মাঝে মাঝেই ঠুশঠাশ করে ছন্দ টন্দ মিলিয়ে না মিলিয়েই কি যেনো লিখে ফেলি ! কার জন্য যেনো লিখি, সে দেখতে পায়না, দেখলেও সম্ভবত মিটিমিটি হাসে! কিছু বলেনা! এই হাসিটা আমার খুবি ভালো লাগে, এর নাম আমি দিয়েছি “বিটিফাই স্মাইল” অথবা “তারকাখচিত হাসি”। তো, ভাবলাম, কিছু লেখা একসাথে জোড়া দিয়ে দেই! কেউ লেখা পড়ে বমি পেলে আমাকে জানাবেন, ওষুধ দিয়ে দেবো, সত্যি ! আর, সুপ্রাচীনকালে যখন অখাদ্য টাইপ কবিতা লিখতাম, তখনকার কেউ কেউ হয়তো জানেন, আমি কোনো বিশেষ ঘটনা ছাড়া কবিতা লিখিনা। তো আমি চেষ্টা করবো, অল্প অল্প করে পটভুমি তুলে ধরবার।
১)
পটভূমিঃ মানুষতো, জন্তু জানোয়ার তো আর না! চাইলেই সব পাওয়া যায়না, পেতেও নেই! শীতকালের এক সমস্যা হলো, রাত গুলা একটু বেশী লম্বাটে! এমনেই একা, তার মাঝে আসেনা ঘুম! একা একা আর কাহাতক সহ্য হয়! ছুটে যেতে ইচ্ছা করে কল্পনার কোনো এক প্রান্তরে, খুব ইচ্ছে করে স্বপ্ন দেখতে, গাঢ় অন্ধকারে সেখানে আমার জন্য প্রশস্ত বাহুডোরে দাঁড়িয়ে থাকবে কেউ, কনকনে শীতের সেই রাতে আমি তার উষ্ণতার আশ্রয় হয়ে দাড়াবো। এমনি সব উদ্ভট কল্পনার প্রসব স্বরুপ এই কোবতে !
গাঢ় অন্ধকারে,
নীল হয়ে আসা কুয়াশা ভরা
প্রচন্ড শীতের রাতে,
একা কেঁপে উঠি।
আমার কুকড়ে যাওয়া শরীরটাকে
আলতোভাবে আলিঙ্গনে
আর নাওনা তুমি,
আশ্রয় পায়না আমার কুঁচকে যাওয়া শরীর
তোমার উষ্ণ হাতে।
স্থির হয়ে আসে ধীরে ধীরে,
জমে যাওয়া হৃদ যন্ত্রটা।
কৃত্রিম নিঃশ্বাসের আশায়
ভুগি আমি মিথ্যে চুমু খাবার যাতনায়।
২)
পটভূমিঃ এক ধরণের অস্থিরতা, সন্দেহপ্রবনতা একেবারে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিলো ভেতরটা। এতোটা দিনে কোনোদিন ভাবিইনি যে, আমার মাঝে, এই আমার মাঝে সন্দেহ জাগতে পারে ! লজ্জা, বলতে না পারার কষ্ট, প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসহীনতা আর কিছু একটা অজানা আবেগের কারণে এটা লিখেছিলাম।
আমি তোমার স্পর্শে
অবাক হয়ে তাকাই কাছের
চোখের তারার বহুদুরে।
আর থমকে দেখি
আপন আবেগ নেইকো সেথা
অবিশ্বাসের কালচে নীলে।
৩)
পটভূমিঃ ১২ বছরের প্রেম শেষে এই ৩১শে জানুয়ারীতে ২৬ বছর এর সাংসারিক জীবনে উপনীত হলো আব্বু-আম্মু। বিশ্ব প্রেমিক-প্রেমিকা মাতা-পিতা আমার, তোমাদিগকে অনেক অনেক শুভ বিবাহ বার্ষিকী। আব্বু আম্মুর প্রেমের একটা বর্ণনা দেই, এই এতো বছর পরেও আব্বু যখন রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ এর জন্য মসজিদে অবস্থা নেয়, আম্মু যে কি পাগলামিটা করে আব্বু’র জন্য। বারান্দায় বসে কাঁদে একা একা, বাইরে গেলে মাথায় ঘোমটা দিয়ে উঁকি দিয়ে আব্বুকে দেখার চেষ্টা করে, আব্বুও আমার কাছে বলে দেয় আম্মুকে দেখে রাখতে, কন্ঠে তার ভরাট কিছু থাকে তখন। আব্বু-আম্মু, তোমাদের মতোন প্রেম করতে চাই। এই রচনাটা আব্বু-আম্মুর জন্যঃ
ছয় বিশ বছর আগের বৃষ্টিধারা
সিক্ত করে করুনধারায়
আজও আমাদের।
ছাই রঙ্গা কালো মেঘ
আমাদের চোখে আজও রঙ্গীন,
আজও তার ঠান্ডা অনুভূতি
মৃদু ভালোবাসায় ছুয়ে যায় তোমাতে।
আর ভিজে যায় তোমাদিগের প্রেমাশ্রুজলে
আমার আস্তিন।
ওরে মরে গেলুম রে ! এত সুন্দর করে লিখিস :babymonkey: কিভাবে রে ?? খুব্বি সুন্দর হইসে।
অক্ষর দা, আই লাবুউউউউ !!!!!!!!!! :love:
কেয়া বাত….থুক্কু….কী কথা! কী কথা!! চমৎকার 🙂
বিরাট ধইন্যা ভাইডি ! :happy:
সৌন্দর্য হইছে। 🙂
এক্কেবারে তুম্মার মতু 🙂
শেষেরটা বেশী ভালো লাগছে।
আমারও 🙂
বিষম সৌন্দর্য নিশম! :clappinghands:
আল্লাহ তাই !!! তোমার গুলা বেশী ভালো লাগে 🙂
:love:
গুলাপ ফুল দিয়া দাঁত মাজিতেচো, দাঁত লাল হুইয়ে যাপে তো !
🙂
কাব্যের গল্প শুনতে ভালো লাগলো…আরো শুনতে চাই…
আগের দুটো আছে 🙂 আরও আসবে, বোধ হয় 🙂 ধইন্যবাদ 🙂
আঙ্কেল আন্টির এই রসায়ন দারুন লাগল। এমন আসলে খুব কম দেখা যায়। সত্যিকারের মনের মিল। তোমার আব্বু আম্মুর জন্য শুভেচ্ছা 🙂