খুব ছোট্ট কিছু অনুরোধ নিয়ে আজকে এই লিখাটা শেষ হবে। আমার বিশ্বাস তার অল্প কিছুটুকুও যদি আপনারা ধরে রাখবার চেষ্টা করেন, আরেকবার প্রমাণিত হবে, আমরা অনেক কিছুই করতে পারি, শুধু প্রয়োজন একটু খানি সদিচ্ছা আর সত্যিকারের বিশ্বাস।
আজকে যখন প্রথমবারের মতো হাবিবুর রহমান ওরফে হাবুর উপর বিএসএফ-এর নির্যাতনের সেই ভিডিওটা দেখেছি, অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিলো, মানুষ কোন কারণ ছাড়াই এমন করে আরেকজনকে মারতে পারে, নির্দ্বিধায় কষ্ট দিতে পারে, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারতাম না। নিজের ভেতরকার পরিচয়টা যখন আস্তে আস্তে ক্ষয় হয়ে যেতে থাকে তখন নাকি সমাজে নৈরাজ্য দেখা দেয়, সমাজ বইয়ে লিখা ছিলো, ছোটবেলায় পড়েছি! সমাজে নৈরাজ্য এসেছে কিনা জানি না, তবে এটুকু বুঝি, আমাদের অনেক অনুভূতি ভোঁতা হয়ে গেছে, চোখের সামনে নিত্যদিন এরকম বীভৎস্য ঘটনা দেখতে দেখতে অনেক কিছুই বুঝি গা সওয়া হয়ে গেছে, কিন্তু তবু যখন নিজের দেশের একটা মানুষের গায়ে বিনা কারণে অন্য দেশের একজন হাত তুলে তখন তার জবাব দিতে হয় বৈকি, একাত্তর তার অকাট্য প্রমাণ।
বিশ্বায়ন(!)-এর এই যুগে চাইলেও আরেক দেশের মানুষকে আমি চড় মেরে রাস্তার উপর ফেলে দিতে পারি না, এইটুকু ভদ্রতাবোধ আমার বিশ্বাস আমাদের আছে, যদিও এটাও বিতর্কের বিষয় সেই সময় এখনো আছে কিনা…
তবে যেটা পারি, সেটা হলো ভদ্র ভাষায় প্রত্যাখান করা। তোমার বিক্রি করা জিনিস আমি কিনবো না, আমার কাছে আমার দেশের, কিংবা অন্য দেশের পণ্য কেনার সুযোগ আছে, আমি তোমারটা কিনবো না! কেন কিনবো না জানো? শুধু এটুকু বুঝিয়ে দেবার জন্য, “তোমার পণ্য ছাড়াও আমরা বেঁচে চলতে পারি, খুব বেশি কষ্ট হবে না!”
“সকল ধরণের ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন” এতো বড়ো ডাক না দিয়ে আমি যেটা করতে পারি আপনাকে বলে দিতে পারি এইসব পণ্যগুলো ভারত থেকে আমাদের দেশে আসে, যদি সম্ভব হয় আমি আপনাকে এর বিকল্প পণ্যের নামটাও বলে দিতে পারি, অথবা আপনাকে অনুরোধ করতে পারি, একটু খুঁজে দেখুন না, এর চেয়ে ভালো পণ্যই হয়তো বাজারে পাবেন। চেষ্টা করে দেখুন না, ভারতের পণ্যগুলোকে বাদ দিয়ে জীবনযাপন করা যায় কিনা……
## শুরু করি সবচেয়ে সহজে আমরা যেগুলো বাদ দিয়ে দিতে পারি আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহার থেকে। এখানে যেসব পানীয়ের ছবি দেয়া আছে আমার বিশ্বাস আমরা সেগুলো ছাড়া নির্দ্বিধায় দিন পার করে দিতে পারি। একটা সময় ছিলো যখন ভারতের “Lays” চিপসের কোন প্রতিযোগী এইদেশে তৈরি হয় নি। এখন আমি বলতে পারি, আমাদের “সান” চিপসের অনেকগুলো ফ্লেভারই সেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে সক্ষম। সান চিপসের “ওয়াসাবি” খেয়ে দেখতে পারেন অন্যরকম একটা স্বাদের জন্য!
## ভারতের বিশাল বিস্কুটের বাজার দেখে ভয় পাচ্ছেন? ভাবছেন আমাদের দেশে এতো মজার বিস্কুট কোথায় পাবো?
জানলে অবাক হয়ে যাবেন আমাদের দেশেই এখন কত ধরণের মজাদার বিস্কুট তৈরি হচ্ছে! বঙ্গজ, নাবিস্কো, ড্যানিশ, হক, কোকোলা ছাড়াও এখন আরো একগাদা কোম্পানী আছে যারা আপনার জন্য মুখরোচক বিস্কুট নিয়ে আসছে হরদম! চেষ্টা করেই দেখুননা! পাশের কনফেকশনারী কিংবা জেনারেল স্টোরে একটা ঢুঁ মেরেই দেখুন!
## আমার জানা মতে আমাদের দেশী কোলগেট, পেপসোডেন্ট, ক্লোজ আপের ভীড়ে এইসব ভারতীয় টুথপেস্টের জায়গা পাবার কথা না! তবু শুধু জানিয়ে রাখার জন্য নামগুলো দিয়ে রাখা, হঠাৎ কিনতে যেয়ে যদি মনে পড়ে যায় এই নামগুলোর কথা, চেষ্টা করুন সেটা না ব্যবহার করার……
## চকলেট শুনলেই জিভে জল আসে আমার মতো এমন অনেকেই আছেন……
কিন্তু এইসব চকলেট থেকে হাজারগুণ ভালো চকলেট তো হাতের কাছেই আছে, এগুলো নাহয় নাই বা গেলো মুখ পর্যন্ত! এর চেয়ে Snicker, Mars অথবা Hershey’s ই হলো রসনা তৃপ্তির মাধ্যম! :happy:
## এইবারের দাবিটা অনেক কঠিন একটা দাবি করবো আপনাদের কাছে, আর আশা করবো পুরোটা রাখতে না পারলেও যতখানি সম্ভব রাখবেন! এই কথাটা নিঃসন্দেহে সত্য আমাদের বাজারে ভারতীয় কসমেটিক্সে সয়লাব হয়ে গেছে! টিভি চ্যানেল গুলো দেখে বিজ্ঞাপন হজম করে আমাদের এমন অবস্থা হয়ে গেছে, মনে হয় ওদের চেয়ে ভালো আর কোন প্রডাক্ট বাজারে হতেই পারে না! কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই খুঁজে পাবেন ঠিক সমমানের কিংবা কখনো কখনো ভালো মানের বিকল্প পণ্যও আছে বাজারে! বাংলাদেশী না হোক, অন্য দেশেরটাই দেখুন, ভারতীয়দের ছাড়াও যে আমরা চলতে পারি সেটা একটু বুঝিয়ে দেয়া যায় না?
## ভারতের মোবাইল কোম্পানীগুলো থেকে ভালো সেটই তো বাজারে আছে, চায়নিজ হোক কিংবা বড়ো ব্র্যান্ডের (যেমন নকিয়া, স্যামসাং) আমার তো বিশ্বাস ভারতীয় সেটের দিকে যাবার প্রয়োজন খুব একটা কারোরই পড়ে না, তবু দিয়ে দিলাম ভারতে তৈরি সেটগুলো নাম……
তবে হ্যাঁ, যেটা চাবো আপনাদের কাছে, যদি সম্ভব হয় নিজের এয়ারটেল সিমটি পরিবর্তন করে ফেলুন, খুব বেশিদিন হয়নি এদেশে এসেছে এয়ারটেল, আর আমরা খুব বেশি মানুষও নেই যাদের কাছে এয়ারটেল ছাড়া অন্য সিম নেই! তাই আসুন না, সর্বাত্মক চেষ্টার একটা অংশ হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করে দিই এয়ারটেল সিমটার…
## আমাদের ম্যাটাডোর জেলের সাথে তুলনা করার মতো কলম মনে হয় খুব বেশি নেই! দুর্দান্ত একখানা কলম বানাইছে রে ভাই! লিখতে যে কি আরাম! সেই দিনতো শেষ যে “Cello” “Montex” ছাড়া লিখা হবে না, তাইনা? খোঁজ নিয়ে দেখুন এখন ওদের কলমের বিক্রি অনেকখানি কমিয়ে দিয়েছে দেশি কোম্পানিগুলো, পুরোপুরি নাহয় বন্ধই করে দিলাম!
## ভারতে তৈরি অসংখ্য গাড়ী আসছে আমাদের দেশে, মটরসাইকেল, ট্রাক থেকে শুরু করে বাস পর্যন্ত, টাটা, হোন্ডা, বাজাজ, অনেকগুলো কোম্পানি একচেটিয়া বাজার ধরে নিয়েছে, আমিও জানি এটা রাতারাতি বদলে দেবার মতো সম্ভবপর কিছু না! কিন্তু তারপরও যেটা আশা করবো, যদি কখন সাধ ও সাধ্যের মধ্যে মিলে যায় এই কোম্পানীগুলো বাদ দিয়েই নাহয় মটর সাইকেল, গাড়ীটা কিনলেন, কিংবা চড়লেন……
এই লিস্ট আসলে শেষ হবার নয়, আমাদের নিত্যদিনের অনেক কিছুর মধ্যেই ঢুকে বসে আছে বিদেশী জিনিস, তাই একবারে না হোক, আস্তে আস্তে আসুন না নিজের অভ্যাসটাকে পালটে ফেলি, আজকে থেকে নাহয় কিটক্যাট খাওয়াটা বন্ধ করেই দিলাম, অন্য কিছুতে খুঁজে নিলাম সেই মজাটা, আরো কিছু পণ্যের ছবি দিয়ে শেষ অনুরোধটা করবো আপনাদের……
এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো, এখানকার বেশ কিছু পণ্য কিন্তু আমাদের দেশেই তৈরি হয়। উদাহরণ হতে পারে লাক্স সাবান। বাংলাদেশ ইউনিলিভার যেমন লাক্স বানায় ঠিক তেমনি ভারতের লাক্সও বাজারে আসে আমাদের, কেনাকাটার সময় শুধু খেয়াল রাখবেন জিনিসটা কোথাকার তৈরি, পণ্যের গায়ে একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন “Made In ….” কথাটি।
ঈদের সময় এলেই আমাদের দেশে হঠাৎ করে বিদেশী, নির্দিষ্ট করে বলতে ভারত আর পাকিস্তানী পোশাকে সয়লাব হয়ে যায়! বিক্রেতারা তেলতেলে মুখে বলে বেড়ায়, “নিয়ে যান ভাইয়া/আপা, পাকিস্তানে তৈরি, ভারত থেকে আসছে!” কি আনন্দ তাদের! আর নামেরও বলিহারি! মুন্নী, বান্টি ঔর বাবলী, দেবদাস, শাহরুখ পাঞ্জাবী, ছাম্মাক ছাল্লু! কি আশ্চর্য রে ভাই! ড্রেস তো না, যেন সিনেমা কিনতে আসছে মানুষজন! এর চেয়ে সত্যি বলতে আমার নিজের দেশের কাপড়ের দাম আর মান দুটাই কিন্তু নাগালের মাঝে, কি দরকার রে ভাই এইসব কেনার? আমরা কিন্তু ওদের ছাড়াই চলতে পারি, পারি না?
আর টিভি চ্যানেলগুলো নিয়ে নতুন করে আর কি লিখবো, হরদম বলে আসা সেই পুরনো কথাই! ভয়ংকর ধরণের খারাপ লাগে যখন দেখি ছোট ছোট বাচ্চাগুলো বলা যায় বাংলা ভালো করে বলার আগেই হিন্দি শিখে ফেলে! অথচ পাশের দেশে পশ্চিমবঙ্গ একটা প্রদেশ হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্য প্রদেশের মানুষজন বাংলাতে খুব ভালো কথা বলা তো দূরের কথা, বুঝেও না অনেক সময়। কি বাহাদুরি আছে জানিনা হিন্দীতে কথা বলার মধ্যে, আর যতদূর দেখেছি, ওদের সিরিয়ালগুলোতে এমন জাতের কিছু দেখায় না, যা আমাদের দেশি নাটকগুলো পাল্লা দিতে পারবে না, বরং এটুকু বলতে পারি আমাদের নাটকগুলো অনেকাংশে অনেক বেশি জাতের ওদেরগুলো থেকে……
এখন যদি আমি নাম ধরে বলে দিই কোনগুলো হিন্দি চ্যানেল সেটা একটু ছেলেমানুষী হয়ে যাবে, আমার থেকে আপনারাও ভালোই জানবেন কোনগুলোর কথা বলছি…
আমরা জাতি হিসেবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি, এ কথাটা যেমন ঠিক, নীরবে বেশিদিন মার খেতেও শিখিনি, সেটাও ঠিক! ‘৭১-এ একবার প্রমাণ করেছি আমরা চাইলে পারি, এখন যদি আরেকবার সময়ের প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে হয় সবাইকে, নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজের দায়িত্বটুকু পালনের, বলুন, পারবো না আরেকবার একসাথে হাতে হাত রেখে শপথ নিতে? এর প্রতিশোধ নেবোই……
শুরু করে দিলাম, জানি একবারে পারব না , পারা অনেকের জন্যই কষ্টকর , তবে অসম্ভব না, এগুলো সবগুলোরই বিকল্প আছে এবং ভালো বিকল্প আছে, আথলে কেন এমন দেশের পণ্য ব্যবহার করব যারা প্রতিনিয়ত আমাদের ভাই বোনদের নির্যাতন করে চলেছে, ভাইয়া আরও কিছু বাদ পড়লে দিয়ে দিও।
অসাধারণ লেখাটার জন্য অসাধারণ বাংলাদেশী ধইন্যাপাতা :huzur:
*আসলে হলে আথলে না, ফিনিক্স দেখলে আমারে মাইরাল্লাবো 😛
*হবে হবে, হলে না 😛 😛
মাইর তো দিবোই। দুই-দুইবার ভুল লিখা! এটা সহ্য করা যায় না। কিনাদির কথা সত্য। 😛
আমার দোষ না, চৌক্ষের দোষ গো আপি
দুর্দান্ত! আমি বলি একদিনেই সব করে ফেলবেন, আস্তে আস্তে দেখবেন, অনেক কিছু ছাড়াই আমাদের কিন্তু বেশ চলে যাচ্ছে! এমনকি দেশের কোন পণ্য দেখবেন তার থেকেও হাজার গুণ ভালো আছে!
:multitalk: :multitalk:
:yahooo:
পুরা কুপাকুপি হইসে।
সাথে আছি।
ধন্যবাদ! সত্যিকার অর্থেই চিন্তায় ছিলাম, যা বলেছি বা বলতে চেয়েছি তা বোঝাতে পেরেছি কি না!
ভালো একটা ম্যসেজ আপনার লেখার মাঝে আছে, তার কোন সন্দেহ নাই। এখন আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন তা আপনিই ভালো জানেন। তবে মনে করি, আমরা যা বুঝেছি আপনি তাই বুঝাতে চেয়েছেন। ধন্যবাদ। ভালো লেখা। ভালো হয়েছে।
অনেক ভাল একটা লেখা। আমরা সবাই যদি একসাথে শুরু করতে পারতাম ………..
আমার সহপাঠীদের কাছে যখন সারাদিন হিন্দি সিরিয়াল আর হিন্দি মুভির গল্প শুনি, যখন শুনি হিন্দি গানের সাথে নাচ ছাড়া আজকাল নাকি গায়ে হলুদের কোনও অনুষ্ঠানই হয় না- তখন খুব অসহায় বোধ করি।
আমাদের মানসিকতার যদি একটু পরিবর্তন হত!
এই জিনিসটা যে কি ভীষণ পরিমাণ খারাপ লাগে! আগে ভাবতাম আমি বুঝি ক্ষ্যাত!! এইসবের সাথে মানাতে পারি না, এখন কেন জানি গর্ব হয়! আমি ক্ষ্যাতই ভালো! 😀
সময়োপযোগী, দারুণ একটা লেখা :huzur: :huzur: :huzur:
শুরু করলাম…
ধন্যবাদ ভাই!
নির্যাতনের ভিডিওটা দেখা শুরু করেছিলাম, শেষ করতে পারি নাই। এমনভাবে কোন মানুষ(!) অন্য কোন মানুষকে মারতে পারে, বিশ্বাস হচ্ছিলো না।
ভারতীয় পণ্য বর্জন শুরু করেছি আগে থেকেই……এখন থেকে চেষ্টা করবো পুরোই যেন ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে পারি।
লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এমন একটা লেখা খুব দরকার ছিল…… :clappinghands:
ধন্যবাদ আপনাদের! এই অনুপ্রেরণাই আবার নতুন করে পথ জোগায়, এটার কোন বাস্তব রূপ দেখতে পারলেই আমি খুশি…
সেদিন ওরাল-বি টুথব্রাশ কিনতে গিয়েও কিনি নাই। 😀
গতকালই নতুন একটা চিপস খেলাম, নাম ‘ও পটেটো’।
দেশী চিপস। দেশে এখন এখন এতো ভালো ভালো চিপস তৈরি হচ্ছে ‘লেইজ’ এর দরকার আর আছে বলে মনে হয় না। :happy:
এয়ারটেলটাও বাদ দিয়ে দেবো শীঘ্রি। :thinking:
ভারতীয় পণ্যের মুখে :slap: :slap:
দুর্দান্ত! এমন বিশ্বাসই চাই! :multitalk:
শেষবার সস্তা বলে এশিয়ান পেইন্টস কিনেছিলাম, বাদ। ভারতীয় শিল্পপণ্য বর্জন করলাম।
কবিগুরু পরাধীন দেশে থাইকাও নাইটহুড বর্জন করছিলেন প্রতিবাদে। অথচ আমাদের কেউ কেউ বিএসএফের শত নির্যাতনের পরেও ভারত যান ডিগ্রী নিতে। সত্যি সেলুকাস!
অনেক কিছুই সেলুকাস দেখে এড়িয়ে যেতাম। কিন্তু মনে হচ্ছে সময় এসেছে এবার কিছু একটা করে দেখানোর…
ওয়াল্টন এর কথা পোস্টে আসা উচিৎ ছিলো।
আমরা একইসাথে পাকি পণ্যও যেন এভয়েড করি। আর দেশে গরুর ফার্ম যদি করতে পারতাম কতই না ভালো হত!
আমার বাচ্চাকালে কোটিপতি হবার প্ল্যান ছিলো এইভাবে যে আমি গরুর বিশাআআআল ফার্ম দিব!
দুধ মাংশ বিক্রি প্লাস কোরবানির সময় গরু বিক্রি!!!
এইটাও করা উচিৎ
ওয়ালটনকে নিয়ে আসতাম, কিন্তু অনেক বড়ো করে ফেলেছি দেখে মনে হচ্ছিলো সবাই বিরক্ত হতে পারেন, তবে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে একটা নতুন সময়ের সূচনা ওদের হাত ধরে…
আর গরুর ফার্মের আইডিয়াতে আমাকেও রাখবেন আশা করি! 😀
গরুর ফার্মের প্ল্যান আমার মাথায় এখনো আছে… 😀
খুব কাজের হয়েছে পোস্টটা।
ভিডিওটা কাল দেখতে গিয়েও দেখা হয় নাই আমার, দেখতে হবে।
এই অন্য যুদ্ধ আমরা চালিয়ে যেতে পারলেই হয়। এর আগেও কয়েকবার ওদের পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছিল, কয়েকদিন একটু মাতামাতি হয় তারপর আবার যেই কী সেই।
আর একদেশি পণ্য বর্জন করে যাতে আরেকদেশি পণ্য ব্যবহার না করতে হয়, সে জন্য দেশি পণ্যের মানও আরো ভাল হওয়া দরকার। সবাই একটু সৎ হলেই সম্ভব সেটা।
ভাইয়া, “অন্য যুদ্ধের ডাক”-এর পরে কোলন(:) হবে, বিসর্গ(ঃ) না। 🙂
দেশী পণ্যের মান ভালো হতে বাধ্য, যদি ভোক্তার চাহিদা বাড়ে, আশায় আছি তা হবে অদূর ভবিষ্যতেই! আর আমাদের দেশেই কিন্তু ইমপোর্ট কোয়ালিটির জিনিস তৈরি হয়! 😀
অনেক অনেক ধন্যবাদ! এইরকম একটি লেখা খুঁজতেছিলাম…Spread করতেছি, যতটা পারি…
ধন্যবাদ আপনাকেও! শেয়ার করার জন্য! 😀
এরকম তথ্যবহুল লিখা খুঁজছিলাম। শেয়ার দিচ্ছি আপনার লিখাটা।
শ্লোগান তুলুনঃ No more India.
ধন্যবাদ আপনাকে! 😀
ব্লগের ছবি গুলা খুউব কিউট হইছে! এক্কেরে ভিজুয়াল ইফেক্ট!! :happy: 😛 আইজ থেইকা সান চিপস ছাড়া কথা নাই! :love:
সান চিপসের ওয়াসাবি! অতুলনীয়!
আর ছবির জন্য ধইন্যাপাতা!
http://www.cardekho.com/india-car-news/tata-nano-wins-hearts-of-thane-police-export-to-bangladesh-also-on-cards-6757.htm
Tata is planning to sell 2200 cars in Bangladesh. We should boycott it.
ভারতীয় মটর সাইকেল বয়কট করে দেশী ওয়ালটন কেনা উচিত।
http://bangladesheconomy.wordpress.com/category/automobilesvehicles/
সহমত! শুধু এখনি বলতে পারছি জোর গলায় কারণ আমাদের ওয়ালটনের মোটর সাইকেল এখনো পাল্লা দিয়ে জেতার মতো পর্যায়ে আসতে পারেনি, কিন্তু ওয়ালটনের ডিভিডি প্লেয়ার, টিভি, ফ্রিজ নিঃসন্দেহে অসাধারণ!
ধন্যবাদ আবার! 😀
মোবাইলও খারাপ না, আমার মেস এই এখন ৩ জন ওয়াল্টন প্রিমো চালায়।
No more india বলে তো লাভ নাই ভাই। ইন্ডিয়ান পন্য থেকে বেশি আমাদের দেশে চলে ওদের চলচিত্র। যার কোন বিকল্প বাংলাদেশে নাই। আমাগো নতুন কি এক ছবি বাহির করসে “মারুফ এর চেলেঞ্জ”। নাম শুনলেই মনে চায় দক্ষিনে দৌড় দেই। ছাগল গুলা ছবি বানাইতে তো জানেই না, নাম টা ও ভাল ভাবে দিতে পারে না।
চলচ্চিত্র কিন্তু চলেছে তাতে ওদের লাভ হয়নি, কারণ সবই পাইরেটেড ছবি, কিন্তু যেটা নিয়ে ওদের লাভ হচ্ছে মোক্ষম আঘাতটা সেখানেই করা উচিত!
আমরা একটু পয়সা হলেই বিদেশি জিনিষ কিনে ভাব নিতে চাই। ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনে আমাদের মগজে গেথে গেছে, বিলাতী জিনিষের মত জিনিষ হয় না। কিন্তু, আমাদের দেশী জিনিষ না কিনলে যে আমাদেরই ক্ষতি, তা বাঙ্গালীকে বোঝাবে কে!
উদাহরণ দিয়ে বলি। ওয়ালটন দেশে মটর সাইকেল তৈরি করছে। এখন, আমি যদি সারাদিন হিন্দী চ্যানেলে অনুষ্ঠান দেখার সাথে ভারতীয় মটর সাইকেল এর বিজ্ঞাপন দেখি, আমিতো আকৃষ্ট হবই। ফলাফল, ওয়ালটন বিজ্ঞাপন এর জন্য দেশী চ্যানেলে টাকা খরচ করেও প্রচার পেলনা। কয়দিন পরে যখন ওয়ালটন ব্যবসায় মার খাবে, বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের দেশে কোনরকম মার্কেটিং খরচ না করেই ভারতীয় মটর সাইকেল লাভ করে ফেলল। দেশী বিজ্ঞাপন নির্মাতারাও ব্যবসা হারাল। আমাদের মিডিয়ার বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে গেল। দ্বিতীয়ত, ওয়ালটন মটর সাইকেল যদি ব্যবসা ভাল করে, তারা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিব নতুন ডিজাইনের ভাল ও উন্নত মটর সাইকেল ডিজাইন করার জন্য। যেন, যুগের সাথে তাল মিলাতে পারে, বিদেশে রপ্তানী করতে পারে। তৃতীয়ত, কারখানা দেশে বলে ম্যানেজার, হিউম্যান রিসোর্স, একাউন্ট্যান্ট, মার্কেটিং প্রতিনিধি, ইঞ্জিনিয়ার, ডিজাইনার, কারখানা শ্রমিক, বিক্রয় প্রতিনিধি – সবার কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। চতুর্থত, সকল কর্মচারীর বেতন থেকে সরকার উৎসে কর কর্তন করতে পারবে। সার্বিক ভাবে সরকার অনেকগুণ কর বেশী পাবে। পঞ্চমত, দেশী জিনিষ কিনতে আমাদের মুল্যবান বিদেশী মূদ্রা খরচ হবেনা। ডলার সংকটে সরকার আইএমএফ থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিতে গিয়ে ৬ শর্ত মানার জন্য বিদ্যুত, জ্বালানী সব কিছুর দাম বাড়িয়েতো আমাদের পাবলিকের অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে। ষষ্ঠত, সব যদি বিদেশী জিনিষ চলে আমাদের দেশে, আমাদের সবারতো বেকার থাকা লাগবে। আর বেকার থাকলে কয়দিন পর আর কেনার সামর্থ থাকবেনা। সপ্তমত, এই মটর সাইকেলে অনেক যন্ত্রাংশ থাকে (টায়ার, সীট, ইঞ্জিন) যা হয়ত ওয়ালটন অন্য কোম্পানী থেকে কিনে সংযোজন করে থাকে। গাড়ি ও আরো বড় যানবাহনে এরকম যন্ত্রাংশের সংখ্যা আরো বেশী। ফলে, ওয়ালটন এর সাথে সাথে আরো কিছু দেশী কোম্পানীর বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ফলে, আরো কর্মসংস্থানের সুযোগ। সবশেষে, দেশী কোম্পানী বলে স্পেয়ার পার্টসটাও দেশী। সুতরাং, সহজলভ্য।
এখন আপনি যদি নতুন দেশী কোম্পানিকে সুযোগ না দেন, আর তার কারণ হিসাবে বলেন, “ইন্ডিয়ান মটর সাইকেল গুলা দেখছেন?” আমি আপনার দেশপ্রেম নিয়ে কটাক্ষ করতেই পারি। তবে, এটাও মনে রাখবেন, এই কিছুদিন আগেও কিন্তু ভারতীয় গাড়ি-মটর সাইকেল আজকের অবস্থানে ছিল না। গান্ধী-নেহেরুর স্বদেশী আন্দোলনের জন্য আজ ভারতীয়রা এই অবস্থানে। আমরাতো জাপানী গাড়ি চড়লাম, ওড়া ওদের বিশ্রী গাড়িগুলোয় এতদিন চড়ে এখন জাপানী গাড়ির সাথে পাল্লা দেয়। ওদের বড় বড় নেতারা ভারতীয় গাড়িতে চড়েন। আমরা বিনা ট্যাক্সে গাড়ি আমদানীর সুযোগ দেই সংসদ সদস্যদের। ভারতীয়দের গাড়িতে আমাদের দেশ সয়লাব। আর আমরা আমাদের রহিমাফরোজের লুকাস ব্যাটারী দুনিয়ার অনেক দেশে রপ্তানী করলেও ভারত থেকে কেনা গাড়িতে ওদের ব্যবহার করতে বলতে পারলামনা। বলতে পারলাম না, টাটা গাড়িতে লুকাস ব্যাটারী সংযোজন করে বাংলাদেশে পাঠান। (গত ২ অর্থবছরে বাংলাদেশে ভারতের যানবাহন রপ্তানী আনুমানিক ৫০ কো্টি মার্কিন ডলার)
http://www.somewhereinblog.net/blog/kalapahar2000/29526119
পূর্ণ সহমত! কোন সন্দেহ নাই! ওয়ালটনকে সাহায্য করলে নিঃসন্দেহে ভারতের সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে পারবে! সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকতে পারাটাই ওদের সবচেয়ে বড়ো তুরুপের তাস! 😀
ওয়ালটনের পণ্যের দাম তুলনামূলক ভারতীয় বা অন্য যেকোন বিদেশী পণ্যের চেয়ে অনেক কম!
নাহ, টুথপেস্ট ছাড়া বাকি সব গুলাতেই ঠিক আসি 🙂 এটার অল্টারনেটিভ এখনো পাই নাই।
তবে ভাগনে-ভাগনি গুলাকে কি করে ‘হিন্দি ডোরেমন’ দেখা বন্ধ করাবো সেটা কেউ বলতে পারেন?
আমার মনে হয় ভারতীয় মোবাইল আর এয়ারটেল বাদ দিলেই ৬০-৭০% কাজ হয়ে যাবে।
তথ্য: ‘ভারতীয় মোবাইল’ ও কিন্তু চাইনিজ জিনিসই 🙂 same building, same floor, same lab, same manufacturer, just the cover is different.
টুথপেস্ট দেশী ভালো নেই? ভারত পাকিস্তান ছাড়া অন্য দেশেরটা ব্যবহার করেন, কোলগেট কিন্তু অন্য দেশেও তৈরি হয়……
ডোরেমন এর বিকল্প আমি বলতে পারছি না, কিন্তু বাচ্চারা যে দ্রুত হিন্দী শিখে যাচ্ছে সেটাই আমাকে ভাবায় বেশী! 🙁
কভার আলাদা হোক আর যাই হোক, টাকাটা কিন্তু যাচ্ছে উনাদের পকেটেই! সেটাই বলছি!
অনেক পন্য কিন্তু basically ইন্ডিয়ার না। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, কিন্তু ইন্ডিয়া থেকে import করা। যেমন Lay’s, Colgate, Tide এবং Uniliver এর পন্য। Quality পন্য যদি আমরা তৈরী করতে না পারি তাহলে অন্তত ইন্ডিয়া থেকে import না করে অন্য দেশ থেকে import করতে পারি। ব্যাপারটা importer দের উপরে।
আমিও সেটার উপর জোর দিয়েছি, মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানী ভারত ছাড়াও সব দেশে এমনকি বাংলাদেশেও আছে, নিজের দেশে যদি নিতান্তই না পাই, চেষ্টা করি অন্য দেশেরটা কেনার, ভারত পাকিস্তান দূরে থাক……
ধন্যবাদ মতামতের জন্য!
অদ্ভুত যুদ্ধ, আসলে নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ, এতদিনের অভ্যাস এর সাথে যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধটা করতে গেলে সেই বোধ টা তৈরি হওয়া প্রয়োজন, যেই বোধটা একদিন আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।
সত্যিকার অর্থেই নিজের সাথে যুদ্ধ, বোধটা গড়ে তুলতে হবে নিজেকেই…
Airtel ছারতে হবে :crying: ——- :happy: ছাইরা দিছি , রবি এখন ২৫ পয়সা প্রতি মিনিট :love:
চাইনার জিনিস ইউজ করব কিন্তু ইন্ডিয়ান জিনিস ইউজ করব না………………………
কিন্তু সমস্যা অন্য খানে, এইটাই ভাইবা পাছছি না কিভাবে মা-বোনদের Start Jolsa আর Sonny থেকে দূরে রাখব :crying: :crying: :crying:
এই একটা ক্ষেত্রই সবার জন্য সবচেয়ে কঠিন মনে হয়, কারণ নিজের পরিবারকে সঠিক পথে না আনতে পারাটাই হয়তো সবচেয়ে বড়ো ব্যর্থতা হবে! এটার একটা উপায় হতে পারে তাদের বিকল্প ভালো কিছু দিন, কোন ভালো ছবি, কোন গল্প, কোন সিরিয়াল, হোক অন্য দেশী……
তবে এইটা নিয়ে এখনো অনেক কিছু করার আছে…
দারুণ হয়েছে …… 😀
সাথে আছি 😀 :beerdrink: :multitalk:
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য! 😀
দারুণ বলেছেন গো ভাইজান। যুদ্ধে পাশে আছি। শেয়ার করলাম।
:dhisya:
ধন্যবাদ ভাই শেয়ারের জন্য! 😀
আরো অনেক আগেই শুরু করা উচিত্ ছিল। অনেক দেরি করছি, মনে হয় আরো করা বোকামি হবে। Now it’s time to make a movement against India…
আমাদের সচেতনটা একটু দেরী করেই আসে, যতক্ষণ না নিজের গায়ে লাগে তার আগ পর্যন্ত আমরা চুপ করেই থাকি, আমার নিজের জন্যও এটাই প্রযোজ্য……
তবে সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি…
খুবই দারুন পোস্ট।=)-আমি এই লিস্টে আছি কলম আর টুথব্রাশের তালিকায়!স্টকে যা আছে শেষ করেই বাদ দিয়া দিব-টিভি দেখা তো আগেই ছাড়ছি!ইশ-সবাইকে যদি হিন্দী সিনেমা-গান-সিরিয়াল দেখানো বাদ দেওয়াতে পারতাম বিশাল একটা উপকার হইত।=(
চেষ্টা করে যান, কিছু একটা তো হবেই…
আস্তে আস্তে হলেও নির্ভরতা কমাতে হবে। দারুন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ দাদা। :clappinghands:
ধন্যবাদ আপনাকেও…
আর দেরি করার মতো সময় হাতে নেই। এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে।
তবে বিদেশি পণ্য বর্জন করে দেশি পণ্য ব্যবহার করার এই আন্দোলন যাতে শুধু ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেই সীমাবদ্ধ না থাকে আমাদের ব্যবহারিক জীবনে যেন এর যথার্থ প্রয়োগ হয় সে ব্যাপারে সবার বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ।
সবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সারাটা দিন কাটুক দেশি পণ্যের সাথে।
সময়োপযোগী লেখার জন্য লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, আশা করি নিয়মিত শেয়ার করবেন, এটা ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেই শেষ হয়ে গেলে খারাপ হবে খুব…
এয়ারটেল অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছি। বন্ধুদেরও বলেছি বন্ধ করতে। কিছু পন্য (টুথপেস্ট আর চিপস গুলো) যে ইন্ডিয়ান জানতাম না। দোকানদার দেরও আমরা এই বিষয়টা বোঝাতে পারি , তারা যেন ইন্ডিয়ান পন্যগুলো না রাখেন।
নিজেরা সচেতন হব, অন্যদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করব।
অসাধারণ পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। :fire:
এই সচেতনতাটাই মূল উদ্দেশ্য পোস্টের, তাতেই আমার সফলতা…
এয়ারটেল বন্ধ করে দিয়েছি অনেক আগে-ই….
সাথে-ই আছি…
ধন্যবাদ এই সাহসটুকু দেবার জন্য! 😀
একটা জিনিস ক্লিয়ার করা দরকার মনে হইতেছে…আপনি মনে হয় বলতে চাচ্ছেন যে লেস,কিটক্যাট এগুলা আমাদের দেশে ঢুকে ইন্ডিয়া হয়ে-মানে কিটক্যাটের ক্ষেত্রে এইটা ন্যাসলে ইন্ডিয়ার..কিন্তু এইগুলার অনেকগুলিই কিন্তু ইন্ডিয়ার না http://en.wikipedia.org/wiki/Lay%27s , http://en.wikipedia.org/wiki/Lay%27s
আরেকটা জিনিস চকলেট পানীয় কিনতে গিয়ে দেখলাম সেইখানে বিকল্প সবচেয়ে কম…বুস্ট,কমপ্ল্যান সহ সবই তো দেখি মুম্বাই কিংবা পাঞ্জাব থেকে আসতেছে…আর মাইলো তেমন সহজলভ্য ও না…সে ক্ষেত্রে কি করা যায়?
খুবই সত্যি কথা বলেছেন ভাইয়া, নেসলে কিন্তু একটা বহুজাতিক কোম্পানি, অনেকগুলি দেশে এর পণ্য বাজারে চলে, আমি কিন্তু একবারও বলিনি কিটক্যাট বন্ধ করে দিতে হবে, আমি শুধু বলেছি একটু খেয়াল করে দেখবেন কোন দেশ থেকে তৈরি সেটি, যদি ভারত হয় আপনি সেটা নাই বা কিনুন, অন্য কোন জায়গা দেখে খোদ সুইজারল্যান্ডেরটাই কিনুন না! 😀
আর বিদেশী বুস্ট, কমপ্ল্যানের সাথে তুলনা করা যায় এমন পণ্য কি নেই? এইযে দেখুন……
http://www.gsk.com.bd/products/
বিস্কিটে যেমন আমাদের পণ্য গুলী আলাদা ভাবে আছে, তেমনি ভাবে সব জায়গাতে থাকলে আরও সুবিধা হতো সকলের জন্য। আমাদের তেমন না থাকলে, অন্য দেশীয় ভালো ব্র্যান্ড গুলী পরিচিত করে দিলে ভালো হতো। বিশেষ করে কস্মেটিক্স, চকলেট, এই পণ্য গুলী।
তার পরেও পোষ্ট অন্য রকম ভালো হয়েছে।
নিজের দিক থেকে যুদ্ধ শুরু করার প্রতিজ্ঞা করে গেলাম।
বাংলা চ্যানেলে নাটকের ফাঁকে বিজ্ঞাপন দেখায়, নাকি বিজ্ঞাপনের ফাঁকে নাটক দেখায় বুঝা যায় না। আর ভারতীয় চ্যানেল গুলোতে তো শুধু সিরিয়াল দেখায় না, খেলাও দেখায়। তাই শুধু মা-বোন দের দোষ না দিয়ে, নিজেদের দোষটাও একটু দেখি।
বিঃদ্রঃ আমি নাটক-সিরিয়াল কোনটাই দেখি না, টাই দয়া কওরে আমাকে গালি দিয়েন না
ভারতে অসহযোগ আন্দোলনের কারণে ভারতীয়রা ভারতের পণ্যের প্রতি আগ্রহী হয়, ওদের শিল্পের বিকাশ ঘটে।
সেই কাজ আমরাও করতে পারি। আমরাই বাংলাদেশ!
আমি শুধু ঘৃণা কিংবা রাগ থেকে নয় ভবিষ্যতের দিকেও সবাইকে তাকাতে অনুরোধ করি
আপনার লিস্ট দেখে নিশ্চিত হলাম , ভারতীয় পন্য ব্যবহার করা হয় না । Unilever এর পণ্য গুলো , হয় বাংলাদেশী নয় তো থাইল্যান্ড এর টা ব্যবহার করা হয় ।
আমি তো বলবো ভারতীয় বিস্কুট এর চেয়ে আমাদের দেশী বিস্কুট অনেক মজার ।আমাদেরকেই এখন থেকে আরও সচেতন হতে হবে । ভারতীয় পণ্য বয়কট করতে হবে । আপনি অনেক সুন্দর করে লিখেছেন ।
আমি তো বলবো ভারতীয় বিস্কুট এর চেয়ে আমাদের দেশী বিস্কুট অনেক মজার ।