১.
“কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পরেছে লতাটা,
সজনে ডাঁটায় ভরে গেছে গাছটা,
আর আমি ডালের বড়ি শুকিয়ে রেখেছি ।
খোকা তুই কবে আসবি ? কবে ছুটি ?”
চিঠিটা তার পকেটে ছিল
ছেঁড়া আর রক্তে ভেজা ।
-আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
উৎসর্গপত্র
তাঁরা কোন রাজনৈতিক কর্মী নন, নেতাও নন , নেতার মতো চেঁচিয়ে ময়দান গরম করেন না তাঁরা, গ্লিসারিন মাখা রুমাল চোখে চেপে তাঁরা জনতার জন্য ‘মায়াকান্না’ কাঁদেন না, তবে তাঁদের সবার একটা জায়গাতে মিল,তাঁরা স্বপ্ন দেখেন, বিশ্বাস করেন-নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিতে পারলে এই পোড়া দেশটাকে বদলে দেয়া সম্ভব । খুব সম্ভব । তাই তাঁরা সেরাটা দিয়ে যান নিভৃতে ! বিরলপ্রজ সেইসব মানুষদের দাঁড়িয়ে সম্মান ।
প্রাপ্তিস্থান : শুদ্ধস্বরের স্টল -৪৪৪,৪৪৫,৪৪৬
রকমারি.কম
২.
রিক্সার প্যাডেলের ঘূর্ণি উড়োজাহাজে পরিণত হলে আমাদের উড়োজাহাজ ব্যবসায়ীদের মুখখানা কাচুমাচু হয় ! তাদের লজ্জাবনত মুখ দেখতে আমাদের ভালো লাগে । কারণ, রিক্সাকে উড়োজাহাজে পরিণত হতে দেখবার সৌভাগ্য আমাদের খুব বেশীবার হয়নি । আর তখন উড়োজাহাজ ব্যবসায়ীদের নাস্তানাবুদ উড়োজাহাজগুলো যখন পেছনে পড়ে থাকে, সামনে এগিয়ে থাকা রিক্সাকে দেখে আমাদের প্রথমবারের মতো বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে যে, রিক্সাও উড়োজাহাজকে পরাস্ত করতে সক্ষম । রিক্সার পাইলট ষাটোর্ধ্ব জয়নাল আবেদীনকে সম্মান জানাতে আমরা তখন দাঁড়িয়ে যাই, আমরা তাঁকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাই ।
রিক্সার প্যাডেল চাপা জমানো অর্থে ,দীর্ঘ সাধনার পর (প্রায় এক যুগ) জয়নাল আবেদীন মমতাজ হাসপাতাল গড়ে তুলেছিলেন, তীব্র এক বেদনার উৎস থেকে । বিনা চিকিৎসায় পিতার মৃত্যু শোককে তিনি শক্তিতে পরিণত করেছিলেন । আশপাশের দু’চার গ্রামের হা-ভাতা মানুষগুলো এখন তাঁর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় রোগ সারায় !
ময়মনসিংহের ভালুকায় জয়নাল আবেদীনের গ্রামে কোন স্কুলের অস্তিত্ব ছিলো অবর্তমান । নিরক্ষর জয়নাল আবেদীন সেখানে স্কুল ঘরের একটি আলো জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। সে আলোয় উদ্ভাসিত শিশু- কিশোরের দল এখন অ-আ-ক-খ দিয়ে তাদের জীবনের ফুলদানী সাজায় !
আমাদের উড়োজাহাজ ব্যবসায়ীদের মুখে চুনকালি মেখে দেয়া , শিক্ষিতদের একদম অন্যরকম নতুন কিছু শিখিয়ে দেয়া নিরক্ষর জয়নাল আবেদীন ‘সোনামুখী সুঁইয়ে রূপোলী সুতো’র মোড়ক উন্মোচন করবেন, ১০ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৫টায় । প্রিয় ব্লগার আপনি আমন্ত্রিত !
দারুণ!
অনেক ভালো লাগল। চাচাকে নিয়ে আমরা লিখেছিলাম
http://shorob.com/?p=2991
আমি দেখেছিলাম, এবং আপনাদের একটা মেইলও করছিলাম, রিপ্লাই পাইনি !
অসাধারণ!
“রিক্সাও উড়োজাহাজকে পরাস্ত করতে সক্ষম “___ এভাবেই তো একদিন জাগরণ আসবে! :huzur:
শুভকামনা!
আলোর মশালগুলো বহুমুখে জ্বলুক ।
মোড়ক উন্মোচনে আমি থাকবোনা । আমি প্রবাসী । আমার ব্লগার বন্ধুরাই আমার প্রতিনিধি । আপনাদের উপস্থিতিই হবে আমার আনন্দ ।
বইয়ের শুভ কামনা।
শুভেচ্ছা ।
ধন্যবাদ ।
ঢাকায় থাকলে অবশ্যই যেতাম। কারণ বড় মানুষদের দেখা সবসময় পাওয়া যায় না। জয়নুল চাচাকে দিয়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করানোর পরিকল্পনা দেখে আপনার চিন্তা ও চেতনার প্রশংসা না করে পারছি না।
রিক্সার কাছে উড়োজাহাজ পরাস্ত হোক বারংবার।
‘রিক্সার কাছে উড়োজাহাজ পরাস্ত হোক বারবার !’
মোড়ক উন্মোচনে থাকতে না পারলেও বই সংগ্রহ করে মতামত জানাবেন আশা করছি ।
কৃতজ্ঞতা ।
দারুন 🙂 খুবই পছন্দ হয়েছে এমন একজন সাদা মনের মানুষকে দিয়ে বই এর মোড়ক উন্মোচন করবেন 🙂 এত সুন্দর আইডিয়া টা কে দিল ভাইয়া 🙂
আমার উৎসর্গপত্রটি খেয়াল করুন । বই লেখার শুরুতেই উৎসর্গ পত্রটি লিখেছিলাম । ওখান থেকেই হঠাৎ আইডিয়াটা পেলাম । মনে হলো, উৎসর্গপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে এরচে’ সাদা-মনের মানুষ আমি বর্তমানে কোথায় পাবো !
আর আমিও দেশে নেই । আমার প্রতিনিধি হয়ে ব্লগারেরা থাকবেন, আর থাকবেন জয়নাল চাচা ।
সুপ্তি ! আজ যাবেনতো মোড়ক উন্মোচনে ? আজ বিকেল ৬.৩০টায় মোড়ক উন্মোচন হবে ।
আপনারা কেউ বই পড়ে পাঠপ্রতিক্রিয়া দিয়ে পোস্ট দিলে খুবই খুশী হবো । বইয়ের দুর্বল দিকগুলো উঠে আসবে । আলোচনা হবে ।
জয়নাল চাচা মোড়ক উন্মোচন করবেন! বাহ্।
আইডিয়াটা আসলেই সুন্দর। 🙂
আজ বিকেল ৬.৩০টায় মোড়ক উন্মোচিত হবে নজরুল মঞ্চে ।
সামিরা , যাবেনতো ? গেলে খুবই খুশী হবো ।
আমি নেই , সহব্লগার বন্ধুরাই আমার প্রতিনিধি ।