান সহ্য করতে পারিনি কখনও, প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছি, সফল হইনি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। কিন্তু অদ্ভুত সব প্রেক্ষাপটে এই প্রতিবাদ চেষ্টাগুলো কম হাস্যকর ছিল না সমাজের কাছে। আরো একটি ব্যাপার, আমার মত অনিশ্চিত মানুষ পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি জন্মেছে কিনা জানি না!
ফেসবুক তখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। ওখানেই পরিচয় হয় মেয়েটির সাথে।
আয়েশা।
চুপচাপ স্বভাবের হওয়ায় মেয়েদের সাথে কম কথা বলতাম, কিন্তু চিন্তা কম করতাম না সাইকোলজিক্যাল ব্যাপারগুলো নিয়ে। কিন্তু কোন এক রহস্যময় কারণে (আজও অনিশ্চিত) এই মেয়েটিকে একটু অন্যরকম মনে হয় আমার কাছে। ঘনিষ্ঠতা একটু বাড়তেই টের পেলাম, আমার ভাবমূর্তিও তার কাছে ওই ক্যাটাগরির। অভ্যাস হোক, আর খানিকটা কৌতূহল থেকেই হোক, কথাবার্তার সময়কাল চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকল!
কখনও ভাবিনি আমি আরো অনেকের মত এভাবে কেবল ইন্টারনেটেই একটা মেয়ের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ব; ব্যাপারটা উভমুখী ছিল বলেই হয়ত! কোন একটা কারণে রাগ করে একদিন মেসেজের উত্তর দিই নি সারাদিন, রাতে যখন জবাব দিলাম, তখন পৃথিবীটা বদলে গেল!
সেদিন প্রথমবারের মত অনুভব করি, আমার কথা শোনার জন্য সে অনেক বেশি অপেক্ষা করে, উৎকণ্ঠিত থাকে। উৎকণ্ঠা দূর করে তার সিক্ত মনটাকে উষ্ণ করার অন্যায় প্রচেষ্টা নিলাম। তারপর ওই মুহূর্তটিকে পুঁজি করে দুজনে এগিয়ে গেলাম বহুদূর…মোবাইলে এস এম এস হত সারাদিন, কথা হল, দেখা হল, কোচিং শেষে রিকশায় তুলে দিতে যেতাম মাঝেমাঝে, দুজনেই কোচিং ফাঁকি দিয়ে একত্রে ঘোরাঘুরি, ডেটে গিয়ে ধরা খাওয়ার পর কাছের বন্ধুদের ফাজলেমি আর ঈর্ষাকাতর কটাক্ষ, সব মিলিয়ে…জীবনের একটা নতুন অর্থ খুঁজে পেয়েছিলাম আমি। কেউ একজন আমার জন্য চিন্তা করে, আমার জন্য উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করে, আমার জন্য নিজের অসম্ভব গভীর চোখের কাজল নষ্ট করতে পারে-এটা আমার কাছে ছিল নতুন একটা আবিষ্কারের মত, যেন আমি একজন বিজ্ঞানী! বিজ্ঞানী যেমন তার আবিষ্কারকে পাগলের মত ভালোবাসেন, আমিও তেমনি ভালোবাসতাম!
কবিতা লিখার একটা বদভ্যাস আছে, ওই সময় ওটা সর্বোচ্চ ফর্মে ছিল। অবশ্য আয়েশা চাইত না আমি ওর জন্য কবিতা লিখে সময় নষ্ট করি। তবুও, আমি যখন কবিতা লিখতাম, সে পড়ার জন্য পাগল হয়ে থাকত। আমার কাব্যচর্চাও তাই বন্ধ হয়নি।
এইচ এস সির তখন কয়েক মাস বাকি। ওরা একটা ফ্যামিলি ট্যুরে যায় তখন, মনে পড়ে, আমি বাস স্টপে একটা নির্দিষ্ট যায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, ও জানতো। দূর থেকে হাত নেড়েছি, শেষে বাসের পাশাপাশি অনেকক্ষণ হেঁটেছিও! ঘোর লাগা ওই সময়ের কাছে স্বর্গও কিছু ছিল না। ফেরার পর একদিন দেখা করতে বলে ও। কেন যেন মনে হয় একটা ঝামেলা হয়েছে। আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের ক্ষমতা খারাপ ছিল না।
দম বন্ধ করে কথাগুলো হজম করি আমি। ওর বাসা থেকে লাভ ম্যারেজ মেনে নেওয়া হবে না,ওর বড় আপু চেষ্টা করেছিল, এই ট্যুরে সবাইকে জানায়, সবাই মানা করে দেয়। “এটা কখনোই হবে না, আমার মনে হয় কষ্ট বাড়ানোর আগে আমাদের থামা উচিৎ”,ওর কথাগুলো শুনে চোখের দিকে তাকিয়েই বুঝেছিলাম,অনেক কেঁদেছে। “কিন্তু আমি স্বাভাবিক থাকবো না এটা করলে। এত কষ্ট করে গড়ে তোলা স্বপ্ন এভাবে বাষ্প হওয়াটা কীভাব মেনে নিই? পারবে, আমায় ছাড়া থাকতে?” কাঁপা কাঁপা গলায় প্রশ্ন করলাম। ও স্থিরভাবে জবাব দিল, “যদি তোমার না হই, তবে আর কারো হব না। আমি তোমায় দূর থেকেই ভালোবাসবো, কিন্তু এটা চালাতে থাকলে একসময় দুজনেই শেষ হয়ে যাবো, কারণ আমার বাসা থেকে এটা মেনে নেওয়া হবে না কখনও। আমি জানি,অন্য কেউ হলে হয়ত পারত না, কিন্তু তুমি পারবেই, অনেক বড় হবে তুমি। ভালো থেকো, ভালোবাসা খুঁজে পাবে অন্য কোথাও,জানি। ভালো থেকো…”
মনে মনে দুটি কথা চিন্তা করলাম।
১। আমার আর জীবনে প্রেম করা হইসে!
২। পৃথিবীতে যত কিছুই করি না কেন,একটা কাজে আমি চূড়ান্ত ব্যর্থ-মেয়েমানুষের মন বোঝা!
শুধু একটা কথাই বলেছিলাম, “যদি এই প্রতিজ্ঞা রাখতে পারো, তবে একদিন তোমায় আমি জিতে নেব…দেখো!” ও মলিন হাসিতে বিদায় জানালো, “জীবনটা স্বপ্ন নয়।”
শেষ কথাটি ছিল আমার, “কাল কী হবে কেউ জানে না!”
ভয়াবহ অভিমান হচ্ছিল, আমার পৃথিবীতে সবচেয়ে ভয় করি আমি আমার জেদকে, সবচেয়ে ভালোবাসি আমার আবেগকে। সেদিন ডায়েরিতে লিখলাম,
“তোমাকে ভয়াবহ শাস্তি দেব মেয়ে,
যেদিন আসবে তুমি প্রায়শ্চিত্ত করতে!”
ছাত্র হিসেবে খুব একটা খারাপ ছিলাম না, কিন্তু সত্য কথা হচ্ছে এই প্রেম করার জন্য নষ্ট সময়ের মূল্য আমাকে চরমভাবে দিতে হয়েছে। আমি এস এস সির মত এইচ এস সিতেও সব বিষয়ে জিপিএ ৫ পেয়ে বুয়েট/মেডিকেলে পড়ব এটা প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু এই ঘটনাটা জীবনকে ঘুরিয়ে দেয়…সারাদিন পড়াশোনা কিছু হত না, একসময় হতাশ হয়ে পড়ি। এমন এক রেজাল্ট করি আমি, বুয়েট/মেডিকেল কোনটাতেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। অথচ ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত আমি সব ক্লাসে রোল ১ হিসেবে ছিলাম, হাইস্কুলেও ১ থেকে ৫ এর মধ্যেই ছিলাম। বাবা-মা, আত্মীয়স্বজনের স্বপ্নটাও অনেক বড় ছিল, স্বাভাবিকভাবেই! এ দুর্যোগ হয়ত সামাল দিতে পারতাম-শক্তি ছিল আমার, ব্যবহার করিনি। আমার আবেগের স্থান কখনও আমি বিচ্যুত হতে দিই নি। মাঝারি মানের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, বেসরকারিতে পড়ানোর টাকা বাবার ছিল না। সবার স্বপ্নগুলো একসাথে ধ্বংসের গগনবিদারী বিস্ফোরণে স্তব্ধ হয়ে যাই। এককালের উচ্ছল ছেলেটি ভয়াবহ চুপচাপ এক কবিতে পরিণত হয়।
দুই বছর পর।
ক্যাম্পাসের সবচেয়ে ভদ্র চুপচাপ ছেলে হিসেবে মানুষ আমাকে পছন্দ করে। জীবন অতিমাত্রায় নীরস।সেদিন গাছের তলায় ছোট্ট একটা জটলা, এড়িয়ে যেতে গিয়েও আটকে গেলাম। একটা সিনিয়র ছেলেকে ধরে বেদম পেটাচ্ছিল ক্ষমতাসীন দলের জুনিয়র একটা ছেলে। অপরাধ-হলে থেকেও সে চা খাওয়ার চাঁদা দেয়নি। বড় ভাইটিকে আমি চিনতাম, মা নেই, বাবা রিকশা চালান। ছোট তিনটা ভাইবোন আছে, অভাবের সংসারে থেকে খাওয়ার টাকাই ঠিকমত যোগাতে পারে না, চাঁদা দেবে কোথা থেকে! কেন যেন মাথায় রক্ত উঠে গেল। সাথে সাথেই আবার মনে হল, আমার মত একটা ভদ্র, নরম ছেলের এটা করা অযৌক্তিক, কিছুই করতে পারব না, পড়ে পড়ে মার খাবো। পরমুহূর্তেই যুক্তিকে ঠেলে সরিয়ে সমস্ত আবেগকে ডান হাতে জড় করে ঘুষি বসিয়ে দিলাম অমানুষ নেতাটির মুখে! থুতু ছিটিয়ে দিলাম সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে তার নুয়ে পড়া মুখমণ্ডলে। তখনও জানতাম না, আগামী এক মাসের জন্য এটা হবে আমার শেষ সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে ছুঁড়ে ফেলা হল আমাকে রাস্তার কুকুরের পাশে। পরে সহপাঠীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছিল আমার…পেইনকিলারে মানছিল না, শেষে ঘুম পাড়িয়ে রাখল ওরা ইনজেকশন দিয়ে। ঘুম থেকে উঠে প্রথম যে দুটো জিনিস চাইলাম তা হল খাতা আর কলম। সব কষ্ট আর ক্রোধ উগরে দিলাম খাতায়… ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলোর জোচ্চোর নেতাদের অপকর্ম নিয়ে লিখে চললাম একের পর এক কবিতা। বেশিদিন লাগেনি, আমাকে বিস্মিত করে এগুলো দেশময় ছড়িয়ে পড়ল। আমি লিখেছি নিজের জ্বালা জুড়ানোর জন্য, অথচ এগুলো যে এত কিছু করে ফেলবে আমি কল্পনাও করিনি। এর মধ্যে আবার নতুন একটা রাজনৈতিক দল গড়ে উঠে দেশে, প্রগতিশীল ও সুস্থমনা মানুষদের নিয়ে। ওই দলে জড়িয়ে পড়ি একসময়, অথচ কখনও ভাবিনি রাজনীতি করব। কলম চলতে থাকে, আরো অনেকে শুরু করে এটা, সূচনা হয় নতুন এক বিপ্লবের…মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতাটা নিজের মধ্যে আবিষ্কার করে ভয় এবং আনন্দ দুটোই অনুভব করি। সুস্থ রাজনীতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে চলতে থাকে বিপ্লব। জঘন্য দমন পীড়ন শুরু হয়, অনেকের প্রিয়জনকে হাওয়া করে দেওয়া হয়…কেউ থামেনি।
অনেকবারই মনে হত, সব যন্ত্রণা ফেলে দিয়ে আগের মত হয়ে যাই, কিন্তু হায়! আমার আবেগকে আমি অপমান করতে অক্ষম! দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে পুলিশ আর অসুস্থ রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলোর ছাত্রদের সাথে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বিপ্লবীদের। বিপ্লবের ঢেউ উন্মত্ত করে দেয় সারা দেশকে। অসুস্থ, ঘুনে ধরা এসব ছাত্রসংগঠন সংস্কারে বাধ্য হয় রাজনৈতিক দলগুলো। কয়েক বছর পরের নির্বাচনে অংশ নেয় আমাদের দল, বিজয়ী হই আমরা ইতিহাস তৈরি করে, মানুষকে জীবনের গান শুনিয়ে।
নিউইয়র্কে এসেছিলাম একটা কনফারেন্সে যোগ দিতে। খাতা কলম নিয়ে হিসেব করতে বসলে জীবনে তখন পাওয়ার তালিকা অনেক দীর্ঘ। দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করেছি, দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আমি। টাকা আছে, সম্মান আছে, ক্ষমতা আছে। নারী চাইলেই পেতে পারি, কিন্তু কোন মেয়ের দিকে ওই দৃষ্টিতে তাকানো হয়নি আমার গত এক দশকে। কষ্ট হয় জীবনের ঐ দুঃসময়গুলোর কথা চিন্তা করলে, প্রিয়জনদের স্বপ্ন ভাঙা দৃষ্টিগুলো…আমার আবেগ, একমাত্র যা আমাকে এতদূর এনেছে, আর কেউ না। আমার আবেগকে আমি কেবলই ভালোবাসি।
ভালোবাসা ও ঘৃণা একত্রে আসে একটি নাম মনে পড়লে- আয়েশা!
মেইলের আওয়াজে ভাবনার ট্রেন থামল। সে সম্ভবত অনেক বছর বাঁচবে। সন্ধ্যায় দেখা করতে চেয়েছে কাছের একটা ক্যাফেতে।
আয়েশা।
চোখ দুটো ওর আগের মতই আছে, কাজলও আগের মতই দেয়। “১০ বছর পর চোখে কাজল দিলাম আমি”, ওর সুন্দর হাসিটা দেখে বুঝলাম আজও ওকে কতটা ভালোবাসি।
বিয়ে করেনি সে, হার্ভার্ডের লেকচারার এখন। ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে, যেটা আমি পারিনি। বলল, “তুমি জিতেছ। তোমাকে বিয়ে করলে আমার পরিবার আর আপত্তি করবে না আজ…আমাকে নেবে তোমার রূপকথার রাজ্যে?”
১০ বছর আগে আইফেল টাওয়ার ওর অনেক প্রিয় ছিল। জবাব দিলাম ঝুঁকি নিয়েই, যেমন ঝুঁকি নিয়ে ওর চোখের কান্না মুঝে দিয়েছিলাম এক রাতে, আগন্তুক হয়েই! “আইফেল টাওয়ারের নিচে তোমাকে বিয়ের আংটি পরাব, আয়েশা!”
চোখের তারা নেচে উঠলো ওর। বুঝলাম, ও ও আমাকে আগের মতই ভালোবাসে!
জীবনের সব অনিশ্চিত মুহূর্তে নিজের আবেগকে সর্বোচ্চ জায়গায় রেখেছি। বিশ্বাস করেছি, অসম্ভব বলে কিছু নেই, কারণ কাল কী হবে কেউ জানে না। জীবনের করে আসা অসংখ্য অদ্ভুত কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অদ্ভুতটি আজ করব। যে আবেগ আমাকে এতদূর এনেছে, তার সাথে আমি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারি না।
ডায়েরি খুললাম ঘরে এসে। ১০ বছর আগে লিখা সেই দুটি লাইন…
গভীর রাত।
আয়েশা এখন সম্ভব স্বপ্ন দেখছে। ১০ বছর আগের এসব সময়ে দুজনে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখতাম, মোবাইল আর পিসির পর্দায়… একসাথে।
আমি চাইনি ওর স্বপ্ন অশ্রু দিয়ে প্রতিস্থাপিত করতে, কিন্তু আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা এখন আর ওকে মানায় না। ও আমাকে দূর থেকে ভালোবাসতে চেয়েছে, ভালোবেসেছে, ভালোবেসে যাক, আমার কষ্টটা ওর কাছে মুখ্য ছিল না। আমাকে ছাড়া ১০ বছর থেকেছে, বাকিটা সময়ও পারবে। আমার জীবনের প্রথম ও শেষ ভালোবাসার নারী। ওর স্থান এখন দখল করে নিয়েছে আমার আবেগ, যাকে আমি অসম্ভব ভালোবাসি। যার সাথে নিমকহারামি আমি করি নি, করবো না। a promise must be kept.
সোনারিলের শিশিতে ৫৪ টা ট্যাবলেট আছে। ঘুমানোর জন্য একটা করে খাবার নিয়ম। আমি ৩টি করে ৬ মিনিট ১৮ বার খেলাম…৫৪ টাই এখন আমার গলা দিয়ে নেমেছে এ ৬ মিনিটে। ১০ বছরের ক্ষুধা মিটতে যাচ্ছে আমার…অবশেষে!
বুক ভরা আবেগকে নিয়ে গভীর রোমান্টিক এক ঘুম ঘুমাবো আমি, রোমান্টিসিজমের সর্বোচ্চ পর্যায় স্পর্শ করেছি, যেখানে সব প্রশ্নের উত্তর মানুষের নিজের কাছে, নিজের আবেগের কাছে। রহস্যের পথ অন্তর্মুখী-রোমান্টিকদের অদম্য বিশ্বাস।
শেষ কাজটাতে ইতস্তত করিনি।
এখন আমি ঘুমাবো। সবচেয়ে শান্তির ঘুম। মুক্তির ঘুম। বিজয়ের ঘুম।
দারুণ লেখার হাত! :huzur:
অর্ধেকের মত পড়ে আমি ভাবছিলাম মন্তব্য করবো, “জীবনটা তো স্বপ্নই হয়ে গেলো।” শেষে এসে দেখি…টুইস্ট! গল্পের শুরু ভুলে গেছিলাম ততক্ষণে।
আরো চাই গল্প। 🙂
শেষ পর্যন্ত কিন্তু অনেক স্বপ্নই ছুঁয়ে দেখা হল,তাই না?
লিখা জিনিসটা মারাত্মক, মজাই লাগে এখন…ধন্যবাদ আপু!চেষ্টা করব! 😀
থমকে গেলাম!
অনেক চমৎকার লেখনী আপনার………
ধন্যবাদ! 🙂
সুন্দর হয়েছে…
ধন্যবাদ
🙂
এভাবে শেষ হল… 🙁
দারুন লেখা!
কী আর করা বলুন, যা হবার তা তো হবেই! 🙁
পড়ার জন্য ধন্যবাদ! 🙂
আমি সত্যি সত্যি ভয় পেলাম !! প্লিজ এতো কষ্ট দেবেন না আয়েশাকে ! 🙁
আমি কী করব? বিপ্লবীর যা ইচ্ছা, আর আয়েশাও কিন্তু কম কষ্ট দেয়নি,তাইনা? 🙂
কঠিন গল্প!
শেষটা এমন কেন? 🙁
আরও চাই!
কঠিন চিন্তা করে তো মানুষটা, এজন্যই বোধহয়! :thinking:
চেষ্টা করব,ভাইয়া!! 😀