“আচ্ছা, কারো ওপর রেগে গেলে আমরা জোরে কথা বলি কেন, বলো তো?”, শিষ্যদেরকে গুরুর প্রশ্ন।
সবাই কিছুক্ষণ ভাবলো, তারপর এক শিষ্যের উত্তর, “আমাদের তখন অস্থির লাগে, এই কারণে।”
মাথা নেড়ে গুরু বললেন, “কিন্তু তাই বলে চিৎকার করতে হবে কেন? যে মানুষটার ওপর রাগ করি সে তো তখন আমাদের পাশেই থাকে, তাই না? এমন তো না যে আস্তে বললে সে শুনতে পাবে না আমাদের কথা।”
আরো কেউ কেউ চেষ্টা করলো, কিন্তু কারোর উত্তরেই মন ভরলো না গুরুর। তিনি বলতে শুরু করলেন,
“দুজন মানুষ একে অন্যের ওপর রেগে গেলে তাদের মন দুটো অনেক দূরে সরে যায়। রাগ যত বেশি, মনের দূরত্বও তত বাড়তে থাকে, আর অত দূর থেকে আরেকজনের কাছে কথা পৌঁছানোর জন্য তত জোরে চিৎকার করতে হয়।”
“আবার দুজন মানুষ যখন ভালবাসে, তখন কী হয়? তারা নিচু গলায় কথা বলে..তাদের মন দুটো তখন কাছাকাছি চলে আসে বলে।”
“আরো বেশি যখন ভালবাসতে শুরু করে, তাদের মনের দূরত্ব আরো কমে যায়। তখন তাদের ফিসফিসিয়ে কথা বললেই চলে।”
“আর শেষমেষ কী হয়? তাদের আর কথাও বলতে হয় না। একজন আরেকজনের চোখের দিকে তাকিয়েই বুঝে ফেলে সে কী বলছে। মন দুটো তখন এক হয়ে যায় যে!”
মূল গল্পের লিঙ্ক ((http://paulocoelhoblog.com/2012/01/09/30-sec-reading-why-do-we-shout-in-anger/))
সুন্দর 🙂
🙂
“আরো বেশি যখন ভালবাসতে শুরু করে, তাদের মনের দূরত্ব আরো কমে যায়। তখন তাদের ফিসফিসিয়ে কথা বললেই চলে।”
“আর শেষমেষ কী হয়? তাদের আর কথাও বলতে হয় না। একজন আরেকজনের চোখের দিকে তাকিয়েই বুঝে ফেলে সে কী বলছে। মন দুটো তখন এক হয়ে যায় যে!”
:):) :love:
অসাধারণ! প্রিয়তে নিলাম। :beshikhushi:
হুম। 😀 কারো কারো এইটা বেশি ভালো লাগবে! 😛
আমি যে সেই ‘কারো কারো’ এর ভিতরে একজন এটা বুঝে গেছিস না? পাকনাবুড়ি একটা। :beshikhushi:
কী যে বলো! এইটা আমি কত্ত পরে বুঝছি জানো? আমার বোঝাবুঝি জীবনের কলঙ্ক এইটা। 🙁
হাহা! ভাইয়ার তো অভিজ্ঞতা আছে। 😀
শামসীর ভাইয়াকে বললাম। 🙂
:happy:
ওয়াও দারুণ দারুণ!! আপা আমি এটা ফেসবুক ফ্যান পেজে শেয়ার করলাম। অনুমতি পরে দিয়ে দিয়েন। :love:
+ এই ব্লগে মনে হয় এটাই আমার প্রথম মন্তব্য। কোন ব্লগে লগিন না করে মন্তব্য করার সিস্টেম থাকলে অনেক ভালো লাগে। যেমন এই ব্লগটাকে লাগলো :penguindance:
ধন্যবাদ। যেখানে শেয়ার করবেন, সেখানে মূল লেখার অর্থাৎ এই ব্লগ পেইজের লিঙ্কসহ করবেন অবশ্যই।
ওয়াও!
এম্নিতেই আপনার এই সিরিজটার ভক্ত আমি। আর এটা তো পুরা উড়াধুরা হয়েছে গো সামিরাপু :love:
ধন্যবাদ কিনাদি! 😀 গল্পটাই উড়াধুরা যে!
খুব ভালো লাগলো…আসলেই তো, খেয়াল করে দেখি প্রতিটি কথা সত্যি!
🙂
সত্যি কথা, এই জন্যই দারুণ গল্পটা। 🙂
কিউট একটা গল্প :love:
হুম 😀
পাওলো কোয়েলহো জোশ এক লেখক। দ্যা আলকেমিস্ট পড়ে মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
হুম আলকেমিস্ট আমারও বে-শ ভালো লেগেছিল। 🙂
আরে, পুরাই সত্যি তো!!! 😯
আরেকজন অভিজ্ঞ মানুষ! 😛
হাছা কথাই মনে হচ্ছে ……………।।
হুম। 🙂
:happy: :happy: :happy:
দুর্দান্ত!!!
😀 😀
দারুণ তো!
হ্যাঁ দারুণ! 😀
darun :love: :huzur: :babymonkey:
😀 ধন্যবাদ!
আপনার অনুবাদগুলো পড়ে পাওলো কয়েলহোরও ফ্যান হয়ে গেলাম আপু। 😀
তাঁর অ্যালকেমিস্টটা নাকি বেশ। শীঘ্রই পড়ার আকাঙ্খা প্রকাশ করছি।
(আর অনুবাদ চালিয়ে যাবেন আপু। দারুন হচ্ছে।)
অনেক অনেক ধন্যবাদ। 😀
হুম ‘অ্যালকেমিস্ট’ বেশ ভাল, আরো কিছু বই আছে সেগুলোও পড়ে দেখতে পারো। 🙂 (আমি নিজে অবশ্য ঐ একটাই পড়েছি এখনো পর্যন্ত) একদম নতুন বেরিয়েছে ‘Aleph’, আমাদের দেশে এখনো পাওয়া যাচ্ছে কিনা জানি না ঠিক।
অদ্ভুত সুন্দর একটা লেখা পড়লাম। একই সাথে প্রতিটা লাইন মেইকস সেন্স!
ধন্যবাদ। 😀 ইট মেইকস সেন্স, অনুবাদের জন্য গল্পটা বেছে নেওয়ার এটাই কারণ ছিল। 🙂
(কেমন জানি ) অদ্ভুত রকমের ভাল হইসে!
ধইন্যাপাতা! 😀 কোন্টার কথা বললি, গল্প না অনুবাদ?
ছবি দিস না কেন প্রোফাইলে? 😀
হিহিহি! কথা সত্য। 😛
তোমাকে আর কিছু না বলি! 😛
পাওলো কোয়েলহো দূর্দান্ত একজন লেখক। দ্যা আলকেমিস্ট পড়ে বেশ ভালো লেগেছে।
সহমত। আমারো! 🙂
মারহাবা!!!
🙂
এটা কি ছবি দিলেন ভা’পু?!
লেখা আর ছবির এমন কম্বিনেশান খুব কম সময়ই দেখেছি 😛
“আর শেষমেষ কী হয়? তাদের আর কথাও বলতে হয় না। একজন আরেকজনের চোখের দিকে তাকিয়েই বুঝে ফেলে সে কী বলছে। মন দুটো তখন এক হয়ে যায় যে!”
–আহা! বেশ, বেশ! :happy: :happy:
হাহা।