একটা ছবি হাজার শব্দের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কিছু ছবি মানুষের ইতিহাস বদলায়, কিছু ছবি মানুষকে স্বপ্ন দেখায় আর কিছু ছবি মানুষকে করে বাকরুদ্ধ।
এমনই কিছু ছবি নিয়ে এবার ‘দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলো-৫’:
The First Photograph [France, 1826]
ফটোগ্রাফার: Nicéphore Niépce
সর্বপ্রথম তোলা ছবিগুলোর একটি যা এখনো টিকে আছে। ছবি তোলার এ পদ্ধতিকে বলা হয় ‘হেলিওগ্রাফি’ যার অর্থ ‘সূর্য দিয়ে লেখা’। ছবিটি তোলার ‘এক্সপোজার টাইম’ অর্থাৎ, ছবি তুলতে সময় লেগেছিল ৮ ঘন্টা। এজন্যই ছবির বাড়িটির দুই পাশেই রোদ দেখা যাচ্ছে।
Looking Down Sacramento Street [San Francisco, 1906]
ফটোগ্রাফার: Arnold Genthe
ছবিটি তোলা হয় ১৮ই এপ্রিল, ১৯০৬-এ। সান ফ্রান্সিসকো এর ভয়ংকর ভূমিকম্প ও এর ফলে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডের ভয়াবহতা দেখা যায় এ ছবিতে। ফটোগ্রাফার এই ছবিটি তোলেন একটি ধার করা ক্যামেরায়।
Hitler in Paris [Paris, 1940]
ফটোগ্রাফার: জানা যায় নি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মান অধিকৃত ফ্রান্স ভ্রমণের সময় ২৩শে জুন, ১৯৪০ সালে ছবিটি তোলা হয়। হিটলারের পাশের দুই ব্যক্তি হলেন, স্থপতি আলবার্ট স্পির এবং ভাস্কর আর্নো ব্রেকার। প্যারিস হিটলারের স্বপ্নের শহর ছিল। তিনি আইফেল টাওয়ারের কাছে গেলেও তাতে চড়তে পারেন নি। কারণ, হিটলার যে আইফেল টাওয়ারে না উঠতে পারেন সেই জন্য ফরাসীরা শহর হাতছাড়া হওয়ার আগে আইফেল টাওয়ারে ওঠার লিফটের তার কেটে ফেলে।
ছবিতে হিটলারের নিরীহ চেহারা দেখে কে বলবে, পৃথিবীব্যাপী তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
The Last Jew in Vinnitsa [Ukraine, 1941]
ফটোগ্রাফার: জানা যায় নি।
এই ছবিটি পাওয়া যায় একজন Einsatzgruppen সৈনিকের অ্যালবামে, যার নিচে লেখা ছিল ‘The Last Jew in Vinnitsa’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউক্রেনের ভিনিতসা শহরে ২৮০০০ ইহুদীকে হত্যা করে জার্মানরা।
নিশ্চিত মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা একজন মানুষ এবং নিচে পড়ে থাকা লাশের স্তুপ যেন মানবতাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে।
The Body of Che Guevara [Bolivia, 1967]
ফটোগ্রাফার: জানা যায় নি।
পৃথিবী বিখ্যাত মার্কসিস্ট সংগ্রামী চে গুয়েভারা-কে বলিভিয়ান আর্মি গ্রেপ্তার করে। তাকে হত্যা করা হয়েছে প্রমাণ করার জন্য এই ছবিটি প্রকাশ করে বলিভিয়ান আর্মি। তাঁর মৃত্যু সেই সময়ের ল্যাটিন আমেরিকার সংগ্রামী মানুষের জন্য এক বিশাল ধাক্কা ছিল।
Footprint on the Moon [Lunar, 1969]
ফটোগ্রাফার: বাজ অলড্রিন
২০শে জুলাই, ১৯৬৯-এ নীল তার বাম পা রাখেন চাঁদের বুকে। মানুষের চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রথম পায়ের ছাপ এটি।
চাঁদে বাতাস না থাকায় এই ছাপ লক্ষ বছর টিকে থাকবে সেখানে।
Titanic [1912]
ডুবে যাওয়া বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিকের ছবি। ১৫ই এপ্রিল, ১৯১২ তে ১৬৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় জাহাজটি।
টাইটানিক উদ্ধার করতে যাওয়া জাহাজগুলোর একটি থেকে তোলা এ ছবিটি সম্পর্কে দাবি করা হয়, এটিই টাইটানিককে ধাক্কা দেয়া আইসবার্গ। এর গায়ে দেখা গিয়েছিল টাইটানিকের লাল রঙের দাগ। কখনোই নিশ্চিত করা সম্ভব হয় নি এই দাবি।
ছবিটি সমুদ্রের নিচে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ এর।
আগের পর্ব:
স্বপ্নবিলাসের এই সিরিজটা অনেক ভালো লাগে…… অনেক কিছু জানতে পারি……
৪র্থ ছবিটা কী ভয়ংকর………
ধন্যবাদ! 😀
অনেক বিখ্যাত ছবিই বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল, তার ভয়াবহতার কারণে………
দারুণ
ধন্যবাদ!
৪ নাম্বার ছবিটা দেখে মজা পেয়েছি 8)
মজা পেয়েছেন!!!
দারুণ!
সব সাদাকালোর পর শেষে রঙিন ছবি। 🙂
ধন্যবাদ!
সাদাকালোর পরেই তো রঙিন আসে… 😛
৪ নাম্বার ছবিটা দেখে ৭১ এর কথা মনে পরে গেলো। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও সাথের যোদ্ধাদের কথা বলেনি পাকি সেনাদের।
এই সিরিজ, সরবের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকিবে, দোয়া দিলাম 😀
তোর মুখে ফুল এবং চন্দনের ছোট ছোট টুকরা পড়ুক।
বড় টুকরা পড়লে তো ব্যথা পাবি 😛
ভাল লাগল ছবিগুলো আবার দেখে….
ধন্যবাদ…… 🙂
টাইটানিক বানাতে খরচ ৫০ আর টাইটানিক মুভি বানাইতে খরচ ১৫০ হেহ হহে 8)
😛
কী চমৎকার সব ছবি!
চে, চাঁদের বুকে অসাধারণ লাগলো!
ধন্যবাদ 😀