একটা ছবি হাজার শব্দের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কিছু ছবি মানুষের ইতিহাস বদলায়, কিছু ছবি মানুষকে স্বপ্ন দেখায় আর কিছু ছবি মানুষকে করে বাকরুদ্ধ।
এমনই কিছু ছবি নিয়ে এবার ‘দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলো-৬’:
Tossed to safety
ফটোগ্রাফার: রেনে ওয়েরস
৯ই ফেব্রুয়ারী, ২০০৮, জার্মানী। ভবনের নিচতলায় লাগা আগুনে বেরুতে পারছিলো না, উপরের তলাগুলোতে থাকা বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে ৯মাস বয়সী মেয়েকে পাঁচতলার জানালা দিয়ে নিচে উদ্ধারকারীদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে মারেন। নিচে থাকা পুলিশের লোক ধরে ফেলে মেয়েটিকে।
৯জন মানুষ মারা যায় সেই অগ্নিকান্ডে।
Mourning slain soldier-fiancé
ফটোগ্রাফার: জন মুর
২৭শে মে, ২০০৭, ওয়াশিংটন, আমেরিকা।
ইউএস আর্মি-র সার্জেন্ট জেমস রিগ্যান ফেব্রুয়ারী মাসে ইরাকে বিস্ফোরণে নিহত হন। তার সমাধির পাশে বাগদত্তা ম্যারি ম্যাকহিউ শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন।
Auschwitz Birkenau
ফটোগ্রাফার: টিমো মারকোয়েডিং
Auschwitz Birkenau জার্মানীর একটি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের নাম, যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নির্যাতন চালানো হত মানুষের উপর। যুদ্ধ শেষ হবার পরে বন্দীদের সুটকেসে পাওয়া ছবিগুলোই সাজানো আছে দেয়ালে। ধারণা করা হয়, ছবিগুলোর সবাইকে হত্যা করা হয়েছে।
Bitterroot National Park Fire
ফটোগ্রাফার: জন ম্যাককগেন
৬ই অগাস্ট, ২০০৬, মন্টানা, আমেরিকা।
সমগ্র বন ঢাকা পড়েছে ভয়াবহ আগুনে। বনের মাঝে বয়ে চলা সরু স্রোতধারায় বাঁচার জন্য আশ্রয় নিয়েছে বন্যপ্রাণী।
Daughter reacts
ফটোগ্রাফার: হাজি মিজবান
২১শে জুলাই, ২০০৫, ইরাক।
জালিল সাহলান, একজন সিকিউরিটি গার্ড অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন। তার মেয়ের কান্না ছুঁয়ে যায় গোটা পৃথিবীর মানুষকে।
এবার ভিন্নধর্মী কিছু বিখ্যাত ছবি:
Sunset from the Other Side:
মহাশূন্য থেকে তোলা পৃথিবীর ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দিন ও রাতের মিলনরেখা।
The Tourist Guy of 9/11:
টুইন টাওয়ারের উপর দাঁড়িয়ে থাকা টুরিস্টের পেছনেই দেখা যাচ্ছে টাওয়ারের দিকে আছড়ে পড়তে যাওয়া বিমানটিকে। বলা হয়ে থাকে, টুইন টাওয়ারের উপর শেষ টুরিস্টের ছবি এটি।
মজার ব্যপার হচ্ছে, Sunset from the Other Side, The Tourist Guy of 9/11 এই ছবি দুইটি দুনিয়া কাঁপালেও ভুয়া অর্থাৎ, ফটোশপের কাজ বলে প্রমাণিত হয়।
আগের পর্বগুলো:
দুনিয়া কাঁপানো ছবিগুলো-৩: স্বাধীনতা
Daughter reacts ছবিটা দেখবার পর কেন জানি দম বন্ধ হয়ে আসছিলো, এই দৃষ্টির সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা কোন মানুষের নেই……
ভয়ানক……আর কিছুই বলার নেই…।।
প্রথম ছবিটাও……
অপেক্ষায় ছিলাম, আশা পুরাইলো……
নৃশংসতার সামনে দাঁড়ানোর শক্তি হয় নি এখনো………
অপেক্ষায় থাকিস দেখেই লেখার সাহস পাই…
এই পর্বের ছবিগুলো আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে আগের গুলোর চেয়ে।
প্রথম পাঁচটি ছবি-ই খুব নাড়িয়ে দেয়া, ৩ ও ৫ দেখে কেমন যেন থমকে গেছি, আর ১ দেখে মনে হল মানুষের বসতি আশায়…।
অনেক অনেক ধন্যবাদ……
এই পর্বটা অসাধারণ হইছে। 🙂
অনেক ধইন্যা……
১ম ছবিটা দেখে তো কিছুক্ষন তব্দা খেয়ে ছিলাম, দৌড় দিয়ে ক্যাচ ধরতে মন চাইছে এমন জলজ্যান্ত একটা ছবি !!!
Daughter reacts – কষ্ট দেয়, শ্বাস নিতে কষ্ট দেয় ……
Daughter reacts ছবিটা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় সমাজের ত্রুটিগুলোকে……
Tossed to safety আর Daughter reacts দেখে কেমন যেন লাগছে! 🙁
দারুন হইছে এই পর্বটা দাদা। :dhisya:
ধন্যবাদ আপু……
জোস! :dhisya:
ধইন্যা 😀
Tossed to safety- ছবিটা দেখে কষ্টে, ভয়ে তাকিয়ে ছিলাম, কী যে ভাল লাগল নিচের বর্ণনাটা পড়ে!
Daughter reacts- কেমন যেন খুব কষ্টের ………
Sunset from the Other Side- wow
অসাধারণ হয়েছে……
ধন্যবাদ 😀