আমার ভাগ্নী ফারহীন ছোটবেলায় (ও অবশ্য এখনো ছোটই আছে) একবার কমলা খেতে গিয়ে কমলার বিচিটাও গিলে ফেললো। আমি বললাম, “কিরে, তোর মাথায় এখন তো কমলা গাছ হবে, কেমন হবে তখন?” সে খুশী হয়ে জবাব দিল, “ভালোই তো হবে, মাথায় হাত দিয়ে কমলা পেড়ে পেড়ে খাবো”। কিছুদিন 8) আগে আমার ভাগ্নে কে এটা নিয়ে প্রশ্ন করলাম, সে খানিকটা ভেবে উত্তর দিলো, “আমি গাছকে বড়ই হতে দিবোনা, কাঁচি দিয়ে কেটে ছোট করে ফেলবো” 8)
ফারহীন যখন মাত্র মাত্র A B C D শিখছে, তখন একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করলো, “খালামণি, AB ছাড়া কি কখনো CD হয়?” আমি ওর প্রশ্নের মাথামুন্ডু বুঝতে না পেরে বললাম, “কেন কি হয়েছে?” সে বলে, “ছোট ফুপ্পি খালি সিডি সিডি বলে কেন?”:-* তিন বছরের পিচ্চিকে ক্যাম্নে বুঝাই C,D আর সিডি দুইটা দুই জিনিস! :thinking:
ফারহীন অনেক গল্পের বই পড়ে। গল্পের বই পড়ার প্রভাব এইবার আমাদের বাসায় বেড়াতে এলে টের পেলাম। কথাবার্তা কেমন বই এর ভাষার মতো হয়ে গেছে। কিছু উলটাপালটা দেখে যদি বলি এটা কে করেছে, তখন বলে,” আমি জানিনা তুমি ‘তদন্ত’ কিংবা আপু কোন কারণে রাগারাগি করলে সে নির্লিপ্ত গলায় বলে,” আম্মু উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করছে”। একবার আমি জিজ্ঞেস করলাম সারাদিন গল্পের
একবার আমি জিজ্ঞেস করলাম সারাদিন গল্পের বই পড়িস কেন? ফারহীন বলে, “কি করবো খালামণি বই দেখলে ‘লোভ সংবরণ’ করতে পারিনা।”
পত্রিকায় ইভ টিজিং সম্পর্কে পড়ে টিজিং সম্পর্কে পড়ে তার মন্তব্য,”টিজারদেরকে মাটি খুড়তে দেয়া হোক মাটি খুড়ে খুড়ে এদের আমেরিকা পাঠিয়ে দেয়া হোক” তার ধারণা বাংলাদেশ থেকে মাটি খুড়ে পৃথিবীর ঐপাড় পর্যন্ত গেলেই আমেরিকা পাওয়া যাবে যেহেতু বাংলাদেশের ঠিক উলটোদিকেই আমেরিকা 😛 😛
(তখন আমাকে খালামণিই ডাকতো, এখন তো বখ্খা ছাড়া কোন কথা নেই) 😯
আমরা ক্লাস থ্রি তে আহসান হাবীবের একটা কবিতা পড়েছিলাম, কবিতাটার নাম ছিলো “ইচ্ছা”।সমবয়স
সমবয়সী কাজিনদের কাছে কোন কিছুর কারণ দর্শাতে হলে আমরা বলতাম
ইচ্ছা…
আহসান হাবীব…
মনারে মনা কোথায় যাস?
বিলের ধারে কাটবো ঘাস…
… …
এরকম যে কয়েকটা লাইন মনে থাকতো বলতে থাকতাম। 😛
আমার ছোট ভাগ্নীটা তখন মাত্র মাত্র কিছু কথা বলতে পারতো। ছোটদের আধো আধো বোল সবারই ভালো লাগে। এইটা এমন পাকনা! কি যেন একটা করতে মানা করলাম তাও করলো। আমি ঝাড়ি দিয়ে বললাম “এই, এটা কেন করেছো?”
সে চোখ পাকিয়ে উত্তর দিল “ইচ্ছা” 8)
আমি পুরাই থ! পিচ্চি বলে কি!!
এমনিতে আমার কোলে আসতেই চায়না। শুধু চানাচুরের লোভে আসে। আর বলে, “তানাতুত্তুর দেও”।চানাচুর
চানাচুর দিলেই খুশিতে চিৎকার দিয়ে বলে, “ইয়েস! তানাতুত্তুর!” :love:
হা হা “ভালোই তো হবে, মাথায় হাত দিয়ে কমলা পেড়ে পেড়ে খাবো”। 🙄
ফারহীনকে আদর আর ফারহীনের খালামনিকে প্লাস 😀
আর আপনাকে থাংকু 🙂
লোভ সংবরণ করতে পালে না! আহা রে! 😀 😀 😀
🙄 দারুণ হইছে এই পর্বটাও।
ওহ্ আর “কি/কী” বিষয়ক গোলযোগ লেখায়। 🙁
যেসব প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ/না দিয়ে দেওয়া যায় সেগুলো বাদে সবগুলোতে “কী” বসবে।
লেখার সময় খেয়াল থাকেনা আপু 🙁
সামনে থেকে ইনশাআল্লাহ খেয়াল করবো।
ধন্যবাদ আপু 🙂
ভাল হয়েছে তবে আগের টার মত না বলে মনে হল আমার কাছে। হাছা কথা কইলাম ……
সেটা আমিও বুঝতে পেরেছি।
ধন্যবাদ সত্য বলার জন্য 🙂
:clappinghands:
🙂
হা হা… বাচ্চারা…
🙂 🙂
হা হা……
তানাতুত্তুর কাবো…… 😛
আমিও থাবো… :happy:
আমিও আমিও…
আমিও আমিও 🙂
দারুন লেখা! 🙂 🙄 🙄
থ্যাংকিউ 🙂
পিচ্চিগুলা সবসময়ে এত্ত কিউট হয় যে কুটকুট করে কামড়ে ওদের খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করে। যেমন, এই লেখাটা পড়ে আমার ফারহীনকে কামড়াতে ইচ্ছা করছে! 😛
হা হা হা! :happy: :happy: