আয়নায় মুখোমুখি ব্লগার-লেখক(৩): আবদুল্লাহ আল মাহমুদ

সমাজের যান্ত্রিকতায় যখন আমরা নিত্য পিষ্ট হই লালসা, হতাশা আর ফেলে আসা স্মৃতিকাতরতায়, তখনই খুঁজে ফিরি এক টুকরো নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা। একুশে বইমেলা ঠিক তেমনই এক স্বপ্নদ্রষ্টা শক্তির নাম, যেখানে খুঁজে পাওয়া যায় সেই পুরনো ‘আমি’কে। ফেলে আসা জীবনের কথকতা আর নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাওয়ার সেই বইমেলায় হাজারো বইয়ের ভিড়ে খুঁজে নিতে হয় নিজের কথা বলা বইটিকে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ‘সরব’ ব্লগের এই আয়োজন, ‘আয়নায় মুখোমুখি ব্লগার-লেখক’। লেখালেখি জীবনে ব্লগ থেকে বইতে পা রেখেছেন যারা, তাদের ভাবনার জগত পাঠকদের সামনে উপস্থাপনের ছোট্ট প্রয়াস।

অপেক্ষায় থাকুন নতুন বইয়ের, অপেক্ষায় থাকুন নতুন সাহিত্যিকের…

বইমেলা হোক সরব, প্রাণের উৎসবে!

১। নিজের সম্পর্কে কিছু বলবেন?

– লিখতে ভালোবাসি। নিজের দিনপিলিতে কিংবা ইথার জগতের ক্যানভাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি বিজ্ঞান নিয়ে। কিন্তু বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সেই ছোটবেলা থেকে। রেডিও,টিভি,ক্যালকুলেটর থেকে শুরু করে ধান ভানার মেশিন কোনটাই নিস্তার পায় নি আমার বিফল ঔৎসুক্যের হাত থেকে। এর জন্য মায়ের বকুনিও কম খেতে হয় নি! আর আট দশজনের মত স্কুল পালানো বালক ছিলাম আমিও। তবে সুখের কথা হল, প্রথমে ভিডিও গেমের দোকান ও পরে সিনেমাহল ছেড়ে আমার এই স্কুল পালানো সময়টা নিস্তরঙ্গে কাটে শাহাবাগের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির এক কোণে। সে থেকেই বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহ আমার। অবসর সময় কাটে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় আর ঘোরাঘুরিতে। সময় পেলেই বের হই দূর-দূরান্তের উদ্দেশ্যে। হয়তো এরই মাঝে জীবনের মানে খুঁজে পেয়েছি বলে।

২। লেখালেখির সাথে সম্পর্কের শুরু হলো কী করে?

– বেশ কিছুদিন আগের কথা। বাংলাদেশের একমাত্র বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সায়েন্স ওয়ার্ল্ড’ এর প্রকাশনা হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায়। যে সাময়িকী পড়ে আমার এবং আমার সমসাময়িক বন্ধুমহলের অনুরাগ জন্মে বিজ্ঞানের প্রতি তার প্রকাশনা এভাবে বন্ধ হয়ে যেতে অবাকই হই। এর চেয়ে বড় অবাক হই যখন বাংলাদেশের বিজ্ঞান চর্চার প্রাণকেন্দ্র বুয়েটে পা দিই। একটা বিজ্ঞান সাময়িকী পর্যন্ত নেই দেশের সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ! সে থেকেই শুরু। মনে হল নিজেরাই কেন হাল ধরছি না। আমি আমরা মিলেই তো আমাদের দেশ। তাই বন্ধুদের সাথে নিয়ে নিজের দিনলিপির পাতার কিছু লেখা দিয়ে প্রকাশ করলাম বিজ্ঞান সাময়িকী ‘জিরো টু ইনফিনিটি’। প্রকাশের সাথে সাথে মানুষের এত এত সাড়া দেখে মনে হল কে বলেছে আমরা বিজ্ঞানের কদর দিতে জানি না ? যে মাটিতে জন্মেছে বোসের মত মহাবিজ্ঞানী,সারাবিশ্বের অর্ধেক কণিকার নাম যার নামে,যে মাটিতে বসে বিশাল আকাশে চোখ ফেলেছিলেন রাধাগোবিন্দের মত বিশ্বখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী সে মাটি জানে বিজ্ঞানের কদর করতে। এখানে সুপ্ত আছে বিজ্ঞানের শিখা। এখন দরকার তা উস্কে দেয়ার নিমিত্তে সময়োচিত কিছু পদক্ষেপ। মুনীর হাসানের গণিত কিংবা ফারসীম মান্নান মোহাম্মদীর জ্যোতির্বিজ্ঞান আন্দোলন এরকমই কিছু কাজের দৃষ্টান্ত। আর তাদের অনুপ্রেরণায়ই এভাবে একটা বিজ্ঞান সাময়িকী দিয়েই আমার লেখার জীবনের আনুষ্ঠানিক পথচলা।

৩। কেন লিখেন? লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

– সত্যি কথা বলতে গেলে হয়তো বলতে হবে সময় কাটানোর জন্য লিখি। আর ভবিষ্যৎ নিয়ে হয়তো এখনো ভাবি নি। তবে লেখাকে পেশা হিসেবে নেয়ার কোনো আগ্রহ নেই আমার। পেশাজীবনের পাশাপাশি লিখে যাব।

৪। লেখালেখির ক্ষেত্রে কোন অনুপ্রেরণা আছে কি? কাউকে কি অনুসরণ করেন?

– বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশলের সহকারী অধ্যাপক জনাব ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী। একদিন ডেকে বললেন ‘তুমি তো বিভিন্ন জায়গায় জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে বাচ্চাদের নিয়ে সেমিনার-কর্মশালা কর। চল দু’জন মিলে ওদের জন্য একটা বই লিখি’। সে থেকেই শুরু। লিখে ফেললাম ‘দূর আকাশের হাতছানি’। তাই শুধু অনুপ্রেরণা নয় একটা সক্রিয় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি আমার এই লেখালেখির জীবনে। আর অনুসরণ কাউকে করি বলে এখনো টের পাই নি। ভবিষ্যতে হয়তো পাঠকদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারবো।

৫। অনেকের ধারণা এখন অধিকাংশ লেখকের লেখা একই প্যাটার্নের হয়ে থাকে, নতুনত্ব খুব কম পাওয়া যায় – আপনি কি এর সাথে একমত?

– আসলে এটা যুগধর্ম। আমরা পাঠকরা সহজে ভুলতে চাই। আর সেই সহজটা গেলানোর জন্য মুখিয়ে থাকেন আজকের লেখকরা। এজন্য হয়তো ব্যক্তিবিশেষে একগেঁয়েমির আভাস চলে আসে অনেকের লেখায়। আর হ্যাঁ নতুনত্বের দিকে আমাদের লেখকদের দৃষ্টি আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। মনে রাখতে হবে বেলা শেষে কিন্তু সৃজনশীলতারই জয়গান ধ্বনিত হয় দিকে দিকে।

৬। নতুন লেখকদের বিষয়ে পাঠকদের মনোভাব কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করেন?

– যিনি লেখেন তিনি স্রষ্টা নন। স্রষ্টার দোষত্রুটি নেই। লেখকমাত্রই একজন সাধারণ মানুষ। মানুষের মতই তিনি শিখছেন। পাঠকের কাজ লেখকের কাজের বিশ্লেষণ করে তাকে অনুপ্রেরণা দেয়া। কিন্তু আবার যিনি পাঠকের বাহবা পেতে লিখেন তিনি লেখক নন। পাঠকের উচিত তাকে এড়িয়ে চলা। পাঠক যদি এদের উৎসাহ দেয় তবে যা হবে তা হল আমাদের আজকের লেখা সংস্কৃতি। কেন আর জন্ম হয় না শরৎ-বঙ্কিমের? কারা এর জন্য দায়ী? হ্যাঁ আমরাই। আমরা পাঠকরাই। তবে সময় এসেছে দিক পরিবর্তনের। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চেষ্টাই হয়তো একদিন পাল্টে দিতে পারে একটি জাতির দর্পনের ইতিহাস।

৭। একজন ব্লগারের কি তার প্রতি কোন দায়বদ্ধতা আছে? থাকলে কতটুকু? বাংলা ব্লগে দায়বদ্ধতার কী রকম ছাপ দেখতে পান?

– ব্লগারও লেখক। তিনি ইথারের লেখক। বলা যায় তিনিই প্রকৃত লেখক। নিজের আনন্দে লিখে যান। দায়বদ্ধতার প্রশ্নে তাই তিনিও লেখকের সমমনা। একজন লেখকের কী দায়বদ্ধতা আছে সমাজের প্রতি? তিনি সমাজ ও কাল সচেতন হবেন। একটা সামাজিক বিপ্লবের হাল ধরার দায়ীত্ব তার। একই কথা খাটে একজন ব্লগারের ক্ষেত্রেও। দেরীতে হলেও এখনকার ব্লগারের মধ্যে এই সচেতনতার জাগরণ ঘটছে। এই সরব এর কথাই ধরা যাক। এবারের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের লেখকদের মতামত নিচ্ছে সরব। এটাও কি একটা সামাজিক দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে না ?

৮। ব্লগের ফিডব্যাক নিয়ে আপনার মন্তব্য কী? সবসময় কি সঠিক মনে হয়?

– কাগজের বই সবসময়ই নান্দনিক। কিন্তু এখানে সময় যেনো একটু ধীর। বই প্রকাশের অনেক সময় পরে সেই বইয়ের মতামত কানে যায় লেখকের। এদিক থেকে ব্লগের কোনো তুলনাই হয় না। লেখার সাথে সাথেই পর্যালোচনা,গবেষণা আর সমালোচনা। একজন লেখক ভুল শুধরানোর একটা ভালো সুযোগ পান এখানে। তাই একটা বই প্রকাশের আগে লেখনীগুলোর চুম্বক অংশগুলো কোনো এক ব্লগে লিখে জনমত নিলে মন্দ হয় না। তবে নানান পেশার নানান মতের লোকের অবাধ বিচরণ বলে হয়তো এখানে সবসময় সঠিক দিকনির্দেশনা নাও মেলতে পারে।

৯। ব্লগ আসার পর মানুষ খুব বেশি ওয়েব-নির্ভর হয়ে গেছে, আগের মত বই কিনে পড়ে না – এ নিয়ে আপনার কী মতামত?

– আমার মোটেও তা মনে হয় না। ওয়েভের উপর আমাদের নির্ভরতা অনেকটাই তথ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আমার কথাই ধরুন। আমি আগেও বই কিনতাম। এখনো কিনি। কিন্তু হয়তো ওয়েভে বেশি সময় দেই। কিন্তু একটা সম্পূর্ণ বই ওয়েভে পড়ে শেষ করেছি এমন কখনো হয়েছে কিংবা আদৌ তা সম্ভবপর বলে মনে হয় না।

১০। আপনার নতুন প্রকাশিত বই সম্পর্কে পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন?

– যা কিছু ছিল,আছে এবং থাকবে তা নিয়েই আমাদের বিশ্বজগৎ। আর এই বিশ্বজগৎ নিয়ে আমাদের কিশোর কিশোরীদের ওয়াকিবহাল করাই এই বইয়ের উদ্দেশ্য। শিক্ষকতার সূত্রে এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞান-বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা বিজ্ঞান বিষয়ে কতখানি উৎসুক থাকে। বিশেষ করে, রাতের আকাশের বিষয়াদি তাদের বেশ টানে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি এদের রয়েছে এক নাড়ীর টান। সেই তৃষ্ণা মেটানোর প্রয়াস থেকেই এই বইয়ের বিষয়বস্ত নির্বাচিত হয়েছে। মহাকাশ বিষয়ে সকল তত্ত্ব ও তথ্যের আকরগ্রন্থ এটি নয়। তবুও প্রাথমিক তৃষ্ণাটুকু যাতে মেটে সেই ব্যবস্থা এখানে আছে। পৃথিবীর আকাশের বাইরে যে বিরাট মহাজগৎ আছে তার সম্পর্কে আমাদের কিশোর-কিশোরীদের সচেতন করা এবং মনে প্রশ্ন জাগিয়ে তোলাটাই এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য, আর সেখানেই এর সার্থকতা। আমরা চেয়েছি, মহাকাশ বা জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে যাতে একটা সাধারণ আগ্রহের আবহ নির্মিত হয় সেই চেষ্টা করা।

“দূর আকাশের হাতছানি”

লেখকঃ ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ

প্রকাশকঃ শোভা প্রকাশনী।

মূল্যঃ ২০০ টাকা।

পাওয়া যাচ্ছে ৩২৪,৩২৫ ও ৩২৬ নং স্টলে (৯ ফেব্রুয়ারি থেকে)।

সাহিত্যস্বর সম্পর্কে

সরব বাংলাদেশে বই জনপ্রিয়করণের লক্ষ্যে কাজ করতে চায়। এই লক্ষ্যে আমরা নানান ধরনের কাজ করতে চাচ্ছি। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে একুশে বইমেলা ২০১২তে বিভিন্ন ব্লগারদের বই আমরা প্রোমোট করতে চাইছি। প্রতিদিন একজন করে ব্লগার/লেখক এর ইন্টারভিউ আমরা ছাপানোর পরিকল্পনা নিয়েছি।
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে বইপড়ুয়া, সাহিত্য-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

8 Responses to আয়নায় মুখোমুখি ব্লগার-লেখক(৩): আবদুল্লাহ আল মাহমুদ

  1. নিশম বলেছেনঃ

    ফারসীম স্যারের আসলে তুলনা হয়না !!! আর, “জিরো টু ইনফিনিটি” বই নিয়ে মাহমুদ ভাইয়ের যে স্পৃহা দেখেছিলাম, তুলনা হয়না !! মুনীর স্যার, লামমীম আপু, ফারসীম স্যার, মাহমুদ ভাইয়া – এরকম অসাধারণ মানুষ গুলো থাকতে এদেশে আবার বিজ্ঞান নিঃশ্বাস নেবেনা, এটা কি সম্ভব নাকি !!! অনেক অনেক ধন্যবাদ, বই খানা হাতে নিয়ে দেখিবার শখ জাগ্রত হচ্ছে 🙂

  2. আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেনঃ

    ভাল্লাগলো প্রশ্নোত্তরগুলো ।

    শুভ কামনা ।

  3. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    উত্তরগুলো আমার বেশ পছন্দ হয়েছে!
    চমৎকার লাগল।

    বই এর জন্য অভিনন্দন। আশা করি রিভিউ লিখব! 😀

    আর ম্যাগাজিনটা আমি পড়েছি, সেটা নিয়ে কথাও বলার ইচ্ছা আছে। অসাধারণ উদ্যোগ।

    লেখালেখি অব্যাহত থাকুক।

  4. @আবদুর রাজ্জাক শিপন,বোহেমিয়ান

    অনেক ধন্যবাদ। উৎসাহ দেয়ার জন্য। 🙂

  5. মুবিন বলেছেনঃ

    ২০০৪ সাল।
    তখন ক্লাস নাইনে পড়ি।
    বিজ্ঞানমেলায় বেশ কয়েকটা বই পুরষ্কার পেয়েছিলাম। এর মধ্যে একটি ছিল ফারসীম মান্নান মোহাম্মদীর ‘মহাকাশের কথা’। বইটা এত ভাল লেগেছিল যে একই লেখকের আরো দুইটা বই পড়ার জন্য পাগল হয়ে গেছিলাম। তখন স্যারের মাত্র ৩টা বই বের হয়েছিল। বাকি ২টা বই বাংলা একাডেমী প্রকাশ করেছিল। কিন্তু পুরো সিলেট শহর খুঁজেও বই দুটো পাইনি। শেষে ঢাকায় থাকা ফুফাতো ভাই বই দুটো কিনে সিলেট পাঠিয়েছিল। যদিও এর মধ্যে একটা বইয়ের কিছুই বুঝি নাই নাইন-টেনে থাকা অবস্থায়।
    ‘দূর আকাশের হাতছানি’ বইটাও পড়ার আশা রাখছি।

    আর একটা কথা। প্লিজ নিয়মিত লিখে যাবেন। বাংলা ভাষায় মানসম্মত বিজ্ঞান লেখক একদম কম।
    শুভকামনা সবসময়ের জন্য।

    • স্যারের জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান পরিচিতি বইটি পড়েই জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাথে আমার প্রথম পরিচয়। বুয়েটে এসেও সেই বইয়ের সুত্রে স্যারের সাথে আমার প্রথম পরিচয়। 🙂
      আর হ্যাঁ আশা রাখি লেখালেখি সারাজীবনই অব্যাহত থাকবে…
      ভালো থাকবেন।

  6. অক্ষর বলেছেনঃ

    জ্যোতির্বিজ্ঞান এর প্রতি কেন জানি ছোটবেলা থেকেই একটা টান অনুভব করি, কিছু বই ও পড়েছি কিন্তু যথেষ্ট না, আর বাংলায় মনে হয় এই বিষয়ের বই এর সংখ্যা অনেক কম। পড়ার জন্য মুখিয়ে রইলাম, সময় পেলেই কিনে ফেলব , আর লেখকের জন্য শুভ কামনা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।